োর সর্বসম্মত সুপারিশ করা সত্ত্বেও বিলটি এ অধিবেশনে রাজ্যসভায় আলোচনার জন্য আনা হলো না। কেন এ অযথা বিলম্ব, তা নিয়ে স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একদা বিলের বিরোধিতা করে এলেও তৃণমূল কংগ্রেস বিলের পক্ষে সায় দিয়েছে। সম্প্রতি দিল্লি এসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, তিনি চান পুনর্বাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করে অবিলম্বে বিলটি পাস করাতে। গতকাল কলকাতা যাওয়ার আগে মমতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণেই অনেকে আমাকে সীমান্ত চুক্তির বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছিল। তাদের আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের ছিটমহলবাসীর স্বার্থেই এ বিল অবিলম্বে পাস হওয়া দরকার। আমরা সমর্থন করছি।’ মমতারও প্রশ্ন, কেন্দ্র কেন যে বিলটা এবার আনল না, তা বোঝা গেল না। শুধু মমতাই নন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে তাঁর দলের লোকসভা সদস্য সুগত বসু, সিপিএমের মহম্মদ সেলিম এমনকি স্থায়ী কমিটির খোদ চেয়ারম্যান কংগ্রেসের শশী থারুরও এ বিলম্বে বিস্মিত। তাঁরা প্রত্যেকেই তাঁদের মতো করে খোঁজ করেছেন। এঁদের কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সুষমা তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, কয়েকটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই তাঁরা বিলটি সংসদের বাজেট অধিবেশনে আনবেন। সেই অধিবেশন শুরু হবে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে। সরকার কোন কোন বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায়? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিলটি চূড়ান্ত করার আগে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, স্থায়ী কমিটি সর্বসম্মতভাবে যে সুপারিশগুলো করেছে, রাজ্যসভায় পেশ করা বিলটির সঙ্গে সেগুলো কতটা সংগতিপূর্ণ, এ মুহূর্তে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রটি বলে, স্থায়ী কমিটির সুপারিশ যখন মন্ত্রণালয়ে আসে, তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সফর নিয়ে তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। পুতিন চলে যাওয়ার পর সুপারিশগুলো খতিয়ে দেখা হয়। তখনই ঠিক হয়, রাজ্যসভায় পেশ হওয়া বিলের সঙ্গে সুপারিশগুলোর মিল অমিল কতখানি এবং তার আইনগত ব্যাখ্যা কী রকম, তা বিচার করা দরকার। সেই কারণেই স্থায়ী কমিটির সুপারিশ নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। সূত্রটি বলে, আইন মন্ত্রণালয়ের অভিমত জানার পরই বিলটি চূড়ান্ত করা হবে। সংসদের বাজেট অধিবেশনেই তা পাস হবে। রাজ্যসভায় পেশ হওয়া সীমান্ত বিল ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছিল। স্থায়ী কমিটির সুপারিশ সেই বিলে সংশোধনী আকারে আনার সিদ্ধান্ত হলে বিলটি মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার অনুমোদনের আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিলটি প্রত্যাহার করে নতুনভাবে পেশ করতে হলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন ফের নিতে হবে। যেটাই হোক তা করতে এখন সরকারের হাতে দুই মাসের মতো সময় রয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বাজেট অধিবেশনেই এ বিল বাস্তবায়িত হবে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Sunday, December 21, 2014
বাজেট অধিবেশনেই পাস হবে সীমান্ত বিল:প্রথম অালো
োর সর্বসম্মত সুপারিশ করা সত্ত্বেও বিলটি এ অধিবেশনে রাজ্যসভায় আলোচনার জন্য আনা হলো না। কেন এ অযথা বিলম্ব, তা নিয়ে স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একদা বিলের বিরোধিতা করে এলেও তৃণমূল কংগ্রেস বিলের পক্ষে সায় দিয়েছে। সম্প্রতি দিল্লি এসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, তিনি চান পুনর্বাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করে অবিলম্বে বিলটি পাস করাতে। গতকাল কলকাতা যাওয়ার আগে মমতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণেই অনেকে আমাকে সীমান্ত চুক্তির বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছিল। তাদের আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের ছিটমহলবাসীর স্বার্থেই এ বিল অবিলম্বে পাস হওয়া দরকার। আমরা সমর্থন করছি।’ মমতারও প্রশ্ন, কেন্দ্র কেন যে বিলটা এবার আনল না, তা বোঝা গেল না। শুধু মমতাই নন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে তাঁর দলের লোকসভা সদস্য সুগত বসু, সিপিএমের মহম্মদ সেলিম এমনকি স্থায়ী কমিটির খোদ চেয়ারম্যান কংগ্রেসের শশী থারুরও এ বিলম্বে বিস্মিত। তাঁরা প্রত্যেকেই তাঁদের মতো করে খোঁজ করেছেন। এঁদের কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সুষমা তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, কয়েকটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই তাঁরা বিলটি সংসদের বাজেট অধিবেশনে আনবেন। সেই অধিবেশন শুরু হবে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে। সরকার কোন কোন বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায়? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিলটি চূড়ান্ত করার আগে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, স্থায়ী কমিটি সর্বসম্মতভাবে যে সুপারিশগুলো করেছে, রাজ্যসভায় পেশ করা বিলটির সঙ্গে সেগুলো কতটা সংগতিপূর্ণ, এ মুহূর্তে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রটি বলে, স্থায়ী কমিটির সুপারিশ যখন মন্ত্রণালয়ে আসে, তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সফর নিয়ে তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। পুতিন চলে যাওয়ার পর সুপারিশগুলো খতিয়ে দেখা হয়। তখনই ঠিক হয়, রাজ্যসভায় পেশ হওয়া বিলের সঙ্গে সুপারিশগুলোর মিল অমিল কতখানি এবং তার আইনগত ব্যাখ্যা কী রকম, তা বিচার করা দরকার। সেই কারণেই স্থায়ী কমিটির সুপারিশ নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। সূত্রটি বলে, আইন মন্ত্রণালয়ের অভিমত জানার পরই বিলটি চূড়ান্ত করা হবে। সংসদের বাজেট অধিবেশনেই তা পাস হবে। রাজ্যসভায় পেশ হওয়া সীমান্ত বিল ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছিল। স্থায়ী কমিটির সুপারিশ সেই বিলে সংশোধনী আকারে আনার সিদ্ধান্ত হলে বিলটি মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার অনুমোদনের আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিলটি প্রত্যাহার করে নতুনভাবে পেশ করতে হলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন ফের নিতে হবে। যেটাই হোক তা করতে এখন সরকারের হাতে দুই মাসের মতো সময় রয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বাজেট অধিবেশনেই এ বিল বাস্তবায়িত হবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment