Wednesday, May 20, 2015

অভিবাসী ইস্যু একার নয় এটি আঞ্চলিক সমস্যা:প্রথম অালো

ইন্দোনেশিয়া বলেছে, ‘অভিবাসী ইস্যু একটি বা দুটি দেশের সমস্যা নয়। এটি আঞ্চলিক সমস্যা।’ আজ বুধবার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠেয় ত্রিশীয় আলোচনাকে সামনে রেখে গতকাল জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ দিকে সাগরে অসহায়ভাবে নৌকায় ভাসতে থাকা অভিবাসন-প্রত্যাশীদের তীরে ভেড়াতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইন্দোনেশিয়ার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি গতকাল জাকার্তায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিবাসী ইস্যু একটি বা দুটি দেশের সমস্যা নয়। এটি আঞ্চলিক সমস্যা। এটি ঘটছে অন্য জায়গাগুলোতেও। সেই অর্থে এটি মূলত আন্তর্জাতিক ইস্যু।’ মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে থাইল্যান্ড সরকার কঠোর হওয়ার পর সম্প্রতি প্রায় তিন হাজার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসন-প্রত্যাশীকে পাচারকারীরা জরাজীর্ণ ও ভিড়ে ঠাসা নৌকায় রেখে পালিয়ে যায়। অন্য অভিবাসন-প্রত্যাশীদের তীরে ভিড়তে না দেওয়ায় ওই তিনটি দেশের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ক্ষুৎপিপাসায় কাতর অভিবাসীসহ নৌযানগুলো এক দেশের জলসীমা থেকে আরেক দেশের জলসীমায় ঘুরে ফিরছে। এদিকে গত সোমবার মিয়ানমারের অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল এনএলডির এক মুখপাত্র ‘দেশহীন মুসলিম জনগোষ্ঠীকে’ নাগরিকত্বের সুযোগ দেওয়ার জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়ে পালাতে থাকা রোহিঙ্গারা ‘মানবাধিকার’ পাওয়ার অধিকার রাখে। সু চির দলের মুখপাত্রের এই প্রতিক্রিয়া খুবই ব্যতিক্রমধর্মী। কারণ, রোহিঙ্গা ইস্যুতে কার্যত চুপ থাকার কারণে সু চি এ পর্যন্ত সমালোচিত হয়ে এসেছেন। গত সোমবার ইয়াঙ্গুনে সাংবাদিকদের কাছে এনএলডি মুখপাত্র বলেন, ‘যদি গ্রহণ (নাগরিক হিসেবে) করে নেওয়া হয়, তবে তারা (রোহিঙ্গারা) এ ধরনের পদক্ষেপ নেবে না।’ এদিকে কূলে ভিড়তে না দেওয়ার মাধ্যমে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ঠেকানোর বিতর্কিত প্রচেষ্টায় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে সংশ্লিষ্ট তিনটি দেশের আঞ্চলিক প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়া। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়াও এ ধরনের বিতর্কিত কৌশল অবলম্বন করে আসছে। দেশটি নৌযানে করে অবৈধভাবে আসা অভিবাসীদের এমনকী নিজ ভূখণ্ডে উঠতে না দিয়ে দূরের একাধিক দেশে রেখে দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী পিটার ডাটন বলেছেন, ‘এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার মতো এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোরও স্বাধীনভাবে নিজেদের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রয়েছে।’

No comments:

Post a Comment