Tuesday, April 14, 2015

এইচ বি এম ইকবালকে দুদকের দায়মুক্তি:প্রথম অালো

দুর্নীতির অভিযোগ থেকে এবার দায়মুক্তি পেলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল। সম্প্রতি শেয়ার কেলেঙ্কারি, অর্থ পাচার ও জালিয়াতির অভিযোগ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। দুদক সূত্র জানিয়েছে, এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্
রস্তাব (আইপিও) কেলেঙ্কারি, শেয়ার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ-বাণিজ্য, ভুয়া ও বেনামি ঋণ, অর্থ পাচারসহ ১০টি অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রিমিয়ার ব্যাংকের আইপিও ছাড়ার আগে ইকবাল নিজেই নামে-বেনামে ভুয়া বিও অ্যাকাউন্ট খুলে শেয়ার কেনেন। পরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আইপিও ছাড়ার অনুমতি আটকে দেয়। তার পরও তিনি কৌশলে প্রিমিয়ার ব্যাংকের আইপিও ছাড়ার অনুমতি পান। কয়েক বছর আগে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনেও এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট দখল করে ভবন নির্মাণেরও অভিযোগ আসে ইকবালের বিরুদ্ধে। ওই ভবনের জন্য ব্যাংকের কাছ থেকে অগ্রিম ভাড়া বাবদ কোটি কোটি টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ব্যাংকের কাছে নিজের মালিকানাধীন ভবন অতিরিক্ত হারে ভাড়া দিয়ে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগে আরও বলা হয়, এইচ বি এম ইকবাল প্রয়োজন না থাকলেও প্রিমিয়ার ব্যাংকের নতুন নতুন শাখা খোলা, অর্থের বিনিময়ে উচ্চ পদে কর্মকর্তা নিয়োগ, শাখায় অতিরিক্ত সাজসজ্জার খরচসহ নানা খাতে ব্যয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর কারণে ব্যাংকটি মূলধন ঘাটতির মুখেও পড়েছে। গত বছরের নভেম্বর থেকে পাঁচ মাসের বেশি সময় অভিযোগটি অনুসন্ধান করেন দুদকের উপপরিচালক হামিদুল হাসান। অনুসন্ধানে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযোগটি নথিভুক্ত করে তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে দুদকের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরবর্তী সময়ে এইচ বি এম ইকবাল, তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা করেছিল দুদক। কিন্তু ইকবালের বিশেষ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক মামলাগুলো নট-প্রেস (মামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে উত্থাপন থেকে বিরত থাকে) করে। এর আগে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, ঢাকার সাংসদ আসলামুল হক ও রাজশাহীর সাংসদ এনামুল হককে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয় দুদক।

No comments:

Post a Comment