ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় অস্ত্রবিরতির কোনো চুক্তি হয়নি। এভিগডর লিবারম্যান গতকাল বলেন, গাজায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতির খবর ‘বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।’ মিসরের প্রস্তাবিত ব্যাপকভিত্তিক অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব ইসরাইল বিবেচনা করছে বলে খবর তেল আবিবের অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে গতকাল গাজার পাঁচ ঘণ্টার হামলা বন্ধের সময় পার হয়। কূটনীতিকদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে লিবারম্যান বলেন, ‘যুদ্ধ
বিরতির খবর বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, এ খবর ঠিক নয়।’ আগের খবরে বলা হয়েছিল, ৯ দিন যুদ্ধের পর গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাপকভিত্তিক অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরাইল। ইসরাইলের এক কর্মকর্তা এ খবর জানান। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা। কায়রোয় মিসরের মধ্যস্থতায় এক আলোচনায় এ চুক্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে হামাস এখনো অস্ত্রবিরতিতে সম্মতির কথার ঘোষণা করেনি এবং মধ্যস্থতাকারী মিসরও এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। খবরে বলা হয়েছে, কায়রোয় আলোচনাকালে ইসরাইল আলোচকরা অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছেন। ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় তা এখনো অনুমোদিত হয়নি। এর আগে দুই পক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, জাতিসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে মানবিক কারণে অস্ত্রবিরতির অনুরোধটি এসেছে। গাজার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি মজুদ করার সুযোগ দিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এই অস্ত্রবিরতি চলে। সাময়িক অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুখরি। তিনি বলেন, তারাও এই সময়ে ইসরাইলের দিকে রকেট ছোড়া বন্ধ রাখবেন। গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৮ জুলাই থেকে গত ৯ দিনে ইসরাইলের হামলায় ২২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার। হামাসের রকেট হামলায় মাত্র এক ইসরাইলি নিহত হয়েছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, অস্ত্রবিরতির সময় হামাসের প থেকে কোনো হামলা হলে তার কড়া জবাব দেবে তেল আবিব। ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইসরাইলের সাথে ১০ বছরের অস্ত্রবিরতির জন্য হামাস ১০টি পূর্বশর্ত দিয়েছে। হামাসের শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ গাজার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ শিথিল ও এই ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলা বন্ধ এবং একটি বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর নির্মাণের সুযোগ দেয়া।
No comments:
Post a Comment