Monday, May 4, 2015

শোক আর আতংকে নেপালিরা:যুগান্তর

এখনও ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে নেপালের ভূমি। শনিবার রাত থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০-১১ বার মৃদু আকারের ভূমিকম্প হয়েছে। এমন অবস্থায় নেপালিদের ঘুম যেন হারাম হয়ে গেছে। বাসা-বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছেন তারা। নিরুপায় হয়ে যারা থাকছেন, কম্পন টের পেলেই প্রাণ বাঁচাতে বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, অফিস থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। ধ্বংসস্তূপে চলছে উদ্ধার কাজ, বের হয়ে আসছে গলিত লাশও। প্রিয়জনের লাশ নামেমাত্র দাহ করে নদীতে ভাসিয়ে
দেয়া হচ্ছে। কান্নার রোল পড়ছে নদীর পাড় থেকে শুরু করে হাসপাতাল ও ধ্বংসস্তূপ এলাকায়। খোলা আকাশের নিচে, তাঁবুতে থাকা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছছে না। হা-হুতাশের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গতরা। চিড়া, চানাচুর আর মুড়ি মেশানো সামান্য ত্রাণ পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারছেন না ক্ষতিগ্রস্তরা। খাদ্যের জন্য ফুঁসে উঠছেন তারা। ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য পাঠানো আন্তর্জাতিক ত্রাণসামগ্রী দেশটির বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগে আটকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। ভূমিকম্পের ৮ দিন পর রোববার তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আতংক পিছু ছাড়ছে না বেঁচে থাকা মানুষের। তিলে তিলে গড়া জীবনযুদ্ধের সংসার তছনছ হয়ে গেছে। ২৫ এপ্রিলের সর্বগ্রাসী এই ভূমিকম্প যেমন সন্তানের কাছ থেকে মা-বাবাকে ছিনিয়ে নিয়েছে তেমনি, মা-বাবাও হয়েছে সন্তানহারা। আবার অনেকের পুরো পরিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। এসব ভয়াবহ দৃশ্য দেখে চরম আতংকে ভুগছেন নেপালবাসী। তারা বলেন, কারও কারও বাড়ি পুরোপুরি ধসে না গেলেও ফাটল ধরেছে। ফাটল অবস্থায় ওই সব বাড়িতে গিয়ে মরতে চান না তারা। ফাটল ধরা ভবনগুলো প্রতিনিয়তই ভেঙে যাচ্ছে। ক্ষণে ক্ষণে হওয়া ভূমিকম্পে ফাটল ধরা ভবনগুলো ধসে পড়ছে। রোববার নেপালের স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ২৬ মিনিটে কেঁপে উঠে কাঠমান্ডুসহ আশপাশের জেলাগুলো। ওই সময় যুগান্তরের এ প্রতিবেদক কাঠমান্ডুর থামেল জেটায় নেপাল নামাস্তে আবাসিক হোটেলে নিউজ লিখছিলেন। হোটেলটিসহ আশপাশের ভবনগুলো কাঁপতে থাকায় সব মানুষের সঙ্গে এ প্রতিবেদকও হোটেল থেকে বের হয়ে যান। পরে হোটেল বয়ের মাধ্যমে রুম থেকে ল্যাপটপ আনিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে নিউজ লিখতে হয়েছে। রোববার ভোর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া স্থান ঘুরে দেখা গেছে উদ্ধার কাজ চলছে। একই সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ এলাকায় তাঁবু টানিয়ে থাকা দুর্গতরা তাদের মালামাল উদ্ধারেও চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভোর রাতের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় ধসে যাওয়া স্থানগুলো আরও ধসে যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির জন্য উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফাটল ধরা ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা শত চেষ্টায়ও রক্ষা করা যাচ্ছে না। কাঠ, লোহা দিয়ে ঠেকিয়ে রাখলেও ভূমি কেঁপে ওঠায় তা ভেঙে পড়ছে। এমন অবস্থায় শুধু ক্ষতিগ্রস্তদেরই নয়, আতংক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা নেপালিদের মাঝে। একদিকে প্রিয়জন হারানোর শোক, অন্যদিকে আতংক। আতংক ছড়িয়ে পড়ছে দেশ-বিদেশ থেকে আসা উদ্ধারকারী দল, পর্যটক ও সাংবাদিকদের মধ্যেও। যে কোনো মুহূর্তে আবারও বড় ধরনের ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলা নেপালবাসীকে দেখতে হবে কিনা তা কেউ জানেন না। ভূমিকম্পন হলে তা মাপার সব ধরনের ব্যবস্থা থাকলেও কোন সময় কম্পন শুরু হবে তা জানার উপায় না থাকায় আতংকে বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন ভবনের বাইরেই থাকতে দেখা গেছে নেপালিদের। ভোর সাড়ে ৬টায় কাঠমান্ডু শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পশুপতি মন্দির এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি লাশ দাহ করা হচ্ছে। পশুপতি মন্দিরের পাদদেশেই রয়েছে বাঘমতি ছোট্ট নদী। যে নদীটি ভারতের সপ্তকুচি মা কালী নদীতে গিয়ে মিশেছে। শতাধিক মন্দিরের মধ্যে অনেক মন্দিরই ভেঙে গেছে ভূমিকম্পে। এদিকে ঐতিহ্যবাহী মন্দিরগুলোর ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারের কাজ চলছে, অন্যদিকে ভূমিকম্পে নিহতদের লাশ দাহ করা হচ্ছে। প্রায় সাতশ’ বছর পুরনো এ মন্দির এলাকায় লাশ দাহ করতে নেপালের বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃতদেহ আনা হয়। নদীর পাড় ঘেঁষে রয়েছে সারি সারি লাশ দাহের পাটাতন। ভূমিকম্পের দিন থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘাটে ২ হাজার ৮০০ লাশ দাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘাটের সরদার (যারা লাশ দাহ করেন তাদের প্রধান) সম্ভু পাটেল। তিনি জানান, ৫৪ জন ব্যক্তি দিনরাত লাশ দাহ করছেন। শুরুর দিকে লাশের ওপর লাশ স্তূপ ছিল। এখন কিছুটা কম। নদীর পাড়গুলোতে মানুষের পচা-গলা মাংস আর পুড়ে যাওয়া হাড়-মাংস পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে অনেকেই বমি করছিলেন। নদীটির পানি লালচে আর কালচে হয়ে গেছে। মানুষের পোড়া হাড়-মাংস আর ছাইয়ের স্তূপে নদীর স্রোত কমে গেছে। স্রোত ঠিক রাখতে কিছু নির্দিষ্ট লোক বাঁশ দিয়ে ওই সব নেড়ে ঢালুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন। তাদের একজন হীরা পাটেল। জানালেন, এখন লাশের পর লাশ দাহ করতে হচ্ছে। অনেক লাশই ঠিকমতো পোড়ানো যাচ্ছে না। ফলে পোড়াবিহীন লাশই পানিতে ফেলতে হচ্ছে। এসব লাশ সরাতেই তাদের কাজ করতে হচ্ছে। সম্ভু পাটেল যুগান্তরকে জানান, এমনিতে এক একটি লাশ দাহ করতে তারা নেপালি ১ হাজার ২০০ রুপি নিয়ে থাকেন। ভূমিকম্পে নিহতদের লাশ দাহ করতে টাকা নিচ্ছেন না। শুধু হিসাব রাখছেন কয়টা লাশ দাহ করছেন। এসব লাশ দাহের টাকা সরকার দেবে বলে তিনি জানান। এখানে এক সঙ্গে পাঁচটি লাশ পোড়ানো হচ্ছিল। একটির পাশে জটলা বেঁধে কাঁদছিলেন অনেকজন। তাদের একজন সীতা কুমারী। জানালেন, তার বাবা লাকমী চান ভূমিকম্পে মারা গেছেন। মা  বেঁচে থাকলেও আহত হয়ে এতদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।  রোববার ভোর রাতে মারা গেছেন তিনি।  সঙ্গে থাকা চার বোন সরস্বতী সেনকা, পার্বতী, ইন্দিয়া ও ঈশ্বরী কেঁদেই চলছিলেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, তাদের স্বজনদের কোনো মতে পোড়ানো হচ্ছে। শহরের প্রাণ কেন্দ্র সুন্দরা এলাকায় ধারাহারা (ভীমসিম) টাওয়ার এলাকায় মানুষের পচা গন্ধে দাঁড়িয়ে থাকা দায়। ৯ তলাবিশিষ্ট প্রায় ৭০ ফুট উঁচু টাওয়ারটির এখন শুধু চিহ্ন রয়েছে। মুছে গেছে তার পুরো রূপ। ভূমিকম্পের সময় ওই টাওয়ারের ওপর ছিলেন যারা তাদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে। রোববার পর্যন্ত ওই ধসে যাওয়া টাওয়ারের স্তূপ থেকে ১১১টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। টাওয়ারটি সংলগ্ন পাঞ্জাবি নামক একটি ৮তলাবিশিষ্ট আবাসিক হোটেল ছিল। পুরো হোটেলটিই ধসে গেছে। ওই সময় হোটেলটির মালিক সুজামান মারুয়াসহ মারা যান ১৭ জন বর্ডার। টাওয়ার এলাকার পাশ দিয়েই একটি সরু রাস্তা পূর্বদিকে  গেছে। ওই রাস্তার পাশে মনমরা হয়ে বসেছিল ৭০ বছর বয়সী লালবিহারী কুমার। তিনি জানালেন, এলাকার তার বাড়িসহ প্রায় তিন শতাধিক বাড়িতে ফাটল রয়েছে। কেউ বাড়িতে প্রবেশ করছে না। পুলিশের নিষেধ থাকায় ফাটল অবস্থায় ওইসব বাড়িতে কেউই উঠতে পারবে না। সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছে। ফাটল বাসা বাড়িগুলো থেকে অতি প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র নিতে আসা অনেককেই বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছেন, পর্যাক্রমে ফাটল বাড়িগুলো ইঞ্জিনিয়ারদের সহযোগিতায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষেই নির্দেশ দেয়া হবে কোন বাসায় মানুষ থাকতে পারবে। শহরের প্রাণ কেন্দ্র ধারাহারা তুরিখেল মাঠে তাঁবুর পর তাঁবু। ভূমিকম্পের পর এ মাঠে প্রায় পাঁচ হাজার ক্ষতিগ্রস্তদের স্থান দেয়া হয়েছিল। রোববার দুপুরে ওই মাঠে গিয়ে দেখা যায়, শত শত নারী, শিশুসহ সব বয়সী দুর্গত মানুষ ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছে। অনেকেরই মুখসহ শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। শিশুরা ঠিক মতো খাবার পাচ্ছে না। ৩০-৩৫টি তাঁবুর ভেতর গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঠে যারা ছিলেন শুরু থেকে তাদের অনেকেই বিভিন্ন গ্রামে চলে গেছেন। যাদের গ্রামে কোনো ঘরবাড়ি নেই তারাই নিরুপায় হয়ে তাঁবুর নিচে থাকেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মিতালী, পিংকী, সরস্বতী, মনীষা, রাজু পাটেল, রমেশ, সেন্টু, দীপক, মিনাক্ষীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ তাঁবুতে যারা থাকছেন তাদের শুধু শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। খাবারের পানি দেয়া হচ্ছে সামান্য। এক প্রকার অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। অনেকেই বলেছেন, যথাযথ শিশু খাদ্য না থাকায় শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তার প্রমাণ মিললো একটি তাঁবুর ভেতর গিয়ে। ওই তাঁবুর ভেতর থাকা তিন বছরের শিশু অনিতা কুমারী। খালি শরীরে থাকায় তার বুকের পাঁজরের সবক’টি হাড় অনায়শে গোনা যাচ্ছিল। মাঠের কোণায় একটি গাছের তলায় শুইয়ে ছিলেন ৮০ বছর বয়সী নারী বেনতী বালা। জানালেন, ভূমিকম্পের দিন থেকে তিনিসহ তার পরিবারের সাতজন তাঁবুতে থাকছেন। চিঁড়া, মুড়ি আর রুটি খেয়ে কতদিন আর থাকা যায়। ভাতের ব্যবস্থা নেই, নেই রান্না করার কোনো ব্যবস্থাও। ত্রাণের পাশাপাশি তারা কিছু টাকা চাচ্ছে। টাকা পেলে শিশুদের খাদ্যসহ নিজেরাও ডাল-ভাত খেতে পারতেন। তাঁবুতে অনেক গর্ভবতী নারীও রয়েছেন। তাঁবুতে কথা হয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়া শিক্ষার্থী অনিকা অধিকারীর সঙ্গে। জানালেন, পড়াশোনা শেষ, শেষ তাদের বাড়িটিও। বোন হাসপাতালে ভর্তি। মা-বাবার সঙ্গে সে তাঁবুতে থাকছে। পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে জানায় সে। রোববার বিকালের হওয়া ভূমিকম্পে বসন্তপুর দরবার স্কয়ারে ঝুলে থাকা বেশ কয়েকটি ভবন পুরোপুরি ধসে গেছে। যে ভবনগুলো বাঁশ, কাঠ ও লোহা দিয়ে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। শহরের প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বক্তপুর-লালিতপুর দরবার স্কয়ারটিও পুরো ধসে গেছে। এখানে টানা উদ্ধার কাজ চলছে। ৬৬ জন লোক মারা যায় এখানে। হাসপাতালে ভর্তি আহতদের দেশী-বিদেশী চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপ সরাতে গিয়ে পাচ্ছে লাশও। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশংকা স্থানীয় অনেকের। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত নেপাল প্রশাসন সূত্র জানায়, ছয় হাজার ৮১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি লোক মারা গেছে বলে জানিয়েছেন দুর্গতরা। ৮ দিন পর তিনজনকে জীবিত উদ্ধার : ভূমিকম্পের ৮ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সিন্ধুপালচোকের বাসিন্দা ওই তিনজনকে তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে রোববার উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি। রাজধানী কাঠমান্ডুর উত্তরাঞ্চলের ওই এলাকাটি ভূমিকম্পে নেপালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর একটি। এছাড়া পর্বতারোহণের জন্য জনপ্রিয় একটি পাহাড়ি পথে  প্রায় ৫০ জন পর্বতারোহীর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশী পর্বতারোহীর মৃতদেহও রয়েছে। তুষার ধসে চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। কাস্টমসে আটকা ত্রাণ -জাতিসংঘ : ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য পাঠানো আন্তর্জাতিক ত্রাণসামগ্রী দেশটির বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগে আটকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। এতে দুর্গত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে জানিয়ে শুল্ক আইন শিথিল করতে নেপালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পরেও হাজারো মানুষ ত্রাণের অপেক্ষায়, আর কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে ত্রাণের স্তূপ জমছে ছাড়ের অপেক্ষায়।’ এরই মধ্যে ত্রিপল ও তাঁবুর ওপর আমদানি শুল্ক তুলে নিয়েছে নেপাল সরকার। নেপাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লক্ষ্মী প্রসাদ ধাকাল বলছেন, ‘দেশের বাইরে থেকে আসা সবকিছুই তল্লাশি করতে হবে।’ নেপালের অর্থমন্ত্রী রাম শরণ মাহাত বলেছেন, আমরা টুনা মাছ বা মেয়নেজের মতো খাবার ত্রাণসামগ্রী হিসেবে পাচ্ছি। এগুলো কী কাজে আসবে? আমাদের দরকার খাদ্যশস্য, লবণ ও চিনি।  

No comments:

Post a Comment