চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মাসে প্রায় চার কোটি টাকা অবৈধ আয় হচ্ছে। কারাগারের বন্দিবিক্রি, স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ, পুনঃগ্রেফতারের হুমকিসহ নানাভাবে তোলা হচ্ছে এই টাকা। সিনিয়র জেল সুপার মো. ছগীর মিয়া যোগ্যতাবলে বন্দি ও তাদের স্বজনদের জিম্মি করে চট্টগ্রাম কারাগারকে টাকার খনিতে রূপান্তরিত করেছেন। টাকা আদায়ের নামে কারাবন্দি ও কারারক্ষী সবার ওপর দিয়ে স্টিমরোলার চালান ছগীর মিয়া। ফলে নির্যাতনে অতিষ্ঠ
কারাবন্দি ও কারারক্ষী মিলিতভাবে বিদ্রোহ করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে এ জেল সুপারকে দু’বার বদলি করা হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এখনও স্বপদে বহাল তিনি। কারাগারের আয় যথাযথভাবে বণ্টনের কারণেই তার কিছু হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন। একটি গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারের দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায়। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ১৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, এসব অপকর্মের হোতা চট্টগ্রাম কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগীর মিয়া ও জেলার নেছার আলমসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে প্রত্যাহার বা অন্যত্র বদলি করতে হবে। পাশাপাশি তাদের অবৈধ অর্থে অর্জিত সম্পত্তির বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কারাগারে বহুল আলোচিত মৃত্যুবরণকারী কয়েদি জাকির হোসেনের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের সুপারিশ করা হয়। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপারের একাধিক আয়ের উৎসের সন্ধান পাওয়া গেছে। উৎসগুলো হচ্ছে কারাগারে আগত নতুন বন্দিদের নিলামে বিক্রি, টাকার বিনিময়ে বন্দির সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ পাইয়ে দেয়া। দর্শনার্থীদের সামর্থ্য অনুযায়ী নানাভাবে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। যেমন জানালা সাক্ষাৎ, গেইট সাক্ষাৎ, ভিআইপি সাক্ষাৎ ইত্যাদি। এছাড়া জামিনপ্রাপ্ত বা সাজা খেটে বের হওয়া বন্দিদের কারা ফটকে পুনরায় গ্রেফতারের হুমকি, কারাগারের ক্যান্টিন ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, কারা হাসপাতালে অসুস্থ হিসেবে বন্দিদের সুবিধা পাইয়ে দেয়ার নামেও আদায় করা হয় মোটা অংকের অর্থ। এসবের পাশাপাশি, বন্দিদের নিুমানের খাবার সরবরাহের সুযোগ দিয়ে ঠিকাদারের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া, কারাগারে গড়ে তোলা ডেইরি ফার্মের দুধ বিক্রিসহ নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় চার কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করে। এর মধ্যে যথাযথভাবে ভাগবণ্টনের পর প্রতি মাসে নিজের ভাগে পড়ে ২৫ লাখ টাকা। প্রতিবেদনে যা রয়েছে : প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার পদে যোদ দেন ছগীর মিয়া। যোগদানের পর থেকেই সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কারাগারে নানা অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। কারাগারে থাকা প্রায় ৫ হাজার বন্দিকে কেন্দ্র করে তিনি অবৈধ কার্যক্রমের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছেন। নগদ অর্থ ছাড়া কারাগারে খাবার-দাবার, পানি, প্রকৃতির ডাকে সারা দেয়াসহ কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় না। বিভিন্ন খাত তৈরি করে তা থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক এবং এককালীন হারে টাকা আদায় করছেন। অধস্তন কারারক্ষীদের কাছ থেকেও নগদ অর্থসহ নানারকম সুবিধা গ্রহণ করছেন। তার অবৈধ অর্থের জোগান দিতে গিয়ে গত ৩ বছরে বিভিন্ন সময়ে কারা অভ্যন্তরে কারারক্ষী ও বন্দিদের মধ্যে মারামারি, হানাহানিসহ সহিংস ঘটনা ঘটে। গত ৩ জুন জাকির হোসেন (কয়েদি নং-০৮৩৮৫/এ) নামে এক কারাবন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনার সাক্ষী দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তৈয়ব, হেলাল, এনাম এবং সোহেলসহ ৫ জনকে নির্জন ‘৩২ সেল’-এ বন্দি করে রাখা হয়। তদন্ত কমিটির সামনে মুখ খুললে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তাদের