Tuesday, November 4, 2014

রাজধানীতে বিক্ষোভ পুলিশের সাথে সংঘর্ষ:নয়াদিগন্ত

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিলের রায়ের পর রাজধানীতে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির। মিরপুরে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত।  মিরপুরে থানার পাশ থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ
হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য আবদুস সালাম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান, জামায়াত নেতা জসিম উদ্দীন, আহমদুল্লাহ, আলাউদ্দীন মোল্লা, আব্দুল মতিন খান, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সভাপতি তামীম আহমদ প্রমুখ। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশ ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় পুলিশ তিনজনকে আটক করে।  মোহাম্মদপুর-ধানমন্ডি জোন : তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোহাম্মদপুর-ধানমন্ডি জোনের উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহাগনগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য শেখ শরীফ উদ্দীন আহমদ, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন তালুকদার ও অধ্যাপক নূরনবী মানিক, মোহাম্মদপুর সেক্রেটারি ডা: শফিউর রহমান, হাজারীবাগ সেক্রেটারি আব্দুল বারী, কলাবাগান সেক্রেটারি শাহেদ আলম, নিউমার্কেট সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমান জাকারিয়া, শিবিরের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ সভাপতি নাজিম উদ্দীন প্রমুখ।  রমনা : মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবিতে এবং হরতালের সমর্থনে সকাল সাড়ে ১০টায় মগবাজার ওয়্যারলেছ রেলগেট এলাকায় বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করে রমনা থানা জামায়াতের কর্মীরা। এতে উপস্থিত ছিলেন থানা জামায়াতের সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য জিল্লুর রহমান, ইউসূফ আলী মোল্লা, আতাউর রহমান সরকার, শিবিরের কলেজ জোন সভাপতি মুরাদ হোসেন প্রমুখ। শেরেবাংলানগর থানা : শেরেবাংলানগর থানার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি আগারগাঁও থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন থানা আমির অধ্যাপক আ জ ম কামাল উদ্দীন ও তেজগাঁও থানা আমির সাহালউদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দর থানা সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল আজম, তেজগাঁও সেক্রেটারি শেখ নিয়ামুল করিম প্রমুখ। যাত্রাবাড়ী থানা : রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যাত্রাবাড়ী থানার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বানাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফার্মের মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ও কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত আমির গাজী আবুল কাসেম। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা শাহজাহান খান, লোকমান মিয়া, মনির হোসাইন, মোবারক হোসেন, শিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মাঈনুদ্দীন মৃধা, সেক্রেটারি সাদেক বিল্লাহ প্রমুখ।  বাড্ডা : কামারুজ্জামানের রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাড্ডায় বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতে ইসলামী। বিক্ষোভ মিছিলটি বসুন্ধরা গেট থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভাটারা রোডের মুখে এসে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, গুলশান থানার সেক্রেটারি জিল্লুর রহমান, বনানী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম, শিবিরের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি আনিসুর রহমান বিশ্বাস প্রমুখ। জামায়াতের বিবৃতি : শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের হামলা-গণগ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে দণ্ডিত করে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও তার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকালে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোরসহ সারা দেশ থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার মিছিল, মিটিং, সমাবেশে বাধার সৃষ্টি করে, জনগণকে জিম্মি করে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ ও জনসমর্থনহীন এই সরকার দিশেহারা হয়ে হত্যা, জুলুম ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।

No comments:

Post a Comment