ভেন্যু বদলেছে। শেরাটন হোটেল বা রূপসী বাংলার বদলে এবার সোনারগাঁও হোটেল। কিন্তু তাতে কি গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার নিয়ে দেশের ক্রীড়ামোদীদের রোমাঞ্চনুভূতির একটুও বদল হচ্ছে? বোধ হয় নয়। তাই আজ বিকেলে সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে যখন দেশের অঘোষিত সেরা এই ক্রীড়া পুরস্কারের আয়োজন হবে, তখন সবাই সমানভাবে রোমাঞ্চিত হবেন, সবার মনেই প্রশ্ন জাগবে কে হচ্ছেন গ্রামীণফোন-প্রথম আলো বর্
ষসেরা ক্রীড়াবিদ? কেননা, পুরোনো রীতিটাও যে বদলায়নি! বিজ্ঞ বিচারকেরা পুরস্কারের জন্য যে নামগুলো মনোনীত করেছেন, তা একেবারেই গোপন রাখা। ঘড়িতে বিকেল সাড়ে পাঁচটা বাজতেই শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতিসূচক আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু। তারপর একে একে বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ, বর্ষসেরা উদীয়মান, বর্ষসেরা দুই রানারআপ এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ। গতবারের মতো এবারও এসএমএস ও কুপনের ভোটে প্রথম আলোর সম্মানিত পাঠকেরাও নির্বাচিত করেছেন তাঁদের বর্ষসেরা। পাঁচটি বিভাগে সাতটি পুরস্কার। সংখ্যায় কম। কিন্তু পুরস্কারের সংখ্যা দিয়ে কি মাপা যাবে এই আয়োজনকে? একসঙ্গে, চারদেয়ালের মধ্যে বাংলাদেশের পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে মিলিয়ে দেয় এই অনুষ্ঠান। এখানে তারকাদ্যুতিতে সমুজ্জ্বল ক্রিকেটার বা ফুটবলারটির পাশেই বসে থাকবেন এখনো পাদপ্রদীপের আলো ছুঁতে না-পারা কোনো ক্রীড়াবিদ। স্মৃতিগন্ধা অতীত নিয়ে বিগত দিনের কোনো ক্রীড়াতারকা। এঁদের সবাইকেই আজ ঘিরে থাকবে আলোর ঝরনাধারা। অনুষ্ঠানের ভাঁজে ভাঁজে চমক জামিয়ে রাখা ভরা শ্রাবণের আজকের বিকেলটি এক অনুপম ক্রীড়াসম্মিলনী। ওহ্, মনে করিয়ে দেওয়া যাক—এবার এই পুরস্কারের দশম বর্ষপূর্তি। আর সে কারণেই অনুষ্ঠানটি হয়তো সবচেয়ে বর্ণিল পাখা মেলার অপেক্ষাতেই ক্ষণ গুনছে।
No comments:
Post a Comment