Wednesday, March 11, 2015

সুযোগ নষ্ট হয়নি হিলারি ক্লিনটনের:প্রথম অালো

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন অর্জনের দৌড়ে হিলারি ক্লিনটনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে আগে থেকেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময় সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করা নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক শুরু হওয়ায় তিনি কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন। বিরোধী শিবির এতে পুলকিত। আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামার আগে পরিস্থিতি এমন হবে, তা হয়তো হিলারি ভাবতে পারেননি।
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ই-মেইল বিতর্কে সাবেক ফার্স্ট লেডির প্রাথমিক সুযোগ মোটেও নষ্ট হয়নি। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা গত সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্য দিয়ে ওই ই-মেইল বিতর্কের সূচনা করে। হিলারি অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন। পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ পদে থাকার সময় তাঁর আদান-প্রদান করা সব ই-মেইল জনসমক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। হিলারির এ জবাবে বিচক্ষণতার অভাব আছে বলে মনে করছেন সমালোচকেরা। তবে দলীয় রাজনৈতিক কাঠামোকে কাজে লাগিয়ে তিনি হয়তো এ যাত্রায় উতরে যাবেন। হিলারিকে ইতিমধ্যে তলব করেছে কংগ্রেসের একটি কমিটি। লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় হিলারি যেসব ই-মেইল পাঠিয়েছিলেন, সেগুলো যাচাই করে দেখতে চায় ওই কমিটি। রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতাদের অনেকে মনে করেন, ওই সময় লিবিয়ায় মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে হিলারি যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন না। কংগ্রেসের ওই কমিটিতে হিলারির ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারাও রয়েছেন। হিলারি যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন, তখন সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তাঁর সমর্থক ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা এ যুক্তি জোরালোভাবে তুলে ধরে বলছেন, জেব বুশ, ববি জিন্দাল ও স্কট ওয়াকারের মতো রিপাবলিকান নেতারাও একই ধরনের কাজ করেছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকে বলছেন, ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করার ব্যাপারটি নিয়ে বিতর্ক হতে পারে—এমনটা জানলে হিলারি নিশ্চয়ই তা থেকে বিরত থাকতেন। সহযোগীদের কেউ কেউ হয়তো উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁকে ওই কাজে বাধা দেননি—এমন সন্দেহও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থিতার প্রচার কার্যক্রমের জন্য কর্মী জোগাড় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন হিলারি। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত দপ্তরে মুখপাত্র এখন পর্যন্ত মাত্র একজন। ধীরে ধীরে তাঁর আনুষ্ঠানিক প্রচারের ব্যাপ্তি বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সম্ভবত আগামী ১ এপ্রিল থেকে নির্বাচনী প্রচার অভিযান শুরু করবেন হিলারি। আর ই-মেইল নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক তাঁর মূল সমর্থকদের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের মূল কৌশলপ্রণেতা হিসেবে কাজ করেন ট্যাড ডিভাইন। আল গোর ও জন কেরির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন ডিভাইন। স্যান্ডার্স ও ডিভাইন দুজনই মনে করেন, ভোটাররা এখনো হিলারির অনুকূলে রয়েছেন। তিনি সরকারি কাজে ব্যক্তিগত নাকি সরকারি ই-মেইল ব্যবহার করেছিলেন—শেষ পর্যন্ত সেগুলো তেমন গুরুত্ব পাবে না।

No comments:

Post a Comment