হুমকি দেয়া হয়। কারাবন্দি ও রক্ষীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে তদন্ত কমিটি সামাল দেন ছগীর মিয়া। পরিস্থিতি সামলে ওঠার পর ছগীর ধরাকে সরাজ্ঞান করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। প্রতিবেদনের মন্তব্যে বলা হয়, ছগীরের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কারাগারের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। কারাবন্দিরাও সুবিধাবঞ্চিত। এর ফলে যে কোনো সময় কারাগারে কারাবন্দি ও কারারক্ষীদের সমন্বিত বা আলাদাভাবে কারা বিদ্রোহের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। কারাগার পরিদর্শনে সরকার মনোনীত ১২ জন কারা পরিদর্শক রয়েছে। তারা নিয়মিতভাবে কারা পরিদর্শন করেন না। দু-একদিন পরিদর্শনে গেলেও নানা কৌশলে কারাগারের অনিয়ম ঢেকে রাখা হয়। ফলে পরিদর্শকরা প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারেন না। কারা পরিদর্শকের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে ছগীর তার স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানানো হয়। প্রতিবেদনে তার অবৈধ আয়ের খাতওয়ারি বিবরণ তুলে ধরা হয়। এগুলো হল- ক. কারাগারে আগত নতুন বন্দি বিক্রি : চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার ২৮ থানা থেকে বিভিন্ন অপরাধে আটক হয়ে প্রতিদিন গড়ে ১০০-১২০ জন নতুন বন্দির কারাগারে আসে। সারা দিন নতুন বন্দিদের একটি ছোট কক্ষে ঠাসাঠাসি কর দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এ কক্ষটিকে ‘আমদানি কক্ষ’ বলা হয়। এখানে যারা থাকে তাদের সারাদিন কোনো খাবার-দাবার এমনকি বাথরুমে যেতে দেয়া হয় না। এ অবস্থায় প্রতিদিন ভোররাতে (৪টা থেকে ৫টার মধ্যে) কেইস টেবিল নামে জেলারের নেতৃত্বে ‘বন্দি বিক্রয়ের’ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেট/রাইটাররা উপস্থিত হয়ে নিলামের মাধ্যমে বন্দিপ্রতি ২ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন মূল্যে ক্রয় করে স্ব-স্ব ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে প্রতিদিন বন্দিবিক্রি বাবদ তার আয় ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা। প্রসঙ্গত ওয়ার্ডের শৃঙ্খলা রক্ষায় কারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত সাজাপ্রাপ্ত একজন বন্দিকে ‘মেট’ এবং এসব মেটের সহযোগিতার জন্য এক বা একাধিক সাজাপ্রাপ্ত বন্দি থাকে তাদের ‘রাইটার’ বলা হয়। এসব মেট ও রাইটারদের পরিচালনার জন্য আবার ২-৩ জন নিয়ন্ত্রক বন্দি থাকেন। যাদের একজনকে ‘চিফ রাইটার এবং অন্যদের ‘ডেপুটি চিফ রাইটার’ বলা হয়। খ. টাকার বিনিময়ে সাক্ষাৎ : কোনো বন্দি কারাগারে এলেই তার স্বজনরা সাক্ষাৎ করতে যান কারাগারে। বন্দির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কোনো প্রকার ফি আদায়ের সরকারি বিধান না থাকলেও জেল সুপার নিজ উদ্যোগে একটি ব্যবস্থা চালু করেছেন। এ ক্ষেত্রে একটি বন্দি সাক্ষাতের আবেদনপত্র ছাপিয়ে দর্শনার্থী ফি’র নামে উচ্চহারে অর্থ আদায় করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী কারারক্ষীদের দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ টাকা হিসাবে মাসে ৬০ লাখ টাকার বেশি অর্থ আদায় করা হচ্ছে। কারারক্ষী হাবিব (কারারক্ষী নং-২২২৬০), আবদুর রহিম (কারারক্ষী নং-২২৫২০) এবং প্রধান কারারক্ষী নুরুল আলম (কারারক্ষী নং-২১০০০) টাকা তুলে জেলারকে বুঝিয়ে দেয়। এতে আরও বলা হয়, দর্শনার্থী সাক্ষাৎ কক্ষে কোনো কারারক্ষীকে দায়িত্ব পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। জেলারের বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত কারারক্ষী রাসেল (কারারক্ষী নং-২২৩৯৮) আগ্রহী কারারক্ষীদের কাছ থেকে এ খাতের টাকা সংগ্রহ করেন। গ. জামিনপ্রাপ্তদের পুনরায় গ্রেফতারে হুমকি : চট্টগ্রাম মহানগরীর জামায়াত অধ্যুষিত এলাকার প্রায় ১ হাজার ৮০০ বন্দি রয়েছেন চট্টগ্রাম কারাগারে। তাদের অধিকাংশই ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ হরতাল-অবরোধকালে আটক হওয়া আসামি। এ ছাড়াও জঙ্গি সংগঠনের আটক বন্দিদের জামিন বা সাজা খেটে মুক্তি পাওয়ার সময় আইনশৃংখলা বাহিনীকে জানানোর নির্দেশনা রয়েছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা থাকলে জেলগেট থেকে অন্য মামলায় তাদের গ্রেফতার করে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়। ফলে সাজা খাটা বা জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে পুনঃগ্রেফতার আতংক বিরাজ করে। এ আতংককে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন মুক্তিপ্রাপ্ত ১০০-১২০ জনের কাছ থেকে আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় জনপ্রতি ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। প্রধান কারারক্ষীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বন্দি বা আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে এভাবে প্রতিদিন গড়ে ৪-৫ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ঘ. ক্যান্টিন ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ : কারাগারে ৫ হাজার বন্দির জন্য বাইরে ও ভেতরে একটি করে মোট দুটি ক্যান্টিন চালু রয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়মূল্যের ওপর শতকরা ১০ ভাগের বেশি লাভ না করার নির্দেশনা রয়েছে। তা উপেক্ষা করে ৫০-৬০ শতাংশ লাভ করা হয়। প্রতিদিন লাভের অতিরিক্ত টাকা ক্যান্টিন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী আমিনুল ইসলাম (কারারক্ষী নং-২২২৪৮) জেলারকে বুঝিয়ে দেন। দুটি ক্যান্টিন থেকে এভাবে মাসে ৫ লাখ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। ৩-৬ মাস পোস্টিংয়ের জন্য কারারক্ষীপ্রতি ১-২ লাখ টাকা আদায় করা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ঙ. হাসপাতালে অসুস্থ হিসেবে সুবিধা দেয়া : কারাগারে ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল রয়েছে। এ হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে সুস্থ বন্দিদের চিকিৎসা দেয়া হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তাতে বলা হয়, হাসপাতালের ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের যোগসাজশে মাসের পর মাস নির্দিষ্ট কিছু বন্দিকে হাসপাতালে ভর্তি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ এককালীন ১২ হাজার টাকা এবং সিট ভাড়া বাবদ সপ্তাহে ৩ হাজার টাকা আদা করা হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থ দেখিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে কমপক্ষে ১ থেকে ২ লাখ টাকা গ্রহণ করা হয়। এ খাতের আয় থেকে জেল সুপার ও জেলার প্রতিমাসে এক লাখ টাকা করে স্থায়ী আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। চ. নিুমানের খাবার পরিবেশন : বন্দিদের নিুমানের খাবার দিয়ে বন্দিপ্রতি ২ টাকা হারে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে মাসে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এ ছাড়াও বন্দিদের পিসিতে (পার্সোনাল ক্যাশ) জমা থাকা টাকা-পয়সাও মুক্তিকালে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। ছ. ডেইরি ফার্ম বাণিজ্য : কারাগারে সরকারি সুযোগ-সুবিধা অপব্যবহার করে ডেইরি ফার্ম গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে এ ফার্মে একটি ষাঁড়, ৮টি গাভী এবং ৪টি বাছুর রয়েছে। প্রতিদিন এখান থেকে ৭০-৮০ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। ওই দুধ কারাগারের কর্মচারীদের ৭০ টাকা দরে কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ খাত থেকে প্রতিমাসে এক লাখ টাকা আয় হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ছগীরের বিরুদ্ধে নিয়োগ, বদলি-বাণিজ্য করার অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ছগীর মিয়ার বক্তব্য : এসব অভিযোগের বিষয় উল্লেখ করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগীর মিয়ার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, সব অভিযোগই মিথ্যা। কারও চরিত্র হরণ করার জন্য এ ধরনের প্রতিবেদন দেয়া হয়। একজন বন্দি মারা গেছে সত্য। তা নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে, মামলাও হয়েছে। নতুন বন্দিদের নিলামে বিক্রি হবে কেন? সাক্ষাতের সময় কোনো টাকা নেয়া হয় না। আমাকে কখনও বদলিও করা হয়নি। কারাগারের ক্যান্টিন চলে নীতিমালা অনুযায়ী। সব বিষয়ই বানোয়াট। আপনি যদি আপনাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধির মাধ্যমে এসব খবর নেন, তাহলেই প্রকৃত তথ্য জানতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment