Saturday, August 30, 2014

সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাজ্যে সতর্কতা জারি:প্রথম অালো

সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় গতকাল শুক্রবার যুক্তরাজ্যে ‘দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। সিরিয়া ও ইরাকের জঙ্গিরা দেশটির ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।  তবে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, দেশে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা আছে, তবে হামলা অনিবার্য এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য মেলেনি। তিনি
বলেন, সিরিয়া ও ইরাকের জঙ্গিরা পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে পারে বলে জানা গেছে। এসব হামলার সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠীর বিদেশি যোদ্ধারা জড়িত, যারা যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ থেকে সেখানে গিয়ে যুক্ত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতেই সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তাঁর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি দলে যোগ দেওয়া নাগরিকেরা দেশের জন্য বড় হুমকি। তাই দেশের জঙ্গিদের দমনের জন্য তিনি আইন করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ইসলামিক জঙ্গিবাদ, বিশেষত আইএস দমনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তাঁর সরকার তাঁর দেশের সন্দেহভাজন নাগরিকদের পাসপোর্ট জব্দ করার পরিকল্পনা করেছে। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আইএস অনলাইনে একটি ভিডিওচিত্র ছাড়ে। এতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জেমস ফলিকে মুখোশপরিহিত এক জঙ্গি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ওই জঙ্গির উচ্চারণভঙ্গি ব্রিটিশদের মতো। তার পরিচয় জানতে তদন্ত চলছে।  ওই ঘটনার পর যুক্তরাজ্যের মুসলমানদের সিরিয়া ও ইরাকে গিয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। ওই নাগরিকেরা দেশে ফিরে জঙ্গি হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১১ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যে এমন সতর্কতা জারি করা হলো। সতর্কতা জারির ক্ষমতা দেশটির জঙ্গিবাদ বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট টেররিজম অ্যানালাইসিস সেন্টারের (জেটিএসি) হাতে।

No comments:

Post a Comment