tag:blogger.com,1999:blog-39973046264452120462024-02-08T09:14:02.832+06:00সংবাদ শিরোনামHeadlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।Tukhrejul Inamhttp://www.blogger.com/profile/01162711215241067980noreply@blogger.comBlogger4308125tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-7963741497766751332015-06-22T04:08:00.005+06:002015-06-22T04:08:25.505+06:00পালমিরায় মাইন!:প্রথম অালো<a href="" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="" height="0" width="0"/></a>ইরাক ও সিরিয়ার কট্টর সুন্নি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধারা সিরিয়ার প্রাচীন শহর পালমিরার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর আশপাশে স্থলমাইন ও অন্য বিস্ফোরক পেতেছে। সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ কথা বলেছে। তবে তারা বলছে, প্রাচীন নিদর্শনগুলো গুঁড়িয়ে দিতে, নাকি সরকারি সেনাদের অগ্রাভিযানে বাধা দিতে আইএস বোমা পেতেছে, তা স্পষ্ট নয়। মধ্যপ্<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানগুলোর একটি প্রাচীন পালমিরা শহর গত মে মাসে দখল করে আইএস। তখন থেকে এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিবিসিAnonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-45944817449307633202015-06-22T04:08:00.003+06:002015-06-22T04:08:15.732+06:00আনন্দে ভাসছে দেশ:প্রথম অালো<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-7P7sUgvnTks/VYc1zBNCERI/AAAAAAAAPNs/RMS217pbRdY/5807ba3e64485ac26d01cbce416a7c41-17.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-7P7sUgvnTks/VYc1zBNCERI/AAAAAAAAPNs/RMS217pbRdY/5807ba3e64485ac26d01cbce416a7c41-17.jpg" height="241" width="321"/></a>সারা দেশে হাতে হাতে জাতীয় পতাকা। জয়ের আনন্দ আর দেশপ্রেমের জোয়ারে উদ্বেলিত অনেকে সেই পতাকা যত্ন করে বেঁধেছেন মাথায়। কেউবা লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে ঘুরে ঘুরে মিছিল করছেন ‘বাংলাদেশ’ ‘বাংলাদেশ’ স্লোগানে চারদিক মুখরিত করে। এর মধ্যে আবার বিস্ময় বালক মুস্তাফিজের জন্য সাতক্ষীরার আনন্দটা যেন ছিল একটু বেশিই। গতকাল রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর টিএসসিতে তরুণ-যুবকদের আনন্দ-উল্লাসে রাতের আঁধারও যেন কেটে গিয়েছিল। চারপ<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>াশ অনুরণিত হচ্ছিল আনন্দের মূর্ছনায়। তালে-বেতালে নাচছিলেন হাজারো শিক্ষার্থী। বাঘের পুতুল নিয়েও হাজির ছিলেন কেউ কেউ। টিএসসির এ ছবি যেন একসঙ্গে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠা গোটা বাংলাদেশেরই চিত্র। মিরপুরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ক্রিকেট সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ভারতকে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এটাই দেশটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেট সিরিজ বিজয়। গত রাতে টিএসসির সেই উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রছাত্রীরা এসে যোগ দেন। এত রাতেও মোটরসাইকেল বা গাড়িতে করে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে উল্লাসে মাতেন অনেক সাধারণ মানুষ। অনেকে রিকশা থেকে নেমে যোগ দেন উৎসবে। উল্লাসে উন্মাতাল সাতক্ষীরা: প্রথম আলোরনিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা জানান, ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। গতকাল সিরিজ জয়ের ম্যাচে নিলেন ছয়টি। জেলার এই কৃতী সন্তানকে নিয়ে তাই সাতক্ষীরার মানুষের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা আনন্দ। মুস্তাফিজের গ্রাম কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়ায় শুরু হয়ে যায় যেন ঈদের আনন্দ। গভীর রাতেই চলে মিষ্টিমুখ। মুস্তাফিজের বাড়িতে ভিড় জমান নানা শ্রেণির মানুষ। অভিনন্দন জানান তাঁর গর্বিত বাবা-মাকে। আগে থেকেই তেঁতুলিয়া ফুটবল মাঠে মুস্তাফিজের বন্ধুরা প্যান্ডেল সাজিয়েছিলেন। আয়োজন করেছিলেন বড় পর্দায় খেলা দেখার। সব মিলিয়ে উৎসবের বিশাল আয়োজন। মুস্তাফিজের বাবা আবুল কাসেম গাজী বলেন, ‘একসময় মনে হতো খেলে কী হবে। সেই খেলা খেলেই মুস্তাফিজ দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। ও এখন ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন। খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে শুধু দোয়া করেছি ও যেন দেশের সম্মান রাখতে পারে।’ সাতক্ষীরার সাবেক ক্রিকেটার আল আমিন কবির বলেন, ‘মুস্তাফিজ ক্রিকেটে ভারত-বধ করেছে। তার কৃতিত্বে একই এলাকার মানুষ হিসেবে আমি যারপরনাই আনন্দিত ও গর্বিত।’ জেলার আরেক সাবেক ক্রিকেটার মার্শাল খোকন বলেন, ‘মুস্তাফিজের এ অর্জন শুধু সাতক্ষীরার নয়, সারা দেশের অর্জন। সাতক্ষীরার মানুষ অপেক্ষায় আছে কখন মুস্তাফিজ দেশে ফিরবে।’ মুস্তাফিজের প্রথম কোচ সাতক্ষীরার আলতাফ হোসেন বলেন, ‘মুস্তাফিজের এ কৃতিত্বে আমার মতো খুশি কে আর হতে পারে! ওর খেলা দেখার জন্য আগে থেকে এলাকায় বড় পর্দার ব্যবস্থা করেছি। আমি জানতাম ও আজ বাংলাদেশকে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করবে। সবাই বিস্মিত হবে।’ আরেক কোচ মুফসিনুল ইসলাম বলেন, ‘মুস্তাফিজ দেশের গর্ব। সত্যিই ও বিস্ময় বালক। সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস।’ Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-39957457101467251002015-06-22T04:08:00.001+06:002015-06-22T04:08:03.200+06:00মির্জা ফখরুলের মুক্তিতে আইনি বাধা নেই:প্রথম অালো<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-z4xPccOUfr8/VYc1v6z5ueI/AAAAAAAAPNk/xvPoMjj09Yg/10d4a81ad66bdb33065cd7100011ecdd-16.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-z4xPccOUfr8/VYc1v6z5ueI/AAAAAAAAPNk/xvPoMjj09Yg/10d4a81ad66bdb33065cd7100011ecdd-16.jpg" height="204" width="150"/></a>গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার আরও তিন মামলায় হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এর ফলে কারাগার থেকে তাঁর মুক্তি পেতে আর বাধা নেই। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার পল্টন থানার তিন মামলায় মির্জা ফখরুলের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে জামিন আবেদনে<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>র পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন রাগীব রউফ চৌধুরী ও সগির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আলী জিন্নাহ। মির্জা ফখরুলের আরেক আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান জানান, ৫ জানুয়ারি ও এর পরবর্তী সময়ে মির্জা ফখরুলকে নতুন করে সাতটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর সবগুলোতেই উচ্চ আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন। ফলে এখন তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই। আইনজীবী জানান, এ তিন মামলায় কেন মির্জা ফখরুলকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে আদালত রুল দিয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে হবে। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন। গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বের হওয়ার সময় গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর পল্টন থানায় নাশকতার ছয়টি ও মতিঝিল থানার একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ১৬ এপ্রিল পল্টন থানার এক মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। এরপর ১৮ জুন পল্টন থানার দুটি ও মতিঝিল থানার একটি মামলায় জামিন পান। গতকাল তিনি পল্টন থানার আরও তিনটি মামলায় জামিন পেলেন। ইতিমধ্যে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালতের নির্দেশে ১৩ জুন মির্জা ফখরুলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চলতি বছরের শুরু থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের রাজনীতি। ৫ জানুয়ারি ‘একতরফা’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। এ নিয়ে রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল এলাকাসহ নানা জায়গায় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার ঘটনা ঘটে। এ সময় পল্টন ও মতিঝিল থানায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি-জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়। আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই কয়েক বছরে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ৭৯টি মামলা হয়েছে।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-90948149616264547972015-06-22T03:55:00.003+06:002015-06-22T03:55:17.277+06:00আবারও মুস্তাফিজে চূর্ণ ভারত:প্রথম অালো<a href="" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="" height="0" width="0"/></a>ভারতীয় দলে এখন সবচেয়ে বিব্রতকর অবস্থায় থাকার কথা সন্দীপ রাজু আনন্দের। নামটা অচেনা লাগছে? লাগতেই পারে। ভদ্রলোক ভারতীয় দলের কোনো ক্রিকেটার নন। নন কোচ বা ম্যানেজারও। আধুনিক ক্রিকেটে অবশ্য সমস্যায় পড়তে কোচ-খেলোয়াড় হতে হয় না। একটা দলের মাঠের পারফরম্যান্সে পর্দার অন্তরালে থেকে ভূমিকা রাখেন আরও অনেকে। দলের সাফল্য-ব্যর্থতায় তাঁদের প্রোফাইলও ওঠা-নামা করে। রাজু আনন্দ তেমনই একজন, ভারতীয় দলের কম্পিউট<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>ার বিশ্লেষক। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের পুরোনা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তথ্য-উপাত্ত তৈরি করাই কম্পিউটার বিশ্লেষকের কাজ। সেসব তথ্য-উপাত্ত দরকার হয় দলের প্রস্তুতিতে। কিন্তু রাজু আনন্দকে এবার ঢাকায় আসতে হয়েছে কাজটা অসম্পূর্ণ রেখেই। বাংলাদেশ দলের তরুণ তুর্কি মুস্তাফিজুর রহমান সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্যই ছিল না তাঁর ল্যাপটপে! থাকার কথাও নয়। বাঁহাতি এই পেসারের ওয়ানডে অভিষেক হলোই যে এই সিরিজে! পরিণতি তো চোখেই দেখা গেছে। প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতকে ধসিয়ে দেওয়া তরুণ কাল হয়ে উঠলেন আরও ভয়ংকর। নামের পাশে এবার ৪৩ রানে ৬ উইকেট। কিন্তু ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় খুঁজে পাওয়া গেল না মাঠের উদ্ধত বোলারকে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচের সেরা হয়েও প্রতিক্রিয়া খুবই সাদামাটা, ‘সব সময়ই ভালো খেলার ইচ্ছা থাকে। পর পর দুটি ম্যাচে ভালো খেলেছি। একটু তো ভালো লাগবেই।’ দুই ম্যাচ দেখেই মুস্তাফিজকে নিয়ে ভারতীয় দলের বিশ্লেষণের শেষ নেই। ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘ওর স্লোয়ারটা অন্য বোলারদের স্লোয়ারের চেয়ে একটু জোরে যায়। নিচু হয়ে না গিয়ে বলটা উইকেটকিপার পর্যন্ত চলে যায়।’ পরে মুস্তাফিজের সংবাদ সম্মেলনে এক ভারতীয় সাংবাদিক জানতে চাইলেন কীভাবে রপ্ত করলেন এই কৌশল। গ্রিপ বা শরীরী ভাষায় কোনো পরিবর্তন না এনেই বলের গতি বদলে যাচ্ছে! কীভাবে? এককথায় মুস্তাফিজের উত্তর, ‘প্র্যাকটিস করতে করতে এটা হয়েছে।’ আগের ম্যাচে ধোনির সঙ্গে হওয়া সংঘর্ষ ‘টক অব দ্য সিরিজ’ হয়ে আছে এখনো। সেই ধোনিকেও ফিরিয়ে হাসলেন। এই উইকেটের তৃপ্তি নিশ্চয়ই আলাদা! আর সবার কাছে ব্যাপারটা এ রকম মনে হলেও মুস্তাফিজের কাছে নয়। ‘উইকেট উইকেটই। আমার কাছে সব উইকেটই ভালো লাগে’—সাংবাদিকদের সব উত্তেজনায় পানি ঢেলে দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নতুন চমক। বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় বোলার মুস্তাফিজ। রবীন্দ্র জাদেজাকে সর্বশেষ শিকার বানিয়ে কাল হয়ে গেলেন এক ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়া তৃতীয় বোলারও। লাল-সবুজের প্রতিনিধি হয়ে এই কৃতিত্ব এর আগে ছিল শুধু মাশরাফি বিন মুর্তজা আর রুবেল হোসেনের। মুস্তাফিজ ভাগ বসিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটরির ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডেও। আর টানা দুই ম্যাচে ৫ বা তার বেশি উইকেট নেওয়াদের তালিকায় তিনি দশম বোলার। আবির্ভাবেই বিস্ময়ের পর বিস্ময় উপহার দিচ্ছেন যে সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ তরুণ, বাংলাদেশের ক্রিকেট তাঁর কাছ থেকে আরও কত যে কিছু পাবে! সেই আশার পালে জোর হাওয়া দিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, ‘ও যদি ১০ বছর বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে পারে, বাংলাদেশ আরও অনেক ম্যাচ জিতবে।’ মুস্তাফিজের আলোকিত আবির্ভাব যেন আরও সুন্দর দিনেরই স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-74086076985986193292015-06-22T03:55:00.001+06:002015-06-22T03:55:13.460+06:00বাংলাওয়াশের হাতছানি:প্রথম অালো<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-SS-Gy8yyE44/VYcyvWssP9I/AAAAAAAAPNY/yqNYmRPy0w0/68dfb50e307cffbb1c8f173c21607a8e-19.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-SS-Gy8yyE44/VYcyvWssP9I/AAAAAAAAPNY/yqNYmRPy0w0/68dfb50e307cffbb1c8f173c21607a8e-19.jpg" height="225" width="150"/></a>শেষ পর্যন্ত কোন ছবিটা মনে আছে আপনার? এই ম্যাচ তো টুকরো টুকরো অনেক হিরণ্ময় ছবির কোলাজ—ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই কাচের আড়ালে মাশরাফি বিন মুর্তজার মুষ্টিবদ্ধ উল্লাস। ম্যাচ শেষে ধীর পায়ে মাঠে ঢুকে মুস্তাফিজুরের একটা স্টাম্প তুলে নেওয়া। ধোনিদের সঙ্গে হাত মেলানোর পর মাঠে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কাঁধে কাঁধ রেখে রচিত ওই বিজয়ী মানববৃত্ত। শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে প্রতীকী বোধ হয় ওই দৃশ্যটাই—তাসকিন ও লিটনের কাঁ<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>ধে মুস্তাফিজুর রহমান। এ এক অবাক ক্রিকেট ম্যাচ, যেখানে স্কোরকার্ড বলছে দুই দলেরই রান সমান। অথচ এক দল ৬ উইকেটে জয়ী! এ এক অবাক ক্রিকেট ম্যাচ, যেটিতে ‘বাচ্চা’ বাংলাদেশ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় ‘বড়’ ভারতকে! এ এক অবাক ক্রিকেট ম্যাচ, যেটি সোচ্চারে ক্রিকেট বিশ্বকে জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশের জয় এখন আর বিস্ময়ে আচ্ছন্ন হওয়ার মতো কিছু নয়। এ এক অবাক ক্রিকেট ম্যাচ, যেটির মাহাত্ম্য শুধুই একটি জয়ের সীমানা ছাড়িয়ে আরও অনেক দূর পরিব্যাপ্ত। ভারতের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়। সেটিও এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। খেলা শেষ হতেই তাই আকাশে-বাতাসে উড়ে বেড়াতে শুরু করল শব্দটা। ক্রিকেট অভিধানে বাংলাদেশের কল্যাণেই যেটির অন্তর্ভুক্তি—‘বাংলাওয়াশ’! আবারও সেটি হবে কি হবে না, এই প্রশ্নের উত্তর পেতে মাত্র দুই দিনেরই অপেক্ষা। তবে একটা অপেক্ষার অবসান হয়ে গেল কালই। এ জয়েই নিশ্চিত হয়ে গেল, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ থাকছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে শীর্ষ আট দলের টুর্নামেন্ট বানিয়ে ফেলার পেছনে আসল উদ্দেশ্য যেটিই থাকুক, এ দেশের মানুষের কাছে এর অর্থ ছিল একটা—ক্রিকেটের ‘অভিজাত’ দলগুলোর উৎসবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে যেন অকারণ ‘ঝামেলা’ হয়ে না থাকে! মাঝখানে বিশ্বকাপ আর এর আগে-পরে জিম্বাবুয়ে আর পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ ক্রিকেট বিশ্বকে জানিয়ে দিল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলাটা বাংলাদেশের অধিকার এবং সেখানে শুধুই সংখ্যা পূরণ করতে যাওয়া নয়! ভারতের বিপক্ষে এর আগেও তিনটি জয় ছিল। তবে দুই জয়ে সবচেয়ে কম ব্যবধান ছিল প্রায় আড়াই বছরের। এই প্রথম ভারতের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে জয় এবং সেই দুই জয়েই সবচেয়ে জ্বলজ্বলে একটা নাম। মুস্তাফিজুর রহমান! প্রথম ম্যাচের মুস্তাফিজুর সব অর্থেই ছিলেন বিস্ময়। অমন হইহই রইরই অভিষেকের কারণে তো বটেই, অজানা-অচেনা এই তরুণ বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্যও। তা প্রথম ম্যাচের মুস্তাফিজুরকে যদি বিস্ময় বলা হয়, দ্বিতীয় ম্যাচের মুস্তাফিজুরকে তাহলে কী বলা হবে! মাঝের দুই দিন ভারতীয় দলের হোমওয়ার্ক তো মুস্তাফিজুরকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে। তারপরও ভারতের নামীদামি ব্যাটসম্যানদের কাছে মুস্তাফিজুর সেই একই রকম দুর্বোধ্য এক ধাঁধাই হয়ে রইলেন। আগের দিন রোহিত শর্মার আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার ঘোষণায় লুকিয়ে ছিল হুমকি। দ্বিতীয় বলেই সেটিকে বাগাড়ম্বরে পরিণত করার কাজটাও করলেন মুস্তাফিজুরই। ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁর স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল রোহিত শর্মাকে আউট করে। আরেকটি মুস্তাফিজুর-কাব্যের প্রথম স্তবকটিতেও সেই রোহিতই। চাপে জর্জর ভারতকে আরও কম্পমান করে তুলতে শুরুর ওই ধাক্কাটির অসীম ভূমিকা। ৫ ওভারের প্রথম স্পেলে উইকেট ওই একটিই। ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিলেন দ্বিতীয় স্পেলে। মাশরাফি আবার যখন ফেরালেন তাঁকে, ম্যাচ দাঁড়িয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে শুরু হচ্ছে, স্কোর ৪ উইকেটে ১৬২ এবং উইকেটে ধোনি ও রায়না। এর কিছুক্ষণ আগেই প্রেসবক্সে ছড়িয়ে পড়েছে, কলকাতা থেকে সৌরভ গাঙ্গুলী ফোনে ভারতীয় সাংবাদিককে বলেছেন, তাঁর কাছে উইকেট বেশি সুবিধার ঠেকছে না। বাংলাদেশ খুব ভালো ব্যাটিং করলে ভিন্ন কথা, নইলে ২২০-ই এখানে জেতার মতো স্কোর। পাওয়ার প্লেটা কাজে লাগাতে পারলে ভারতের স্কোর এর চেয়ে বেশিও হতে পারত। মুস্তাফিজ-জাদুতে ওই পাওয়ার প্লে-ই ভারতের দুঃস্বপ্নে পরিণত। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা অবশ্য এখন দুঃস্বপ্ন বলতে মুস্তাফিজের অফ কাটারকেই বোঝেন। দ্বিতীয় স্পেলের তৃতীয় বলে আততায়ী সেই কাটারেই সুরেশ রায়নাকে তুলে নিলেন। মাঝখানে এক ওভার। তৃতীয় ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট। এর মধ্যে প্রথমটিই সম্ভবত মুস্তাফিজুরের সবচেয়ে সুখের স্মৃতি হয়ে থাকবে। প্রথম ম্যাচে ধোনির ধাক্কা খাওয়ার সঙ্গে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানাও গুনতে হয়েছে। সেই ধোনি ২৬৪ ম্যাচের অভিজ্ঞতা দিয়েও মুস্তাফিজুরের কাটার বুঝতে ব্যর্থ! পাওয়ার প্লের পাঁচ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ভারত তাই তুলতে পারল মাত্র ১৭ রান। ম্যাচটা সেখানেই বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় চলে এল। মুস্তাফিজুর তো অবিসংবাদিত নায়ক, তবে পার্শ্বনায়কের ভূমিকা ভুলে গেলে অন্যায় হবে। ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের সবচেয়ে দামি উইকেট বিরাট কোহলিকে ফিরিয়েছেন, উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া শিখর ধাওয়ানকেও। ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয়বার পুরো ১০ ওভার বোলিং করলেন। প্রথমবার ৩৩ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। সমান রান দিয়ে কাল নাসির হোসেনের মহামূল্যবান ২ উইকেট। নায়কের গল্প এখনো শেষ হয়নি। ওয়ানডেতে প্রথম দুই ম্যাচেই ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা ছিল একটিই। বাংলাদেশের তা খুব মনে আছে। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটরির ওই কীর্তি বাংলাদেশের বিপক্ষেই। ঘটনাচক্রে এই ভিটরিও বাঁহাতি পেসার। বৃষ্টি যখন খেলা থামিয়ে দিল, মুস্তাফিজুরের তখনো একটি বল বাকি। আবার খেলা শুরু হওয়ার পর ওই এক বলেই ছাড়িয়ে গেলেন ভিটরিকে। পাঁচের পর ছয়—প্রথম দুই ওয়ানডেতে ১১ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ওয়ানডে এর আগে কখনো দেখেনি। ৪৭ ওভারের ম্যাচ বানিয়ে দেওয়া বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইসের আবির্ভাব হলো। মুস্তাফিজুরের কাটারের মতোই দুর্বোধ্য যে সমীকরণ জানাল, ভারত যত রান করেছে, তা করতে পারলেই জিতবে বাংলাদেশ! স্ট্রোকের গরিমায় ‘গরিবের হেইডেন-গিলক্রিস্ট’ হয়ে ওঠা তামিম ও সৌম্যর ঝোড়ো সূচনায় সেটিকে কোনো রানই মনে হচ্ছিল না। কিন্তু ক্রিকেট ম্যাচ তো আর সরলরেখায় চলে না। ৯৮ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর একটু হলেও সংশয় তাই উড়ে বেড়াচ্ছিল বৃষ্টিভেজা বাতাসে। স্লিপে রায়না মুশফিকের ক্যাচটি নিতে পারলে সেটি আরও জোরালো হতো। রানআউটের খাঁড়ায় মুশফিক যখন কাটা পড়লেন, তখন আর সেটি কপালে ভাঁজ ফেলার মতো কিছু নয়। নৈরাশ্যবাদী কারও মনে তারপরও যদি কোনো সংশয় থেকে থাকে, সেটিকে ঝেঁটিয়ে দূর করলেন সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমান। দুর্দান্ত এক জুটিতে নয় ওভার আগেই খেলা শেষ! ‘কোন ছবিটা মনে রাখবেন’ দিয়ে শুরু হয়েছিল লেখাটা। আরেকটা ফ্রেমও বোধ হয় তাতে থাকা উচিত। ধবল কুলকার্নির বলে টালমাটাল সাব্বির উইকেটের ওপর পড়ে যেতে যেতে কোনোমতে হিট উইকেট হওয়া থেকে বাঁচলেন। পরের বলটা শর্ট আসবে অনুমান করে অদ্ভুত এক স্টান্সে দাঁড়িয়ে পুল করার ঘোষণাটা যেন জানিয়েই দিলেন বোলারকে। শর্ট বলই হলো, পুলও। বল পত্রপাঠ সীমানার বাইরে। ম্যাচের প্রতীকী ছবি হিসেবে এটাকেও রাখতে পারেন। আগেই ঘোষণা দিয়ে সাব্বিরের ওই পুলটিতেই যে বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া—এ এক নতুন বাংলাদেশ! দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে জয় ভারত ২০০/১০ ওভার ৪৫ বাংলাদেশ ২০০/৪ ওভার ৩৮Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-89810050439826569632015-06-22T03:54:00.011+06:002015-06-22T03:54:58.898+06:00‘ধনবান চাচা’র কাছে হাত পাতে সবাই:প্রথম অালো<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-8NocE_p8sZk/VYcyr0K8CKI/AAAAAAAAPNQ/K6S1i1nGMHw/a3cd1df5967e90f1bbf945a31a2b079f-7.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-8NocE_p8sZk/VYcyr0K8CKI/AAAAAAAAPNQ/K6S1i1nGMHw/a3cd1df5967e90f1bbf945a31a2b079f-7.jpg" height="355" width="150"/></a>অর্থাভাবে দেহরক্ষীদের বেতন দিতে পারছিলেন না লেবাননের একজন রাজনীতিক। শেষমেশ তিনি ধরনা দেন সৌদি আরবের কাছে। ‘নানা সমস্যায় পতিত’ হয় পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা। সেসব সমস্যার সমাধানে সৌদির কাছে দুই হাজার মার্কিন ডলারের জন্য হাত পাতে তারা। মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেই সৌদি আরবের কাছে একটা চাওয়া ছিল মোহাম্মদ মুরসির। অবশ্য ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের (বর্তমান<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>ে নিষিদ্ধ) এই নেতার চাওয়াটা ছিল নিতান্ত ছোট: নিজের পরিবারকে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিতে ভিসা প্রদান। উইকিলিকস গত শুক্রবার সৌদি আরবের ৬০ হাজারের বেশি নথি ফাঁস করেছে। এসব নথিতে এ রকম ছোটখাটো নানা বিষয় উঠে এসেছে। এতে প্রতিফলিত হয়েছে, সৌদি আরবের ‘চেকবই কূটনীতি’। ‘মধ্যপ্রাচ্যের ধনবান চাচা’ সৌদির কাছে সবাই-ই কিছু না কিছু চায়। সৌদিরাও প্রভাব-প্রতিপত্তি বজায় রাখতে সেসব দাবি মিটিয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস গতকাল রোববার এ বিষয়টি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ফাঁস হওয়া নথিগুলোর অনেকগুলোর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থির সময়গুলোর ওপরে আলোকপাত করা হয়েছে। ২০১১ সালে শুরু হওয়া গণ-আন্দোলনে আরব নেতাদের উৎখাত হওয়া থেকে শুরু করে চলতি বছরের শুরুর দিকের ঘটনাগুলোও এর মধ্যে রয়েছে। অনেক নথিতে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী শিয়া ইরানের প্রভাব মোকাবিলায় সুন্নি সৌদি আরবের নানা প্রচেষ্টার বিষয়টি স্পষ্ট। পাশাপাশি লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ইরানপন্থী শিয়া সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে মদদ দেওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। ইরাক-সংশ্লিষ্ট তারবার্তাগুলোতে তৎকালীন ইরাকি শিয়া প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির বিরোধী রাজনীতিকদের সৌদি সমর্থনের প্রমাণ মিলেছে। একটি বার্তায় দেখা গেছে, ইরানের ঘনিষ্ঠ মালিকির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আয়াদ আলাবিকে বিতরণের জন্য দুই হাজার হজ ভিসা দেওয়া হয়েছে। কাতার-সংশ্লিষ্ট আরেক তারবার্তায় অভিযোগ করা হয়েছে, সৌদি আরবের প্রতিবেশী ইয়েমেনে চলমান সংকটের জন্য কাতার দায়ী। উপসাগরীয় দেশ কাতারও অর্থভিত্তিক কূটনীতি চালিয়ে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আব্দুল খালেক আব্দুল্লা কমবেশি ১০০টি তারবার্তায় পড়েছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক বলেন, সৌদি আরব যে ‘চেকবই কূটনীতি’র আশ্রয় নিয়ে থাকে, সেটা সবাই জানে। তবে এখন এমন কূটনীতিতে তাদের কাতার, কুয়েত ও ইউএইর মতো ধনী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে, সে বিষয়টি এসব তারবার্তায় পরিষ্কার। সৌদি সরকারের সঙ্গে মিসরের ইসলামপন্থী সংগঠন ব্রাদারহুডের সম্পর্ক গোড়া থেকেই ভালো নয়। তবে দীর্ঘদিনের মিত্র মিসরের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারককে বাঁচাতে সৌদিরা ব্রাদারহুডের সঙ্গেও আপস করতে চেয়েছিল বলে ফাঁস হওয়া কিছু তারবার্তায় স্পষ্ট। গণ-আন্দোলনে মোবারক উৎখাতের পর মিসরে ক্ষমতায় আসে ব্রাদারহুড। একটি নথিতে দেখা যায়, ব্রাদারহুডের এক নেতা সৌদিকে বলেছে, রিয়াদ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিলে মোবারককে জেলে না পাঠানোর বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। অবশ্য ওই নথির ওপরে হাতে লেখা একটি নোটে বলা হয়েছে, মোবারকের জন্য ‘ঘুষ’ দেওয়ার বিষয়টি ‘ভালো বুদ্ধি’ নয়। কারণ, ব্রাদারহুড তাঁর কারাবরণ ঠেকাতে পারবে না। নথিগুলোর ভেতরে একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো, লেবাননের বিতর্কিত গায়িকা ন্যান্সি আজরামকে ভিসা প্রদান। বেশ কিছু গানের ভিডিওর কারণে রক্ষণশীল মুসলমানরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত। ফাঁস হওয়া নথিপত্র মোতাবেক, সব শিল্পী ও গায়ক-গায়িকার ভিসা আগে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনুমোদন করাতে হয়। কিন্তু নিয়ম না মেনেই গায়িকা আজরামকে ভিসা দেওয়া হয়েছে। অবশ্য সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মক্কা অফিস পরে বলেছে, গায়িকা আজরাম তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভ্রমণের জন্য ওই ভিসা পান। তিনি ব্যক্তিগত সফরে এসেছিলেন, গায়িকা হিসেবে নয়।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-14231349231899530722015-06-22T03:54:00.009+06:002015-06-22T03:54:48.701+06:00পালমিরায় মাইন!:প্রথম অালো<a href="" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="" height="0" width="0"/></a>ইরাক ও সিরিয়ার কট্টর সুন্নি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধারা সিরিয়ার প্রাচীন শহর পালমিরার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর আশপাশে স্থলমাইন ও অন্য বিস্ফোরক পেতেছে। সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ কথা বলেছে। তবে তারা বলছে, প্রাচীন নিদর্শনগুলো গুঁড়িয়ে দিতে, নাকি সরকারি সেনাদের অগ্রাভিযানে বাধা দিতে আইএস বোমা পেতেছে, তা স্পষ্ট নয়। মধ্যপ্<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানগুলোর একটি প্রাচীন পালমিরা শহর গত মে মাসে দখল করে আইএস। তখন থেকে এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিবিসিAnonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-17280908277550325422015-06-22T03:54:00.007+06:002015-06-22T03:54:41.356+06:00আনন্দে ভাসছে দেশ:প্রথম অালো<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-16xZb9vK1RM/VYcynYvDNiI/AAAAAAAAPNI/TvifR2RqdxE/5807ba3e64485ac26d01cbce416a7c41-17.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-16xZb9vK1RM/VYcynYvDNiI/AAAAAAAAPNI/TvifR2RqdxE/5807ba3e64485ac26d01cbce416a7c41-17.jpg" height="241" width="321"/></a>সারা দেশে হাতে হাতে জাতীয় পতাকা। জয়ের আনন্দ আর দেশপ্রেমের জোয়ারে উদ্বেলিত অনেকে সেই পতাকা যত্ন করে বেঁধেছেন মাথায়। কেউবা লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে ঘুরে ঘুরে মিছিল করছেন ‘বাংলাদেশ’ ‘বাংলাদেশ’ স্লোগানে চারদিক মুখরিত করে। এর মধ্যে আবার বিস্ময় বালক মুস্তাফিজের জন্য সাতক্ষীরার আনন্দটা যেন ছিল একটু বেশিই। গতকাল রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর টিএসসিতে তরুণ-যুবকদের আনন্দ-উল্লাসে রাতের আঁধারও যেন কেটে গিয়েছিল। চারপ<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>াশ অনুরণিত হচ্ছিল আনন্দের মূর্ছনায়। তালে-বেতালে নাচছিলেন হাজারো শিক্ষার্থী। বাঘের পুতুল নিয়েও হাজির ছিলেন কেউ কেউ। টিএসসির এ ছবি যেন একসঙ্গে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠা গোটা বাংলাদেশেরই চিত্র। মিরপুরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ক্রিকেট সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ভারতকে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এটাই দেশটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেট সিরিজ বিজয়। গত রাতে টিএসসির সেই উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রছাত্রীরা এসে যোগ দেন। এত রাতেও মোটরসাইকেল বা গাড়িতে করে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে উল্লাসে মাতেন অনেক সাধারণ মানুষ। অনেকে রিকশা থেকে নেমে যোগ দেন উৎসবে। উল্লাসে উন্মাতাল সাতক্ষীরা: প্রথম আলোরনিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা জানান, ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। গতকাল সিরিজ জয়ের ম্যাচে নিলেন ছয়টি। জেলার এই কৃতী সন্তানকে নিয়ে তাই সাতক্ষীরার মানুষের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা আনন্দ। মুস্তাফিজের গ্রাম কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়ায় শুরু হয়ে যায় যেন ঈদের আনন্দ। গভীর রাতেই চলে মিষ্টিমুখ। মুস্তাফিজের বাড়িতে ভিড় জমান নানা শ্রেণির মানুষ। অভিনন্দন জানান তাঁর গর্বিত বাবা-মাকে। আগে থেকেই তেঁতুলিয়া ফুটবল মাঠে মুস্তাফিজের বন্ধুরা প্যান্ডেল সাজিয়েছিলেন। আয়োজন করেছিলেন বড় পর্দায় খেলা দেখার। সব মিলিয়ে উৎসবের বিশাল আয়োজন। মুস্তাফিজের বাবা আবুল কাসেম গাজী বলেন, ‘একসময় মনে হতো খেলে কী হবে। সেই খেলা খেলেই মুস্তাফিজ দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। ও এখন ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন। খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে শুধু দোয়া করেছি ও যেন দেশের সম্মান রাখতে পারে।’ সাতক্ষীরার সাবেক ক্রিকেটার আল আমিন কবির বলেন, ‘মুস্তাফিজ ক্রিকেটে ভারত-বধ করেছে। তার কৃতিত্বে একই এলাকার মানুষ হিসেবে আমি যারপরনাই আনন্দিত ও গর্বিত।’ জেলার আরেক সাবেক ক্রিকেটার মার্শাল খোকন বলেন, ‘মুস্তাফিজের এ অর্জন শুধু সাতক্ষীরার নয়, সারা দেশের অর্জন। সাতক্ষীরার মানুষ অপেক্ষায় আছে কখন মুস্তাফিজ দেশে ফিরবে।’ মুস্তাফিজের প্রথম কোচ সাতক্ষীরার আলতাফ হোসেন বলেন, ‘মুস্তাফিজের এ কৃতিত্বে আমার মতো খুশি কে আর হতে পারে! ওর খেলা দেখার জন্য আগে থেকে এলাকায় বড় পর্দার ব্যবস্থা করেছি। আমি জানতাম ও আজ বাংলাদেশকে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করবে। সবাই বিস্মিত হবে।’ আরেক কোচ মুফসিনুল ইসলাম বলেন, ‘মুস্তাফিজ দেশের গর্ব। সত্যিই ও বিস্ময় বালক। সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস।’ Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-88709235577633880942015-06-22T03:54:00.005+06:002015-06-22T03:54:29.329+06:00মির্জা ফখরুলের মুক্তিতে আইনি বাধা নেই:প্রথম অালো<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-VdrW-lDhfSc/VYcykQnRMZI/AAAAAAAAPNA/beFUpM-IgJM/10d4a81ad66bdb33065cd7100011ecdd-16.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-VdrW-lDhfSc/VYcykQnRMZI/AAAAAAAAPNA/beFUpM-IgJM/10d4a81ad66bdb33065cd7100011ecdd-16.jpg" height="204" width="150"/></a>গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার আরও তিন মামলায় হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এর ফলে কারাগার থেকে তাঁর মুক্তি পেতে আর বাধা নেই। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার পল্টন থানার তিন মামলায় মির্জা ফখরুলের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে জামিন আবেদনে<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>র পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন রাগীব রউফ চৌধুরী ও সগির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আলী জিন্নাহ। মির্জা ফখরুলের আরেক আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান জানান, ৫ জানুয়ারি ও এর পরবর্তী সময়ে মির্জা ফখরুলকে নতুন করে সাতটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর সবগুলোতেই উচ্চ আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন। ফলে এখন তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই। আইনজীবী জানান, এ তিন মামলায় কেন মির্জা ফখরুলকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে আদালত রুল দিয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে হবে। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন। গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বের হওয়ার সময় গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর পল্টন থানায় নাশকতার ছয়টি ও মতিঝিল থানার একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ১৬ এপ্রিল পল্টন থানার এক মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। এরপর ১৮ জুন পল্টন থানার দুটি ও মতিঝিল থানার একটি মামলায় জামিন পান। গতকাল তিনি পল্টন থানার আরও তিনটি মামলায় জামিন পেলেন। ইতিমধ্যে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালতের নির্দেশে ১৩ জুন মির্জা ফখরুলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চলতি বছরের শুরু থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের রাজনীতি। ৫ জানুয়ারি ‘একতরফা’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। এ নিয়ে রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল এলাকাসহ নানা জায়গায় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার ঘটনা ঘটে। এ সময় পল্টন ও মতিঝিল থানায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি-জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়। আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই কয়েক বছরে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ৭৯টি মামলা হয়েছে।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-63351227652417085662015-06-22T03:54:00.003+06:002015-06-22T03:54:13.103+06:00বাংলাদেশের ভারত জয়:যুগান্তর<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-CKXkOrxx4uw/VYcyf0esgXI/AAAAAAAAPM4/wpDCpIA8soo/2_282462.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-CKXkOrxx4uw/VYcyf0esgXI/AAAAAAAAPM4/wpDCpIA8soo/2_282462.jpg" height="186" width="300"/></a>শেরে বাংলায় আবারও বাঘের গর্জন। সাতক্ষীরার বাঘ মুস্তাফিজুর রহমানের রণহুংকারে কম্পিত ভারত আবারও পর্যুদস্ত, পরাভূত। লাল-সবুজ আরও গাঢ়। মধ্যরাতের ফ্লাডলাইটের আলোয় উদ্ভাসিত আনন্দের রেণু। বাংলাদেশ আরও দুরন্ত, দুর্বার। অপরাজেয়, অপ্রতিরোধ্য। আরেকটি মুস্তাফিজ-কাব্যে সোনালি অধ্যায় রচিত হল বাংলাদেশের ক্রিকেটে। ধোনিদের দর্প চূর্ণ করে, বিশ্বকাপের শোকগাথা মুছে ফেলে মাশরাফির বাংলাদেশ রবিবাসরীয় মিরপুরে ফের ওড়ালো জ<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>য়কেতন। বৃষ্টিভেজা দ্বিতীয় ওডিআইতে ভারতকে ছয় উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজই শুধু জিতে নিল না, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলারও যোগ্যতা অর্জন করল। বুধবার তৃতীয় ও শেষ ওডিআই এখন নিছক নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরিণত হল। বাংলাদেশ ৫৪ বল বাকি থাকতে চার উইকেটে ২০০ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে। সাকিব ৫১ ও সাব্বির ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। সিরিজ জয়ের অপার আনন্দে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ আনন্দে উন্মাতাল হয়ে ওঠে। রাতের নির্জনতা ভেঙে টাইগারভক্তদের উল্লাসধ্বনিতে উত্তাল হয়ে ওঠে পথপ্রান্তর। ঘরে ঘরে সে কী আনন্দ। ভারতের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের উন্মাদনায় যোগ হয় মুস্তাফিজুর বন্দনা। যার ৪৩ রানে ছয় উইকেটে লেখা হয় ইতিহাস। বৃষ্টির দরুন বাংলাদেশের টার্গেট নির্ধারিত হয় ৪৭ ওভারে ২০০। তামিম ইকবাল (১৩) সপ্তম ওভারেই বিদায় নিলেও সৌম্য (৩৪) ও লিটন (৩৬) দ্বিতীয় উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন। এ দু’জন আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান হাল ধরেন। মুশফিকুর (৩১) রানআউট হলে এই জুটি ভাঙে। বাংলাদেশ তখন ৩০ ওভারে ৪/১৫২। এরপর সাকিব ও সাব্বির মিলে ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে নিয়ে যান গন্তব্যের দিকে। মুস্তাফিজুর ম্যাজিকের পর সাকিবের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ঘোরলাগা জয়ের নৌকা নোঙর করে স্বপ্নের বন্দরে। ম্যাচসেরা মুস্তাফিজুর জানিয়ে দেন, শেষ ম্যাচে এর থেকেও ভালো করতে চান। সেই ভালো হল ভারতকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানি। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছিল ৭৯ রানে। <a href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acd94d5f' target='_blank'><img src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=780&n=acd94d5f' border='0' alt='' /></a> অভিষেকে দারুণ পারফরম্যান্সের পর হারিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে ধ্রুবতারা হতে এসেছেন তিনি। অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেয়ায় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা যখন তাকে খেলার অনভিজ্ঞতার কথা বলে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন, কাল বৃষ্টিমাখা আরেকটি ম্যাচে আরও বড় চমক হয়ে হাজির হলেন মুস্তাফিজ। ২০১১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেকের পর টানা দু’ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেন জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটোরি। কাল ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সেই কীর্তি গড়লেন মুস্তাফিজ। ভারতের ইনিংসের ৪৩.৫ ওভারের সময় বৃষ্টির কারণে দুই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। পরে খেলা ৪৭ ওভারে নেমে এলেও মুস্তাফিজের তাণ্ডবে ৪৫ ওভারে ২০০ রানেই অলআউট হয় ভারত। ডাক ওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০০। ৪৩ রানে ছয় উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ একাই শেষ করে দেন ভারতকে। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ১১ উইকেট নেয়া ইতিহাসের প্রথম বোলার মুস্তাফিজ। প্রথম ম্যাচে হারের ক্ষত ভোলার জন্য তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ভারত। তবে পারফরম্যান্সে পরিবর্তন আনতে পারেননি ধোনিরা। প্রথম ওয়ানডেতে ভারতের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মাকে কাল কিছু বুঝতেই দিলেন না মুস্তাফিজ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই মুস্তাফিজের শিকার হলেন তিনি। প্রথম ম্যাচের পর অনেকেই বলেছেন, মুস্তাফিজ নতুন বোলার, তার সম্পর্কে ভারতের ধারণা ছিল কম। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রস্তুত হয়েই নেমেছিলেন ধোনিরা। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হল না। ১৯ বছর বয়সী পেসারের কাটারই আবার কাঁটা হয়ে দেখা দিল ভারতের জন্য। নিজের দ্বিতীয় বলে উইকেট নিয়ে শুরু, শেষ বলেও পেয়েছেন উইকেট। আরেকটি মুস্তাফিজময় দিনে ভারতের পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি হয়েছে মাত্র দুটি। ধাওয়ান-কোহলির ৭৪ ও রায়না-ধোনির ৫৩ রান। বাংলাদেশ সফরে এখনও বড় স্কোর করতে পারেননি কোহলি। কাল দেখেশুনে খেলে বড় স্কোর করারই আভাস দিয়েছিলেন তিনি। তবে মুস্তাফিজের দিনে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন পার্ট টাইমার নাসির হোসেন। শিখরের সঙ্গে কোহলির ৭৪ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। কোহলিকে ফেরান ২৩ রানে। এরপর একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান ধাওয়ানকেও ফিরিয়েছেন নাসির। বোলিংয়ের পরের সময়টা মুস্তাফিজেরই। এর মধ্যে রুবেল দুই উইকেট নিয়ে কিছুটা সহযোগিতা করেছেন বটে। প্রথম স্পেলে মুস্তাফিজ পাঁচ ওভারে ৩২ রানে ওই একটি উইকেটই নেন। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে ফেরেন ভয়ংকর রূপে। পাঁচ ওভারে ১১ রানে পাঁচ উইকেট! ধোনি (৪৭), সুরেশ রায়না (৩৪), অক্ষর প্যাটেল (০) ও অশ্বিনকে ফেরানোর পর নিজের শেষ ওভারের এক বল বাকি থাকতে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর শেষ বলে জাদেজাকে ফিরিয়ে ছয় উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। ইনিংসের ৪৫তম ওভারের শেষ বলে ভুবনেশ্বর কুমারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে তুলির শেষ আঁচড় টানেন রুবেল হোসেন। মুস্তাফিজের ছয় উইকেটের পাশাপাশি নাসির ও রুবেলের ঝুলিতে গেছে দুটি করে উইকেট। তবে পাদপ্রদীপের সবটুকু আলো ছিল মুস্তাফিজের ওপর। তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। ভারতের ইনিংস শেষে তরুণ সতীর্থকে নিয়ে মুগ্ধতা ঝরল সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে, ‘অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় পাওয়া সে। বয়স মাত্র ১৯ বছর। যেভাবে পারফর্ম করছে ওর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।’ Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-19823115403039252702015-06-22T03:54:00.001+06:002015-06-22T03:54:01.882+06:00বিটিসিকে গোনে না রাঘব ১৭ কোম্পানি:যুগান্তর<a href="" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="" height="0" width="0"/></a>প্রতিদিনের পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ ও মূল্যের পরিসংখ্যান বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের (বিটিসি) মনিটরিং সেলকে দেয়ার কথা ভোজ্যতেল ও চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় ১৭ কোম্পানি মনিটরিং সেলকে কোনো তথ্যই দিচ্ছে না। এ নিয়ে মনিটরিং সেল কয়েক দফা মৌখিকভাবে এবং পরে লিখিতভাবে জানিয়েছে তাদের। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আইন উপেক্ষা করে নিজেদের ইচ্ছেমতো কার্যক্রম চালাচ্ছে এসব রাঘব কোম্পানি। <a href='ht<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>tp://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acd94d5f' target='_blank'><img src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=780&n=acd94d5f' border='0' alt='' /></a> পণ্যের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরেছে বিটিসি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে পরিবেশকদের নিয়মিত পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। এ কোম্পানিগুলোই মূলত দেশে ভোজ্যতেল ও চিনি সরবরাহ করে থাকে। সরকারি বিধি উপেক্ষা করেই তেল ও চিনির মূল্য ইচ্ছেমাফিক ও মাত্রাতিরিক্ত নির্ধারণের অভিযোগও রয়েছে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে। সয়াবিনে গ্রাহকের কাছ থেকে লিটার প্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দাম নিচ্ছে তারা। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন রোববার যুগান্তরকে বলেন, কোম্পানিগুলো আমাদের কাছে যে হিসাব দিয়েছে, পাশাপাশি আমরা মনিটরিং করে দেখেছি, পণ্যের যে সরবরাহ আছে তাতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। চাহিদার দেড়গুণ মজুদ করার ব্যবস্থা করেছি। এরপরও যদি কোনো সমস্যা হয়, সেটা হবে খুবই সামান্য। ফলে মার্কেট স্থিতিশীল, মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। মনিটরিং করা হচ্ছে। সারা দেশে ভোজ্যতেল সরবরাহ করতে ১১টি কোম্পানি ৭ হাজার ৩৮৮ পরিবেশক নিয়োগ দিয়েছে। চিনি সরবরাহ করতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৬ হাজার ১১৯ জনকে। বিটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব পরিবেশককে প্রতিদিন কোম্পানিগুলো কি পরিমাণ ভোজ্যতেল ও চিনি সরবরাহ করছে তার সঠিক হিসাব বিটিসির মনিটরিং সেলকে দিচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে কি পরিমাণ ভোজ্যতেল ও চিনি সরবরাহ করা হয়েছে তার সঠিক চিত্র বিটিসির মনিটরিং সেলে নেই। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তথ্য প্রদানের জন্য প্রথমে মৌখিকভাবে পরে পত্রের মাধ্যমে কয়েকবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। এরপরও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের ৩ হাজার ৭৯৬টি ও মেঘনা গ্রুপের ১ হাজার ৩৭৩টি পরিবেশক রয়েছে। এছাড়া মেরিন ভেজিটেবল অয়েলের ২২১টি পরিবেশক, টিকে গ্রুপের ৬০১টি পরিবেশক, এস আলম গ্রুপের পরিবেশক ১৭৬টি, ইলিয়াস ব্রার্দাসের পরিবেশক ১১৭টি, এসএ অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের ২৭০টি, মোস্তফা ভেজিটেবল অয়েলের ২১৯টি, রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রির ২৮টি, বাংলাদেশ এডিবয়েল ইন্ডাস্ট্রির ১১৯টি, সেভেন সার্কেল বিটুমিন ও এডিবঅয়েলের ৪৬২টি পরিবেশক রয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশে চিনি সরবরাহ করতে সিটি গ্রুপের ৩ হাজার ৭৯৬টি, মেঘনা গ্রুপের ১ হাজার ৩৭৩টি, আবুল মোনায়েম রিফাইনারির ৩৩৭টি, দেশ বন্ধু সুগার মিলের ২৯৬টি, এস আলম গ্রুপের ১৭৬টি, পারটেক্স গ্রুপের ১১৬টি পরিবেশক রয়েছে। অত্যাবশকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক আইন ২০১১ অনুযায়ী পরিশোধনারী কোম্পানিগুলো ভোজ্যতেল ও চিনি পরিবেশকের মাধ্যমে দেশব্যাপী সরবরাহ করবে। ওই আইনের ২১(চ) ধারায় বলা আছে ট্যারিফ কমিশনের মনিটরিং সেলের কাজ হচ্ছে পণ্যের আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজার মূল্যসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা। ফলে পরিবেশকদের কি পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে প্রতিদিন তা বিটিসির মনিটরিং সেলকে লিখিত তথ্য দিয়ে অবহিত করার কথা বলা আছে। ওই তথ্য পেলে বিটিসির মনিটরিং সেল বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সরকারকে অবহিত করে থাকে। কিন্তু অধিকাংশ কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ভোজ্যতেল ও চিনির সরবরাহ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না বলে বিসিটির বাজার পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. আজিজুর রহমান বলেন, মনিটরিং সেল এ ব্যাপারে কাজ করছে। তবে ব্যস্ত জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে তার অফিসে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি। ভোজ্যতেল ও চিনি পরিবেশকদের সঠিকভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে বগুড়া পরিবেশক শাহ আলম শুক্রবার সেল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পণ্য আনতে ২ থেকে ৩ দিন ট্রাক সিরিয়াল দিয়ে রাখতে হয়। আগে একটি কোম্পানি ১শ’ ট্রাক মাল সরবরাহ দিয়েছে। এখন সেখানে ৫০ গাড়ি সরবরাহ দিচ্ছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, এ সময় চাহিদা বেড়েছে। বিক্রিও বেড়েছে। কিন্তু কোম্পানিগুলো ইচ্ছে করেই এটি করছে। অপর পরিবেশক টাঙ্গাইলের শ্যামল কুমার দত্ত অ্যান্ড ব্রাদার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চাহিদা অনুযায়ী মাল কম পাওয়া যাচ্ছে। কোম্পানিগুলো সরবরাহ ঠিকমতো দিচ্ছে না। মাঝেমধ্যে ভালো আবার মাঝেমধ্যে খারাপ হচ্ছে। এতে কোনোরকম চলে যাচ্ছে। খোলা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান আসার কারণে এ দুটি পণ্যের সরবরাহ তথ্য শুধু গোপন করেনি। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কম দামে কিনে দেশী বাজারে মাত্রাতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। তাও ধরা পড়েছে ট্যারিফ কমিশনের মনিটরিং সেলে। তাদের তথ্যমতে, কোম্পানিগুলোর এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮২ টাকা, লুজ সয়াবিন ৬৭ টাকা ও পাম অয়েল লিটার ৫৭ টাকা হওয়া উচিত। কিন্তু খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১০২ টাকা, লুজ সয়াবিন ৮৫ টাকা ও পাম অয়েল ৮৫ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনে বেশি রাখা হচ্ছে ২০ টাকা, লুজ সয়াবিনে ১৮ টাকা ও পামঅয়েলে ১৩ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। অপরদিকে চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হওয়া উচিত ৩৯ টাকা। সেক্ষেত্রে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা। অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে কেজিতে ৩ টাকা। Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-61122052896936620312015-06-22T03:53:00.003+06:002015-06-22T03:53:54.448+06:00এক মুস্তাফিজেই দুই ইতিহাস:কালের কন্ঠ<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-ByiXnVpEG9g/VYcyank2E9I/AAAAAAAAPMw/92W-W8HNN94/01_236426.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-ByiXnVpEG9g/VYcyank2E9I/AAAAAAAAPMw/92W-W8HNN94/01_236426.jpg" height="200" width="300"/></a><a href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acf0d2ed' target='_blank'><img src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=677&n=acf0d2ed&ct0=%c' border='0' alt='' /></a> একটা দল সত্যিকারের বাঘের মতো শিকারের ওপর হামলে পড়েছে, আরেকটা দল আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে থরহরিকম্প। গতকালের মিরপুরে সেই বাঘের দল বাংলাদেশ আর আক্রান্ত ভারত। জা অ্যান্ড জি<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div> ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রেক্ষাপটটা এমনই। ক্ষুধার্ত বাঘের মতো প্রথম বল থেকেই থাবা উঁচিয়ে আক্রমণ করেছে বাংলাদেশ আর হিংস্র সেই থাবার নিচে দিশাহীন ভারত খুঁজেছে এক টুকরো আশ্রয়। বাঘের ডেরায় নবাগত মুস্তাফিজুর রহমান অবশ্য সামান্যতম দয়াও দেখাননি। খেলার মাঠে দয়াদাক্ষিণ্যের রীতিও নেই। প্রতিপক্ষ যত কোণঠাসা হবে, ততই ঝাঁপিয়ে পড় প্রবল পরাক্রমে- ক্রিকেটের জনপ্রিয়তম স্লোগান এটাই। তাই প্রথম ম্যাচে ৫০ রানে ৫ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ কাল নিয়েছেন ৬ উইকেট, মাত্র ৪৩ রানে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ বা তারও বেশি উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত এক রেকর্ডের অংশীদার হয়েছেন সাতক্ষীরার বাঁহাতি এই তরুণ। আর তাতে ২০০ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। বারকয়েক 'গিয়ার' বদলে যা ৯ ওভার বাকি থাকতেই টপকে গেছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটের এ জয়ের সঙ্গে রচিত হয়েছে ভারতের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের ইতিহাস, যা আরেকটি হোয়াইটওয়াশে পরিণত হওয়া বাকি! ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় 'মওকা' বিজ্ঞাপন করে ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছিল ভারতীয় একটি পণ্য। কে জানত, মাস তিনেক পর সেই 'মওকা'ই এভাবে বিঁধবে ভারতকেই! কাল ভারতের প্রতিটি উইকেট পতন আর বাংলাদেশের রানকে 'মওকা', 'মওকা' ধ্বনিতেই স্বাগত জানিয়েছে মিরপুরের উত্তাল গ্যালারি। আবার সেই উচ্ছ্বাসই নীরবতায় ঢাকা পড়েছে বাংলাদেশের একেকটি উইকেট পতনে। তবে সংখ্যায় তা অতি নগণ্য, গ্যালারির উল্লাসধ্বনির মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। উপমহাদেশের উইকেটে জেতার জন্য ২০০ খুব বেশি রান নয়, সে যতই বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের ইনিংসে ওভার সংখ্যা কমে ৪৭ হোক না কেন। দলীয় ৩৪ রানে তামিম ইকবালকে হারালেও বুকে ধুঁকপুকানি শুরু হয়নি, কারণ আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার আর লিটন কুমার দাশের ব্যাট যে সিরিজ জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছে বাংলাদেশকে। তামিম আউট হয়েছেন এ ম্যাচে সুযোগ পাওয়া ধবল কুলকার্নির স্লোয়ারে। কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে টাইমিংয়ের হেরফেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন এ বাঁহাতি। তবে তাঁর আগে বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট যুদ্ধের আবহ আরেকবার ছড়িয়েছে তামিমকে ঘিরেই। ধবলের বলেই তাঁর জোরালো ড্রাইভ মিড অফে ধরে আউটের আবেদন করেন বিরাট কোহলি। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে ক্যাচটির বৈধতা নিশ্চিত না হওয়ায় সেটি বাতিল করে দেন আম্পায়ার। এ নিয়ে কাল দ্বিতীয়বার নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন কোহলি, তাতে আরেকবার উল্লাসে দুলিয়েছে মিরপুরের গ্যালারিকে, যা কোহলির জন্য মোটেও প্রীতিকর নয়! তো ওই ওভারেই ধবলের বল দুবার সীমানার বাইরে পাঠিয়ে আরেকটি বড় ইনিংসের মঞ্চ গড়েছিলেন তামিম, যদিও প্রত্যাশিত সাজসজ্জা আর হয়নি। তাতে কী? সৌম্যর সুরভিত ৩৪ আর লিটনের সাহসী ৩৬ রানের ইনিংসে জয়ের আরো কাছে গেছে বাংলাদেশ। অক্ষর প্যাটেলকে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেছেন সৌম্য আর ওই ওভারেই জোড়া বাউন্ডারিতে লিটন জানিয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধূমকেতুর মতো এসেই মিলিয়ে যাবেন না তিনি। যা দেখে মুহুর্মুহু উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ ঘটেছে মিরপুরে। তবে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের এই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরদের ব্যাট একসময় থেমেছে ঠিকই, কিন্তু তাতেও মুছে যায়নি জয়ের আশা। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটির পর সাব্বির রহমানকে নিয়ে দলকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দেশের ইতিহাস গড়ার ক্ষণ আসবে দেশসেরা ক্রিকেটারের ব্যাটে- ক্রিকেট বিধাতার স্ক্রিপ্টটা তো এমনই হওয়ার কথা! দুই দলের দ্বৈরথের শেষদিকে জমাট লড়াই হয়েছে ধবল কুলকার্নি আর সাব্বির রহমানের, ব্যাট-বলের সঙ্গে কথার লড়াইও। ম্যাচ এবং সিরিজের মতো একতরফাভাবে এ লড়াইয়েও জয়ী বাংলাদেশের সাব্বির। বাংলাদেশের কাছে আগেও হেরেছে ভারত, তবে পরের ম্যাচে ঘুরেও দাঁড়িয়েছে। আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ের কথাই আগের দিন শুনিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু সেই তিনিই কাল ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই মুস্তাফিজের প্রথম শিকারে পরিণত হয়েছেন! টানা ভালো খেলার আত্মবিশ্বাসের বারুদে অগ্নিসংযোগ দরকার ছিল, রোহিত শর্মার উইকেট পতনের সঙ্গে সঙ্গে ঘরে যাওয়া বিস্ফোরণে মাত্রা সহ্য করা কঠিনই। গ্যালারির উচ্ছ্বাস আর লাল-সবুজ জার্সির দুর্দান্ত শরীরি ভাষার সামনে ভারত যেন জিম্বাবুয়ে কিংবা আরো দুর্বল কোনো ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ। ভাবা যায়, ফ্রি হিট জেনেও রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলছেন বিরাট কোহলি! ফিনিশার হিসেবে দারুণ সুনাম আছে মহেন্দ্র সিং ধোনির। তাই তাঁর ব্যাটিংয়ের অভ্যস্ত জায়গাটা ছয় নম্বরে। তবে সিরিজ খোয়ানোর আশঙ্কায় বাকিদের দিশেহারা দেখেই কি না ২০১২ সালের জুলাইয়ের পর কাল আরেকবার চার নম্বরে নেমেছেন ভারত অধিনায়ক। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে যুবরাজ সিংকে বসিয়ে রেখে চার নম্বরে নেমে বাজিমাত করেছিলেন ধোনি। কিন্তু তিনি কাল খুবই সতর্ক, শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে বড় শট খেলেননি- এমন সতর্ক ধোনিকে ক্রিকেট বিশ্ব শেষ কবে দেখেছিল বলা মুশকিল। কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসের মতো অতি সতর্কতাও বিপদ ডেকে আনে। মুস্তাফিজের একটি স্লোয়ার ডেলিভারিকে যেমন লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন ধোনি। ৭৫ বলে ৪৭ রান করে দলকে বিপদের মহাসমুদ্রে ফেলে ধোনির বিদায় আগের দিন মুস্তাফিজকে কাঁধের ধাক্কার চেয়ে কোনো অংশে কম মানহানিকর নয়! পূর্বাভাস মেনে বৃষ্টি এসেছিল দফায় দফায়। প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টিই বাংলাদেশের ইনিংসকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছতে দেয়নি বলে মৃদু অনুযোগ আছে। কালও বাংলাদেশের সুসময়ে বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গে 'মোমেন্টাম' হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু আকাশের টুকরো মেঘের মতো সে আশঙ্কাও ধুয়ে মুছে গেছে মুস্তাফিজ-নাসির-রুবেলদের দুর্দান্ত বোলিং আর ফিল্ডিং ক্ষিপ্রতায়। রাত ৮টা ১৮ মিনিটে ভারতের ইনিংস শেষের রেশটাও তাই অপরিবর্তিত- একটা দল এক তরফা শাসন করেছে মিরপুরকে আর সেটি অবধারিতভাবে বাংলাদেশ। আগের দিনও বিশ্বাস হচ্ছিল না, মনে হচ্ছিল যতই প্রথম ম্যাচে হারুক, ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে ভারত। খোলনলচে পাল্টে ফেলার মতো একাদশেও তিনটি পরিবর্তন করেছেন ধোনি। প্রথম ম্যাচে বেধড়ক পিটুনি খাওয়া উমেশ যাদব আর 'আইপিএল স্টার' মোহিত শর্মা বাদ পড়ছেন, প্রত্যাশিতই ছিল। তবে ধোনি চমকে দিয়েছেন আজিঙ্কা রাহানেকে একাদশ থেকে ছেঁটে ফেলে, তাঁর পরিবর্তে কাল খেলেছেন আম্বাতি রায়ডু। অবশ্য মাত্র তিন বলেই শেষ তাঁর ইনিংস, ধোনির তাঁকে ঘিরে উচ্চাশাও। তার আগে শিখর ধাওয়ান আর বিরাট কোহলির জুটি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভারত তো আর জানত না যে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আরেকটি অজানা অস্ত্র ব্যবহার করবেন ভারতের শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে! চার পেসার আর সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বমানের স্পিনার একাদশে থাকা সত্ত্বেও ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে নাসির হোসেনকে আক্রমণে এনেছেন মাশরাফি। বাংলাদেশের খণ্ডকালীন এ অফস্পিনারের বল টার্ন করবে ভেবে ব্যাকফুটে গিয়ে অন সাইডে খেলতে গিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু বল সোজা গিয়ে আঘাত হানে তাঁর প্যাডে। বিস্মিত কোহলি বেজায় ক্ষিপ্ত হন উৎসবরত বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জটলা থেকে উড়ে আসা শব্দবাণে! অবশ্য বড় পর্দায় ক্ষোভে বিস্ফারিত কোহলির প্রতি সমবেদনা দেখানোর মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যুদ্ধের ময়দানে বীরের পূজারি থাকে, বিজিতের আহাজারি শোনার মানুষ তাৎক্ষণিক খুঁজে পাওয়া কঠিন। মিরপুরের দর্শকরা তাই কোহলির ক্লোজআপ দেখে একটি উইকেট পতনে উল্লাসে মেতে ওঠে দ্বিতীয়বার। এ তো আর শুধু প্রতি স্পেলে এসে মুস্তাফিজের উইকেট তুলে নেওয়া কিংবা নাসিরের মতো খণ্ডকালীন স্পিনারের সাফল্যগাথা নয়, এর পেছনে রয়েছে গভীর চিন্তাশক্তির প্রয়োগ। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে বোলিংয়ে এসে কোহলি আর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে দিয়েছেন নাসির। নিজের দ্বিতীয় বলে উইকেট পাওয়া মুস্তাফিজ উৎসব করেছেন পরের দুই স্পেলেও। নিজে উইকেটের জন্য না গিয়ে রান আটকানোতেই মনোযোগী ছিলেন অধিনায়ক নিজে, তাতে তিনি সফলও। দুই স্পেলে বোলিং করিয়েছেন, দুবারই একটি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন। সহ-খেলোয়াড়দের কাছে একজন অধিনায়কের আর কী চাওয়া থাকতে পারে, একজন মাশরাফির কাছেই বা দল আর কী চাইতে পারে! ভারতকে ২০০ রানে গুটিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব শুধুই বোলার আর অধিনায়কের পাতে দিয়ে দিলে ফিল্ডারদের প্রতি অন্যায় হবে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরের ধাপে যাত্রার অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিল্ডিং। এত দিন ধরেই নেওয়া হতো যে ৩০ গজি বৃত্তের ভেতরে সহজ কিছু সিঙ্গেলস দিয়ে দেবে বাংলাদেশ। সেই ক্ষিপ্রতা নেই বলে ফিল্ডার দাঁড়াতেন বৃত্তের ওপর। কিন্তু এ সময়ের বাংলাদেশি ফিল্ডাররা দাঁড়াচ্ছেন বৃত্তের ভেতরে। দারুণ ক্ষিপ্রতায় আটকে দিচ্ছেন সিঙ্গেলস। এ দেশীয় ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের অনুসারীদের জন্য যা মাশরাফিদের অদৃশ্য উপহারও। দৃশ্যমান উপহারের তো রীতিমতো ছড়াছড়ি। দূরের তারা মুস্তাফিজের যেমন অন্ধকার ফুঁড়ে আবির্ভাব, ভারতের বিপক্ষে প্রথম ৩০০, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ধোনিদের হাই প্রোফাইল ব্যাটিংকে অকার্যকর করা এবং এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনাকে স্বপ্ন থেকে নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা- এমন আর কত্ত কী! আর সেসব পুরস্কারের আবরণটাও দারুণ ঝকমকে- ভারত কেন, বিশ্বের যেকোনো দলকেই আর অকারণ সমীহ করে না বাংলাদেশ, ঝাঁপিয়ে পড়ে সত্যিকারের বাঘের মতো থাবা উঁচিয়ে। তাই বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে পাকিস্তানের পর ভারতকেও হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে টানা জয়ের 'দশে দশ' করা মাশরাফির দলকে ঘিরে আরো বড় স্বপ্ন দেখা আর মোটেও বাড়াবাড়ি নয়। ভারতের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা আর বড় স্বপ্নের বৃত্তবন্দি নয় মোটেও। ওটাই যেন এখন এ সিরিজের নিয়তি! স্বপ্ন কখনো কখনো অপূর্ণ থাকে, নিয়তি নয়।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-21774777430138454822015-06-22T03:53:00.001+06:002015-06-22T03:53:35.970+06:00ইয়াবা বাণিজ্যে পুলিশসহ ১৪ জনের সিন্ডিকেট:কালের কন্ঠ<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-Y47SJ0g7RhQ/VYcyWUs8ZUI/AAAAAAAAPMo/zWEDuasl2Ag/01_236430.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-Y47SJ0g7RhQ/VYcyWUs8ZUI/AAAAAAAAPMo/zWEDuasl2Ag/01_236430.jpg" height="200" width="300"/></a><a href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acf0d2ed' target='_blank'><img src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=677&n=acf0d2ed&ct0=%c' border='0' alt='' /></a> ফেনীর লালপোল এলাকা থেকে ছয় লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের এএসআই মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে ইয়াবা বিকিকিনির হিসাবের তিনটি নোটবুক জব্দ করেছে র্যাব। <a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>ওই নোটবুকে পুলিশ, আইনজীবী, মুহুরিসহ ১৪ জনের নাম আছে। এই ১৪ জনের সঙ্গে ইয়াবা বিক্রির ২৮ কোটি ৪৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে। তালিকায় থাকা ১৪ জনই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত বলে র্যাবকে জানিয়েছেন এএসআই মাহফুজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক র্যাব কর্মকর্তা বলেন, কক্সবাজারে অতীতে কর্মরত ছিলেন এমন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন- এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মাহফুজুর রহমানের গতিবিধির ওপর আগে থেকেই লক্ষ রাখা হচ্ছিল। গত শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। মাহফুজের নোটবুকে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের কিছু নাম ও টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। উদ্ধার করা মাদক, নোটবুকসহ অন্যান্য জিনিস। ইনসেটে গ্রেপ্তার হওয়া এএসআই মাহফুজ। ছবি : কালের কণ্ঠ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতা উদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মাহফুজের নোটবুকে ইয়াবা ব্যবসাসংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। র্যাব-৭-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা, সহকারী পরিচালক সোহেল মাহমুদ বলেন, '১৪ জনের নাম ও তাদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নামের পাশে পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা নেই। এরপর তালিকাভুক্ত ১৪ জনকেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আসামি করা হবে।' নোটবুকে প্রত্যেকের নামের সঙ্গে টাকার অঙ্ক লেখা আছে। সেখানে লেখা : তোফাজ্জল হোসেন- এক কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার, কাশেম- ৪৩ লাখ ৪০ হাজার, আজাদ- ছয় লাখ, গিয়াস মামা- ৬৫ লাখ ৬০ হাজার, গিয়াস- এক কোটি ৮০ লাখ, গোবিন্দ দা- চার লাখ, সেলিম- ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার, শাহিন- আট লাখ ৯০ হাজার, অ্যাডভোকেট জাকির- ৬৩ লাখ ১০ হাজার, হাইকোর্টের মুহুরি মোতালেব- ২০ কোটি, ৩৭ লাখ ৪ হাজার, এসআই আমিরের বন্ধু- চার লাখ ১০ হাজার, মামা হান্নান (কুমিল্লা)- ২১ লাখ ৭০ হাজার এবং এসআই আশিক (চট্টগ্রাম)- ৪৬ লাখ টাকা। টাকাগুলো ১৪ জনের যৌথ বিনিয়োগ নাকি ইয়াবা ব্যবসা করে তাঁদের অর্জিত মুনাফা- সে বিষয়ে র্যাব সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেনি। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, মাহফুজুর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ থানায় চাকরি করেন তিনি। ওই সময় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে ওঠে। কক্সবাজার জেলা ডিবির কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক মো. বেলাল এবং চট্টগ্রামের কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. আশিক ইয়াবাগুলো তাঁকে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। আর ঢাকা থেকে ইয়াবাগুলো বুঝে নেওয়ার কথা ছিল হাইকোর্টের মুহুরি মো. মোতালেব, অ্যাডভোকেট জাকির, বিশেষ শাখার কনস্টেবল শাহীন, কাশেম ও গিয়াসের। তবে পথিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে যান মাহফুজুর রহমান। কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে উপপরিদর্শক মো. আশিক নামের কেউ নেই বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম মোহাম্মদ। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'আশিক নামে এখানে কেউ নেই।' এ ব্যাপারে র্যাবের সহকারী পরিচালক সোহেল মাহমুদ বলেন, 'মাহফুজুর রহমানের ভাষ্য অনুযায়ী আশিকের বর্তমান কর্মস্থল কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি। এর আগে আশিক কক্সবাজার জেলায় কর্মরত ছিল।' 'ইয়াবা' পুলিশের দায়িত্ব ঘাটে ঘাটে : জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাঁদের নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকা ধরে কিছুদিন আগেও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত কিছু সদস্যকে বদলি করা হয়েছে, তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বর্তমানে 'ইয়াবা ব্যবসায়ী' পুলিশ সদস্যরা কক্সবাজারের চকরিয়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন থানা, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ফেনী ও কুমিল্লা জেলা হয়ে ঢাকা পৌঁছানো পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে কর্মরত আছেন। নিয়মিত দায়িত্ব পালনের ফাঁকে ফাঁকে এসব পুলিশ সদস্য নিরাপদে ইয়াবার চালান গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করেন। ইয়াবা পাচারের অভিযোগে ইতিপূর্বে একাধিক কনস্টেবল গ্রেপ্তার হওয়ার পরও বিষয়টি পুলিশের নজরে এসেছিল। জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকার দক্ষিণ প্রান্তের টোল প্লাজায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস থেকে ইয়াবাসহ পুলিশ কনস্টেবল নাজমুলকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি। এ ছাড়া জানুয়ারি মাসে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার পুলিশ ৫০০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশ কনস্টেবল রবিউলকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া নাজমুল কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার একটি ফাঁড়িতে কর্মরত কনস্টেবল বলে পরিচয় দেন। এরপর ঘটনাটি মীমাংসার জন্য নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মো. আশিক তৎপরতা চালিয়েছিলেন। এরপর কর্ণফুলী থানায় দায়ের করা মামলায় নাজমুলের পুলিশ পরিচয়টি রাখা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে ২০ হাজার পিস গায়েব করে ফেলে ডিবির দল।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-88216042243420734182015-06-21T04:08:00.007+06:002015-06-21T04:08:33.222+06:00মাসের পর মাস নষ্ট রোগ নির্ণয়ের সাত যন্ত্র:প্রথম অালো<a href="" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="" height="0" width="0"/></a>রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলোজি ও ইমেজিং বিভাগে রোগ নির্ণয়ের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে মাসের পর মাস। এর ফলে এখান থেকে সাধারণ রোগীরা রোগ নির্ণয়ের আধুনিক সুবিধা ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁদের বেশি টাকা খরচ করে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এসব সেবা নিতে হচ্ছে। বিভাগে গিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে থাকা দুটি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের দুটিই এবং দুটি ম্যাগনেটিক রিসোন্য<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>ান্স ইমেজিং (এমআরআই) যন্ত্রের দুটিই নষ্ট। এই দুই যন্ত্রের মাধ্যমে করা সব পরীক্ষাই বেশ ব্যয়বহুল। আলট্রাসনোগ্রামের ছয়টি যন্ত্রের মধ্যে দুটি নষ্ট। কম্পিউটার রেডিওথেরাপির (সিআর) দুটি যন্ত্রের মধ্যে একটি নষ্ট। এ বিভাগে মাত্র দুটি ডিজিটাল এক্স-রে, একটি কম্পিউটার রেডিওথেরাপি ও চারটি আলট্রাসনোর যন্ত্র ভালো রয়েছে। হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগ সূত্র জানায়, সিটি স্ক্যান দুটি যন্ত্রের মধ্যে একটি যন্ত্রের টেবিল সামনে-পেছনে নড়াচড়া করানো যায় না। গত ২৫ এপ্রিল থেকে যন্ত্রটির ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। এ যন্ত্রটি হাসপাতালে স্থাপন করা হয় ২০১২ সালের ২৮ মার্চ। আর ২০০৭ সালে অন্য সিটি স্ক্যান যন্ত্রটির টিউব বিকল হওয়ায় তা ২০১০ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ম্যাগনেটিক রিসোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) দুটি যন্ত্রের মধ্যে ২০১২ সালে স্থাপন করা একটি যন্ত্রের সার্কিট পুড়ে যাওয়ায় চলতি বছরের ৯ মার্চ থেকে নষ্ট। আর ২০০৭ সালে স্থাপন করা অন্য যন্ত্রটি ২০১৪ সালের ৩ জুলাই থেকে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতাল সূত্র আরও জানায়, সিটি স্ক্যান যন্ত্র দুটি চালু থাকলে প্রতিদিন ২৫-৩০ জন রোগী এ পরীক্ষাটির সুযোগ পেতেন। সিটি স্ক্যান করাতে এই হাসপাতালে খরচ পড়ে সর্বনিম্ন দুই হাজার থেকে সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা। আর বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খরচ পড়ে সর্বনিম্ন চার হাজার থেকে সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা। হাসপাতালের যন্ত্র নষ্ট থাকায় রোগীদের বাধ্য হয়েই বাইরে থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে আনতে হয়। একই সূত্র জানায়, দুটি এমআরআই যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৮-২০ জন রোগী পরীক্ষার পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ পাওয়ার কথা। সাধারণত মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের জটিল সমস্যা ও রোগ নির্ণয় করা হয় এই যন্ত্রের মাধ্যমে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমআরআই করাতে খরচ পড়ে তিন হাজার টাকা। আর বাইরে এমআরআইর জন্য খরচ পড়ে সাত হাজার টাকা। রংপুর নগরের মুন্সিপাড়ার আশরাফুল হক বলেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে আসা। কিন্তু এখানে এসে দেখি যন্ত্রপাতি খারাপ। ফলে অনেক বেশি টাকা দিয়ে বাইরে থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হচ্ছে।’ নগরের মাহীগঞ্জ এলাকার রেজাউল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালের এই বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘শুনেছি, যন্ত্র ভালো হচ্ছে। কিন্তু ভালো আর হয় না।’ এই রেডিওলোজি ও ইমেজিং বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে এসে গত এক সপ্তাহের মধ্যে দুই শ রোগী ফিরে গেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের একজন চিকিৎসক জানান। বিভাগের টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) শাহাবুদ্দিন জানান, ‘যন্ত্র মেরামত করা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাজ। আমাদের কী করার আছে?’ রেডিওলোজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আলতাফ হোসেন এসব যন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘যন্ত্রগুলো ঠিক করার জন্য আমরা পরিচালক বরাবর বহুবার তাগাদা দিয়েছি। শেষমেশ নিজেরাই ঢাকায় যোগাযোগ করি। সেখান থেকে লোকজন এসে গত ২৭ মে ও ৩০ এপ্রিল এমআরআই ও সিটি স্ক্যান যন্ত্রগুলো দেখে গেছেন। তবে কবে নাগাদ ঠিক হবে তা বলা যাচ্ছে না।’ হাসপাতালের পরিচালক আবদুল বাতেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যন্ত্রগুলো ঠিক করার জন্য ঢাকায় বহুবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেও ঢাকায় গিয়ে এ বিষয়ে ওপর মহলকে অবগত করেছি। আমরা তো চেষ্টা কম করছি না।’Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-45319214617562005542015-06-21T04:08:00.005+06:002015-06-21T04:08:23.168+06:00প্রয়োজন নেই তবু দলের স্বার্থে বাড়তি গম কেনা:প্রথম অালো<a href="" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="" height="0" width="0"/></a>প্রয়োজন নেই, কিন্তু মন্ত্রী-সাংসদ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের স্বার্থে সরকার আরও এক লাখ টন গম সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা-ও আবার বাজারদরের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেশিতে। ফলে সরকারের ক্ষতি হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। মন্ত্রী-সাংসদ ও নেতাদের চাহিদাপত্র দেওয়ার পর সরকার অতিরিক্ত গম সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়। বাজারে প্রতি কেজি গমের দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা। আর সরকার কিনছে ২৮ টাকা দরে। প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div> মুনাফার কারণে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা সরকারি গুদামে গম সরবরাহে বেশ উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। সরকারি গুদামে বর্তমানে ৩ লাখ ১৫ হাজার টন গম রয়েছে। খাদ্য বিভাগের দৈনিক খাদ্যশস্যবিষয়ক প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে আনা গম পরিবহন খরচসহ দেশের বাজারে পড়ে ১৯ টাকা কেজি। কিন্তু সরকার কৃষকের নাম করে ওই গম ২৮ টাকা কেজি দরে কিনছে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নতুন করে এক লাখ টন গম কেনায় সরকারের বাড়তি ১০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বাজারদরের সঙ্গে গমের সংগ্রহমূল্যের পার্থক্য ১০ টাকা। এটা অস্বাভাবিক। সাধারণত এ পার্থক্য হয় দুই থেকে তিন টাকা। অতিরিক্ত মুনাফার কারণেই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত হয়ে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। সরকারি গুদামে গম সংগ্রহ বাড়াতে সরকারদলীয় ৮০ জন নেতা খাদ্যমন্ত্রীর কাছে চাহিদাপত্র বা ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন মন্ত্রী, ৬০ জন সাংসদ এবং অন্যরা সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাংসদের মনোনীত ব্যক্তিরা গম সরবরাহ করছেন বলে জানা গেছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় সাংসদেরা নিজেই গম সরবরাহ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে গম সংগ্রহ করছি। সাংসদ ও চেয়ারম্যানরা তাঁর এলাকায় বরাদ্দ রাখার জন্য চাহিদাপত্র পাঠাতেই পারেন। এটা দোষের কিছু না। তবে আমরা কৃষক ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকে গম নিচ্ছি না।’ খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়েজ আহমেদ বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে গম উৎপাদনকারী জেলাগুলোর তথ্য নেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে বিভিন্ন জেলা থেকে গম সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাংসদ ও মন্ত্রীদের চাহিদাপত্রের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। গম সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো মন্ত্রীরা হলেন ভূমিমন্ত্রী ও পাবনা-৪ আসনের সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, নওগাঁ-৪ আসনের সাংসদ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলম। নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ ও হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকারও এই তালিকায় রয়েছেন। নৌপরিবহনমন্ত্রীর কাছে তাঁর জেলা থেকে বাড়তি গম নেওয়ার চাহিদাপত্র দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারি গুদামে গম দেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে আমার কাছে অনেকে এসেছিল। তা সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার টন গম হতে পারে।’ বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ‘জামালপুরের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় আমার এলাকায় গমের সংগ্রহ কম করা হয়েছে। আমার এলাকার কৃষকের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিই।’ স্বাস্থ্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার ৬ নম্বর বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান লালু গত ২৫ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কাছে একটি আবেদনপত্র পাঠান। তিনি লিখেন, ‘অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের আওতায় আমার ইউনিয়ন থেকে দেড় হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করলে আমার সঙ্গে কৃষকের সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।’ আওয়ামী লীগ বোয়ালিয়া ইউনিয়ন শাখাকে শক্তিশালী করতে তিনি এই ইউনিয়ন থেকে গম সংগ্রহের অনুমতি দিতে খাদ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। জিল্লুর রহমানের ওই আবেদনের ওপর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস লিখেন ‘জোর সুপারিশ করছি।’ খাদ্য মন্ত্রণালয় জিল্লুর রহমানের এই আবদারের প্রতি সম্মান দেখাতে ভুল করেনি। জানতে চাইলে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গতবার (প্রথম দফায়) মাত্র ২৮ মেট্রিক টন মাল (গম) সরবরাহের পারমিট পেয়েছিলাম। এতে বেশি লাভ থাকেনি। এবার তাই দেড় হাজার টন দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। এমপি সাহেব অবশ্য জানিয়েছেন নতুন করে মাল (গম) সাপ্লাইয়ের কাগজ এসেছে। শিগগিরই উনি আমাদের মধ্যে তা বণ্টন করে দিবেন।’ সাংসদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন জায়গায় দল-পার্টি আছে। তাদের সহায়তা করতে হয়। তবে তারা যাতে কৃষকদের কাছ থেকে গম কিনে সরকারি গুদামে দেয়, সে জন্য আমরা তাদের নির্দেশ দিয়ে থাকি।’ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রী, সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আবেদনের ভিত্তিতে নতুন করে আরও এক লাখ টন গম সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ওই গম সরকারি গুদামে সরবরাহ করা হবে। গত ১ এপ্রিল খাদ্য অধিদপ্তরের যে সভায় দেড় লাখ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, সেখানে প্রথম সিদ্ধান্ত হিসেবে বলা হয়েছিল, কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি গম সংগ্রহ করতে হবে। ৩০ জুনের মধ্যে ওই দেড় লাখ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হলেও প্রথম দেড় মাসেই লক্ষ্যমাত্রার পুরো গমই সংগ্রহ হয়ে যায়। মন্ত্রী, সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের চাহিদাপত্র ও সুপারিশে খাদ্য মন্ত্রণালয় বাড়তি এক লাখ টন গম সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। অনেক জেলায় সাংসদ নিজেই গম সরবরাহ করছেন। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে সরকারদলীয় সাংসদ দবিরুল ইসলাম নিজেই সরকারি গুদামে এক টন গম দিয়ে তাঁর জেলায় গম সরবরাহ শুরু করেছেন। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও গম সরবরাহ করেছেন। এ বিষয়ে দবিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের অন্যান্য এলাকায় কে গম সরবরাহ করবে, তা নিয়ে মারামারি-হানাহানি হয়েছে। আমার আসনে আমি তা হতে দিইনি। আমরা নিজেরা গম চাষ করি। তাই আমি নিজেই এক টন গম সরবরাহ করেছি।’ খাদ্য বিভাগের ইতিহাসে এত বিপুল পরিমাণ গম এর আগে কখনো কেনা হয়নি। সরকার সাধারণত গমচাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে গমের একটি সর্বনিম্ন মূল্য ঘোষণা করে থাকে। চাহিদাপত্র পাঠানো সাংসদ ও নেতারা নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ ও হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার ৬০০ মেট্রিক টন, দিনাজপুর-১ আসনের সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল ৪ হাজার ২০০ মেট্রিক টন, মহিলা-৪৭ আসনের সাংসদ রওশন আরা মান্নান দুই হাজার মেট্রিক টন, ঝিনাইদহ-১ আসনের সাংসদ আবদুল হাই পাঁচ হাজার মেট্রিক টন, কুড়িগ্রাম-২ এর তাজুল ইসলাম চৌধুরী তিন হাজার মেট্রিক টন, নান্দিনা বাজার জামালপুর জেলার মো. রফিকুল ইসলাম পাঁচ হাজার মেট্রিক টন, বগুড়া-৫ আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমান ২০০ মেট্রিক টন, রাজবাড়ী-১ আসনের সাংসদ কাজী কেরামত আলী দুই হাজার মেট্রিক টন, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাংসদ মো. নবী নেওয়াজ এক হাজার মেট্রিক টন, নওগাঁ-৪ আসনের সাংসদ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক দুই হাজার মেট্রিক টন, দিনাজপুর-২ আসনের সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দুই হাজার মেট্রিক টন, নেত্রকোনা-২ আসনের সাংসদ আরিফ খান জয় এক হাজার মেট্রিক টন, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ৫০০ মেট্রিক টন, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাংসদ মো. হাসিবুর রহমান স্বপন এক হাজার মেট্রিক টন, নাটোর-২ আসনের সাংসদ মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল পাঁচ হাজার মেট্রিক টন, গাইবান্ধা-২ আসনের সাংসদ মাহবুব আরা বেগম গিনি দুই হাজার মেট্রিক টন, সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৩ হাজার মেট্রিক টন, কুমিল্লা-২ আসনের সাংসদ মো. আমির হোসেন পাঁচ হাজার মেট্রিক রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ মো. আয়েন উদ্দিন চার হাজার মেট্রিক টন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাংসদ মো. দবিরুল ইসলাম ১০ হাজার মেট্রিক টন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস পাঁচ হাজার মেট্রিক টন, সাংসদ ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতীক) এক হাজার মেট্রিক টন, রাজবাড়ী-২ আসনের সাংসদ মো. জিল্লুল হাকিম পাঁচ হাজার মেট্রিক টন, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাংসদ এম এ আউয়াল, পাঁচ হাজার মেট্রিক টন, লালমনিরহাট-১ আসনের সাংসদ মোতাহার হোসেন ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, নওগাঁ-৬ আসনের সাংসদ ইসরাফিল আলম এক হাজার মেট্রিক টন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ছয় হাজার মেট্রিক টন, হুইপ ও সাংসদ মো. শহীদুজ্জামান ছয় হাজার মেট্রিক টন, দিনাজপুর-১ আসনের সাংসদ মনোরঞ্জন বীরগঞ্জ উপজেলা ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন, জামালপুর-৩ আসনের সাংসদ মির্জা আজম দুই হাজার মেট্রিক টন, চাঁদপুর জেলার জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, পাবনা-২ আসনের সাংসদ খন্দকার আজিজুল হক আরজু ১ হাজার ১২৮ মেট্রিক টন, সাংসদ রাশেদ খান মেনন ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, রংপুরের সাংসদ টিপু মুনশী এক হাজার মেট্রিক টন, মহিলা আসন-২৭-এর সাংসদ অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, গাইবান্ধা-৪ আসনের সাংসদ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ চার হাজার মেট্রিক টন, নওগাঁ-১ আসনের সাংসদ সাধন চন্দ্র মজুমদার ৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ মো. রেজাউল হক চৌধুরী দুই হাজার মেট্রিক টন, মো. মমিনুল ইসলামের নামে (সুপারিশ-দিনাজপুর-৩ আসনের সাংসদ ইকবালুর রহিম) দুই হাজার মেট্রিক টন, মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খান পাঁচ হাজার মেট্রিক টন, টাঙ্গাইল-১ আসনের সাংসদ মো. আবদুর রাজ্জাক ৫০০ মেট্রিক টন, ঝিনাইদহ-১ আসনের সাংসদ তাহজীব আলম সিদ্দিকী ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, নাটোর-১ আসনের সাংসদ আবুল কালাম আজাদ দুই হাজার মেট্রিক টন, রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ মো. আয়েন উদ্দিন ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, যশোর-২ আসনের সাংসদ মো. মনিরুল ইসলাম দুই হাজার মেট্রিক টন।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-78955020635726340112015-06-21T04:08:00.003+06:002015-06-21T04:08:12.753+06:00বিশ্বব্যাপী বাড়ছে সন্ত্রাসী হামলা:প্রথম অালো<a href="" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="" height="0" width="0"/></a>বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলা বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছর বেড়েছে এক-তৃতীয়াংশ। এসব হামলায় প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি। সন্ত্রাসবাদের ওপর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা এত বেশি হারে বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং উ<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>ত্তর নাইজেরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের অব্যাহত জঙ্গি তৎপরতা। তবে পাকিস্তান, ফিলিপাইন, নেপাল ও রাশিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা কমেছে। গত বছরের জুনে আইএস জঙ্গিরা ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ‘খলিফা রাষ্ট্র’ ঘোষণা করে। জঙ্গিরা দেশ দুটির নতুন নতুন এলাকা দখলের জন্য লড়াই অব্যাহত রেখেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আইএস জঙ্গিরা গত বছর সবচেয়ে গুরুতর হামলা চালায় ইরাকের মসুল শহরে। সেখানে শিয়া কারাবন্দীদের ওপর চালানো ওই হামলায় নিহত হয় অন্তত ৬৭০ জন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিশাল এলাকা দখলের এই ঘটনা ‘নজিরবিহীন’, জঙ্গিগোষ্ঠীটিতে বিদেশি সন্ত্রাসীদের যোগ দেওয়ার প্রবাহ এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘নিঃসঙ্গ’ উগ্রপন্থীদের হামলা ছিল গত বছর বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের মূল প্রবণতা। ধর্মীয় সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান ও ইয়াজিদিদের হত্যার পাশাপাশি পশ্চিমা সাংবাদিকদেরও হত্যা করেছে আইএস। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা গত বছর ব্যাপকভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়লেও ইয়েমেন, সিরিয়া, লিবিয়া, নাইজেরিয়া ও ইরাকের মতো ব্যর্থ সরকারগুলোর কারণে কট্টর মৌলবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় গত বছর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো শিরশ্ছেদ ও ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যার মতো আরও আক্রমণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেছে। এ ছাড়া নাইজেরিয়া, উত্তর ক্যামেরুন ও দক্ষিণ নাইজারে সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম পাথর ছুড়ে হত্যা, নির্বিচার হত্যার জন্য হামলা ও শিশুদের অপহরণের মাধ্যমে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে সন্ত্রাসীদের নির্দিষ্ট এলাকা থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২১৭৮ প্রস্তাবের প্রশংসা করা হয়েছে। এতে এও বলা হয়, তা সত্ত্বেও বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশ থেকে অন্তত ১৬ হাজার বিদেশি যোদ্ধা গত বছর সিরিয়া গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধবিষয়ক সমন্বয়ক ও অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ টিনা কাইদানাউ বলেছেন, শুধু মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ওই প্রতিবেদন সংকলন করেছে। এতে বৈশ্বিক সন্ত্রাসের যথাযথ চিত্র ফুটে ওঠেনি। টিনা কাইদানাউ আরও বলেন, ‘আমরা এমন কোনো নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না যে পরিস্থিতি এখন থেকে আগামী এক বছর বা এক দশক কেমন হবে। কিন্তু আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আইনের শাসন অব্যাহত রেখে এবং শক্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।’Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-88691894198660085732015-06-21T04:08:00.001+06:002015-06-21T04:08:02.369+06:00সৌদির ৬০ হাজার নথি ফাঁস করল উইকিলিকস:প্রথম অালো<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-cmlrU4DqCek/VYXkPi0VtJI/AAAAAAAAPIg/t1yzlhmSzac/a3cd1df5967e90f1bbf945a31a2b079f-7.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-cmlrU4DqCek/VYXkPi0VtJI/AAAAAAAAPIg/t1yzlhmSzac/a3cd1df5967e90f1bbf945a31a2b079f-7.jpg" height="355" width="150"/></a>সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের যোগাযোগের ৬০ হাজারের মতো গোপন নথি গত শুক্রবার প্রকাশ করেছে উইকিলিকস। এ ছাড়া দেশটির অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের গোপন নথিও এর মধ্যে আছে। খবর এএফপি ও আল-জাজিরার। এ ঘটনার পর সৌদি আরব গতকাল দৃশ্যত উইকিলিকসের ফাঁস করা দলিলের দিকে ইঙ্গিত করেই এর নাগরিকদের ‘জাল হতে পারে এমন’ নথিপত্র বিতরণ না করার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটি নথিপত্রগুলোর সত্যতার কথা সরাসরি অস্<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>বীকার করেনি। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল উইকিলিকস। এরপর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনে যৌন হয়রানির মামলা হয়। তখন গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যাসাঞ্জ। গত শুক্রবার ছিল সেই আশ্রয় প্রার্থনার তিন বছরপূর্তি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে উইকিলিকস জানায়, তারা এরই মধ্যে সৌদি আরবের ৬০ হাজারের মতো নথি ফাঁস করেছে। এর অনেকগুলোর ওপর সবুজ কালিতে লেখা ‘কিংডম অব সৌদি অ্যারাবিয়া’ বা ‘মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স’। কোনো কোনোটির ওপরে লেখা, ‘আর্জেন্ট’ বা ‘ক্লাসিফাইড’। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল রাতে তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে সম্ভাব্য জাল নথিপত্র পরস্পরের মধ্যে বিতরণ না করার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিকদের। উইকিলিকসের ঘোষণার পর থেকে এটাই সৌদি সরকারের একমাত্র প্রতিক্রিয়া। গোপন এসব নথি থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সৌদি সরকারের কর্মকাণ্ডের অনেক কিছু জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান এবং সিরিয়ার বিদ্রোহী ও মিসরের সেনা-সমর্থিত সরকারকে সহায়তা দেওয়া এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক চুক্তি নিয়ে সৌদি আরবের বিরোধিতার বিষয়ে অনেক ভেতরের কথা জানা যেতে পারে। ২০১২ সালে আবুধাবি থেকে পাঠানো আরেকটি বার্তায় বলা হয়, মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় না করাতে দেশটিকে জোর চাপ দিয়ে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০০৮ সালের ১৪ আগস্ট সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসে একটি বার্তা পাঠায়। ‘ক্লাসিফায়েড অ্যান্ড ভেরি আর্জেন্ট’ লেখা ওই বার্তায় সতর্ক করে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় আরও কয়েকটি দেশের কিছু শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ইসরায়েলের দূতাবাস পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁরা দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে কথা বলেন, প্রশ্ন করেন এবং ছবি তোলেন। উইকিলিকসের ফাঁস করা অনেক নথি পর্যালোচনা করে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, সেগুলোয় একেবারেই মামুলি প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের কথা আছে। তবে এসব গোপন নথি উইকিলিকস কীভাবে হাত করল, সে বিষয়ে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি। কিন্তু বিবৃতিতে তারা সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি ‘ইয়েমেন সাইবার আর্মি’র হামলার বিষয়টি উল্লেখ করেছে। ইয়েমেন সাইবার আর্মিই ওই সব গোপন নথি দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে কোনো কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান উইকিলিকসের মুখপাত্র ক্রিস্টিন রাফনসন। তিনি বলেন, ‘নীতিগত কারণেই আমরা নথির উৎস কাউকে জানাই না।’Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-17016180734930300882015-06-21T04:07:00.003+06:002015-06-21T04:07:38.171+06:00প্রাথমিক সমাপনীতে পদে পদে দুর্নীতি:যুগান্তর<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-YykPJ6ybIig/VYXkIm4M4GI/AAAAAAAAPIY/yKLrePIKF5g/2_282005.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-YykPJ6ybIig/VYXkIm4M4GI/AAAAAAAAPIY/yKLrePIKF5g/2_282005.jpg" height="134" width="82"/></a>ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরের ডালিয়া আদর্শ কিন্ডারগার্টেনের ছাত্রী ফারজানা আক্তার সুমী ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। কিন্তু সে বৃত্তি পায়নি। অথচ তারই ক্লাসে জিপিএ-৪.২০ পেয়েও বৃত্তি পেয়েছে এক শিক্ষার্থী। সুমীর অভিভাবক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে (ডিপিই) এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। পটুয়াখালীর বাউফল-দাসপাড়া মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাবেকুন্নাহার মেভিজের অভিভাবকরাও একই অভিযোগ করেন। <a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>মেভিজের ক্লাসের ২৩ জন বৃত্তি পেয়েছে। কিন্তু সে পায়নি। অথচ ক্লাসে তার রোল নম্বর ৯। ঢাকার মিরপুর মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক শুভাশীষ কুমার বিশ্বাসের অভিযোগ, তার বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী বাংলায় কম নম্বর পেয়েছে। ছাত্রীরা এত কম নম্বর পাওয়ার কথা নয়। তাদের পরিকল্পিতভাবে কম নম্বর দেয়া হয়েছে। এ বিষয়েও সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। <a href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acd94d5f' target='_blank'><img src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=780&n=acd94d5f' border='0' alt='' /></a> ডিপিইতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি না পাওয়া, বিভিন্ন বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত নম্বর না পাওয়া, উত্তরপত্রে নম্বর কম-বেশি দেয়া, নম্বর যোগ করার ক্ষেত্রে (ডাটা এন্ট্রি) দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। তাদের দাবি, অর্থের বিনিময়ে উত্তরপত্রে গোপন কোড নম্বর ফাঁস করে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট খাতায় দেয়া হয়েছে বেশি নম্বর। কিছু ক্ষেত্রে রফা না হওয়ায় খাতায় নম্বর কমিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। চাহিদামতো খুশি না করায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে কম নম্বর উঠানো হয়েছে রেজাল্ট শিটে। ডিপিইসহ সারা দেশের শিক্ষা অফিসে এ ধরনের কমপক্ষে ৩৫ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে অনেক অভিযোগ প্রমাণিতও হয়েছে। নম্বর কম দেয়ার মতো ৮ হাজার ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। ফলে তাদের খাতা মূল্যায়ন শেষে নতুনভাবে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত থাকায় ১৭ শিক্ষক, দুই শিক্ষা অফিসার, দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এবং এক অফিস সহকারীকে সাময়িক বরখাস্তসহ নানা ধরনের শাস্তি দেয়া হয়েছে। আরও বেশকিছু শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। পরীক্ষায় এভাবে অনিয়ম আর দুর্নীতি প্রমাণের ঘটনায় খোদ অধিদফতরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিপিই মহাপরিচালক মো. আলমগীর বুধবার দুপুরে যুগান্তরের কাছে অভিযোগগুলোর সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ঢালাওভাবে যে রকম অভিযোগ করা হচ্ছে বাস্তবতা আসলে তা নয়। ৩০ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে কিছু ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। তবে যে বা যারা ভুল করেছে, তাদের শাস্তি দেয়া হয়েছে। কেউ সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। কারও ইনক্রিমেন্ট কাটা গেছে। আরও অনেকের বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদেরও শাস্তি পেতে হবে। ডিপিই ও মাঠপর্যায়ের একাধিক শিক্ষা অফিসার বলেছেন, একশ্রেণীর শিক্ষক এবং অফিসার পরীক্ষা নিয়ে এই স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। মূলত নিজের প্রাইভেট পড়ানো ও কোচিংয়ের শিক্ষার্থী বা প্রভাবশালীদের সন্তানকে ভালো ফল করানোর মানসিকতা থেকেই এ ধরনের অনৈতিক কাজ করছেন। এদের চক্রটি পরীক্ষার হলে বলে দেয়া বা পরে উত্তরপত্রে নম্বর বাড়িয়ে দেয়া বা নম্বর যোগকালে (ডাটা এন্ট্রি) কম-বেশি করছে। এ পরীক্ষায় ভালো ফলের সঙ্গে বৃত্তি পাওয়া না পাওয়ার বিষয় জড়িত না থাকলে দুর্নীতি এভাবে ছড়াতো না বলে মনে করেন এসব অফিসার। ডিপিই এবং জেলা শিক্ষা অফিসে দায়ের হওয়া অভিযোগে দেখা গেছে, ঢাকার মিরপুর মডেল একাডেমি স্কুলের সব শিক্ষার্থী বাংলা বিষয়ে কম নম্বর পেয়েছে। এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাশীষ কুমার বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই খাতাগুলো তলব করে ডিপিই। পরে তা পুনরায় মূল্যায়ন করে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষক শিক্ষার্থীদের ন্যায্য নম্বরের চেয়েও কম দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খাতা মূল্যায়নকারী সায়দাবাদের করাতিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা. সামছুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইভাবে ভোলার দশকান্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় যে, তিনি নম্বর প্রদানে খামখেয়ালির আশ্রয় নিয়েছেন। যে শিক্ষার্থী বেশি পাওয়ার যোগ্য তাকে কম, আবার যার কম পাওয়ার কথা তাকে বেশি নম্বর দেয়া হয়েছে। এ অপরাধে ওই শিক্ষককেও বরখাস্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে লালমোহনের শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে। ফলে এ অফিসারকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গার উপজেলা শিক্ষা অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আলী আকবর, আখাউড়ার অফিস সহকারী মাইনুল হোসেনসহ একাধিক কর্মচারীকেও বরখাস্তের পাশাপাশি বিভাগীয় মামলার মুখোমুখি করা হয়েছে। উত্তরপত্রের গোপন কোড নম্বর ফাঁস করে দেয়ার দায়ে বরগুনার ১৫ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এভাবে কক্সবাজারের রামু উপজেলার রুখসানা, ফুলপুর ডালিয়া আর্দশ কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার সুমী, মাদারীপুর শিবচরের রহিমা আজিজ কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীর অভিভাবক দেলোয়ার হোসেনসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিভাবক-শিক্ষার্থী ও স্কুল শিক্ষকরা ডিপিইতে অভিযোগ করেছেন। পাবনা, বগুড়া, পটুয়াখালী, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এভাবে নানা অভিযোগ জমা পড়েছে। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে এখনও কাজ চলছে। বেশ কয়েকজন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং অফিস সহকারী ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিপিই অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল মঙ্গলবার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, ‘যেসব অভিযোগ পেয়েছি, সবগুলোর প্রতিই আমরা নজর দিয়েছি। ইতিমধ্যে বেশকিছু অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এসব তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় দুর্নীতি ভর করেছে বলে বেশকিছু দিন ধরেই অভিযোগ করছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’র (ক্যাম্পে) নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার বলেছেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় দুর্নীতি ঢুকে গেছে। সর্বশেষ গত ৭ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের এক সভায় তিনি বলেন, সমাপনী পরীক্ষার কারণে একশ্রেণীর শিক্ষক-অভিভাবক দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এ পরীক্ষা আর রাখা ঠিক হবে কিনা- এমন প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে চলতি মাসের গোড়ার দিকে রাজধানীর এলজিইডি ভবনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানেও তিনি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের দাবি তোলেন। শনিবার বিকালে যোগাযোগ করা হলে রাশেদা কে চৌধুরী এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ আমরা পাচ্ছি। শিক্ষকরা এমন ঘটনাও বলেছেন যে, শিক্ষার্থীর অংক হয়নি। কিন্তু ফল না দেখেই নম্বর দিতে বলা হয়েছে। খাতা মূল্যায়নে বানান দেখতে নিষেধ করা হয়েছে। খাতায় উদারভাবে নম্বর দিতে বাধ্য করার মতো ঘটনাও রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই পরীক্ষায় জনভোগান্তির সবচেয়ে বড় জায়গা কোচিং। আমরা ১৪ বছরের ব্যবধানে কোচিং নিয়ে গবেষণায় দেখেছি শুধু সমাপনীর কারণে কোচিং-প্রাইভেট বেড়েছে কয়েক গুণ। এতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম হয়েছে। এভাবে এ পরীক্ষা চলতে পারে না। তিনি এ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, পৃথিবীর আর কোনো দেশে অষ্টম শ্রেণীর আগে পাবলিক পরীক্ষা নেই।’ ডিপিই ও মাঠপর্যায়ের একাধিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, একশ্রেণীর শিক্ষক এবং অফিসার পরীক্ষা নিয়ে এ স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। মূলত নিজের প্রাইভেট পড়ানো ও কোচিংয়ের শিক্ষার্থী বা প্রভাবশালীদের সন্তানকে ভালো ফল করানোর মানসিকতা থেকেই এ ধরনের অনৈতিক কাজ করছেন। এ চক্রটি পরীক্ষার হলে বলে দেয়া বা পরে উত্তরপত্রে নম্বর বাড়িয়ে দেয়া বা নম্বর যোগকালে (ডাটা এন্ট্রি) কম-বেশি করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, যে ৩৫ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে, তার মধ্যে একই ধরনের অভিযোগের সংখ্যা হচ্ছে ৩০ হাজার। প্রকাশিত ফল মনোপূত না হওয়ায় অভিভাবকরা এ অভিযোগ করেন। বাকি ৫ হাজার অভিযোগ বৃত্তির ফল প্রকাশের পর দাখিল হয়েছে। প্রথম ক্যাটাগরির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধরনের অভিযোগের পর কারও ফল পরিবর্তন হলেও তারা বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন না বলে ডিপিইর দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশ না করে ডিপিইর একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০০৯ সালে সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর থেকেই একশ্রেণীর শিক্ষক-অভিভাবক এমনকি শিক্ষা বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৯ ও ২০১০ সালের পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, অধিকাংশ উপজেলায় প্রথম-দ্বিতীয় হয়েছে শিক্ষা অফিসার বা অফিসের অফিসারের মেয়ে বা ছেলে। বিষয়টি ডিপিইর নজরে গেলে পরে এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করলে এ দুর্নীতি বন্ধ হয়। ওই অফিসাররা জানান, মূলত উপজেলাভিত্তিক খাতা মূল্যায়ন হওয়ায় অসাধু ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন। এদিকে বৃত্তির বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে ডিপিইর সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট অনুজ কুমার রায় বলেন, মেধাবৃত্তি উপজেলায় সেরা মেধাবী আর সাধারণ বৃত্তি ইউনিয়নে দু’জন করে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বণ্টন হয়ে থাকে। পরীক্ষার ফল জিপিএ’র ভিত্তিতে হলেও বৃত্তি দেয়া হয় নম্বরের ভিত্তিতে। এতে কোনো শিক্ষার্থী সব বিষয়ে গড়ে ৮০ নম্বর না পেলে জিপিএ-৫ পায় না। কিন্তু অপর শিক্ষার্থী এক বিষয়ে ৮০’র নিচে পাওয়ায় জিপিএ-৫ পায়নি। কিন্তু ৬ বিষয়ে যদি মোট নম্বর জিপিএ-৫-প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর চেয়ে বেশি (নম্বর) পায় তবে সেই শিক্ষার্থীই বৃত্তি পাবে। এখানে দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক হবে না। ২০১৪ সালে ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ২৬৩ শিক্ষার্থী পিইসিতে অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে ২৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৩ জন এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তার মধ্যে ২ লাখ ৪৪ হাজার ১১ জন জিপিএ-৫ পায়। বৃত্তি পেয়েছে ৫৪ হাজার ৫০২ জন। Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-84704296193085231062015-06-21T04:07:00.001+06:002015-06-21T04:07:20.584+06:00ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে অনীহা শিল্প মালিকদের:যুগান্তর<a href="" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="" height="0" width="0"/></a>সাত বছরেও শেষ হয়নি ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনসংক্রান্ত প্রকল্প ‘অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রেডিয়েন্ট’ (এপিআই)। সরকারের সংশ্লিষ্টদের ‘রহস্যজনক’ গাফিলতি ও ওষুধ শিল্প মালিকদের অনীহার কারণেই মূলত ‘কচ্ছপ গতিতে’ চলছে প্রকল্পটির যাবতীয় কাজ। দেশে কাঁচামাল তৈরি করে ওষুধ প্রস্তুত করা হলে মুনাফা কম হবে- এমন আশংকা থেকেই প্রকল্প বাস্তবায়নে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না শিল্প মালিকরা। <a href='http://platinum.ritsads<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acd94d5f' target='_blank'><img src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=780&n=acd94d5f' border='0' alt='' /></a> ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিওর) বেঁধে দেয়া সময় শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশসহ এলডিসিভুক্ত দেশগুলো কাঁচামাল তৈরিতে সক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হলে মেধাস্বত্বের মূল্য যোগ করে অতিরিক্ত দামে কাঁচামাল আমদানি করতে হবে। সেক্ষেত্রে বেড়ে যাবে ওষুধের খুচরা মূল্যের দাম- যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশংকা সংশ্লিষ্টদের। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ডব্লিউটিওর ছাড়ের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়াতে নানা তৎপরতা শুরু করেছে ওষুধ শিল্প মালিকরা। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকেও ‘ম্যানেজ’ করেছেন তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য ওষুধ পণ্যের ক্ষেত্রে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মেধাস্বত্ব অধিকারের ছাড়ের সময় শেষ হচ্ছে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। ডব্লিউটিওর মেধাস্বত্ব অধিকারের বাণিজ্যবিষয়ক (ট্রিপস) চুক্তি অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে ওষুধের কাঁচামাল তৈরিতে সক্ষমতা অর্জন করতে বলা হয়। বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের অধিকার বা মেধাস্বত্বের নীতিমালার আলোকে ডব্লিউটিও ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক ট্রিপস (trade related aspect of intellectual property right) চুক্তি ঘোষণা করে। ডব্লিউটিওর পক্ষ থেকে বলা হয়, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের অধিকার রক্ষায় ন্যূনতম মান নিশ্চিত করতে এই চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সব সদস্য রাষ্ট্রের জন্য এই চুক্তি মানা বাধ্যতামূলক। পরে ২০০১ সালে ডব্লিউটিওর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে গৃহীত দোহা ঘোষণায় ট্রিপস কার্যকর করার ক্ষেত্রে এলডিসির ৫০টি রাষ্ট্রের জন্য চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে এই চুক্তি কার্যকর করতে বাংলাদেশের হাতে সময় আছে আর মাত্র ৬ মাস। ট্রিপস চুক্তি অনুযায়ী ছাড়ের মেয়াদ শেষে কাঁচামাল উৎপাদনে কোনো দেশ ব্যর্থ হলে, সেক্ষেত্রে মেধাস্বত্বের মূল্য যোগ করে অতিরিক্ত দামে কাঁচামাল আমদানি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের অভিযোগ, দেশে কাঁচামাল উৎপাদন করার ব্যাপারে তেমন আগ্রহী নন ওষুধ শিল্প মালিকরা। বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষণা ও উন্নয়নের পরিবর্তে চিকিৎসকদের খুশি করতে এবং ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে বেশি আগ্রহী। এর মূল কারণ কাঁচামাল আমদানিতে যে অর্থ ব্যয় হয়, সেই তুলনায় গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে এর চেয়ে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়। কাঁচামাল উৎপাদন করতে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সার্বক্ষণিকই গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে মেধাস্বত্ব ছাড়ের সুবিধা থাকায় আমদানিতে কম খরচ হয়। এছাড়া কাঁচামাল উৎপাদনে শিল্প মালিকদের নতুন করে বিনিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি রয়েছে শিল্প কারখানা পরিচালনার নানা ঝক্কি। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে ওষুধ শিল্পের মালিকরা এখনও পর্যন্ত প্রকল্পেও কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণের টাকা জমা দেননি। উল্টো তারা চাচ্ছেন ডব্লিউটিওর ছাড়ের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়ানো হোক। এ ব্যাপারে নানা তৎপরতাও শুরু করেছেন তারা। এ সুবিধা থাকলে উৎপাদন খরচ পড়ে কম। পাশাপাশি বিক্রয় মূল্য হয় বেশি। কিন্তু কাঁচামাল উৎপাদন করে ওষুধ তৈরি করা হলে তাদের মুনাফা কম হবে- এমন আশংকা থেকে ওষুধ শিল্প মালিকরা সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকে ‘ম্যানেজ’ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকেও ‘ধীরে চল নীতি’ অনুসরণ করা হচ্ছে। ঝুলে গেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন। সূত্র আরও জানায়, ওষুধ শিল্প মালিকরা যদি শতভাগ আন্তরিক হন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বাভাবিক গতি অব্যাহত থাকে, সেক্ষেত্রে কাঁচামাল তৈরির সক্ষমতা অর্জন করতে বাংলাদেশকে কমপক্ষে আরও তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুক্তাদির যুগান্তরকে বলেন, চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়াতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করছি সরকার চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সচিব জিয়াউল হক যুগান্তরকে বলেন, এপিআই শিল্প পার্কের কাজ শেষ হতে এখনও অনেক সময়ের প্রয়োজন। তবে সমিতির পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চুক্তিও মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়াতে আনুরোধ করা হয়েছে। আশা করছি, মন্ত্রণালয় ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কাঁচামাল উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেই সক্ষমতা অর্জনে আরও কিছু সময়ের প্রয়োজন। কারণ কাঁচামাল উৎপাদন প্লান্টের জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। সামগ্রিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আরও সময় বাড়ানো জরুরি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে এবং কাঁচামাল উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জনে ‘অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রেডিয়েন্ট’ বা এপিআই শিল্প পার্ক স্থাপন কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে। কিন্তু প্রায় সাত বছর ধরে পার্ক স্থাপনের কাজ চললেও বাস্তবায়ন চলছে ধীর গতিতে। নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এ প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় প্রায় ২০০ একর জমিতে চলছে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। এটির সার্বিক তত্ত্বাবধান করছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)। ২০০৯ সালে ২১৩ কোটি টাকার প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন জটিলতায় তিন দফা সময় ও প্রায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ২০১৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে ৩৩১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন বাবদ ৮০ কোটি টাকা ওষুধ শিল্প সমিতির দেয়ার কথা। বিসিকের এ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী শামসুল আলম জানান, এপিআই শিল্প পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগলেও যত দ্রুত সম্ভব প্লট বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টা চলছে। কারণ বর্জ্য শোধনাগার ( সিইটিপি বা এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) বসানোর জন্য ৮০ কোটি টাকা ওষুধ শিল্প সমিতির দেয়ার কথা। কিন্তু প্লট না দিলে তারা টাকা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে। বিসিকের অপর এক বকর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা ছিল গত মে মাসের মধ্যে প্লট বরাদ্দ দেয়া। কিন্তু আনুষঙ্গিক কাজ না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গেছে। প্লট বরাদ্দ দেয়ার কাজটিও কাক্সিক্ষত সময়ের মধ্যে হয়নি। এপিআই শিল্প পার্ক স্থাপন প্রকল্পটি ২০০৮ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পায়। এরপর এর কাজ শুরু হলেও তিন দফা সময় বাড়িয়ে সর্বশেষ চলতি জুনে মেয়াদকাল ধরা হয়। কিন্তু এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত কেবল মাটি ভরাট ও কিছু অংশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এখনও ৫টি পয়েন্টে সীমানা প্রাচীর করা সম্ভব হয়নি। ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে এ পার্কে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি), ডাম্পিং ইয়ার্ড ও ইনসিনারেটর নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করা যায়নি। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ সড়ক ব্যবস্থা, ড্রেন নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন স্থাপন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার কাজও অসমাপ্ত রয়েছে। তবে বিসিকের কার্যালয় ইতিমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক আবদুল বাছেত যুগান্তরকে বলেন, ৩৩১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে এরই মধ্যে ঠিকাদারকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। এতে প্লটের সংখ্যা হবে ৪২টি। ওষুধ শিল্পের প্রকৃত উদ্যোক্তারা প্লটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্লটের প্রতি শতাংশের দাম পড়বে আড়াই লাখ টাকা- যা কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ থাকবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ওষুধ তৈরিতে ৯৭ শতাংশ কাঁচামালই আমদানি করতে হয়। দেশে ১৫টি প্রতিষ্ঠান স্বল্প পরিসরে ৪৩টি ওষুধের কাঁচামাল তৈরি করতে পারলেও নতুন মলিকিউল তৈরির সক্ষমতা এখনও অর্জিত হয়নি। এমনকি চূড়ান্ত হয়নি প্যাটেন্ট আইন। তারা জানান, মুন্সীগঞ্জের বাউশিয়ায় ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য এপিআই শিল্প পার্কের কাজ চললেও উৎপাদন শুরু হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত লেগে যাবে। এর আগেই ২০১৬ সাল থেকে ট্রিপস চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হলে ওষুধের দাম অনেক বেড়ে যাবে। অনেকেই তা বহন করতে পারবে না। পাশাপাশি ওষুধ রফতানিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বর্তমানে বাংলাদেশের ওষুধ বিশ্বের ৭০টি দেশে রফতানি হচ্ছে। উৎপাদন খরচ বাড়লে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাবে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবম ফারুক যুগান্তরকে বলেন, ট্রিপস চুক্তির প্রভাবে অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধের মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাবে। সাধ্য মতো ওষুধ না পাওয়ায় দরিদ্র পরিবারে মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। যার প্রধান শিকার হবে দেশের নারী ও শিশুরা। এছাড়া ছোট ও মাঝারি পর্যায়ের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে বেকার হয়ে পড়বে কয়েক লাখ মানুষ। তিনি বলেন, বর্তমানে যে ওষুধ আমরা ১ টাকায় কিনতে পারি, ট্রিপস চুক্তি কার্যকর হলে তার দাম বেড়ে দাঁড়াবে ১০ টাকা। আর ১০ টাকার ওষুধের দাম গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ১০০ টাকায়। এর ফলে ওষুধের দাম চলে যাবে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। একই সঙ্গে মেধাস্বত্ব মূল্য এবং বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় গিয়ে দেশীয় ওষুধ শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। যার প্রত্যক্ষ এবং প্ররোক্ষ শিকারে পরিণত হবে দেশের স্বল্প আয়ের মানুষ। তিনি বলেন, হাতে আর সময় না থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এর ভয়াবহ পরিণতি পুরো জাতিকেই বহণ করতে হবে। Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-49177925476557800662015-06-19T04:29:00.003+06:002015-06-19T04:29:19.619+06:00মুস্তাফিজ নামের বিস্ময়:প্রথম অালো<a href="" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="" height="0" width="0"/></a>সেজো ভাই মোখলেছুর রহমানের কথা খুব মনে পড়ছিল। শীতের ভোরে এই ভাই-ই তো মোটরসাইকেলে চড়িয়ে বাড়ি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের সাতক্ষীরা শহরে দিয়ে আসতেন তাঁকে অনুশীলনের জন্য! ওয়ানডে অভিষেকেই ৫ উইকেট, সে সুবাদে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও উঠে গেল হাতে। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের এমন আলো ঝলমলে রাতে সেই ভাইকে কীভাবে ভুলে থাকেন ১৯ বছর বয়সী মুস্তাফিজুর রহমান! মুস্তাফিজের মনে পড়ল পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>ও, যাদের অকৃত্রিম সহযোগিতায় তিনি আজ ক্রিকেটার, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বলতম নবীন তারকা। মনে পড়ল বরেয়া মিলনি স্কুল আর সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের কথা, যেখানে একসময় ফাইভ স্টার বলে ব্যাটসম্যান হিসেবে শুরু তাঁর ক্রিকেটার জীবনের। অনূর্ধ্ব-১৭ ক্রিকেটারদের ক্যাম্পে অংশ নিয়ে প্রথম ঢাকার ক্রিকেট দেখা সেই মুস্তাফিজ বাংলাদেশ দলের আরেকটি ভারত-বধের নায়ক। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের কেন্দ্রীয় চরিত্রও। কাছের মানুষদের কাছে মুস্তাফিজ মোটেও লাজুক ছেলে নন। আবার খুব যে হইচই করা ছেলে, তাও না। সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ আর দশটা ছেলের মতোই তাঁর জীবন, চরিত্র। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনের মুস্তাফিজকে দেখে কে বলবে সে কথা? যে রাতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের অমন নাকানিচুবানি খাইয়ে ছাড়লেন, সেই রাতেই কত নিচু তাঁর স্বর! মাইক্রোফোনের সামনে বসেও শ্রোতাদের শোনাতে পারছিলেন না সব কথা। কখনো বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম, কখনোবা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মাইক্রোফোন টেনে উত্তর দিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁর হয়ে। পাঁচ উইকেট পাওয়া নিয়ে মুস্তাফিজের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পেয়েছি, তাও ভারতের বিপক্ষে...সে জন্য খুব খুশি লাগছে।’ তা এর মধ্যে কোন উইকেটটা পেয়ে বেশি ভালো লেগেছে? এবার উত্তরটা আরও সংক্ষিপ্ত, ‘সব উইকেট পেয়েই ভালো লেগেছে।’ এক ম্যাচেই বিখ্যাত হয়ে যাওয়া তাঁর স্টক বল ‘কাটার’ নিয়েও অনেক কৌতূহল দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের। মুস্তাফিজ সেটা মেটালেন এভাবে, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকা অবস্থায়, এরপর জাতীয় দলের অনুশীলনেও এটা অনেক প্র্যাকটিস করেছি।’ এই প্রশ্নে বাড়তি একটা গল্পও শোনালেন তিনি, ‘প্র্যাকটিসে বিজয় (এনামুল) ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন এই বলটা করে দেখতে। করার পর দেখলাম উনি নিজেও এটা খেলতে পারছেন না।’ প্রথম ওয়ানডের একাদশে চার পেসার নেওয়ার মতোই বিস্ময় হয়ে এসেছিল নতুন বলে মুস্তাফিজের প্রথম ওভার করা। রোহিত শর্মা-শিখর ধাওয়ানদের বিপক্ষে এমন গুরুদায়িত্ব পেয়ে ভীষণই রোমাঞ্চিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সে জন্য ধন্যবাদ দিলেন অধিনায়ক মাশরাফিকেও। গল্পের বাকিটা বললেন মাশরাফি, ‘আমি অনেক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম ওকে দিয়ে প্রথম ওভার করাব। কারণ ও একদমই নতুন বোলার, তার কাটারটা খেলা খুব কঠিন। স্পিনারদের বলের চেয়েও বেশি টার্ন করে ওটা। এ ধরনের উইকেটে এই বল খেলা যায় না।’ বাঁহাতি এই পেসারের দলে আসার পেছনেও কাজ করেছে তাঁর বোলিং বৈচিত্র্য। ‘আরাফাত সানির সাম্প্রতিক যা পারফরম্যান্স, ওকে আসলে বাদ দেওয়া যায় না। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল মুস্তাফিজ এখানে সফল হবেই। ওকে বাদ দিলে আমাদের কী ধরনের ক্ষতি হবে, দল নির্বাচনের সময় আমরা বরং সে আলোচনাই বেশি করেছি’—বলছিলেন মাশরাফি। ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও পঞ্চমুখ হয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন আবিষ্কৃত এই তরুণ পেসারের, ‘ওর বোলিং বৈচিত্র্য অনেক ভালো। সেটা কাজে লাগিয়েই সফল হয়েছে সে।’ আর তাতেই বিধ্বস্ত পরাক্রমশালী ভারতীয় ব্যাটিং! জেগে উঠছে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের স্বপ্নও। বাংলাদেশ অধিনায়ক অবশ্য একটা ম্যাচ জিতেই আকাশে উড়তে চাইছেন না। এগোতে চান ম্যাচ ধরে ধরেই। তার মানে আপাতত তাদের চোখ ২১ জুনের দ্বিতীয় ওয়ানডের ওপর। কিন্তু ওটা জিতলেই যে জেতা হয়ে যায় সিরিজও! প্রথম ম্যাচে জেতার পর সিরিজে বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্যটার কথা কি আর বলে দেওয়ার প্রয়োজন আছে?Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-50272780531303489262015-06-19T04:29:00.001+06:002015-06-19T04:29:12.204+06:00বাংলাদেশ এখন সত্যিই বাঘ:প্রথম অালো<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-UotulVG4XNM/VYNGM7LlQsI/AAAAAAAAPGo/yON-XelQ-ag/60a6858b185ae377955d9453a4c79dba-19.