বিদেশিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পথেই এগিয়ে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়া সরকারের বার্তা পেয়ে আসামিদের স্বজনেরা অনেকে গতকাল নুসাকামবানগান দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হন। ওই কারাগারেই ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশিদের ইতিমধ্যে সেখানে জড়ো করা হয়েছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টার চূড়ান্ত নোটিশ গতকাল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ইন্দোনেশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এত আগে কূটনীতিকদের কেন কারাগারে যেতে বলা হলো তা স্পষ্ট নয়। দণ্ডিত নয়জন বিদেশির মধ্যে দুজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। এ ছাড়া ব্রাজিল, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনের একজন করে এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের চারজন নাগরিক রয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর কাছে করা তাঁদের প্রত্যেকের ক্ষমার আবেদন নাকচ হয়ে যায়। উইদোদো যুক্তি দেখান যে ইন্দোনেশিয়া মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলো অনুরোধ-উপরোধ উপেক্ষা করে এ দণ্ড কার্যকরের পথে এগিয়ে যাওয়ায় ইন্দোনেশিয়ার কড়া সমালোচনা করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাসহ বিভিন্ন হুমকিও দিয়েছে। ফ্রান্সের অভিযোগ, ইন্দোনেশিয়ার বিচারপদ্ধতি ‘মারাত্মকভাবে অকার্যকর’। অস্ট্রেলিয়াও এটি ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ গতকাল ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তবে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ব্যস্ততার জন্য’ ফোন ধরতে পারেননি বলে তাঁর দপ্তর জানায়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিপাইনের নারী মেরি জানে ভেলোসোর সঙ্গে সময় কাটাতে এসেছে তাঁর ১২ ও ৬ বছর বয়সী দুই সন্তান। গতকাল মেরি জানেকে কড়া পুলিশি পাহারায় নুসাকামবানগানে স্থানান্তর করা হয়। ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে দুটি টুইটার অ্যাকাউন্টের বার্তায় বলা হয়, মেরি জানের স্যুটকেসে তাঁর অজ্ঞাতসারে এক বন্ধু হেরোইন রেখেছিল। জাকার্তা বলেছে, ১০ জনের পাচারকারী দলের একমাত্র ইন্দোনেশীয় ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের বিচারিক পর্যালোচনা এখনো বাকি রয়েছে। তাই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাজা কার্যকর করার সুনির্দিষ্ট দিন এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ইন্দোনেশিয়ার সুপ্রিম কোর্টের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, এই মামলার ব্যাপারে সোমবারই আদেশ জারি করা হতে পারে। এতে করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Saturday, April 25, 2015
বিদেশিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পথেই ইন্দোনেশিয়া?:প্রথম অালো
বিদেশিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পথেই এগিয়ে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়া সরকারের বার্তা পেয়ে আসামিদের স্বজনেরা অনেকে গতকাল নুসাকামবানগান দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হন। ওই কারাগারেই ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশিদের ইতিমধ্যে সেখানে জড়ো করা হয়েছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টার চূড়ান্ত নোটিশ গতকাল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ইন্দোনেশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এত আগে কূটনীতিকদের কেন কারাগারে যেতে বলা হলো তা স্পষ্ট নয়। দণ্ডিত নয়জন বিদেশির মধ্যে দুজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। এ ছাড়া ব্রাজিল, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনের একজন করে এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের চারজন নাগরিক রয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর কাছে করা তাঁদের প্রত্যেকের ক্ষমার আবেদন নাকচ হয়ে যায়। উইদোদো যুক্তি দেখান যে ইন্দোনেশিয়া মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলো অনুরোধ-উপরোধ উপেক্ষা করে এ দণ্ড কার্যকরের পথে এগিয়ে যাওয়ায় ইন্দোনেশিয়ার কড়া সমালোচনা করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাসহ বিভিন্ন হুমকিও দিয়েছে। ফ্রান্সের অভিযোগ, ইন্দোনেশিয়ার বিচারপদ্ধতি ‘মারাত্মকভাবে অকার্যকর’। অস্ট্রেলিয়াও এটি ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ গতকাল ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তবে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ব্যস্ততার জন্য’ ফোন ধরতে পারেননি বলে তাঁর দপ্তর জানায়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিপাইনের নারী মেরি জানে ভেলোসোর সঙ্গে সময় কাটাতে এসেছে তাঁর ১২ ও ৬ বছর বয়সী দুই সন্তান। গতকাল মেরি জানেকে কড়া পুলিশি পাহারায় নুসাকামবানগানে স্থানান্তর করা হয়। ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে দুটি টুইটার অ্যাকাউন্টের বার্তায় বলা হয়, মেরি জানের স্যুটকেসে তাঁর অজ্ঞাতসারে এক বন্ধু হেরোইন রেখেছিল। জাকার্তা বলেছে, ১০ জনের পাচারকারী দলের একমাত্র ইন্দোনেশীয় ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের বিচারিক পর্যালোচনা এখনো বাকি রয়েছে। তাই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাজা কার্যকর করার সুনির্দিষ্ট দিন এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ইন্দোনেশিয়ার সুপ্রিম কোর্টের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, এই মামলার ব্যাপারে সোমবারই আদেশ জারি করা হতে পারে। এতে করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment