ল। কিন্তু শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ নিয়েও কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা আবারও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, গত এপ্রিলে বিসিআইসিতে ছয়টি শ্রেণিতে ৭৬টি পদে নিয়োগের জন্য ৩ হাজার ২৬৪ জনের আবেদন বিবেচনা করা হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীপ্রধান নজরুল ইসলামের সই করা পরীক্ষার ফল ৫ আগস্ট বিসিআইসির ওয়েবসাইটে বিকেল পাঁচটায় প্রকাশ করা হয়। এরপর রাত ১১টা পর্যন্ত ওয়েবসাইটের এই বিবরণী তিনবার পরিবর্তন করা হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিসিআইসি প্রধান অভিযুক্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে প্রধান করে নিয়োগসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে। গতকাল বিসিআইসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল কমিটিকে জানান, তদন্তে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ফলাফল বিবরণী তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর পরও যদি কোনো দুর্নীতির হদিস না পাওয়া যায়, তবে সেটা দুঃখজনক। আর প্রধান অভিযুক্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে দিয়ে তদন্ত করালে দুর্নীতি কেন পাওয়া যাবে? বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, সংসদীয় কমিটির ১৮ নভেম্বরের বৈঠকে নজরুল ইসলামকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এই কর্মকর্তা এখনো একই পদে বহাল আছেন। বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মনসুর আলী শিকদারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে কমিটির সভাপতি বলেন, নজরুল ইসলাম একটি চক্রের হয়ে কাজ করছেন। আগের চেয়ারম্যান তাঁর পকেটের ভেতর ছিলেন। কমিটির সদস্য আবুল কালাম মো. আহ্সানুল হক চৌধুরী বলেন, বিসিআইসিতে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। আগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ আছে। তিনি পদোন্নতি পেয়ে সচিব হয়ে অন্য মন্ত্রণালয়ে চলে গেছেন। তাঁর দুর্নীতির জবাবদিহি কে করবে? ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শামীম ওসমান ও আবুল কালাম মো. আহ্সানুল হক চৌধুরী অংশ নেন।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Wednesday, December 31, 2014
অভিযুক্তকে দিয়েই তদন্ত করাল বিসিআইসি:প্রথম অালো
ল। কিন্তু শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ নিয়েও কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা আবারও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, গত এপ্রিলে বিসিআইসিতে ছয়টি শ্রেণিতে ৭৬টি পদে নিয়োগের জন্য ৩ হাজার ২৬৪ জনের আবেদন বিবেচনা করা হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীপ্রধান নজরুল ইসলামের সই করা পরীক্ষার ফল ৫ আগস্ট বিসিআইসির ওয়েবসাইটে বিকেল পাঁচটায় প্রকাশ করা হয়। এরপর রাত ১১টা পর্যন্ত ওয়েবসাইটের এই বিবরণী তিনবার পরিবর্তন করা হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিসিআইসি প্রধান অভিযুক্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে প্রধান করে নিয়োগসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে। গতকাল বিসিআইসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল কমিটিকে জানান, তদন্তে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ফলাফল বিবরণী তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর পরও যদি কোনো দুর্নীতির হদিস না পাওয়া যায়, তবে সেটা দুঃখজনক। আর প্রধান অভিযুক্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে দিয়ে তদন্ত করালে দুর্নীতি কেন পাওয়া যাবে? বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, সংসদীয় কমিটির ১৮ নভেম্বরের বৈঠকে নজরুল ইসলামকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এই কর্মকর্তা এখনো একই পদে বহাল আছেন। বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মনসুর আলী শিকদারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে কমিটির সভাপতি বলেন, নজরুল ইসলাম একটি চক্রের হয়ে কাজ করছেন। আগের চেয়ারম্যান তাঁর পকেটের ভেতর ছিলেন। কমিটির সদস্য আবুল কালাম মো. আহ্সানুল হক চৌধুরী বলেন, বিসিআইসিতে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। আগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ আছে। তিনি পদোন্নতি পেয়ে সচিব হয়ে অন্য মন্ত্রণালয়ে চলে গেছেন। তাঁর দুর্নীতির জবাবদিহি কে করবে? ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শামীম ওসমান ও আবুল কালাম মো. আহ্সানুল হক চৌধুরী অংশ নেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment