বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ নিয়ে সমাবেশ ঘিরে সোমবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল রাজধানী। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এর কয়েকটি স্থানে গুলি চালিয়েছে পুলিশ।
/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=780&n=acd94d5f' border='0' alt='' /> অনেক এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকার্মীরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবে পেশাজীবীদের অনুষ্ঠানে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা। সুপ্রিমকোর্টে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের মিছিলেও হামলা হয়। বিপরীতে রাজধানীর অন্তত ২০ স্থানে পুলিশের গাড়িসহ ব্যক্তিগত গাড়ি ভাংচুর করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এসব স্থানে বেশ ক’টি যানবাহনে আগুনও দেয় তারা। দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ককটেলের। এসব সংঘাতে পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন প্রায় অর্ধশত। পুলিশ বিকাল পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে। এর আগে রোববারও বিভিন্ন স্থানে বেশ ক’টি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। শাহজাহানপুরে বিএনপির মিছিলে গুলি : ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে মিছিলে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। বেলা ১টার দিকে আলবারাকা হাসপাতালের সামনে যাওয়া মাত্রই পুলিশ অতর্কিত গুলি চালায়। এতে সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ, বিএনপি কর্মী সেলিম, লিটন, রাজা, রাজু, আলমগীরসহ ১২ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। ফকিরাপুলে মিছিলে গুলি-আগুন : বেলা ১২টায় ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী সোহেলের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। দুই শতাধিক নেতাকর্মী মিছিলটি নিয়ে পল্টনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি করে। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এক পর্যায়ে গুলির মুখে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়ে এবং পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এক এসআইয়ের ওপর হামলা চালায়। ফকিরাপুলে এক হোটেলের সামনে একা পেয়ে ছাত্রদল কর্মীরা ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর শুরু করলে তিনি এক দোকানে ঢুকে প্রাণ বাঁচান। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তার মোটরসাইকেল এবং প্রেস স্টিকার লাগানো অন্য একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ এ এলাকা থেকে ৬ কর্মীকে আটক করে। কুড়িলে ভাংচুর গুলি আগুন : বেলা সাড়ে ১১টায় কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে শিবিরের মহানগর উত্তরের তিন শতাধিক নেতাকর্মী জঙ্গি মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রধান সড়কে এসেই শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। ব্র্যাক ব্যাংকের একটি বুথেও হামলা চালায়। বাধা দিতে গিয়ে এর নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। লাঠিসোটা হাতে শিবিরকর্মীরা ইয়াম্মি পার্টি সেন্টার, খাজা, মার্বেল, যমুনা ফিউচার পার্কের প্রবেশ গেট সংলগ্ন টয়োটার শোরুমসহ দুই পাশের অন্তত ২০ দোকানে ভাংচুর চালায়। মিছিল থেকে ভাটারা থানার অপারেশন অফিসারের গাড়িসহ ৭/৮টি গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। আহত হন অপারেশন অফিসার জাহিদুল ইসলাম। বিক্ষোভকারীরা পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় কুড়িল-বিশ্বরোড সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে শিবির কর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে পুলিশ। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীরা লাঠিসোটা হাতে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। যুবলীগ কর্মীদের অপর এক গ্র“প লাঠিসোটা নিয়ে মোটরসাইকেলে মহড়া দেয়। এ সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা ওই সংঘর্ষে পথচারীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়। পুলিশ ৭ জনকে আটক করে। পল্টন নয়াপল্টন মতিঝিল : এ এলাকায় সোমবার দিনভর উত্তেজনা ছিল। কিছুক্ষণ পরপরই ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। রোববার দুপুর থেকেই ফকিরাপুল থেকে কাকরাইলের নাইটএঙ্গেল মোড় পর্যন্ত সবকটি প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ভিআইপি রোডে ছোট গলির মুখেও ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়। নয়াপল্টন এলাকায় কার্যত কারফিউ পরিস্থিতি বিরাজ করে। সেখানে বিএনপির কেন্দ ীয় নেতা দূরে থাক কোনো সাধারণ মানুষকেও জড়ো হতে দেয়নি পুলিশ। ব্যাপক তল্লাশি ও হয়রানি করে। পুরো নয়াপল্টন এলাকা সোমবার ছিল সুনসান নীরব। ভিআইপি রোডে গণহারে গ্রেফতার অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ির কারণে স্থানীয় বাসিন্দা, শ্রমিক-কর্মচারীসহ অনেকেই ব্যাপক হয়রানির শিকার হন। বেলা ১১টায় ফকিরাপুল মোড়ে ২টি, ১২টায় মসজিদ গলিতে দুটি, বিকাল ৫টায় ফকিরাপুলে দুটি ও সন্ধ্যা ৬টার দিকে আরও ২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এছাড়াও বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল এলাকায় কিছুক্ষণ পরপরই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের পরপরই নিরীহ লোকজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সন্ধ্যার পরও পুরানা পল্টন ও নয়াপল্টন এলাকায় কারফিউ পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। পল্টন মডেল থানা পুলিশের থানার ডিউটি অফিসার এসআই ওয়ালিউর রহমান জানান, দুই দিনে পল্টন থানায় প্রায় ৫০ জনকে আটক করা হয়। রোববার আটকদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৬ জনকে নিয়মিত মামলায় ও ৩ জনকে ডিএমপি অ্যাক্টে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার আটক ৪০ জনের যাচাই-বাছাই ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার দেখানো হবে। বেলা ১২টায় ঢাকা মহানগর জামায়াত নেতা অধ্যাপক মোকাররম হোসেনের নেতৃত্বে বিজয়নগরের কালভার্ট রোডে ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিলটি কিছুদূর যেতেই পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে এক জামায়াতকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পরে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। পুলিশ ২২ নেতাকর্মীকে আটক করে। মতিঝিল ও দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার ব্যাংক বীমাসহ আথির্ক প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলা থাকলেও গ্রাহকদের উপস্থিতি ছিল কম। যানবাহন সংকটে অফিসমুখী মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন। মতিঝিলেও ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা দেখা গেছে। বিএনপি কর্মীরা মতিঝিল আরামবাগ এলাকায় কয়েক দফা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সেগুনবাগিচা : দুপুর আড়াইটায় সেগুনবাগিচা হাইস্কুল গলি থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। তারা নাভানা সিএনজি স্টেশনের সামনে গেলে ছাত্রলীগ ও পুলিশের বাধা পেয়ে ৮/১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে কয়েক মিনিট ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে বিএনপি কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পুরান ঢাকা : ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালনে সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল থেকেই অবস্থান নেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন। বিকাল পৌনে ৩টার দিকে তাদের লক্ষ্য করে ৪/৫টি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। আতংকে নেতাকর্মীরা এ সময় ছোটাছুটি শুরু করেন। সেখানে ১৫/২০ রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়। এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে বিএনপি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার বংশাল সাত রওজা মাজারের সামনে দুর্বৃত্তদের নিক্ষিপ্ত বোমায় মো. রনি (২০) নামে এক পথচারী আহত হন। তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের সামনে দুপুর ১টার দিকে অটোরিকশায় আগুন দেয়ার সময় স্থানীয় লোকজন চারজনকে আটক করে। এরা হলেন- ইব্রাহীম, অপু ইসলাম, শফিউল এবং মাসুদ। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে দুই লিটার পেট্রল ও চারটি ককটেল উদ্ধার করে। অ্যাম্বুলেন্সে আগুন, হাসপাতাল ভাংচুর : রাজধানীর মগবাজারে আদদ্বীন হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দুর্বৃত্তরা ওই অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সময়ে ধানমণ্ডিতে ইবনে সিনা হাসপাতালে ১০/১২ জনের একদল যুবক অতর্কিত ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় ৩/৪ ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে এ সময় হাসপাতাল ও আশপাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয় প্রেস ক্লাব : সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চারটি হাতবোমা ছুড়ে মারলে তা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। লালবাগ : সকালে ২০টি ককটেলসহ গ্রেফতার হন রাজধানীর লালবাগ থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ৬১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলতাফ হোসেন। র্যাব ১০-এর একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক মাকসুদুল আলম। বনানী : বেলা ১২টার দিকে কাকলি এলাকায় হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত। এ সময় তারা প্রাইভেট কারসহ চারটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সুপ্রিমকোর্টে বিক্ষোভ, হামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া : দুপুরের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা মাজার গেট দিয়ে রাস্তায় বের হতে চাইলে পুলিশ গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন আইনজীবীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ও ধস্তাধস্তি হয়। এতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাইদুর রহমান যতন ও শরীফ উদ্দিন আহমেদ আহত হন। বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে রাখা এক বিচারপতির গাড়ি ভাংচুর করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ গেট খুলে দেয়। কিন্তু এ সময় রাস্তার অন্য পাশে সরকার সমর্থক কয়েকশ’ নেতাকর্মী অবস্থান নেয়ায় আইনজীবীরা আর বাইরে বের হননি। বিকালে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। রাজধানীতে রোববারের সহিংসতা : রোববার দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন দেয়াসহ নানা নাশকতা চালায়। রোববার দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের সামনে নিউ ভিশন পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বিকালে উত্তরা কাস্টমস অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর মাত্র আধা ঘণ্টা আগে উত্তরায় ৩ নম্বর সেক্টরে উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিমের অফিসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তেজগাঁও মহিলা কলেজের সামনে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বাসটি মিরপুর থেকে যাত্রাবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। ধোলাইখালে শিবির ও যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিকাল ৪টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোডে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় শিবির কর্মীরা। এ সময় পুলিশ-শিবির কর্মী ও পুলিশ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলশানে সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সামনে যাত্রীবাহী বাসে ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর পোস্তগোলায় আবদুল্লাহ ফিলিং স্টেশনের সামনে দেশ ট্রান্সপোর্টের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। একই সময়ে যাত্রাবাড়ীতে পৃথক ঘটনায় ৬টি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একুশে এক্সপ্রেস নামে বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। একই সময়ে রায়েরবাগ, ভাঙ্গাপ্রেস ও দনিয়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা ৩টি বাসে আগুন দেয়। সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে একটি লেগুনায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপের পর দুর্বৃত্তরা তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পরপর চারটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ওই এলাকা থেকে সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে পূরবী সিনেমা হলের সামনে একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রাজধানীর ফকিরাপুল, মতিঝিল ও খিলগাঁও এলাকায় সন্ধ্যার পরপরই বিচ্ছিন্নভাবে সিএনজি ও প্রাইভেট কারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
No comments:
Post a Comment