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-UotulVG4XNM/VYNGM7LlQsI/AAAAAAAAPGo/yON-XelQ-ag/60a6858b185ae377955d9453a4c79dba-19.jpg" height="168" width="225"/></a>শূন্যে লাফিয়ে বুকে বুক লাগিয়ে উদ্যাপন! মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তাসকিন আহমেদের সৌজন্যে যেটি বিখ্যাত হয়ে গেছে ক্রিকেট বিশ্বেই। বাংলাদেশের মানুষের মনে যা বিশ্বকাপের অমর ছবিও। মাশরাফি-তাসকিন মনে হচ্ছে পুনরাবৃত্তিতে বিশ্বাসী নন। কাল মিরপুরে ভারত-বধ কাব্য লেখার পর দুজন তাই ভিন্ন কিছু করার সিদ্ধান্ত নিলেন। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কোমর দুলিয়ে নাচ! গ্যালারিও তখন নাচছে। পুরো বাংলাদেশও কি নয়! যেনতেন জয় হলেও বাতাসে উড়<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>ে বেড়াত আনন্দের রেণু। আর এখানে বাংলাদেশ কি না জিতল ৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে! এমনই দাপুটে জয় যে, আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির অনেক আগেই আসলে ম্যাচের ফল জানা হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ‘টাইগার’ নাম নিয়ে একটা সময় বিস্তর টীকাটিপ্পনী শুনতে হতো। নামে বাঘ, আসলে বিড়াল—এমন অপমানজনক কথাও। অবশেষে কি সেসব ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এল! নামে বাঘ, মাঠের বাংলাদেশও তো এখন বাঘের মতোই ক্ষিপ্রতা আর শক্তির প্রতিচ্ছবি। মেলবোর্ন ফিরে ফিরে আসছিল। বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের কারণে বাংলাদেশের মানুষের মনে দগদগে এক ক্ষত হয়ে আছে ওই ম্যাচ। এরপর দুই দলের এটাই প্রথম দেখা। প্রথম সুযোগেই সেই ক্ষতে প্রলেপ বোলানোর কাজটা করে ফেললেন মাশরাফিরা। যেটির মাহাত্ম্য শুধুই একটি জয়ে আটকে নেই। সিরিজে এখন যা-ই হোক না কেন, ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বরে উঠে গেছে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অলীক কল্পনা থেকে এখন ঘোরতর বাস্তবের সীমানায়। এমন দাপুটে জয়টাকে যদি চমক বলেন, সবচেয়ে বড় চমকটা ম্যাচ শুরুর আগেই। এত দিন দেশের মাটিতে বাংলাদেশের ওয়ানডে সাফল্যের রেসিপি ছিল একটাই—স্পিনের ঘূর্ণিজালে প্রতিপক্ষকে জড়িয়ে ফেলা। সেখান থেকে সরে এসে বাংলাদেশ দলে কিনা চার পেসার! নতুন কিছু করলে তা নিয়ে সংশয়মিশ্রিত প্রশ্ন থাকবেই। সেটি আরও বড় হয়ে উঠল বাংলাদেশের ইনিংস শেষে। ভারতের তিন পেসারের কাউকে দিয়েই ১০ ওভার করাননি ধোনি। তিনজন মিলে মোট ১৯.৪ ওভার। অনিয়মিত স্পিনার সুরেশ রায়না যেখানে টানা ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার। বাংলাদেশ কি তাহলে ভুলই করল? মাশরাফি-রুবেল-তাসকিন ঠিক আছে, আনকোরা মুস্তাফিজুরকেও নামিয়ে দেওয়াটা কি দুঃসাহসী জুয়া খেলাই হয়ে গেল না? এই প্রশ্নের উত্তর কী দুর্দান্তভাবেই না দিলেন লিকলিকে এই তরুণ! বাংলাদেশের ক্রিকেটে ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব বললে মাশরাফি বিন মুর্তজার কথাই মনে পড়ে। মুস্তাফিজুরের গল্পও তো এর চেয়ে কম রোমাঞ্চকর নয়। বছর দুয়েক আগে সাতক্ষীরা থেকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পেস বোলিং ট্রায়াল দিতে এসে প্রথম দৃশ্যপটে। সেখান থেকে দ্রুতই অনূর্ধ্ব-১৯ ও ‘এ’ দলে। গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক। তখন কজনই বা তাঁকে চিনত! চিনিয়ে দিলেন প্রথম ম্যাচেই। ২০ রানে ২ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে প্রথম উইকেট শহীদ আফ্রিদি। ওয়ানডেতে প্রথম উইকেটটিও কম বড় নাম নয়। ওয়ানডেতে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির একমাত্র মালিক ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে পোড়ানো রোহিত শর্মা। বাঁহাতি পেসারদের সহজাত কোনাকুনি বলটা এমন দারুণ জায়গায় ফেলেন যে, ডানহাতি ব্যাটসম্যানরা তাতে হাবুডুবু খেতে বাধ্য। এর সঙ্গে আততায়ী এক কাটার, কালকের ম্যাচের পর যে কাটার এখন বাংলাদেশের ক্রিকেট রূপকথার অংশ। ৫টি উইকেটই কাটারে। এর মধ্যে পরপর দুই বলে রায়না ও অশ্বিনকে আউট করে সম্ভাবনা জাগালেন হ্যাটট্রিকেরও। এক বছর এক দিন আগে এই মিরপুরে এই ভারতের বিপক্ষেই অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের সেই আনন্দ পূর্ণতা পায়নি দল হেরে গিয়েছিল বলে। কাল মুস্তাফিজুরের সেই দুঃখও থাকল না। অভিষেকে ৫ উইকেট, দলের জয় এবং তাঁর হাতে ম্যান অব দ্য ম্যাচের ট্রফি। স্বপ্নের দিন বোধ হয় এমনই হয়! বাংলাদেশ দলকে যদি বাঘের সঙ্গে মেলান, মুস্তাফিজুরকে তো মেলানো যায় আরও বেশি। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল সুন্দরবন তো তাঁর বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয়। মুস্তাফিজুরকে নামিয়ে দিয়ে তাঁর হাতে নতুন বল তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা মাশরাফির বলেই ধরে নেওয়া যায়। সে জন্য তাঁর করতালি প্রাপ্য। ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটাই বাংলাদেশের প্রথম ওভারটি করেছেন। সিদ্ধান্তটা তাই সহজ ছিল না। মেলবোর্নের সঙ্গে মেলানো হচ্ছে মিরপুরকে। হবেই। দশ বছর আগে-পরের ১৮ জুনে দারুণ আরেকটি মিলও কিন্তু আছে। ২০০৫ সালের এই দিনেই কার্ডিফে লেখা হয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের অমর এক কাব্য। সে সময়ের অজেয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে জয় ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটনগুলোর মধ্যে থাকে। পার্থক্য বলতে কালকের জয়কে অঘটন বলার উপায় নেই। নামে বড় দলগুলোর বিপক্ষে জয়টাকে বাংলাদেশ এমনই নিয়মিত বানিয়ে ফেলেছে যে, এখন ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ কখনো কখনো অঘটনের শিকার হয়, নিজেদের জয় আর অঘটন বলে বিবেচিত হয় না। ম্যাচের আগের দিন দুই অধিনায়কই মেলবোর্নকে ভুলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। মনে মনে বোধ হয় ঠিকই ছিল ওই স্মৃতি। নইলে মাঠে এমন বারুদ ছুটবে কেন! আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রমশ ঝাঁজালো হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে ধোনি বলেছিলেন, সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, মাঠে কখনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। ধোনিই কিনা সেই ‘অপ্রীতিকর কিছু’ ঘটালেন! বোলিং করে মুস্তাফিজুর রহমান এর আগেও একবার ব্যাটসম্যানের দৌড়ের পথে চলে গিয়েছিলেন। আবারও তা করায় ধোনি কনুই দিয়ে এমনই প্রবল এক ধাক্কা দিলেন যে, শরীরে-স্বাস্থ্যে–শক্তিতে ধোনির অর্ধেক মুস্তাফিজুরকে ওভার অসমাপ্ত রেখেই বেরিয়ে যেতে হলো মাঠ ছেড়ে। ফিরে এসে তিন উইকেট নিয়ে জবাবটা ভালোমতোই দিয়েছেন। আবির্ভাবেই এমন উজ্জ্বল যে, দুটি করে উইকেট নিয়ে তাসকিন ও সাকিব সংগতকারীর বেশি কিছু নন। বাংলাদেশের ইনিংসে অবশ্য নির্দিষ্ট কাউকে এমন নায়কের আসনে বসানো যাচ্ছে না। অনেকগুলো নাম সেখানে প্রায় সমান জ্বলজ্বলে—তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান...। ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো তিন শ পেরোনোয় অবদান আছে সাব্বির, নাসির ও মাশরাফিরও। তামিম ও সৌম্যর উদ্বোধনী জুটিটিই বেঁধে দিয়েছিল ম্যাচের সুর। তামিমের ব্যাটে রুদ্ররূপের সঙ্গে ক্রিকেট বিশ্বের ভালোই পরিচয় আছে। সৌম্যও নিজেকে ভালোভাবেই চেনাচ্ছেন। নামের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের কোনো মিল নেই। ‘সৌম্য’র বদলে নামটা ‘রুদ্র’ হলেই বরং ভালো মানাত! দুজন পাল্লা দিয়ে শট খেলে মাত্র ৭৯ বলে স্কোরবোর্ডে এক শ তুলে দিলেন। বড় আট দলের বিপক্ষে যা বাংলাদেশের দ্রুততম এক শ। বৃষ্টির কারণে এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশের ইনিংস যখন আবার শুরু হলো, নিজের চার ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ইনিংসটাকে বেপথু করে দিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সাকিব ও সাব্বিরের ৮৩ রানের জুটিতে যেটি আবার কক্ষপথে ফিরল। ৩০৭ রান করার পরও শঙ্কা ছিল। ওয়ানডেতে এটা এখন আর মোটেই অনতিক্রম্য কোনো স্কোর নয়। তার ওপর ভারতের ওই প্রমত্ত ব্যাটিং লাইনআপ। কে জানত, সেটিকেই এমন তাসের ঘর বানিয়ে দেবেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ। মুস্তাফিজুর রহমান!Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-64133768455647046062015-06-19T04:28:00.009+06:002015-06-19T04:28:53.752+06:00পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৫ শিক্ষার্থী আহত:প্রথম অালো<a href="" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="" height="0" width="0"/></a>রাজধানীর মিরপুরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বহিরাগতদের সঙ্গে সংঘর্ষের জের ধরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে এ ঘটনা ঘটে। মিরপুর ১৪ নম্বরে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ অবস্থিত। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে কলেজের মাঠে বহিরাগত কয়েকজন যুবক আড্ডা দিচ্ছিল। এ ছাড়া আরও কয়েকজন যুবক ক্রিকেট খেলছিল। এ সময় কল<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>েজের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিতে যান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এর জের ধরে বহিরাগত কয়েকজন যুবক রাত নয়টার দিকে কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে মিরপুর ১৩ নম্বরে হারম্যান মেইনার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে থেকে মিরপুর ১০ থেকে ১৩ ও ১৪ নম্বর সড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে চাইলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে এ অবস্থা চলে। এ সময় আশপাশের সড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে। পুলিশ তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে। একপর্যায়ে পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, শিক্ষার্থীরা ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে সাংবাদিকদের জানান, বখাটে যুবকেরা হাসপাতাল ও কলেজ ক্যাম্পাসে আড্ডা দেয়। এদের মধ্যে অনেকেই মাদকাসক্ত। বিভিন্ন অপকর্মের পাশাপাশি তারা প্রায়ই মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছে। এ কারণে তাদের ক্যাম্পাস ছাড়তে বলা হয়। কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাইউম প্রথম আলোকে বলেন, বহিরাগতরা ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের মাঠে ক্রিকেট খেলতে গেলে কলেজের শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পদক্ষেপ নিয়েছে। ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কলেজের অধ্যক্ষ রহিমা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এর আগেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্থানীয় সাংসদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল। বহিরাগতরা কলেজের শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে মারধর করেছে। এ ঘটনায় বহিরাগতদের বিরুদ্ধে কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-81290924804590329542015-06-19T04:28:00.007+06:002015-06-19T04:28:48.983+06:00সাংসদপুত্রই তাঁর পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়েছিলেন:প্রথম অালো<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-wpbBTm9efbw/VYNGHKBsI_I/AAAAAAAAPGg/dtP3pcvnV30/aa7acd710373000db14303544c3a4d76-17.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-wpbBTm9efbw/VYNGHKBsI_I/AAAAAAAAPGg/dtP3pcvnV30/aa7acd710373000db14303544c3a4d76-17.jpg" height="131" width="175"/></a>সাংসদপুত্র বখতিয়ার আলম রনির লাইসেন্স করা পিস্তল থেকেই গুলি বেরিয়েছিল। অটোরিকশাচালক ইয়াকুবের শরীর থেকে উদ্ধার হওয়া গুলিটির ধরন পয়েন্ট ৩২ বোরের, যা সাংসদপুত্র কিনেছিলেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ব্যালাস্টিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। তবে এই গুলিতেই ইয়াকুব নিহত হয়েছিলেন কি না, সেটি ওই প্রতিবেদনে বলা হয়নি। সিআইডি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ব্যালাস্টিক প্রতিবেদন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা <a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। জব্দ করা অস্ত্র থেকে গুলি বের হয়েছে কি না, সেই গুলিতেই কেউ মারা গেছে কি না, সেগুলো নিশ্চিত হওয়ার পরীক্ষাকে ব্যালাস্টিক প্রতিবেদন বলে। প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলীর শরীর থেকে উদ্ধার করার সময় গুলিটি ভেঙে যায়। তাই ব্যালাস্টিক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ভাঙা গুলিটি পয়েন্ট ৩২ বোরের। বখতিয়ার আলমের কেনা গুলিও একই বোরের। আর রিকশাচালক হাকিমের পেট দিয়ে গুলি ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। তাঁর শরীরে কোনো গুলি পাওয়া যায়নি। গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর ইস্কাটনে রিকশাচালক আবদুল হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ডিবি পুলিশ বখতিয়ার আলম ও গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে ৩১ মে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমরান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ১৩ এপ্রিল রাতে যানজটে আটকা পড়ে বখতিয়ার এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েন। ৪ জুন বখতিয়ারের লাইসেন্স করা পিস্তল ও ২১টি গুলি জব্দ করা হয়। এরপর পিস্তলের ব্যালাস্টিক প্রতিবেদনের জন্য পিস্তলটি সিআইডিতে পাঠানো হয়। বখতিয়ারের মা সাংসদ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খান। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে বখতিয়ার বলেন, তাঁর ছোড়া গুলিতে দুই শ্রমজীবী হাকিম ও ইয়াকুব মারা যান। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বখতিয়ার তুরস্কের কেনা লাইসেন্স করা পিস্তল (৭.৬৫) দিয়ে গুলি ছুড়লেও নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেননি। ১৩ এপ্রিল রাতে বখতিয়ার তাঁর মায়ের প্রাডো গাড়ির ভেতর থেকে গুলি ছোড়ার সময় দুই বন্ধু কামাল মাহমুদ ও মো. কামাল ওরফে টাইগার কামাল গাড়িতে ছিলেন। তাঁরা সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আরেক বন্ধু জাহাঙ্গীর আলমও এ ঘটনায় সাক্ষ্য দিয়েছে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, সাংসদপুত্রকে রিমান্ডে নিতে আবারও আবেদন করা হবে। পরে তাঁকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হবে। দুই বন্ধুর জবানবন্দি: নিউ ইস্কাটনে ১৩ এপ্রিল রাতে যানজটে পড়ে বিরক্ত হয়ে বখতিয়ার পিস্তল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে দুজন মানুষ মারা যান। গতকাল বখতিয়ারের দুই বন্ধু মো. কামাল ওরফে টাইগার কামাল এবং জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গুলি ছোড়ার সময় বখতিয়ারের গাড়িতে তাঁর বন্ধু মো. কামাল ও জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন। এর আগের দিন গত বুধবার বখতিয়ার আলমের আরেক বন্ধু আবাসন ব্যবসায়ী কামাল মাহমুদ সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন। আদালত সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীর ও কামালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই দীপক কুমার দাস তাঁদের ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে যান। জবানবন্দি দিয়ে পরে তাঁরা বাসায় ফিরে যান। মামলার তদন্ত ও আদালত-সংলিষ্ট সূত্র জানায়, সাক্ষী জাহাঙ্গীর ও কামাল জবানবন্দিতে বলেন, কল্যাণপুরে একটি জমির বেচাকেনা নিয়ে কথা বলতে তাঁদের বাংলামোটরে শ্যালে বারে ডেকে পাঠান সাংসদপুত্র বখতিয়ার। সেখানে তাঁরা মদপান করেন। তখন বখতিয়ারের সঙ্গে তাঁদের আরেক বন্ধু কামাল মাহমুদ ছিলেন। রাত ১১টায় শ্যালে বার বন্ধ হয়ে যায়। তখন বখতিয়ার তাঁকে সোনারগাঁও হোটেলে মদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে বন্ধু জাহাঙ্গীরকে বলেন। এতে জাহাঙ্গীর রাজি হলে তাঁরা চারজন (কামাল মাহমুদসহ) বখতিয়ারের প্রাডো গাড়িতে করে সোনারগাঁও হোটেলে আসেন। সেখানে বখতিয়ারের সঙ্গে আবার মদপান করেন। জবানবন্দিতে তাঁরা বলেন, রাত দেড়টার দিকে তাঁরা সোনারগাঁও হোটেল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন। চালক ইমরান গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বখতিয়ার বসেন চালকের পাশের আসনে। কামাল মাহমুদসহ তিন বন্ধু পেছনে। প্রথমে জাহাঙ্গীরকে মগবাজার ডাক্তার গলির সামনে নামিয়ে দেওয়া হয়। কামাল আদালতকে বলেন, রাত পৌনে দুইটার দিকে নিউ ইস্কাটনে এলএমজি টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে গাড়ি যানজটে আটকে যায়। এতে অসহ্য হয়ে বখতিয়ার পিস্তল দিয়ে চার-পাঁচটি গুলি ছোড়েন। গুলি করতে দেখে তাঁরা বখতিয়ারকে বলেন, এটা কী করলা? জবাবে বখতিয়ার বলেন, কিছু হবে না, চুপ থাক।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-77730786907466133812015-06-19T04:28:00.005+06:002015-06-19T04:28:37.077+06:00সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের টাকা বাড়ছে:যুগান্তর<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-7L1sQaDgo28/VYNGD1lfVuI/AAAAAAAAPGY/r9yM8A4mQGM/3._281001.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-7L1sQaDgo28/VYNGD1lfVuI/AAAAAAAAPGY/r9yM8A4mQGM/3._281001.jpg" height="124" width="94"/></a>সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) বাংলাদেশী নাগরিকদের জমা টাকার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে টাকা পাচার, বিদেশে কর্মরত অনেক বাংলাদেশী নাগরিক সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে টাকা জমা রাখেন বলে সেখানে বাংলাদেশীদের জমা টাকার পরিমাণ বেড়েই যাচ্ছে। এক বছরে বাংলাদেশীদের জমা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৪০ দশমিক ৭২ শতাংশ। সুইস ব্যাংকে ২০১৪ সালে বাংলাদেশীদের জমার পরিমাণ ব<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>েড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৬০ লাখ সুইস ফ্র্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা (প্রতি সুইস ফ্র্যাংক ৯০ টাকা হিসাবে)। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে তা ছিল ৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। এ হিসাবে এক বছরে বেড়েছে ১ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত এবং পাকিস্তানের পরই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। <a href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acd94d5f' target='_blank'><img src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=780&n=acd94d5f' border='0' alt='' /></a> প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো বাংলাদেশী তার নাগরিকত্ব গোপন করে টাকা জমা রাখলে সেসব তথ্য এই প্রতিবেদনে নেই। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, দেশে বিনিয়োগ না হওয়ায় পুঁজি পাচার হচ্ছে। পাচার করা টাকার একটি অংশ সুইস ব্যাংকগুলোতে জমা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা। প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের আমানতও বেড়েছে। ২০১৪ সালে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি ফ্র্যাংক। আগের বছর যা ছিল ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি ফ্রাংক। আমানত রাখার ক্ষেত্রে এ বছরও প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, অফিসিয়ালি বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুইজ ব্যাংকে যেসব টাকা জমা হয়েছে সেগুলো প্রবাসীদের টাকা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা যাওয়া তো দূরের কথা, উল্টো বিদেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স বাবদ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক খতিয়ে দেখবে। বাংলাদেশীদের আমানত : গত ১২ বছরের মধ্যে ২০১৪ সালেই বাংলাদেশীরা সবচেয়ে বেশি আমানত রেখেছে সুইস ব্যাংকে। আলোচ্য সময়ে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশীদের আমানতের পরিমাণ বেড়ে ৫০ কোটি ৬০ লাখ ফ্র্যাংক হয়েছে। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে ছিল ৩৭ কোটি ২০ লাখ ফ্র্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। ২০১২ সালে ছিল ২২ কোটি ৯০ লাখ ফ্র্যাংক। ২০১১ সালে ছিল ১৫ কোটি ২০ ফ্র্যাংক। এগুলো শুধু নগদ অর্থের হিসাব। ব্যাংকের ভল্টে স্বর্ণালংকার, শিল্পকর্ম বা অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র জমা রাখলে তার আর্থিক মূল্য আমানতের এই হিসাবের সঙ্গে যোগ হয়নি। সেগুলোর হিসাব রয়েছে আলাদা। ১০ বছরে বাংলাদেশীদের আমানত : সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশীদের আমানত ২০০২ সালে ছিল ৩ কোটি ১০ লাখ ফ্র্যাংক, ২০০৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ কোটি ১০ লাখ ফ্র্যাংকে। ২০০৫ সালে এর পরিমাণ দ্বিগুণের বেশিও বেড়ে দাঁড়ায় ৯ কোটি ৭০ লাখ ফ্র্যাংকে। ২০০৬ সালে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ৪০ লাখ ফ্র্যাংক। