Sunday, December 28, 2014

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা:প্রথম অালো

সারা দেশে শীতের তীব্রতা বাড়ছেই। গতকাল ঈশ্বরদীতে এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের কারণে দুর্ভোগের পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। ঢাকার বাইরে আমাদের আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: ঈশ্বরদী (পাবনা): কয়েক দিন থেকে তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পাবনার ঈশ্বরদীর বাসিন্দারা। এ উপজেলাতেই গতকাল ছিল দেশের এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আবহাওয়
া অধিদপ্তরের ঈশ্বরদী কার্যালয় থেকে জানা গেছে, দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা ফরমান আলী গতকাল সকালে প্রথম আলোকে জানান, লালপুর, ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়াসহ আশপাশের এলাকায় উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। প্রচণ্ড শীতের কারণে ঈশ্বরদীর চরাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ সীমাহীন কষ্ট পাচ্ছে। লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের পদ্মার চরের দরিদ্র কৃষক আবু সাত্তার প্রামাণিকের স্ত্রী অজিলা বেগম (৮০) জানান, তীব্র শীতের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহালেও তাঁরা এখনো কোনো শীতবস্ত্র পাননি। কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আজিজুন নাহার গতকাল জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই শিশু। চুয়াডাঙ্গা: এক দিনের ব্যবধানে গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি কমে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি। প্রচণ্ড শীতে গতকাল সারা দিনই শহরে যান ও মানুষের চলাচল ছিল সীমিত। দিনভর বাতি জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহনগুলো। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে। এরই মধ্যে শীতে সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়ায় একটি ব্রয়লার মুরগির খামারে এক হাজার মুরগি মারা গেছে। প্রায় ১৫ দিন ধরে জেলায় শীতের মাত্রা তীব্র হলেও সরকারিভাবে এ পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার ৭০০ কম্বল পাওয়া গেছে। কম্বলগুলো জেলা ত্রাণ কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হলেও তা বিলি করার খবর পাওয়া যায়নি। মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): গত দুই দিনে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ২৪টি শিশুকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন দুই শতাধিক শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। গতকাল সকালে কুমুদিনী হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকারা। হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক তাহমিনা রহমান বলেন, এই অবস্থায় মায়েদের সচেতন থাকতে হবে। শিশুদের নরম ও গরম কাপড় পরাতে হবে। কুয়াশা থেকে দূরে রাখতে হবে আর খাবার কুসুম গরম করে খাওয়াতে হবে।

No comments:

Post a Comment