েন, যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর হলে যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছেন, তাঁরা সান্ত্বনা পাবেন। তাঁদের মানবাধিকার সুরক্ষিত হবে। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ওনার (খালেদা জিয়া) অবস্থাটা কী এখন! সাপ যদি ব্যাঙ গেলে, গলায় ফেঁসে যায়। না পারে নড়তে, না পারে চড়তে। ওনার জন্য ওই জামায়াত এখন হয়ে গেছে সাপের ব্যাঙ গেলার মতো অবস্থা। উনি ঝেড়ে কাশতেও পারছেন না, কিছু বলতেও পারছেন না। না পারছেন তাদের পক্ষে বলতে, না পারছেন তাদের বিরুদ্ধে বলতে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া নিজের স্বামীকে স্বাধীনতার ঘোষক ঘোষক বলে গলা শুকিয়ে ফেলেছেন। তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে কীভাবে ঘর-সংসার করলেন, মন্ত্রী বানালেন? এতেই বোঝা যায়, তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণাসংক্রান্ত দাবি অসার।’ খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি যে অভিশাপ দেন, তা যেন আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে ফিরে আসে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে বিএনপির নেত্রী বক্তৃতা করলেন। আমার কথা বললেন। আমি নাকি কোনো দিন প্রধানমন্ত্রী তো দূরে থাক, বিরোধীদলীয় নেত্রীও হতে পারব না। আরও বলেছিলেন, আমরা নাকি ৩০টা আসনও পাব না। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস। আজকে তিনি বিরোধী দলীয় নেতাও থাকতে পারলেন না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে উনি নিজেই ৩০টি আসন পাননি। এবার তো নির্বাচন করতেই ভয় পেয়েছেন। হয়তো মনে করেছেন, আরও কম আসন পাবেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন বিএনপির নেত্রী চোখে দেখেন না। দেখবেন কী করে? দেখার মতো দৃষ্টিও তো থাকতে চাই। এখন ক্ষমতায় নাই। দুর্নীতি করতে পারছেন না। হাওয়া ভবন নেই, কমিশন খেতে পারছেন না। চাঁদা তুলতে পারছেন না। ক্ষমতা নাই, সেই আফসোসে মরে যাচ্ছেন।’ বর্তমান সরকার অবৈধ—খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি সবকিছু অবৈধ দেখেন। আয়নায় নিজের চেহারা দেখলে নিজেকে অবৈধই মনে হবে আপনার।’ এরপর প্রধানমন্ত্রী হেসে দিয়ে বলেন, ‘আরে ভাই, আমি আয়নায় অন্য কিছু দেখতে বলছি না। মেকআপ, মাথার উইগ-পরচুলার কথা বলছি না। হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জিয়া অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেন। সেখান থেকে দল গঠন করেন। সবটাই অবৈধ।’ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি যখন ক্যাম্পে ক্যাম্পে গেছি, তখন জিয়া আমাকে জয় বাংলা বলে স্যালুট দেয়। আমি তাঁর স্যালুট নিই। এর পরও তাঁকে কীভাবে স্বাধীনতার ঘোষক বলে?’ তিনি বলেন, ‘এখন নতুন নতুন অনেক নেতা গজাইছে। সেই সব নেতা দিয়ে কিছু হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব।’ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে যে রায়ই ঘোষিত হচ্ছে, তা দ্রুত কার্যকর করার ব্যবস্থা করা হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের রায় পর পর ঘোষিত হওয়ায় বিএনপি অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছে। তাই এখন তাদের মুখে কোনো কথা নাই। সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Tuesday, November 4, 2014
প্রত্যেকটা রায় কার্যকর করব ইনশা আল্লাহ:প্রথম অালো
েন, যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর হলে যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছেন, তাঁরা সান্ত্বনা পাবেন। তাঁদের মানবাধিকার সুরক্ষিত হবে। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ওনার (খালেদা জিয়া) অবস্থাটা কী এখন! সাপ যদি ব্যাঙ গেলে, গলায় ফেঁসে যায়। না পারে নড়তে, না পারে চড়তে। ওনার জন্য ওই জামায়াত এখন হয়ে গেছে সাপের ব্যাঙ গেলার মতো অবস্থা। উনি ঝেড়ে কাশতেও পারছেন না, কিছু বলতেও পারছেন না। না পারছেন তাদের পক্ষে বলতে, না পারছেন তাদের বিরুদ্ধে বলতে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া নিজের স্বামীকে স্বাধীনতার ঘোষক ঘোষক বলে গলা শুকিয়ে ফেলেছেন। তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে কীভাবে ঘর-সংসার করলেন, মন্ত্রী বানালেন? এতেই বোঝা যায়, তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণাসংক্রান্ত দাবি অসার।’ খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি যে অভিশাপ দেন, তা যেন আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে ফিরে আসে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে বিএনপির নেত্রী বক্তৃতা করলেন। আমার কথা বললেন। আমি নাকি কোনো দিন প্রধানমন্ত্রী তো দূরে থাক, বিরোধীদলীয় নেত্রীও হতে পারব না। আরও বলেছিলেন, আমরা নাকি ৩০টা আসনও পাব না। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস। আজকে তিনি বিরোধী দলীয় নেতাও থাকতে পারলেন না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে উনি নিজেই ৩০টি আসন পাননি। এবার তো নির্বাচন করতেই ভয় পেয়েছেন। হয়তো মনে করেছেন, আরও কম আসন পাবেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন বিএনপির নেত্রী চোখে দেখেন না। দেখবেন কী করে? দেখার মতো দৃষ্টিও তো থাকতে চাই। এখন ক্ষমতায় নাই। দুর্নীতি করতে পারছেন না। হাওয়া ভবন নেই, কমিশন খেতে পারছেন না। চাঁদা তুলতে পারছেন না। ক্ষমতা নাই, সেই আফসোসে মরে যাচ্ছেন।’ বর্তমান সরকার অবৈধ—খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি সবকিছু অবৈধ দেখেন। আয়নায় নিজের চেহারা দেখলে নিজেকে অবৈধই মনে হবে আপনার।’ এরপর প্রধানমন্ত্রী হেসে দিয়ে বলেন, ‘আরে ভাই, আমি আয়নায় অন্য কিছু দেখতে বলছি না। মেকআপ, মাথার উইগ-পরচুলার কথা বলছি না। হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জিয়া অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেন। সেখান থেকে দল গঠন করেন। সবটাই অবৈধ।’ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি যখন ক্যাম্পে ক্যাম্পে গেছি, তখন জিয়া আমাকে জয় বাংলা বলে স্যালুট দেয়। আমি তাঁর স্যালুট নিই। এর পরও তাঁকে কীভাবে স্বাধীনতার ঘোষক বলে?’ তিনি বলেন, ‘এখন নতুন নতুন অনেক নেতা গজাইছে। সেই সব নেতা দিয়ে কিছু হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব।’ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে যে রায়ই ঘোষিত হচ্ছে, তা দ্রুত কার্যকর করার ব্যবস্থা করা হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের রায় পর পর ঘোষিত হওয়ায় বিএনপি অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছে। তাই এখন তাদের মুখে কোনো কথা নাই। সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment