রেপ্তার হওয়া জঙ্গি সাজিদ কি না, এ বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত তাঁরা নিশ্চিত হতে পারেননি। এদিকে মাসুমের বড় ভাই মোনায়েম হোসেন ওরফে মনাকে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তাঁর বাড়ি থেকে র্যাব আটক করেছে। গতকাল রাত আটটার দিকে র্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২ অক্টোবর ভারতের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে র্যাব-১১-এর একটি দল ফরাজীকান্দা থেকে মোনায়েমকে গতকাল ভোররাত সাড়ে চারটায় আটক করেছে। কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মোনায়েম স্থানীয় একটি ওয়েল্ডিং কারখানার মিস্ত্রি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী সীমা আক্তারের সঙ্গে কথা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সকাল থেকেই পুলিশ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাঁদের বাড়িতে আসছেন। এর পর থেকে তাঁরা লোকমুখে শুনছেন যে তাঁর দেবর মাসুম ভারতে হামলার সঙ্গে জড়িত। তবে সাজিদ নামটি তাঁরা কখনো শোনেননি। সীমা আক্তার বলেন, প্রায় ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে পরিবারের সঙ্গে মাসুমের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি জানান, মাসুম ছোট থাকতেই তাঁর বাবা পাটকলশ্রমিক সিদ্দিকুর রহমান মারা যান। এরপর মাসুমকে যাত্রাবাড়ীর একটি মাদ্রাসায় দেওয়া হয়। সেখানে লেখাপড়া করেন। পাঁচ ভাই, চার বোনের মধ্যে মাসুম সবার ছোট। তাঁর মা অসুস্থ; ঢাকায় এক বোনের বাড়িতে আছেন। এদিকে বন্দর থানার ওসি নজরুল ইসলাম খান জানান, তাঁরা পুরোনো নথিপত্র ঘেঁটে মাসুমের বিরুদ্ধে একটি মামলার হদিস পেয়েছেন। মামলাটি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানার একটি ডাকাতি মামলা। ওই মামলায় ২০০০ সাল পর্যন্ত গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলেন মাসুম। মাসুমের ভাই স্কুলশিক্ষক মো. মামুন দাবি করেন, গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাসুম তাঁদের জানিয়েছিল, টুঙ্গিপাড়ার একটি জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে চাকরি করার সময় মসজিদ কমিটির অন্তর্দ্বন্দ্বে তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলাতেই দীর্ঘদিন কারাভোগ করে ২০০০ সালে জামিনে মুক্ত হয়। এরপর মাসুম আর বাড়ির কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। শাহনুর বাংলাদেশে?: এদিকে ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় গতকাল প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার অন্যতম সন্দেহভাজন জঙ্গি শাহনুর আলম বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন বলে সন্দেহ করছেন ভারতের গোয়েন্দারা। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘শাহনুর হয়তো বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন। দক্ষিণ ভারতেও তাঁর লুকিয়ে থাকার একটি ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে।’ শাহনুরের স্ত্রী সুজেনা বেগমকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনআইএ। শাহনুরের মতো সুজেনাও জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে সন্দেহ করছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি জানান, গত সোমবার কলকাতায় আটক হওয়া বর্ধমান বিস্ফোরণের অন্যতম সন্দেহভাজন আমজাদ শেখ ওরফে কাজলকে গতকাল কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এনআইএর হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Wednesday, November 12, 2014
ভারতে গ্রেপ্তার সাজিদই নারায়ণগঞ্জের মাসুম?:প্রথম অালো
রেপ্তার হওয়া জঙ্গি সাজিদ কি না, এ বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত তাঁরা নিশ্চিত হতে পারেননি। এদিকে মাসুমের বড় ভাই মোনায়েম হোসেন ওরফে মনাকে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তাঁর বাড়ি থেকে র্যাব আটক করেছে। গতকাল রাত আটটার দিকে র্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২ অক্টোবর ভারতের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে র্যাব-১১-এর একটি দল ফরাজীকান্দা থেকে মোনায়েমকে গতকাল ভোররাত সাড়ে চারটায় আটক করেছে। কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মোনায়েম স্থানীয় একটি ওয়েল্ডিং কারখানার মিস্ত্রি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী সীমা আক্তারের সঙ্গে কথা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সকাল থেকেই পুলিশ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাঁদের বাড়িতে আসছেন। এর পর থেকে তাঁরা লোকমুখে শুনছেন যে তাঁর দেবর মাসুম ভারতে হামলার সঙ্গে জড়িত। তবে সাজিদ নামটি তাঁরা কখনো শোনেননি। সীমা আক্তার বলেন, প্রায় ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে পরিবারের সঙ্গে মাসুমের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি জানান, মাসুম ছোট থাকতেই তাঁর বাবা পাটকলশ্রমিক সিদ্দিকুর রহমান মারা যান। এরপর মাসুমকে যাত্রাবাড়ীর একটি মাদ্রাসায় দেওয়া হয়। সেখানে লেখাপড়া করেন। পাঁচ ভাই, চার বোনের মধ্যে মাসুম সবার ছোট। তাঁর মা অসুস্থ; ঢাকায় এক বোনের বাড়িতে আছেন। এদিকে বন্দর থানার ওসি নজরুল ইসলাম খান জানান, তাঁরা পুরোনো নথিপত্র ঘেঁটে মাসুমের বিরুদ্ধে একটি মামলার হদিস পেয়েছেন। মামলাটি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানার একটি ডাকাতি মামলা। ওই মামলায় ২০০০ সাল পর্যন্ত গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলেন মাসুম। মাসুমের ভাই স্কুলশিক্ষক মো. মামুন দাবি করেন, গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাসুম তাঁদের জানিয়েছিল, টুঙ্গিপাড়ার একটি জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে চাকরি করার সময় মসজিদ কমিটির অন্তর্দ্বন্দ্বে তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলাতেই দীর্ঘদিন কারাভোগ করে ২০০০ সালে জামিনে মুক্ত হয়। এরপর মাসুম আর বাড়ির কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। শাহনুর বাংলাদেশে?: এদিকে ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় গতকাল প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার অন্যতম সন্দেহভাজন জঙ্গি শাহনুর আলম বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন বলে সন্দেহ করছেন ভারতের গোয়েন্দারা। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘শাহনুর হয়তো বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন। দক্ষিণ ভারতেও তাঁর লুকিয়ে থাকার একটি ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে।’ শাহনুরের স্ত্রী সুজেনা বেগমকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনআইএ। শাহনুরের মতো সুজেনাও জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে সন্দেহ করছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি জানান, গত সোমবার কলকাতায় আটক হওয়া বর্ধমান বিস্ফোরণের অন্যতম সন্দেহভাজন আমজাদ শেখ ওরফে কাজলকে গতকাল কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এনআইএর হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment