Monday, December 8, 2014

এবার লড়াইয়ের মাঠে থাকব আমি : খালেদা জিয়া:নয়াদিগন্ত

আবারো আন্দোলনের মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, জালিম সরকারের হাত থেকে দেশ রার আন্দোলনে এবার আমিও থাকব। এখনো নিজেকে এত দুর্বল মনে করি না যে লড়াইয়ের মাঠে থাকতে পারব না।   গত রাতে গুলশান কার্যালয়ে ব্লু-ব্যান্ড কল নামে একটি অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।   আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া বলেছেন, ওরা তো ভীতু। সাহস থাকলে
আমাদের ফেইস করত। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মানুষ একটা কিছু করে ফেলত। এসপার-ওসপার করে ফেলত। ফয়সালা করে ফেলত। কিন্তু ভয় পেয়ে আমাকে তিন দিন বাড়িতে আটকে রেখেছিল সরকার। যাতে আমি বাড়ি থেকে বের হতে না পারি।   তিনি বলেন, বালির ট্রাক দিয়ে রাস্তা আটকানো হয়েছিল। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে বের হতে দেয়া হয়নি। দেখামাত্রই গুলি করা হয়েছে। মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এবার আর পারবে না, কঠোর আন্দোলন হবে।   খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কোনো দেশ সমর্থন করেনি। জনগণের ভয়ে এখন তারা নির্বাচন দিতে ভয় পায়। লুটপাট করতেই তারা মতায় এসেছে। ভোটের আগে মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মতায় গিয়ে লুটপাটে মেতে উঠেছে। তাদের দিয়ে কোনো জনকল্যাণ হবে না।   বিএনপি প্রধান বলেন, দেশ এক ব্যক্তির শাসনে চলছে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না, দেবো না। সরকার ছাত্রলীগকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করছে অভিযোগ করে বেগম জিয়া বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্ত্রাগারে পরিণত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট কাসের দাম নেই, যদি না সে আওয়ামী লীগ করে।   তিনি বলেন, খেলার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার। এ জন্য আমরা নির্দলীয় নিরপে সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তরুণ প্রজন্মকে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ এখন মহাসঙ্কট কাল অতিক্রম করছে, আমাদের যেমন দায়িত্ব আছে তেমনি দেশের জন্য তরুণ প্রজন্মেরও দায়িত্ব আছে। তোমরাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে, আমরা পেছন থেকে তোমাদের উৎসাহ দেবো। এখনো মনে করি না যে দুর্বল হয়ে পড়েছি। তোমরা মাঠে নামো, আমরা সাথে আছি।   সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সহসম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ব্লু-ব্যান্ডের সভাপতি মো: ফয়েজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।   খিলক্ষেত থানা বিএনপির কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করায় বিােভ : এ দিকে খিলক্ষেত থানা বিএনপির কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করায় বিােভ করেছেন নেতাকর্মীরা। গত রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থগিত হওয়া কমিটির সভাপতি শাহীনুর আলম মারফত এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুল হক ফজলু।   রাত ৮টায় গুলিস্তান-ধামরাই রুটের চারটি বাসে করে দুই শাতাধিক বিক্ষোভকারী গুলশান কার্যালয়ে সামনে আসেন। এরপর সাড়ে আট থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গুলশান অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। রাত ৯টার দিকে কার্যালয়ে খালেদা জিয়া পৌঁছানোর আগে সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা তাদের একটু দূরে সরিয়ে দেন। এরপর খালেদা জিয়া গাড়ি নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশের সময় বিক্ষোভকারীরা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কমিটি গঠনের মাত্র দেড় বছরের মাথায় খিলক্ষেত থানা বিএনপির কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র। তারা অবিলম্বে স্থগিত কমিটির কার্যক্রম শুরুর দাবি জানান।

No comments:

Post a Comment