দেশের সার্বিক অর্থনীতির গতি এখনও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় আক্রান্ত। তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে আশার আলো উঁকি দিয়েছিল, ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ নির্বাচনের কারণে তা মিলিয়ে গেছে। জাতীয় পর্যায়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে উদ্যোক্তাদের মধ্যেও সৃষ্টি হচ্ছে না আস্থার পরিবেশ। তারা অনেকটা হাত গুটিয়ে বসে আসেন। দীর্ঘসময় ধরে বিনিয়োগ না হওয়ায় ব্যাংক ঋণের
চাহিদাও বাড়ছে না। এতে আর্থিক খাতে দেখা দিয়েছে নেতিবাচক অবস্থা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে টাকার প্রবাহ কমে গেছে। অভ্যন্তরীণ খাতে ঋণের প্রবাহ কমার পাশাপাশি কমেছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ। সরকার ব্যাংক থেকে নতুন ঋণ না নিয়ে বরং আগের ঋণ শোধ করছে। এতে ব্যাংকিং খাতে অলস টাকার প্রবাহ বেড়ে গেছে, যা মূল্যস্ফীতির হারকে উসকে দিতে পারে। এ আশংকা থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে টাকা তুলে এনে ভল্টে অলস ফেলে রাখছে। একই লক্ষ্যে নগদ টাকার পরিবর্তে বন্ড দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রাও কিনে নিচ্ছে। রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধির হার কমে গেছে। একদিকে শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির প্রবৃদ্ধিতে নিুগতি, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির হারে ঊর্ধ্বগতি। সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কমেছে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ ও আদায়। গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পেও কমে গেছে ঋণের প্রবাহ। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে, ডলারের বিপরীতে টাকার মান স্থিতিশীল রয়েছে। বেড়েছে রেমিটেন্স প্রবাহ। সার্বিকভাবে শিল্প উৎপাদন বাড়লেও রফতানির অন্যতম বস্ত্র এবং টোব্যাকো খাতে উৎপাদন কমে গেছে। র্র্ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, যে কোনো দেশের বিনিয়োগের পূর্ব শর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা। সেটা না থাকলে বিনিয়োগ হয় না এবং প্রবৃদ্ধি হয় না। দেশে আপাতত একটি পরিবেশ শান্ত আছে, তবে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। গত দুই থেকে তিন বছরের হিসাবে দেখা গেছে জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ কমছে। বিনিয়োগ ২০১৩-১৪ অর্থবছরের হার ২০০৮-০৯ অর্থবছরের তুলনায় কম। কাজেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না এলে আমার মনে হয় না প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে ওঠতে পারব। এ বিষয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবদরা বলেছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা না কাটলে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ ফিরে আসবে না। তারা নতুন বিনিয়োগের ঝুঁকি নেবে না। কেননা ইতিমধ্যে দুই দফায় টানা রাজনৈতিক আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। এসব কারণে সহসা অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে ওঠার কোনো আশা দেখছেন না তারা। তাদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগে যে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিয়েছে তাতে শিল্প খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে পড়েছে। আর্থিক খাতের ব্যাংক, বীমা ও লিজিং কোম্পানিগুলোর শেয়ারপ্রতি আয় কমে গেছে। বেড়ে গেছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতিতে চলমান সংকট আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে তারা সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। টাকা নিয়ে বিপাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক : দীর্ঘ সময় ধরে বিনিয়োগে মন্দা বিরাজ করায় অতিরিক্ত টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চাহিদা না থাকায় বাজারে এমনিতেই টাকার প্রবাহ কম। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা না থাকায় ব্যাংকগুলোতে পড়ে আছে অতিরিক্ত টাকা। বাজারে অতিরিক্ত টাকার প্রবাহ থাকলে তা অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ হয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়ার যেমন ঝুঁকি থাকে, তেমনি জাল-জালিয়াতি বা টাকা পাচার হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদ দিয়ে অতিরিক্ত টাকা তুলে এনে রেখে দিচ্ছে ভল্টে। যা কোনো উৎপাদন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে না। টাকার হাতবদল না হলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ে না। বিনিয়োগ না বাড়লেও সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং খাতে টাকার প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। ওইসব টাকা বেশির ভাগই যাচ্ছে অনুৎপাদনশীল খাতে। এতে বেড়ে যাচ্ছে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ৬ মে ১ দিন মেয়াদি রিভার্স রেপোর মাধ্যমে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা, ৭ মে তিন দিনমেয়াদি রিভার্স রেপোর মাধ্যমে ১ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা, ১০ মে ২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা, ১৩ মে ৪ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা ও ১৪ মে তিন দিনমেয়াদি রিভার্স রেপোর মাধ্যমে ৩ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ১৩ মে বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে ১৫৬ কোটি টাকা তিন মাস ও ৬ মাসমেয়াদি ইসলামী বিনিয়োগ বন্ড ও ৯১ দিন ও ১৮২ দিনমেয়াদি ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে আরও প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। এসব টাকা মেয়াদ শেষে বাজারে এলেও আবার নতুন করে তুলে নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, মুদ্রানীতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে চাহিদা অনুযায়ী টাকার জোগান দিচ্ছে। আবার বাজারে টাকার সরবরাহ বেড়ে গেলে সেগুলো তুলে আনছে, এটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, ঋণের জোগান বাড়ানোর বিষয়টি ব্যাংক গ্রাহক চাহিদার ভিত্তিতে নিরূপিত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখানে শুধু নীতি প্রণয়নের ভূমিকা পালন করছে। টাকার প্রবাহ কমেছে : বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বাজারে টাকার প্রবাহ কমেছে। তারপরও ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত অর্থ রয়েছে। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ সময়ে ব্যাংকিং খাতে টাকার প্রবাহ বেড়েছিল ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে টাকার প্রবাহ বেড়েছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। গত পুরো অর্থবছরে টাকার প্রবাহ বেড়েছিল ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। এদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবাহ কমে গেছে। গত অর্থবছরে দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়েছিল ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত এ ঋণ বেড়েছিল ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছে ৬ দশমিক ০১ শতাংশ। এদিকে টাকার প্রবাহ কমলেও বিনিয়োগ না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর ভল্ট ভরা রয়েছে টাকায়। টাকা অলস পড়ে থাকায় ব্যাংকগুলোর আয় কমে গেছে। এদিকে ব্যবসায়িক মন্দার কারণে বেড়ে গেছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। ফলে ব্যাংকগুলোর মোটা অংকের টাকা আটকে রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিনিয়োগে মন্দা আছে। এর জন্য অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান একেবারেই হয়নি। এটি একটি খারাপ দিক। পাশাপাশি দেশজ মোট উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি হবে না। তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ অনেক বেশি। কিন্তু তারল্য বেশি থাকায় এটি ব্যাংকের কোনো কাজে লাগছে না। আবার রিজার্ভ কোনো পলিসির কারণেও বাড়েনি। এটি বেড়েছে কাজে না লাগার কারণে। মূলধন যন্ত্রপাতির এলসি হচ্ছে না। রেমিটেন্স থাকলেও চাহিদা না থাকায় রিজার্ভ বাড়ছে। সব মিলে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। আস্থার সংকট রয়েছে। বেসরকারি খাতে ঋণ : গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশের সামান্য বেশি। এক বছরের মূল্যস্ফীতির হার বাদ দিলে ঋণ প্রবাহ নেতিবাচক। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই হার বেড়েছিল ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছিল ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। মার্চে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। সরকারি খাতের ঋণ : সরকারি খাতে চলতি অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে ৩১ হাজার ২২১ কোটি টাকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের মে-র প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সরকার ঋণ তো নেয়ইনি উল্টো আগের ঋণ পরিশোধ করেছে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাজার থেকে টাকা তুলছে। এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সুদও দেয়া হচ্ছে। গত অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছিল ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। ওই অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ঋণ বেড়েছিল ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ঋণ কমেছে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। এদিকে গত অর্থবছরের মার্চের তুলনায় চলতি অর্থবছরের মার্চে ঋণ প্রবাহ কমেছে ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বৈদেশিক খাত : দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত চলতি হিসাবে ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে উদ্বৃত্ত ছিল ১৮৩ কোটি ডলার। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রফতানি আয়ে সামান্য ঊর্ধ্বগতি থাকায় আমদানি ব্যয় কিছুটা বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী : মূল্যস্ফীতির হার আগে কমলেও এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। ১২ মাসের গড় হিসাবে মূল্যস্ফীতির হার কমলেও পয়েন্ট টু পয়েন্ট অর্থাৎ গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। এপ্রিলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট হিসাবে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, মার্চে ছিল ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। ডিসেম্বরে এ হার ছিল ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। এর আগে এর হার আরও বেশি ছিল। এদিকে আগামী জুলাই থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হচ্ছে। ফলে টাকার প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যদিও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। শিল্প খাত : শিল্প খাতে ঋণ বিতরণ বাড়লেও কৃষি ও গ্রামীণ শিল্পে ঋণ বিতরণ কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে রফতানি আয় বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয় বেড়েছিল প্রায় ১৩ শতাংশ। শিল্প উৎপাদনের মধ্যে বস্ত্র খাতের উৎপাদন প্রায় ১২ শতাংশ কমে গেছে। এছাড়া কমেছে টোব্যাকো খাতের উৎপাদন। তবে সার্বিকভাবে শিল্প উৎপাদন বেড়েছে। রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৪৬ কোটি ডলার। পর্যাপ্ত ডলার মজুদ থাকায় ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারও স্থিতিশীল রয়েছে।
No comments:
Post a Comment