ানায়, দীর্ঘ সময় ধরে এ প্রকল্প চলমান থাকলেও তা যেন শেষ হচ্ছে না। কিন্তু বাড়ছে ব্যয়। ধীর গতিতেই চলছে এটি। দুই প্রকল্পে এ পর্যন্ত ব্যয় বেড়েছে ১ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দু’টি বড় প্রকল্প শেষ করার জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনামন্ত্রীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সড়ক মন্ত্রীর এ চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা এবং জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ৫৬৫ কোটি টাকা প্রয়োজন। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ অনূর্ধ্ব ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প ও চলতি অর্থবছরে সমাপ্তিযোগ্য প্রকল্পে অগ্রাধিকারমূলক বরাদ্দ দেয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত করে প্রকল্পসংখ্যা কমিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু চাহিদার চেয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ কম হওয়ায় প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। চলতি বছর এ বিভাগের এডিপিতে ন্যূনতম চাহিদা পাঁচ হাজার ৪৮৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর বিপরীতে বরাদ্দ হয়েছে চার হাজার ৬০৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প দু’টিতে নির্ধারিত বরাদ্দের অতিরিক্ত এক হাজার ৬৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বিদ্যমান বাজেট কাঠামো থেকে জোগান দেয়া সম্ভব নয়। মন্ত্রীর চিঠি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য থেকে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে অনুমোদনের সময় দুই হাজার ১৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। আট বছর এরই মধ্যে অতিক্রম করলেও এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। অন্য দিকে দুই দফায় ব্যয় বেড়েছে এক হাজার ২২ কোটি টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) প্রকল্পের ব্যয় এখন তিন হাজার ১৯০ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় সড়ক ও তিনটি সেতু নির্মাণ প্যাকেজে ১৯২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি সড়ক নির্মাণে ১০টি ও সেতু নির্মাণে তিনটিসহ মোট ১৩টি প্যাকেজে বাস্তবায়নাধীন। গত নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৩ শতাংশ। ব্যয় হয়েছে নভেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৬৮৯ কোটি চার লাখ টাকা। ২০১১ সালে প্রকল্পে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যয় বাড়ানো হয় এবং গত ডিসেম্বরে শেষ করার নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এখন সেই সময়ও অতিক্রম করেছে; কিন্তু তাতেও শেষ হবে কি না এ নিয়ে আইএমইডিও সন্দেহে আছে। কারণ সাত বছরে অগ্রগতি ২৬ শতাংশ। এখন আরো ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছেন খোদ যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প ২০১০ সালের জুলাইয়ে অনুমোদন দেয়া হয়। সেই সময় একনেক প্রকল্পের অনুকূলে ৯৯২ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করে। কিন্তু পরে মেয়াদ ও ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্পের ব্যয় গিয়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৮১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। কিন্তু ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৩০৬ কোটি টাকা। কিন্তু নভেম্বরে এসে এ ব্যয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছে এক হাজার ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি এ বছর জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন শেষ করার কথা। চলতি বছর বরাদ্দ রয়েছে ৩৯৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কিন্তু প্রকল্প শেষ করতে আরো ৫৬৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। মন্ত্রীর চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য অর্থ বিভাগে পৃথকভাবে উপানুষ্ঠানিক পত্র পাঠানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরে পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে বরাদ্দকৃত এক হাজার ৪৮৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার মধ্য থেকে এ অতিরিক্ত সংস্থান করার জন্য অর্থ বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Tuesday, January 13, 2015
২টি প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত হাজার কোটি টাকা বরাদ্দে পরিকল্পনামন্ত্রীকে চিঠি:নয়াদিগন্ত
ানায়, দীর্ঘ সময় ধরে এ প্রকল্প চলমান থাকলেও তা যেন শেষ হচ্ছে না। কিন্তু বাড়ছে ব্যয়। ধীর গতিতেই চলছে এটি। দুই প্রকল্পে এ পর্যন্ত ব্যয় বেড়েছে ১ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দু’টি বড় প্রকল্প শেষ করার জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনামন্ত্রীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সড়ক মন্ত্রীর এ চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা এবং জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ৫৬৫ কোটি টাকা প্রয়োজন। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ অনূর্ধ্ব ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প ও চলতি অর্থবছরে সমাপ্তিযোগ্য প্রকল্পে অগ্রাধিকারমূলক বরাদ্দ দেয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত করে প্রকল্পসংখ্যা কমিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু চাহিদার চেয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ কম হওয়ায় প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। চলতি বছর এ বিভাগের এডিপিতে ন্যূনতম চাহিদা পাঁচ হাজার ৪৮৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর বিপরীতে বরাদ্দ হয়েছে চার হাজার ৬০৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প দু’টিতে নির্ধারিত বরাদ্দের অতিরিক্ত এক হাজার ৬৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বিদ্যমান বাজেট কাঠামো থেকে জোগান দেয়া সম্ভব নয়। মন্ত্রীর চিঠি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য থেকে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে অনুমোদনের সময় দুই হাজার ১৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। আট বছর এরই মধ্যে অতিক্রম করলেও এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। অন্য দিকে দুই দফায় ব্যয় বেড়েছে এক হাজার ২২ কোটি টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) প্রকল্পের ব্যয় এখন তিন হাজার ১৯০ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় সড়ক ও তিনটি সেতু নির্মাণ প্যাকেজে ১৯২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি সড়ক নির্মাণে ১০টি ও সেতু নির্মাণে তিনটিসহ মোট ১৩টি প্যাকেজে বাস্তবায়নাধীন। গত নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৩ শতাংশ। ব্যয় হয়েছে নভেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৬৮৯ কোটি চার লাখ টাকা। ২০১১ সালে প্রকল্পে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যয় বাড়ানো হয় এবং গত ডিসেম্বরে শেষ করার নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এখন সেই সময়ও অতিক্রম করেছে; কিন্তু তাতেও শেষ হবে কি না এ নিয়ে আইএমইডিও সন্দেহে আছে। কারণ সাত বছরে অগ্রগতি ২৬ শতাংশ। এখন আরো ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছেন খোদ যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প ২০১০ সালের জুলাইয়ে অনুমোদন দেয়া হয়। সেই সময় একনেক প্রকল্পের অনুকূলে ৯৯২ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করে। কিন্তু পরে মেয়াদ ও ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্পের ব্যয় গিয়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৮১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। কিন্তু ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৩০৬ কোটি টাকা। কিন্তু নভেম্বরে এসে এ ব্যয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছে এক হাজার ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি এ বছর জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন শেষ করার কথা। চলতি বছর বরাদ্দ রয়েছে ৩৯৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কিন্তু প্রকল্প শেষ করতে আরো ৫৬৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। মন্ত্রীর চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য অর্থ বিভাগে পৃথকভাবে উপানুষ্ঠানিক পত্র পাঠানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরে পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে বরাদ্দকৃত এক হাজার ৪৮৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার মধ্য থেকে এ অতিরিক্ত সংস্থান করার জন্য অর্থ বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment