Friday, March 13, 2015

যে কারণে রানবন্যা:প্রথম অালো

দলীয় ৩০০ রান এখন কোনো ব্যাপারই নয়, কল্পনার রঙে এখন আঁকা হচ্ছে ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত ট্রিপল সেঞ্চুরিও। রোহিত শর্মার ২৬৪ ও ২০৯ এবং ক্রিস গেইলের ২১৫ বা বীরেন্দর শেবাগের ২১৯-এর পর এটিকে আসলেই দূরের ব্যাপার মনে হচ্ছে না। তবে উইকেটে ব্যাটসম্যানদের এই রাজত্ব থাকবে না, যদি আইসিসি বৃত্তের বাইরে আবারও একজন বাড়তি ফিল্ডার রাখার নিয়ম চালু করে। আরও অনেকের মতো এই বিশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারেরও,
‘বৃত্তের বাইরে ৪ ফিল্ডার রাখার নিয়ম বিরাট পরিবর্তন ঘটিয়েছে। মোট ৩০ থেকে ৫০টি রান বেড়ে যাচ্ছে এতে। জানি না বিশ্বকাপের পর আইসিসি বৃত্তের বাইরে ৫ ফিল্ডার রাখার নিয়ম করে কি না, তবে সেটা করলে রান অনেক কমে যাবে।’ রান বাড়ার পেছনে ব্যাটের আকৃতিরও ভূমিকা আছে। তবে ওয়ার্নারের মতে মূল কারণটা বৃত্তের বাইরের ৪ ফিল্ডার রাখার নিয়মই। ব্যাটসম্যানরা এতে বাউন্ডারি মারার জন্য মাঠে অনেক বেশি ফাঁকা জায়গা পেয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন ওয়ার্নার, ‘গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, এবি ডি ভিলিয়ার্স এ সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছে। ফিল্ডারের অবস্থানটা তারা দেখে নেয়। যদি দেখে মিড অফে কেউ আছে, তারা চেষ্টা করে মিড অফের ওপর দিয়ে মারতে।’ ২০১২ সালে ফিল্ডিংয়ের নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আনে আইসিসি। বৃত্তের বাইরের ফিল্ডারের সংখ্যা পাঁচ থেকে কমিয়ে চারে আনা হয়। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের সময় সংখ্যাটা থাকে ৩ আর প্রথম ১০ ওভারে ২ জন। এ জন্যই তো ওয়ানডেতে রানের বন্যা বয়ে যাচ্ছে! সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। যেভাবে বদলে গেল ওয়ানডে অক্টোবর ২০১২: পাওয়ার প্লের ওভার ২০ থেকে কমে ১৫। বৃত্তের বাইরের ফিল্ডারের সংখ্যা ৫ থেকে কমে ৪ জন। এই পরিবর্তনের আগে ৩১৯৩ ম্যাচ ইনিংসে ৩৫০ বা তার বেশি রান হয়েছে ৫৬ বার। ঘটনা ঘটেছে প্রতি ৫৭ ম্যাচ অন্তর। ১৫০ বা তার বেশি রানের ব্যক্তিগত ইনিংস ৬৯টি। প্রতি ৪৬ ম্যাচে ১ বার। পরিবর্তনের পর ৩১৬ ম্যাচ ইনিংসে ৩৫০ বা তার বেশি রান ২৩ বার, প্রতি ১৪ ম্যাচে ১ বার। ১৫০ বা তার বেশি রানের ব্যক্তিগত ইনিংস ১৮টি, প্রতি ১৭ ম্যাচে ১ বার।

No comments:

Post a Comment