া দিয়ে একটি চিঠি খালেদা জিয়ার কাছেও পাঠানো হবে বলে কমিশন সচিবালয়ের-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। চিঠিতে আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালানোর অনুরোধ জানানো হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এবং অন্য চার কমিশনার গতকাল কমিশনে না আসায় কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব শামসুল আলম তাঁদের বাসায় গিয়ে এ-সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করিয়ে নেন। যোগাযোগ করা হলে কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা এ-সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠাবেন। তবে খালেদা জিয়া আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালালে কমিশন কোনো বাধা দেবে না। এর আগে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগপন্থী সহস্র নাগরিক কমিটি খালেদা জিয়ার প্রচারণাকে আচরণবিধির লঙ্ঘন উল্লেখ করে কমিশনকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়। এই অনুরোধের পরদিনই কমিশন বিধিনিষেধ আরোপ করল। কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কারও কারও মতে, খালেদা জিয়াকে প্রচারণায় নামতে হলে গাড়ি নিয়েই নামতে হবে। কমিশন এখন যে নির্দেশনা দিচ্ছে, তাতে খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে সরকারের কোনো নির্বাহী দায়িত্বে নেই। তাই তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে কোনো সমস্যা নেই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর সঙ্গে গাড়ি ও নিরাপত্তা বাহিনী থাকতেই পারে। কারণ, তাঁর ওপর যেকোনো ধরনের হামলা হতে পারে। বিষয়টি যদি আচরণবিধির লঙ্ঘন হয়, তাহলে কমিশন এত দিন কিছু বলেনি কেন? আচরণবিধিতে বলা আছে, নির্বাচনী প্রচারণায় পথসভা ও ঘরোয়াসভা ছাড়া কোনো ধরনের জনসভা ও শোভাযাত্রা করা যাবে না। যান চলাচল ও মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, এমন সড়কে পথসভা বা মঞ্চ তৈরি করা যাবে না। মিছিল, যানবাহন সহকারে মিছিল বা কোনো ধরনের শোডাউন করা যাবে না। জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া প্রতিদিনই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। উল্টো দুর্বল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হবে। এ ধরনের প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য খালেদা জিয়াকেও চিঠি দেওয়া হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ প্রথম আলোকে বলেন, প্রচারণায় নামতে হলে খালেদা জিয়াকে গাড়িবহর এবং নিরাপত্তা বাহিনী নিয়েই নামতে হবে। কমিশন যদি বলে যে গাড়িবহর নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন না, তাতে ধরে নেওয়া যায় তাদের অন্য মতলব আছে। এর আগে ২২ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদ বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে সতর্ক করে চিঠি দেন। চিঠি বলা হয়, প্রচারণায় খালেদা জিয়া নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Saturday, April 25, 2015
খালেদা জিয়াকে গাড়িবহর নিয়ে প্রচারণায় মানা:প্রথম অালো
া দিয়ে একটি চিঠি খালেদা জিয়ার কাছেও পাঠানো হবে বলে কমিশন সচিবালয়ের-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। চিঠিতে আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালানোর অনুরোধ জানানো হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এবং অন্য চার কমিশনার গতকাল কমিশনে না আসায় কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব শামসুল আলম তাঁদের বাসায় গিয়ে এ-সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করিয়ে নেন। যোগাযোগ করা হলে কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা এ-সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠাবেন। তবে খালেদা জিয়া আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালালে কমিশন কোনো বাধা দেবে না। এর আগে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগপন্থী সহস্র নাগরিক কমিটি খালেদা জিয়ার প্রচারণাকে আচরণবিধির লঙ্ঘন উল্লেখ করে কমিশনকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়। এই অনুরোধের পরদিনই কমিশন বিধিনিষেধ আরোপ করল। কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কারও কারও মতে, খালেদা জিয়াকে প্রচারণায় নামতে হলে গাড়ি নিয়েই নামতে হবে। কমিশন এখন যে নির্দেশনা দিচ্ছে, তাতে খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে সরকারের কোনো নির্বাহী দায়িত্বে নেই। তাই তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে কোনো সমস্যা নেই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর সঙ্গে গাড়ি ও নিরাপত্তা বাহিনী থাকতেই পারে। কারণ, তাঁর ওপর যেকোনো ধরনের হামলা হতে পারে। বিষয়টি যদি আচরণবিধির লঙ্ঘন হয়, তাহলে কমিশন এত দিন কিছু বলেনি কেন? আচরণবিধিতে বলা আছে, নির্বাচনী প্রচারণায় পথসভা ও ঘরোয়াসভা ছাড়া কোনো ধরনের জনসভা ও শোভাযাত্রা করা যাবে না। যান চলাচল ও মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, এমন সড়কে পথসভা বা মঞ্চ তৈরি করা যাবে না। মিছিল, যানবাহন সহকারে মিছিল বা কোনো ধরনের শোডাউন করা যাবে না। জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া প্রতিদিনই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। উল্টো দুর্বল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হবে। এ ধরনের প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য খালেদা জিয়াকেও চিঠি দেওয়া হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ প্রথম আলোকে বলেন, প্রচারণায় নামতে হলে খালেদা জিয়াকে গাড়িবহর এবং নিরাপত্তা বাহিনী নিয়েই নামতে হবে। কমিশন যদি বলে যে গাড়িবহর নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন না, তাতে ধরে নেওয়া যায় তাদের অন্য মতলব আছে। এর আগে ২২ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদ বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে সতর্ক করে চিঠি দেন। চিঠি বলা হয়, প্রচারণায় খালেদা জিয়া নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment