Wednesday, December 31, 2014

এক বাগদত্তা, তিন বোন এবং আরও কিছু মানুষ:প্রথম অালো

শিগগিরই বিয়ের কথা ছিল একজনের। কয়েকজন ধর্মপ্রচারক। একজন জীববিজ্ঞানের শিক্ষক। ছুটি কাটাতে যাওয়া কয়েকটি পরিবার। কয়েকজন পাইলট, যাঁদের অভিজ্ঞতার ঝুলি যথেষ্ট সমৃদ্ধ। বিপর্যয়ের শিকার এয়ারএশিয়ার ফ্লাইটটির যাত্রীতালিকায় চোখ বোলালে পাওয়া যাবে এ রকম কিছু মানুষের নাম। প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, তাঁরা আর কখনোই ফিরবেন না আপনজনের মাঝে। অনেকেই হয়তো চিরতরে হারিয়ে যাবেন নীল সাগরের গহন-গভীর অচিনপুরে। ছুটি থেকে
ফিরেই বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেছিলেন আলা অকটাভিয়াসান সিয়াউ। বাগদত্তা লুইস সিধার্তা নিজে গাড়ি নিয়ে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তাঁকে স্বাগত জানাতে। পথেই পান ভয়াবহ খবরটা, ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১ নিখোঁজ। রোববার রাতে অশ্রুসিক্ত হয়ে সাংবাদিকদের কথাগুলো জানান ভগ্নহৃদয় লুইস। সুরাবায়া কেমব্রিজ স্কুলের প্রিন্সিপাল ইউলিয়া ওয়াং জানালেন আর্ধি পরিবারের কথা। ওই পরিবারের তিনজন জেইডেন, মিশেল ও মারিয়ান কেমব্রিজেই পড়াশোনা করে। বাবা-মায়ের সঙ্গে ওরা সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল নববর্ষ উদ্যাপন করতে। স্কুলের একজন শিক্ষার্থী মারিয়ানকে এসএমএস পাঠিয়েছিল ওর জিপিএস চালু করতে, যাতে বিমানটির অবস্থান বোঝা যায়। কোনো জবাব আসেনি। ৪০ বছর বয়সী ইউনি আসতুতিক বেশ কয়েক বছর ধরে সিঙ্গাপুরে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ায় ফিরেছিলেন গত মাসে। কে জানত সেটাই হবে শেষ দেশে ফেরা! সূত্র: সিএনএন

No comments:

Post a Comment