শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে সরকার একটি তালিকা করেছে। এটা বাস্তবায়ন করা কোনো কঠিন কাজ নয়। আমরা চাইলে এটা করতে পারি। শেখ হাসিনা তার মন্ত্রণালয়গুলো পরিদর্শন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আসেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মোহসিন আলী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বক্তৃতা দেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন, মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তার সরকারের প্রত্যেক মানুষকে খড়ের ঘরের স্থলে কমপক্ষে একটি করে টিনের ঘর দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য মাত্র ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জে গৃহায়ন প্রকল্প নেয়া হয়। তিনি এ ক্ষেত্রে অধিক সুদে বেসরকারি ঋণদান প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করে বলেন, তাদের এসব প্রকল্পে দারিদ্র্যহ্রাস হয় না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে একমাত্র দল যে দল শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অর্থনীতি ও অন্যান্য খাতে বিভিন্ন উপকমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন এবং ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পছন্দ করতেন। আমরা তার পথ অনুসরণ করছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। এ জন্য আমরা দারিদ্র্যমুক্তির প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করছি। একই সাথে আমরা অতি দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরও ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই। তিনি বলেন, স্থানীয় ও বাইরের অশুভ শক্তি সব সময় বাংলাদেশের প্রগতি ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা পথে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। ১৯৭৪ সালে খাদ্যসঙ্কট সৃষ্টি করে তারা ষড়যন্ত্র করেছে এবং আবারো ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করেছে। পূর্বঅভিজ্ঞতার জন্য আমরা তাদের এই অশুভ তৎপরতা মোকাবেলা করেছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এবার সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রশাসনের সব স্তর ছিল ঐক্যবদ্ধ। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে রাজনৈতিক তৃণমূলপর্যায়ের কর্মী ও সাধারণ মানুষ সজাগ ছিল।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, November 3, 2014
দারিদ্র্যহ্রাস প্রকল্পের সুফল নিশ্চিত করতে নিবিড় মনিটরিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর:নয়াদিগন্ত
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে সরকার একটি তালিকা করেছে। এটা বাস্তবায়ন করা কোনো কঠিন কাজ নয়। আমরা চাইলে এটা করতে পারি। শেখ হাসিনা তার মন্ত্রণালয়গুলো পরিদর্শন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আসেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মোহসিন আলী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বক্তৃতা দেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন, মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তার সরকারের প্রত্যেক মানুষকে খড়ের ঘরের স্থলে কমপক্ষে একটি করে টিনের ঘর দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য মাত্র ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জে গৃহায়ন প্রকল্প নেয়া হয়। তিনি এ ক্ষেত্রে অধিক সুদে বেসরকারি ঋণদান প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করে বলেন, তাদের এসব প্রকল্পে দারিদ্র্যহ্রাস হয় না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে একমাত্র দল যে দল শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অর্থনীতি ও অন্যান্য খাতে বিভিন্ন উপকমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন এবং ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পছন্দ করতেন। আমরা তার পথ অনুসরণ করছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। এ জন্য আমরা দারিদ্র্যমুক্তির প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করছি। একই সাথে আমরা অতি দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরও ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই। তিনি বলেন, স্থানীয় ও বাইরের অশুভ শক্তি সব সময় বাংলাদেশের প্রগতি ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা পথে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। ১৯৭৪ সালে খাদ্যসঙ্কট সৃষ্টি করে তারা ষড়যন্ত্র করেছে এবং আবারো ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করেছে। পূর্বঅভিজ্ঞতার জন্য আমরা তাদের এই অশুভ তৎপরতা মোকাবেলা করেছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এবার সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রশাসনের সব স্তর ছিল ঐক্যবদ্ধ। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে রাজনৈতিক তৃণমূলপর্যায়ের কর্মী ও সাধারণ মানুষ সজাগ ছিল।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment