Wednesday, July 9, 2014

ভারতের সঙ্গেও সমুদ্র জয়:প্রথম অালো

বিরোধপূর্ণ এলাকা ২৫,৬০২ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ পেল ১৯,৪৬৭ বর্গকিলোমিটার, ভারত পেল ৬,১৩৫ বর্গকিলোমিটার মিয়ানমারের পর এবার ভারতের সঙ্গেও বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হলো। নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিসি আদালতের রায়ে বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশ পেয়েছে। বাকি ছয় হাজার ১৩৫ বর্গকিলোমিটার পেয়েছে ভারত। বাংলাদেশ
এ রায়কে বিজয় হিসেবেই দেখছে। ভারত আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের হেগের সালিসি আদালত গত সোমবার এই রায় দেন। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে রায়ের বিস্তারিত জানায়। এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, এই রায় উভয় রাষ্ট্রের জন্য বিজয় নিশ্চিত করেছে। এই বিজয় বন্ধুত্বের বিজয়। এই বিজয় বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের বিজয়। কেননা, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা, যা উভয় রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল, তা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হলো। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনগত প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিনের বিরাজমান এই সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে ভারতের সদিচ্ছা এবং ট্রাইব্যুনালের রায় মেনে নেওয়ার জন্য আমরা ভারত সরকারকে সাধুবাদ জানাই।’ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আদালতের রায়ে বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইইজেড) ও ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপান অঞ্চলে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ ও সার্বভৌম অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছে। ভারত সমদূরবর্তী পদ্ধতিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের দাবি করেছিল, আর বাংলাদেশ চেয়েছিল ন্যায্যতার ভিত্তিতে। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এই আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, সমদূরবর্তী পদ্ধতিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করা হলে বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী তা ন্যায্যতা নিশ্চিত করে না। এই রায়ের ফলে প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের বিষয়টি সুরাহা হওয়ায় বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে পেরেছে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান, এই রায়ের ফলে বিরোধপূর্ণ সমুদ্র এলাকার বিপুল অংশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বাংলাদেশের আর কোনো বাধা থাকল না। এ রায়ে গভীর সমুদ্রে প্রস্তাবিত ১০টি তেল-গ্যাস ব্লকই পড়েছে বাংলাদেশের সীমানায়। তবে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া

No comments:

Post a Comment