Friday, December 26, 2014

২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অভিজাত এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন:নয়াদিগন্ত

ঢাকার বিভক্ত সিটি করপোরেশনে নির্বাচিত মেয়র ও ওয়ার্ড কমিশনার না থাকায় রাজধানীর অভিজাত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার রাস্তা, ড্রেনেজসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে না। ফলে সড়কগুলোতে বেশির ভাগ সময়ই জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। ফুটপাথগুলোও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে।   ডিসিসি সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মহানগরীর ৩৬টি ওয়ার্ড ও পাঁচটি অঞ্চলের সমন্বয়ে গঠিত। বনানী, গুলশান ও
বারিধারা নিয়ে গঠিত অঞ্চল ৩-এ ১০টি ওয়ার্ড রয়েছে। এ অভিজাত এলাকার আয়তন ১৮ দশমিক ৫৪ বর্গকিলোমিটার। রাস্তা, ফুটপাথ, নর্দমা, ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস, খেলার মাঠ, কবরস্থান, মার্কেট ইত্যাদি অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব হলো সিটি করপোরেশনের। আর ঢাকা ওয়াসা মহানগরীর পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের দায়িত্বে নিয়োজিত। কিন্তু গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়নি। ফলে জলাবদ্ধতা এসব এলাকার নৈমিত্তিক সমস্যা। জলাবদ্ধতার কারণে যানজট, পথচারীদের হয়রানি ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পানি জমে থাকার কারণেই সড়কগুলো টেকসই হচ্ছে না।   গুলশানের পশ্চিমাংশ, বনানী ও বারিধারা ‘কে’ ব্লকের ড্রেনেজব্যবস্থা বরাবরই ত্রুটিপূর্ণ। সম্প্রতি রাজউক থেকে  বারিধারার ‘জে’ ব্লক উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্লকের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, আন্তর্জাতিক অফিস ও দেশী-বিদেশী গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান। ফলে এই এলাকায় সড়ক, ফুটপাথ ও ড্রেনেজব্যবস্থার সমন্বিত ও আধুনিক পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়নের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জন্য ১৯৯ কোটি ৯৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ব্যয় প্রস্তাব করেছে ডিএনসিসি। এখানে ৪৭.৭০৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ, ৬৯.৭৪৪ কিলোমিটার খোলা ড্রেন নির্মাণ, ৩১.৯৩১ কিলোমিটার পাইপ ড্রেন নির্মাণ, ৭০.৮১৯ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণ করতে হবে। ২০১৬ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে বলে ডিএনসিসি বলছে।

No comments:

Post a Comment