Thursday, September 4, 2014

মহানবী সা:-এর রওজা নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ আইসেসকোর:নয়াদিগন্ত

ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় সাংবাদিক অ্যান্ড্রু জনসন মহানবী সা:-এর রওজা স্থানান্তর নিয়ে যে ভিত্তিহীন রিপোর্ট লিখেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামিক এডুকেশনাল, সায়েনটিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেসকো)। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টে প্রকাশিত রিপোর্টটিতে বলা হয়, রাসূল সা:-এর রওজা জান্নাতুল বাকিতে সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে এক গবেষকের দেয়া পরামর্শ বিবেচনা করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ওআইসির স
হযোগী প্রতিষ্ঠান আইসেসকো গতকাল বুধবার তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেয়া এক বার্তায় এ প্রতিবাদ জানিয়েছে।  আইসেসকো জানায়, রিপোর্টে যা বলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। ইসলাম ও মুসলিম সম্প্রদায়কে হেয় করা এবং সৌদি আরবের ভাবমর্যাদা ুণœ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে। সৌদি আরব মুসলিম বিশ্বের পবিত্র স্থান ও স্থাপনাগুলো আস্থা ও বিশ্বাসের সাথে দেখভাল করে আসছে। সারা বিশ্ব থেকে আসা হাজী ও ভ্রমণকারীদের প্রয়োজন মেটানোর হ ক্ষেত্রেও পূর্ণ সক্ষমতা দেখিয়েছে সৌদি আরব।  প্রতিবাদবার্তায় বলা হয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়া গোষ্ঠীগত বিভাজন ও সন্ত্রাস আরো বাড়িয়ে দিয়ে এটাকে অপ্রতিরোধ্য ধ্বংসাত্মক পর্যায়ে নিয়ে যেতে জায়নবাদী ও ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।  ‘মহানবী সা:-এর রওজা যেখানে আছে, সেখানেই থাকবে’ উল্লেখ করে আইসেসকো বলেছে, এই ধরনের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানটি দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা ও সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।  উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট ও ডেইলি মেইল ইতঃপূর্বে এক রিপোর্টে বলেছিল, মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর রওজা সরিয়ে নেয়ার একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সৌদি আরবে। পত্রিকা দু’টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের এক শিাবিদের সাথে আলোচনার পর এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব এরই মধ্যে মদিনার ‘মসজিদে নববী’ পরিচালনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ৬১ পৃষ্ঠার ওই নথিতে মহানবী সা:-এর রওজা শরিফ মসজিদে নববীর কাছেই অবস্থিত জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কি না জানা যায়নি বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment