লুইস ফেলিপে স্কলারির ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছিলেন সাবেলা, আমি নিশ্চিত। প্রথম থেকেই আক্রমণ না করে ধীরেসুস্থে প্রতিপক্ষের খেলার ধরন দেখে তারপর সুযোগ বুঝে গোলের চেষ্টা করা, এমনটাই ছিল শিষ্যদের প্রতি চাওয়া। ব্রাজিল ধরাশায়ী হয়েছিল স্কলারির ভুলের কারণে, যেখানে আর্জেন্টিনা জিতেছে সাবেলার রক্ষণাত্মক কৌশল আর রোবেনদের নিষ্প্রভতায়। ১৯৮৬ সালের পর আকাশি-নীলদের প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোর ভার এখন লিওনেল মেসির কাঁধে। চা
র ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেও প্রতিভার বিচারে নিজের সেরাটা এখনো খেলতে পারেনি মেসি। তবে এই মেসি অনেক পরিণত, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক। হল্যান্ড আর আর্জেন্টিনা দুই দলই রক্ষণাত্মক খেলেছে, তবে সাবেলার দলের জয় টাইব্রেকারে এলেও সেই জয় ছিল বিশ্বাসের। প্রথম সেমিফাইনাল থেকে দ্বিতীয়টা ছিল পুরোপুরি আলাদা। প্রথম দিন জার্মানি ব্রাজিলকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে, পরেরটা তেমন আহামরি কোনো ম্যাচ ছিল না। মেসিকে ওর নিজের খেলাটা খেলার মতো একদমই জায়গা দেয়নি হল্যান্ড। তবে ফন গালের দলের খেলাও ছিল হতাশাজনক। সেমি আর কোয়ার্টার ফাইনাল মিলিয়ে চার ঘণ্টায়ও কোনো গোল করতে পারেনি ডাচরা। ফন পার্সিকে তো মাঠে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না, রোবেন আর স্নাইডারকেও বোতলবন্দী করে রেখেছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। তবে মেসির খেলা আমাকে হতাশ করেছে। মাঠে ও বেশির ভাগ সময়ই হেঁটে বেড়িয়েছে, অপেক্ষা করেছে কখন ও বল পাবে আর কিছু একটা করবে। তবে দল ঠিকই ফাইনালে চলে গেল। ভাগ্য ওদের সঙ্গে ছিল। তবু বলতেই হবে, টাইব্রেকারে মেসির দল ছিল অসাধারণ। সত্যি বলতে, প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেল আর্জেন্টিনা। কালকে ওরা ডাচদের ঠিকই আটকে দিয়েছে, কিন্তু জার্মানির সঙ্গে খেলাটা হবে অন্যরকম। মেসিকে অনেক সময়ই খুঁজে পাওয়া যায় না। মেসি আর ডি মারিয়াকে বাদ দিলে সাবেলার দল নিতান্তই সাধারণ। তবে হ্যাঁ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। টাইব্রেকারের রোমেরো ছিল দুর্দান্ত। ফাইনালে সবকিছু এমন না-ও থাকতে পারে। জার্মানি ওদের দুর্বল দিকগুলো কাজে লাগাতে চাইবে। সাবেলা সেটা জানেন নিশ্চয়ই।
No comments:
Post a Comment