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এর পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ কোটি ৩০ লাখ ফ্র্যাংকে। ওই সময়ে সরকার বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করলে ২০০৮ সালে এর পরিমাণ নাটকীয়ভাবে কমে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৭০ লাখ ফ্র্যাংক। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এলে সুইস ব্যাংককে বাংলাদেশীদের জমার পরিমাণ আবার বেড়ে ১৪ কোটি ৯০ লাখ এবং ২০১০ সালে তা আরও বেড়ে ২৩ কোটি ৬০ লাখ ফ্র্যাংকে দাঁড়ায়। এশিয়ার অন্যান্য দেশের আমানত : এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে চীনা নাগরিকদের জমা ৮১০ কোটি ফ্র্যাংক, মালয়েশিয়ানদের জমা ৩৩৬ কোটি, থাইল্যান্ডের ৩০৫ কোটি, দক্ষিণ কোরিয়ার ২৭৬ কোটি, ভারতের ১৭৭ কোটি, পাকিস্তানের ১২৩ কোটি, শ্রীলংকার ৮ কোটি ২০ লাখ, নেপালের ১০ কোটি ২০ লাখ, মিয়ানমারের ৬ কোটি, মালদ্বীপের ১ কোটি ৭০ লাখ এবং আফগানিস্তান ১ কোটি ৪০ লাখ ফ্র্যাংক অর্থ জমা রয়েছে। মোট আমানত : প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচ্য সময়ে বিশ্বের সবগুলো দেশের আমানত বেড়েছে। ২০১৪ সালে সুইস ব্যাংকে বিদেশীদের মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬৪ কোটি ফ্র্যাংক। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে ছিল ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি ফ্র্যাংক। এ হিসেবে মোট আমানত বেড়েছে ১৫ হাজার ২১৩ কোটি ফ্র্যাংক। ২০১২ সালে ছিল ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি ফ্র্যাংক। এ হিসাবে ওই বছর মোট আমানত কমেছিল ৬ হাজার কোটি ফ্র্যাংক। এছাড়া ২০১১ সালে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি, ২০১০ সালে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি এবং ২০০৯ সালে ছিল ১ হাজার ৩৩ হাজার কোটি ফ্র্যাংক। শীর্ষ দেশ : সুইস ব্যাংকে বিদেশীদের মধ্যে অর্থ জমা রাখার দিক থেকে ২০১৩ সালের মতো ২০১৪ সালেও শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির নাগরিকদের মোট জমার পরিমাণ ৩২ হাজার ১৫৫ কোটি ফ্র্যাংক। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তাদের নাগরিকদের জমার পরিমাণ ৯ হাজার ২০৬ কোটি ফ্র্যাংক। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি, তাদের জমা ৫ হাজার ১৪৩ কোটি ফ্র্যাংক। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে হংকং, তাদের জমা ৩ হাজার ৩৪৭ কোটি ফ্র্যাংক। পানামা রয়েছে পঞ্চম অবস্থানে, তাদের জমা ২ হাজার ৮৫৯ কোটি এবং ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর, তাদের জমার পরিমাণ ২ হাজার ৪১০ কোটি ফ্র্যাংক। এর আগে মালয়েশিয়ান সরকারের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রকল্পে বিনিয়োগে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। চীন প্রথম অবস্থানে। এগুলো সবই হয়েছে টাকা পাচারের মাধ্যমে। নিয়ম অনুযায়ী কোনো নাগরিকের বিদেশে টাকা নিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নিয়ে বিদেশে কোনো ব্যক্তি বিনিয়োগ করেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ধরনের কোনো অনুমোদনও দেয় না। ফলে ওই খাতে বাংলাদেশীরা যেসব অর্থ বিনিয়োগ করেছে তা পাচারের মাধ্যমে করেছে। তবে বিদেশে যারা আয় করেন তাদের সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে বাংলাদেশের আইনে কোনো সমস্যা নেই। আর তিনি আয়করের আওতায় এবং প্রবাসী কোটায় কোনো সুবিধা নিয়ে থাকলে বিদেশে সম্পদ থাকার তথ্যও তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করতে হবে। এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো নাগরিক বিদেশে টাকা রাখলে তা দেশ থেকে পাচার বলে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, গত কয়েক বছর পর্যন্ত টাকা পাচার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এর কারণ হল দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ নেই। ফলে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। তিনি বলেন, বিনিয়োগে স্থবিরতার পরও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এটি অস্বাভাবিক। এর অর্থ হল ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে দেশ থেকে টাকা পাচার হয়েছে। সূত্র জানায়, সুদীর্ঘ সময় ধরে ধনীদের অর্থ গোপনে জমা রাখার জন্য বিখ্যাত সুইজারল্যান্ড। ৮০ লাখ মানুষের এ দেশটিতে ব্যাংক আছে ২৮৩টি। বিশ্বের বড় বড় ধনীরা অর্থ পাচার করে দেশটির বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে জমা রাখে। ব্যাংকগুলোও কঠোর গোপনীয়তায় তা রক্ষা করে। আগে সুইস ব্যাংকে জমা টাকার কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হতো না। এমনকি আমানতকারীর নাম-ঠিকানাও গোপন রাখা হতো। একটি কোড নম্বরের ভিত্তিতে টাকা জমা রাখা হতো। কিন্তু বিশ্বব্যাপী টাকা পাচার রোধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ব্যাপকভাবে কার্যকর করায় আন্তর্জাতিক চাপে সুইস ব্যাংক জমা টাকার তথ্য প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে তারা ওই সময় থেকে বিভিন্ন দেশের জমা টাকার তথ্য প্রকাশ করছে। ওই প্রতিবেদনে কোন দেশের কত টাকা জমা আছে সে তথ্য তারা প্রকাশ করছে। তবে আমানতকারীদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করছে না। ফলে পাচারকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে না। পাচারকারীরা পর্দার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। টাকা পাচার : অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মধ্যে ভারসাম্যহীনতায় পুঁজি পাচার হয়। এ হিসেবে দেখা গেছে, দেশে সঞ্চয় বাড়ছে, কিন্তু বিনিয়োগ বাড়ছে না। ওই টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। নানাভাবে টাকা পাচার হচ্ছে। পণ্য আমদানির নামে ঋণপত্রের মাধ্যমে। কম দামে কম পণ্য এনে দেনা শোধ করা হচ্ছে বেশি দাম বা বেশি পণ্য দেখিয়ে। রফতানি পণ্যের একটি অংশের মূল্য দেশে আসছে না। ওই টাকাও পাচার হয়ে যাচ্ছে। দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে। নগদ ডলার বা স্বর্ণের মাধ্যমেও দেশ থেকে টাকা চলে যাচ্ছে বিদেশে। এছাড়া চিকিৎসা ব্যয়, বিদেশ ভ্রমণ, লেখাপড়ার খরচ এসব মাধ্যমেও টাকা পাচার হচ্ছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমেও টাকা পাচারের ঘটনা ধরা পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনা আবিষ্কৃত হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) রিপোর্ট অনুসারে ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এক যুগে বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ১৩ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা, যা দিয়ে ৬টা পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব। আলোচ্য সময়ে দেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ৯০৩ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ যে পরিমাণ এফডিআই দেশে এসেছে তার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি অর্থ দেশ থেকে পাচার হয়েছে। জিএফআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ১৭৮ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। ২০১১ সালে পাচার হয়েছিল ২৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। ২০১০ সালে পাচার হয়েছিল ২১৯ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ১৭ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা। ওই এক বছরে দেশ থেকে টাকা পাচার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে গড়ে প্রতি বছর গড়ে ১৬৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার বা ১৩ হাজার ৪২২ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়েছে। সুইস ব্যাংকের পরিচিতি : সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) হল সুইজারল্যান্ড সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ আইন দ্বারা পরিচালিত এই ব্যাংকটির নীতিনির্ধারণ সবই স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়। ২শ’ বছরের পুরনো ইউরোপের এ প্রতিষ্ঠানটি মুদ্রা পাচারকারীদের নিরাপদ স্বর্গ। ১৮৯১ সালে সুইজারল্যান্ডে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত একটি ধারার অধীনে ১৯০৭ সালে স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর থেকে ব্যাংকটির মুদ্রানীতি এবং সুশৃংখল কার্যক্রম বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অনুসরণ করে। তবে পাচারকারীদের আশ্রয় দাতা হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে দেশটির পরিচিতি রয়েছে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২০০২ সাল থেকে দেশভিত্তিক আমানতকারীদের তথ্য প্রচার শুরু করেছে তারা। যেসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি রয়েছে, সেসব দেশের ব্যক্তিগত পর্যায়ে তথ্য দেয়া হয়। এর কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশীদের আমানত কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সুযোগ থাকলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশীরা এখনও পাচার করা টাকা রাখার নিরাপদ স্থান হিসেবে মনে করে। আইন সংশোধন হচ্ছে : আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে প্রচলিত আইনের সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতিমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে সে দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইনের খসড়াটি এখন ব্যাংকাররা পর্যালোচনা করে দেখছেন। আইনের সংস্কার হলে সুইস ব্যাংকে রাখা আমানতের তথ্য কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে গত বছর সুইস ব্যাংকের প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এটি সারা বিশ্বে ব্যাপক আলোচিত হয়। বাংলাদেশেও এটি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ব্যাংকে চিঠি দিয়ে কারা টাকা জমা রেখেছে তাদের তালিকা চেয়েছিল। কিন্তু এখনও এ ব্যাপারে সুইস ব্যাংক কোনো সাড়া দেয়নি। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারেও কোনো সাড়া মেলেনি। এইচএসসিবির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের ঘটনা প্রকাশিত হলে সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তালিকা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারও কোনো সাড়া মেলেনি। Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3997304626445212046.post-91411717517314768402015-06-19T04:28:00.003+06:002015-06-19T04:28:25.103+06:00ঠিকাদারের চিঠির পর বদলে গেল দরপত্রের শর্তাদি:যুগান্তর<a href="" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="" height="0" width="0"/></a>চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) অপারেটর নিয়োগের টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেখা যায়, টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই মহলবিশেষের ভোল পাল্টে যায়। বিশেষ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে তারা মরিয়া হয়ে মাঠে নামে। পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার জন্য দরপত্রের শর্তাদি রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে যায়। দরপত্র ঘোষণার পরও সুবিধাভোগী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতি<a name='more'></a><br /><div style="float:left; padding:0 10px 10px 0; width:336px" id="ads"><iframe src="http://goo.gl/xA8ejX" width="336" height="280" scrolling="no" frameborder="0" marginheight="0" marginwidth="0"></iframe></div>ষ্ঠানটি যেভাবে দরপত্রের শর্ত সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে সেভাবেই তা প্রতিপালন করা হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। <a href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acd94d5f' target='_blank'><img src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=780&n=acd94d5f' border='0' alt='' /></a> এদিকে বন্দর ব্যবহারকারী ও বার্থ অপারেটররা যুগান্তরকে জানিয়েছেন, ‘সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড’ নামক সৌভাগ্যবান কোম্পানিকে কাজ দিতে প্রথম থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) টেন্ডারে এমন কিছু শর্তারোপ করে যা পূরণের যোগ্যতা একমাত্র এ কোম্পানি ছাড়া আর কারও নেই। এছাড়া দরপত্র ঘোষণার পরও শর্তাদিতে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে তাতেও সুবিধা পাচ্ছে এ কোম্পানিটি। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, টেন্ডারে পক্ষপাতিত্বমূলক এই শর্ত আরোপের খেলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার সুযোগ সীমিত করে ফেলা হয়েছে, যা ক্রয় সংক্রান্ত বিধি পিপিআরের স্পষ্ট লংঘন। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী যুগান্তরকে বলেন, ‘চিঠি দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারি সেবা ও পণ্য ক্রয় বা সরবরাহে প্রচলিত আর্থিক বিধিবিধান প্রযোজ্য।’ এনসিটির ৪ ও ৫ নম্বর বার্থ পরিচালনার জন্য টেন্ডার আহবানের পর শর্তাদিতে পরিবর্তনের প্রস্তাবের বিষয়ে সাইফ পাওয়ারটেক কোম্পানির চিঠি বন্দর কর্তৃপক্ষ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) জাফর আলম। তার দাবি, পিপিআর অনুযায়ী দরপত্রে শর্তারোপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দরপত্রে যা কিছু হয়েছে তা পিপিআর অনুযায়ী হয়েছে। পিপিআরের বাইরে কোনো কিছু সংশোধন বা পরিবর্তন করা যায় না। এখানে সাইফ পাওয়ারটেকের পক্ষে কিছুই করা হয়নি বলেও দাবি করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘শর্ত পরিবর্তনে ঠিকাদাররা আবেদন করতেই পারেন। পিপিআরেও অনেক জায়গায় সমঝোতার কথা বলা হয়েছে। দেখতে হবে, আমরা সেটা কিভাবে মূল্যায়ন করি।’ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এনসিটির ৪ ও ৫ নম্বর বার্থ পরিচালনার জন্য টেন্ডার খোলা হয় ৯ জুন মঙ্গলবার। এতে মোট ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড, এমএইচ চৌধুরী ও এএন্ডজে এন্টারপ্রাইজ (যৌথভাবে) এবং বশির আহমেদ অ্যান্ড কোম্পানি ও টার্মিনাল সার্ভিসেস লিমিটেড। দরপত্রদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এমএইচ চৌধুরী লিমিটেডের চেয়ারম্যান হলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এএন্ডজে এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। যৌথভাবে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড, এমএইচ চৌধুরী ও এএন্ডজে এন্টারপ্রাইজ চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় টার্মিনাল নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে বলে (যৌথভাবে) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন। কারণ হিসেবে বন্দরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, টার্মিনাল পরিচালনার অভিজ্ঞতার দিক থেকে শর্ত পূরণ করতে পারছে একমাত্র সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। তবে যৌথভাবে অংশ নেয়া বাকি দুটি কোম্পানি অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছে। প্রাপ্ত নথিপত্রে দেখা গেছে, টেন্ডার আহ্বানের পর সাইফ পাওয়ারটেকসহ বেশ কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের শর্ত পরিবর্তনের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়। গত ১৭ মে সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমআর আমিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালককে (ট্রাফিক) দেয়া হয়। ওই চিঠিতে টেন্ডার শর্তের আইটিটি ১৮.২, আইটিটি ১৪.১(বি), আইটিটি ১৫.১(বি) অনুচ্ছেদে জয়েন্ট ভেঞ্চারের ক্ষেত্রে কয়েকটি শব্দ বাদ দিয়ে ‘নট এপ্লিকেবল’ শব্দযুগল জুড়ে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। একইভাবে আইটিটি ১৫.১(এ) অনুচ্ছেদে কোম্পানির বার্ষিক লেনদেন ৩৫ কোটি টাকার পরিবর্তে ৩০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনার অনুরোধ জানানো হয়। এর আগে ১৩ মে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বশির আহমেদ চবক চেয়ারম্যানকে এক চিঠিতে টেন্ডারের কিছু শর্ত শিথিল করতে ৬টি প্রস্তাব দেন। এর মধ্যে অন্যতম প্রস্তাব হচ্ছে- কনটেইনার টার্মিনাল অপারেটরের অভিজ্ঞতার পরিবর্তে কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রতিস্থাপন, বার্ষিক টার্নওভার ৩৫ কোটি থেকে কমিয়ে ৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা। এরপর ২১ মে টেন্ডারের কয়েকটি শর্ত সংশোধনের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান। ওই চিঠির তৃতীয় দিন ২৪ মে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম সরওয়ার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে টেন্ডার শর্তে পরিবর্তন আনার বিষয়টি বলে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়। ওই চিঠিতে দেখা গেছে, আইটিটি ১৮.২, আইটিটি ১৪.১(বি), আইটিটি ১৫.১(বি), আইটিটি ১৫.১(এ), আইটিটি ১৭.১ (ভি) অনুচ্ছেদের শর্তে পরিবর্তন আনা হয়। একই সঙ্গে এনসিটি বার্থ নং-৪ ও ৫-এর দরপত্র দাখিলের সময় সাত দিন বাড়ানো হয়। দেখা গেছে, সংশোধিত শর্তের বেশির ভাগই পরিবর্তনের জন্য সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড প্রস্তাব করেছিল। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের সবকিছু দেখভাল করেন অন্য কর্মকর্তা।’ নৌ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, টেন্ডার প্রক্রিয়ার প্রথম কঠিন শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। ওই শর্ত পূরণ একমাত্র সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড করতে পারবে। বিষয়টি নিয়ে চবকের বোর্ড সভায় আলোচনা হয়। পরে তা নৌ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানায় চবক। ওই চিঠিতে বলা হয়, টেন্ডার ডকুমেন্টের আইটিটি ১৪.১(বি)(৩) এ টেন্ডারের অভিজ্ঞতা হিসেবে শুধু টার্মিনাল অপারেটরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা আছে। এছাড়া আইটিটি ৫.১-এ আরও বলা আছে যে, শুধু বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। কিন্তু বাংলাদেশের অপারেটর হিসেবে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শুধু একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কাজেই টেন্ডার ডকুমেন্টের ওই শর্তানুযায়ী এখানে প্রতিযোগিতার কোনো সুযোগ না থাকায় পিপিআরের ব্যত্যয় ঘটবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো আপত্তি জানালেও রহস্যজনক কারণে তা বহাল রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় টার্মিনাল হল এনসিটি। প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টার্মিনালটি পূর্ণ ক্ষমতায় চালু করা যায়নি ৭ বছরেও। মামলা সংক্রান্ত জটিলতা, আন্দোলন ইত্যাদি কারণে বারবার ব্যাহত হয়েছে এর দরপত্র প্রক্রিয়া। বর্তমানে এটা চুক্তিতে পরিচালনা করছে চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনালের অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। এনসিটির ৫টি বার্থের মধ্যে একটি সংরক্ষিত থাকবে পানগাঁও আইসিডির জন্য। বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, প্রতিবেশী ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার প্রস্তুতি হিসেবে এনসিটির পূর্ণাঙ্গ অপারেশন প্রয়োজন। একই সঙ্গে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ২০০১ সালে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এক কিলোমিটার দীর্ঘ জেটি এবং পশ্চাৎ সুবিধাসহ এই টার্মিনালে পাঁচ জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই জেটিতে বড় আকৃতির তিনটি জাহাজ এবং মাঝারি আকৃতির পাঁচটি জাহাজ একই সঙ্গে বার্থিং দিয়ে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করা যাবে। টার্মিনালটি পুরোদমে চালু হলে বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা দ্বিগুণে উন্নীত হবে। এনসিটিতে একই সঙ্গে ৫টি জাহাজ ভিড়তে পারে। বর্তমানে পুরো বন্দরে একই সঙ্গে জাহাজ ভিড়তে পারে ১৭টি। এনসিটি চালু হলে তা দাঁড়াবে ২২টিতে। প্রায় ১ হাজার মিটার দীর্ঘ এই টার্মিনালে কনটেইনার ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫ লাখ টিইইউস। Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/01811434348261399481noreply@blogger.com0