ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে খুলনার মার্কেটগুলো ভারতীয় পণ্যের দখলে চলে গেছে। চোরাইপথে আসা ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট ও প্যান্ট, থান কাপড় ও বিভিন্ন ধরনের মসলায় ভরে গেছে ছোট-বড় মার্কেট ও বাজারগুলো। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে অবাধে কেনাবেচা। সূত্র জানায়, রমজানের আগে থেকেই চোরাকারবারিরা ভারত থেকে মালামাল আনা শুরু করে। যশোরের বেনাপোল ও সাতীরার ভোমরা বর্ডার থেকে কোটি কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি থ্রি-পিচ, শার্
ট ও প্যান্ট পিস, জিরা, মশলা, গুঁড়ো দুধ, চকোলেট, বিস্কুট ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী এনে সুবিধাজনক স্থানে মজুদ করে সুযোগ বুঝে সেগুলো সিন্ডিকেটের সহায়তায় মার্কেটগুলোতে সরবরাহ করা হয়। মাঝে মধ্যে কিছু চালান র্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়লেও অনেক েেত্রই কৌশলে ভারতীয় পণ্য পাচার করতে সম হচ্ছে পাচারকারীরা। সড়ক ও নৌপথকে চোরাচালানীরা নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে। খুলনার বড়বাজার, রেলস্টেশন, সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, গল্লামারী মোড়, দৌলতপুর, বটিয়াঘাটা উপজেলার জিরো পয়েন্ট এবং ডুমুরিয়া থানার কয়েকটি স্থানে সবচেয়ে বেশি চোরাই ভারতীয় পণ্য খালাস হয়। নগরীর বড়বাজারের মসলা পট্টি বা বেনে পট্টিতে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার জিরাসহ বিভিন্ন ধরনের মসলাও আসছে। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেট, রব শপিং কমপ্লেক্স, নিক্সন মার্কেট, খাঁজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট, হ্যানিম্যান মার্কেট, ঠাকুরবাড়ী গলি, তুলাপট্টি, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, হাজী মালেক চেম্বার, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মলের বেশ কিছু ব্যবসায়ী চোরাইপথে আনা ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, থানকাপড়সহ বিভিন্ন কসমেটিকস সামগ্রীসহ ভারতীয় পণ্যের প্রদর্শনী দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ইতঃপূর্বে রূপসা টোল প্লাজা এলাকা থেকে কোটি কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার করলেও চোরাচালানের মচ্ছপ ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। ২৩ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খুলনা বিজিবির আওতাধীন যশোরের বেনাপোল থেকে সাতক্ষীরার কলারোয়ার কাইবা পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। কিন্তু জনবল সঙ্কট ও যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে চোরাচালানের পণ্য প্রবেশ করতে পারে। তবে বিজিবি সদস্যরা কঠোরভাবে সীমান্ত প্রহরার দায়িত্ব পালন করছেন। কেএমপির সহকারী কমিশনার (ডিবি) জিয়া উদ্দিন আহমেদও চোরাকারবারিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment