Tuesday, October 14, 2014

ত্রাণ তৎপরতা শুরু:প্রথম অালো

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হুদহুদের আঘাতে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওডিশায় আটজনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত রোববারের ওই ঝড়ের পর গতকাল সোমবার থেকে দুর্গত ব্যক্তিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও এনডিটিভির। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল জানায়, ত্রাণ নিয়ে চারটি নৌজাহাজ উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। এ ছাড়া এরই মধ্যে অন্তত ২৪টি ত্রাণদল, চিকিৎসকদের ১৫৫টি দল ও নৌবাহিনী দুর্গত এলাকায় মানু
ষের জন্য কাজ শুরু করছে। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে আগেভাগে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা কমেছে। রাজ্যজুড়ে টেলিফোনের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। মুঠোফোনের টাওয়ার ভেঙে গেছে। ফলে আলো ও যোগাযোগবিচ্ছিন্ন রয়েছে লাখো মানুষ। এ ঝড়কে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দুই হাজার কোটি রুপি ত্রাণ বরাদ্দ চান। হুদহুদের প্রভাবে উত্তর প্রদেশে ভারী বর্ষণের কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র আজ মঙ্গলবার বারানসিতে তাঁর পূর্বঘোষিত সফর বাতিল করেছেন। গতকাল এক টুইট বার্তায় মোদি জানান, হুদহুদের আঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অন্ধ্র প্রদেশের বন্দরনগর বিশাখাপট্টনামে আজ পরিদর্শনে যাবেন। ভারতের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে ভারতের পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার পর হুদহুদ দুর্বল হয়ে ‘গভীর নিম্নচাপে’ পরিণত হয়। তবে ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছেন, উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যার কারণে গতকালও হাজারো মানুষ হুমকির মুখে ছিলেন। পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। গতকাল সোমবার ওডিশা, ঝাড়খন্ড, বিহার ও মধ্যপ্রদেশের কিছু কিছু এলাকায় এবং পশ্চিমবঙ্গে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা করা হয়। শক্তিশালী এ ঝড় আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টা আগে মধ্যপ্রদেশ ও ওডিশার উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্রায় চার লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর পরও মধ্যপ্রদেশে পাঁচজনের ও ওডিশায় তিনজনের মৃত্যু হয়। বিশাখাপট্টনাম বিমানবন্দরেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

No comments:

Post a Comment