মার্চ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, ২০০৩ সালের ১২ জুলাই মহিলা আওয়ামী লীগ, ২০০৪ সালের ১৫ মার্চ যুব মহিলা লীগ, ৮ আগস্ট তাঁতী লীগ, একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ২০১০ সালের ১১ জুলাই ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সাতটি সংগঠনকে সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এগুলো হল- মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, তাঁতী লীগ ও যুব মহিলা লীগ। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপি) জনিত কারণে জাতীয় শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদকে ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, এ সংগঠনগুলো স্ব স্ব গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হবে। তবে গঠনতন্ত্রে যাই বলা হোক না কেন- এসব সংগঠন পুরোপুরি শেখ হাসিনা নির্ভর। অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগের সম্মেলন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হলেও মেয়াদ উত্তীর্ণ এসব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সম্মেলনের কোনো উদ্যোগ নেই। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ায় পদ আঁকড়ে ধরে রাখার একটা প্রবণতা রয়েছে এসব সংগঠনের বর্তমান নেতাদের মধ্যে। এ নিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ সংগঠনগুলোর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে সম্মেলন না হওয়ায় তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ এ নিয়ে কারও কোনো ভাবনা নেই। জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, মূলত রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই তারা সব জেলা ও উপজেলায় সম্মেলন সম্পন্ন করতে পারেননি। সেগুলো শেষ করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিক্রমে তারা নতুন সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে আশা করছেন। মহিলা লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা ২০০৯ সালে মূল দল আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মনোনীত হন। আওয়ামী লীগের পরবর্তী সম্মেলনেও ইন্দিরা একই দায়িত্ব পান। তার শূন্যস্থানে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান পিনু খান। এখনও সংগঠনটির সভাপতি আশরাফুন্নেসা মোশারফ। সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আশরাফুন্নেসা মোশাররফ যুগান্তরকে বলেন, তিনি নতুন নেতৃত্বের পক্ষে। যে কোনো সময় সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলেই সম্মেলন আয়োজন করতে পারবেন। তবে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পিনু খান যুগান্তরকে বলেন, কিছু জেলায় আহ্বায়ক কমিটি এখনও রয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে এসব জেলায় সম্মেলন করা হচ্ছে। এ কাজটি শেষ হলেই কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সময় চাওয়া হবে। তাঁতী লীগ এবং আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ প্রায় অস্তিত্বহীন। ২০০৪ সালে তাঁতী লীগের আহ্বায়ক কমিটি হয়। ইনসুর আলীর নেতৃত্বে এ কমিটি হলেও বর্তমানে তারা দ্বিধাবিভক্ত। এক গ্র“পের নেতারা আরেক গ্র“পের নেতাদের দেখতে পারেন না। ইতিমধ্যে বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটেছে। আওয়ামী আইনজীবী পরিষদকে কখনও কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। সংগঠনটির সভাপতি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আবু। সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আবু যুগান্তরকে বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। তবে শিগগিরই সম্মেলন করার চিন্তা করছেন বলে জানান তিনি। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকার সময় রাজপথে প্রচণ্ড সক্রিয় ভূমিকার কারণে দ্রুত পরিচিত পায় যুব মহিলা লীগ। আওয়ামী লীগের সব মহলেই আলাদা কদর তৈরি হয় ২০০২ এ জন্ম নেয়া সর্ব কনিষ্ঠ সংগঠন যুব মহিলা লীগ নেতাকর্মীদের। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা বলতে গেলে ‘বেকার’ হয়ে পড়েন। আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মীরাও ব্যস্ত হয়ে পড়ে ব্যক্তি স্বার্থে। এ ব্যাপারে যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী নাজমা আক্তার যুগান্তরকে বলেন, তারা সম্মেলনের জন্য সময় চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন। সময় পেলেই সম্মেলন শেষ করবেন। তিনি আরও জানান, কিছু জেলা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। সামনে এগুলোর সম্মেলনও সম্পন্ন করা হবে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Friday, July 25, 2014
আলীগের ৬ সহযোগী সংগঠনে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি:যুগান্তর
মার্চ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, ২০০৩ সালের ১২ জুলাই মহিলা আওয়ামী লীগ, ২০০৪ সালের ১৫ মার্চ যুব মহিলা লীগ, ৮ আগস্ট তাঁতী লীগ, একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ২০১০ সালের ১১ জুলাই ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সাতটি সংগঠনকে সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এগুলো হল- মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, তাঁতী লীগ ও যুব মহিলা লীগ। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপি) জনিত কারণে জাতীয় শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদকে ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, এ সংগঠনগুলো স্ব স্ব গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হবে। তবে গঠনতন্ত্রে যাই বলা হোক না কেন- এসব সংগঠন পুরোপুরি শেখ হাসিনা নির্ভর। অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগের সম্মেলন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হলেও মেয়াদ উত্তীর্ণ এসব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সম্মেলনের কোনো উদ্যোগ নেই। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ায় পদ আঁকড়ে ধরে রাখার একটা প্রবণতা রয়েছে এসব সংগঠনের বর্তমান নেতাদের মধ্যে। এ নিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ সংগঠনগুলোর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে সম্মেলন না হওয়ায় তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ এ নিয়ে কারও কোনো ভাবনা নেই। জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, মূলত রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই তারা সব জেলা ও উপজেলায় সম্মেলন সম্পন্ন করতে পারেননি। সেগুলো শেষ করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিক্রমে তারা নতুন সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে আশা করছেন। মহিলা লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা ২০০৯ সালে মূল দল আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মনোনীত হন। আওয়ামী লীগের পরবর্তী সম্মেলনেও ইন্দিরা একই দায়িত্ব পান। তার শূন্যস্থানে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান পিনু খান। এখনও সংগঠনটির সভাপতি আশরাফুন্নেসা মোশারফ। সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আশরাফুন্নেসা মোশাররফ যুগান্তরকে বলেন, তিনি নতুন নেতৃত্বের পক্ষে। যে কোনো সময় সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলেই সম্মেলন আয়োজন করতে পারবেন। তবে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পিনু খান যুগান্তরকে বলেন, কিছু জেলায় আহ্বায়ক কমিটি এখনও রয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে এসব জেলায় সম্মেলন করা হচ্ছে। এ কাজটি শেষ হলেই কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সময় চাওয়া হবে। তাঁতী লীগ এবং আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ প্রায় অস্তিত্বহীন। ২০০৪ সালে তাঁতী লীগের আহ্বায়ক কমিটি হয়। ইনসুর আলীর নেতৃত্বে এ কমিটি হলেও বর্তমানে তারা দ্বিধাবিভক্ত। এক গ্র“পের নেতারা আরেক গ্র“পের নেতাদের দেখতে পারেন না। ইতিমধ্যে বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটেছে। আওয়ামী আইনজীবী পরিষদকে কখনও কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। সংগঠনটির সভাপতি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আবু। সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আবু যুগান্তরকে বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। তবে শিগগিরই সম্মেলন করার চিন্তা করছেন বলে জানান তিনি। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকার সময় রাজপথে প্রচণ্ড সক্রিয় ভূমিকার কারণে দ্রুত পরিচিত পায় যুব মহিলা লীগ। আওয়ামী লীগের সব মহলেই আলাদা কদর তৈরি হয় ২০০২ এ জন্ম নেয়া সর্ব কনিষ্ঠ সংগঠন যুব মহিলা লীগ নেতাকর্মীদের। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা বলতে গেলে ‘বেকার’ হয়ে পড়েন। আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মীরাও ব্যস্ত হয়ে পড়ে ব্যক্তি স্বার্থে। এ ব্যাপারে যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী নাজমা আক্তার যুগান্তরকে বলেন, তারা সম্মেলনের জন্য সময় চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন। সময় পেলেই সম্মেলন শেষ করবেন। তিনি আরও জানান, কিছু জেলা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। সামনে এগুলোর সম্মেলনও সম্পন্ন করা হবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment