Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Sunday, July 6, 2014
আষাঢ়ের বৃষ্টি দেশজুড়ে নগরীতে জলজট-যানজট:কালের কন্ঠ
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগের রাত থেকে গতকাল শনিবার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীসহ সারা দেশে। কখনো কখনো দীর্ঘক্ষণ ধরে ভারি বর্ষণ হয়েছে। আবার অন্য সময় হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এতে রাজধানীতে দেখা দেয় জলজট ও যানজট। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে ছুটির দিনেও নগরবাসীকে যানজটের ধকল সইতে হয়েছে। নোংরা জলকাদায় ভেসে যায় গলি থেকে রাজপথ। বাদ পড়েনি বনানীর মতো অভিজাত এলাকাও। অবশ্য ভাপসা গরম অনেকটা কমেছে। আষাঢ়ের এই টানা বৃষ্টিতে পানি জমে একাকার হয়ে যায় রাজধানীর ভিআইপি সড়ক থেকে অলিগলি পর্যন্ত। রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ না হওয়ায় চলাচল করতে গিয়ে অনেক যাত্রীকে গর্তেও আটকে পড়তে হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট ও পরিবহন সংকটে চরম দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা গেছে, ট্রিপ কমার আশঙ্কায় প্রায় অর্ধেকসংখ্যক গাড়িই রাস্তায় বের করা হয়নি। রাজধানীর মালিবাগ-মগবাজার পথে দুর্ভোগ ছিল অসহনীয়। ইফতারের আগে মতিঝিল থেকে উত্তরা যেতে অধিকাংশ যাত্রীর লেগেছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। জলাবদ্ধতায় সড়কের একাংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া এবং গাড়ির ধীরগতির কারণে অন্যান্য দিনের চেয়ে যানজট বেশি ছিল। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়েই। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় রেকর্ড করা হয় ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। আজ রবিবারও ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা। আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, এ সময় এমন বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক। বৃষ্টি চলবে আরো দু-এক দিন। তবে ক্রমেই উন্নতি ঘটবে পরিস্থিতির। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার পুরোপুরি শুকনো আবহাওয়ার দেখা মিলতে পারে। গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়ার বিশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে। আর তাতেই হচ্ছে এমন ঝড়-বৃষ্টি। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে হতে পারে অতিবর্ষণ। এ ছাড়া সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কয়েকটি অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। রাজধানীর মালিবাগ-মগবাজার পথে পানি জমে গাড়ি চলাচলের রাস্তা কমে যায়। উড়াল সেতুর নির্মাণকাজ চলতে থাকায় সেখানে আগে থেকেই চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এ কারণে এ পথে হেঁটে চলাচল করতে গিয়ে বিপদে পড়তে হয়েছে পথচারীদের। দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মৌচাক, শান্তিনগর, কাকরাইল ও মগবাজারের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত। এসব গর্ত পানিতে ঢেকে থাকায় ওপর থেকে বোঝা কঠিন ছিল। গাড়িচালকরা তাই তাঁদের অজান্তেই যানবাহন নিয়ে আটকে পড়ছিলেন। তাতে আবার হোঁচট খেয়ে বাস বা রিকশা থেকে ছিটকেও পড়ে অনেক যাত্রী। সকাল সাড়ে ১১টায় বেইলি রোড থেকে মগবাজারের দিকে যেতে থাকা একটি রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে কাদামাখা হয়ে যান একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রাজীব রায়। উঠে দাঁড়ানোর কিছু সময় পর তিনি বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে মগবাজারের দিকে যেতে চাইছিলাম। রিকশার চাকা গর্তে আইটকা কাদামাখা হয়ে গেছি।’ এ কথা বলে হাসার চেষ্টা করেন তিনি। রাজারবাগ ও মৌচাকের মূল রাস্তায় গর্ত ছাড়াও আছে বড় বড় ফাটল। সেসব স্থানে যানজটে আটকে যাত্রীরা বৃষ্টিতে ভিজেই অপেক্ষা করছিল সামনে এগোনোর। নাজমা বেগম কমলাপুর থেকে রিকশায় ওঠেন মৌচাকে যাবেন বলে। মালিবাগেই তাঁকে আটকে থাকতে হয়েছে ৪০ মিনিট। হেঁটে যাবেন এরও কোনো উপায় ছিল না। কারণ তাঁর হাতে ছাতা ছিল না। ওই সময় টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছিল। নগরীর বিভিন্ন স্থানে গর্তে রিকশা ও ভ্যান আটকে যানজট পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়। জলাবদ্ধতার কারণে যানবাহনের গতি কম ছিল। দুপুরে বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কাকরাইল, শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে ছিল তীব্র যানজট। কলাবাগান, আসাদ গেট, মোহাম্মদপুর, মালিবাগ, খিলগাঁও এলাকার বিভিন্ন সড়কে যানজট স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বেশি স্থায়ী ছিল।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment