বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, ভারত সব সময় বলে আসছে বাংলাদেশে জঙ্গি আছে। এখন দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ নয় ভারতেই জঙ্গি লালনপালন হচ্ছে। সে জঙ্গিরাই বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করছে। এই জঙ্গিদের খরচ কে দিচ্ছে এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ভারতের প্রশ্রয়ে এ জঙ্গিতৎপরতা চালানো হচ্ছে। গতকাল জাতীয় প্রেস কাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া
ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হান্নান শাহ আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে দেয়া সব মামলা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধু তাদের নামেই নয় সরকার বিএনপির সব নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সারা দেশকে কারাগার বানিয়েছে। তারা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিরোধী দল দমন করতে চায়। তিনি বলেন, এক দিকে সরকার নিজেদের সাত হাজারের বেশি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে, অন্য দিকে বিএনপি নেতাদের নামে অসংখ্য মামলা দিচ্ছে। এটা দ্বিমুখী নীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। মামলা দিয়ে বিএনপিকে দুর্বল করা যাবে না মন্তব্য করে তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান। বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেয়া হচ্ছে। তারা জানেও না রাষ্ট্র আর সরকার এক জিনিস নয়। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নিয়ে হান্নান শাহ বলেন, সে দিন আওয়ামী লীগ নেতারা লগি-বৈঠা দিয়ে যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, মানুষ হত্যা করেছিল তা একটি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এর ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। সময়মতো এ ঘটনার বিচার হবেই। তিনি বলেন, এ সরকার অবৈধ। এ কারণে তারা যা করছে তার সবই অবৈধ। ইতোমধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ঘৃণা প্রকাশ করা শুরু করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন ঘটানো হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, সরকার জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তিনি আরো বলেন, ২৮ অক্টোবর তারা লগি-বৈঠা দিয়ে যেভাবে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল তা জঙ্গিদের কাজ। তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় জনগণ টেনেহিঁচড়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবে। মহিলা দলের সভাপতি নূরী আরা সাফার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুগ্ম সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস ইসলাম, ঢাকা মহানগর সভাপতি সুলতানা আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment