‘পুলিশ চাচ্চু আব্বুকে এভাবে মেরো না, আব্বু মরে গেলে কে আমাদের দেখবে। কে আমাদের চকলেট কিনে দেবে বল? আর মেরো না পুলিশ চাচ্চু। আব্বুকে ক্ষমা করে দাও।’ জাফরাবাদের বাসায় ছয় বছরের ছেলে মোশাররফের সামনে বাবা মাহবুবুর রহমান সুজনকে বেধড়ক পিটিয়ে মুমূর্ষু বানিয়ে ফেলেন মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ জাহিদুর রহমান খান (জাহিদ)। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সুজনকে পেটানোর সময় শিশু মোশা
ররফ বাবার জীবন রক্ষার জন্য এসআই’র কাছে আকুতি জানায়। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি। সুজনের স্ত্রী পা ধরেও রক্ষা করতে পারেনি স্বামীকে। শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর শংকর এলাকার জাফরাবাদে মিরপুর থানার এসআই জাহিদ অভিযানের নামে সুজনকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ পরিবারের। মিরপুর জোনের ডিসি ইমতিয়াজ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, পুলিশ হেফাজতে মারা গেছে তাই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। যে দোষ করবে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এ ঘটনায় এসআই জাহিদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে ডিসি উল্লেখ করেন। নিহত সুজন, মিরপুর এলাকায় ঝুট মালের ব্যবসা করতেন। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সুজনের ভাই জহুরুল ইসলাম সবুজকেও অস্ত্র মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে পরিবারটি। মিরপুরে জনি নামে আরও একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আছে জাহিদের বিরুদ্ধে। সুজন ও সবুজের মা মিরপুরের বাসায় এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘সন্ত্রাসী শাহাদাতের ক্যাশিয়ার মোহন ও এসআই জাহিদ তার কাছে কোটি টাকা দাবি করে। টাকা দিলে ছেলের জীবন বাঁচবে। নইলে মৃত্যু বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এর আগে আরেক এসআই আসাদ দুই লাখ দাবি করে। জাহিদ ও আসাদ টাকা চেয়ে না পেয়ে ছোট ছেলে সবুজকে পুরনো জংধরা অস্ত্র দিয়ে মামলা জড়িয়ে দেয়। কিন্তু সবুজের কাছে কোনো অস্ত্র বা গুলি ছিল না।’ রোববার মিরপুর এলাকা সরেজমিন ঘুরে পল্লবী থানা এসআই জাহিদের নানা অপকর্মের তথ্য পাওয়া গেছে। এলাকার লোকজনই এসব তথ্য দিয়েছেন। পল্লবীতে জনি নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। কিন্তু যে কোনোভাবেই হোক পুলিশ ধামাচাপা দিয়েছে। বাংগু সুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এসআই জাহিদকে প্রত্যাহার করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করে। এর আগে পল্লবীর ঘটনার সময় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। জাহিদ মিরপুর এলাকায় কয়েক বছর ধরে চাকরি করছেন। নিহত সুজনের স্ত্রী মমতা সুলতানা অভিযোগ করে যুগান্তরকে বললেন, ‘এসআই জাহিদ কোনো বাছবিচার ছাড়াই সুজনকে পেটাতে থাকেন। এক পর্যায় সে বেহুঁশ হয়ে যায়। অমনি ফের দুই পায়ের মাঝখানে লাথির পর লাথি মারতে থাকে। তারপর বাথরুমের ভেতরে চিৎকার করে করে মারতে থাকেন এসআই জাহিদ। তখন স্বামীর আর কোন জ্ঞান নেই। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে শাহ আলী থানার দিকে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে যেতে যেতে তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। এর মধ্যে গাড়িতেও সুজনকে পেটায় এসআই জাহিদ।’ যে সূত্র ধরে পুলিশের অভিযান : মিরপুর থানা পুলিশ দাবি করেছে, শনিবার মিরপুর এলাকা থেকে জাকির ও মিথুন নামে দুই যুবককে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তারা জিজ্ঞাসাবাদে বাংগু সুজনের (মাহবুবুল আলম সুজন) নাম স্বীকার করে। তার কাছে অস্ত্র ও গুলি আছে বলে জানায়। পুলিশ এই সূত্র ধরে রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন শংকরের জাফরাবাদের বাসায় অভিযানে যায়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন মিরপুর থানার এসআই জাহিদ। এ সময় হাজারীবাগ পুলিশও উপস্থিত ছিল। পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইমতিয়াজ আহমেদ রোববার যুগান্তরকে তার কার্যালয়ে বলেন, ‘বাংগু সুজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। শাহআলী থানার ৫১ নম্বর তালিকায় তার নাম। কিন্তু সে এলাকায় থাকে না। তার কাছ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। তবে অস্ত্রটি বাবু নামে আরেকজনের কাছে ছিল বলে তাকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। তিনি বলেন, পুলিশ হেফাজতে সুজন মারা গেছে এর দায় থেকে সরে আসার কোনো উপায় নেই। তাই উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ ডিসি বলেন, ব্যক্তির দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। ‘তাকে গ্রেফতারের পর অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানোর এক পর্যায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটাকে বলা হয় ‘ব্রেথিং প্রবলেম’। পুলিশ তারপর তাকে প্রথমে স্থানীয় লতিফা ক্লিনিক ও পরে সেখান থেকে সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে নেয়। কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ডিসি বলেন, যেহেতু পুলিশের হাতে আটকের পর তার মৃত্যু হয়েছে। তাই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। যে দোষ করবে তাকে শাস্তি পেতে হবে। বাংগু সুজন কোথায় : সুজনের স্ত্রী মমতা সুলতানা বলেন, বাসায় দরজায় কড়া নাড়তেই তিনি খুলে দেখতে পান পুলিশ। রাত তখন ১২টা হবে। এসআই জাহিদ পরিচয় দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ভেতরে প্রবেশের আগেই বলতে থাকেন, ‘ওই বাংগু কোথায়? বলি ঘরে আছে। আর কোনো কথাবার্তা না বলেই অমনি ঘরে প্রবেশ করে লাথি মারা শুরু করে সুজনকে। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। এস আই জাহিদ ও সঙ্গে একজন কনস্টেবল বর্বর নির্যাতন চালান তার ওপর। এ সময় সুজনের দুই চোখ বাঁধা হয়। মমতা বলেন, ‘আমি এ সময় কাঁদতে থাকি। পুলিশ আমাকে ধমক দেয়। আমার ছেলে মোশাররফ ও ছোট মেয়ে লামিয়া কাঁদতে থাকে। তারা পুলিশের পা ধরতে যায়। কিন্তু পুলিশ তাদের দূরে ঠেলে দেয়। আমার ছেলে মোশাররফ এসআই জাহিদের কাছে বাবার প্রাণ ভিক্ষা চায়। বলে, পুলিশ চাচ্চু আব্বুকে মেরো না...। কিন্তু পুলিশ কোনো কথা শোনে না। সুজনকে পিটিয়ে মুমূর্ষু করার পর এক পর্যায় তাকে বাথরুমে নিয়ে দুই পায়ের মাঝখানে ও বুকে লাথি মারে এসআই জাহিদ। মুখের গামছা বাঁধা খুলে পানি ঢুকিয়ে দেয়। পা রশি দিয়ে বেঁধে লাথি মারতে থাকে। সুজন তখন গোঙাতে থাকে। পরে সুজনকে অচেতন অবস্থায় গাড়িতে তুলে নেয়। সঙ্গে আমি ও আমার দুই সন্তানকে নিয়ে শাহআলী থানা এলাকার দিকে নিয়ে আসে। আমাদের শাহ আলী থানায় আটকে রাখা হয়। মমতা জানান, রাতে শাহআলী থানার এক পুলিশ তাকে বলেন, ‘তোমরা যেতে পারবে না। আমি বলি আমার স্বামী কোথায়। তখন তিনি বলেন, তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আমি যেতে চাই। কিন্তু পুলিশ আমাকে আটকে রাখে। তিনি বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে বলে তারা আমাকে আটকে রেখে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।’ মমতা বলেন, অভিযানের সময় পুলিশ কক্ষ তল্লাশির নামে তছনছ করে। টাকা ও কিছু স্বর্ণও লুট করেছে। সখ্য জাহিদ ও মোহনে : অনুসন্ধানে জানা গেছে, আত্মগোপনে থাকা মিরপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতের ক্যাশিয়ার খ্যাত ‘মোহন’ ও এসআই জাহিদের ব্যাপক সখ্য। পল্লবী থানার সাবেক এসআই আসাদের সঙ্গেও ছিল মোহনের ঘনিষ্ঠতা। এই মোহন বেশ কিছুদিন আগে মিরপুরে সুজনদের বাসায় যায়। এ সময় মোহন সুজনকে না পেয়ে তার বড় ভাই মাকসুদার রহমান সুমনকে বলেন, ‘৫০ হাজার অগ্রিম দিয়ে যাচ্ছি। এখন থেকে ঝুটের মাল যেন সব আমার কাছেই বিক্রি করে সুজন। আর না করলে দেখুম কত ধানে কত চাল।’ সুমন আরও অভিযোগ করেন, কয়েক মাস আগে আবারও বাসায় এসে মোহন হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোর ভাই সুজন কত বড় গুণ্ডারে, ঝুটের মাল আমাকে দেয় না। তারে বলে দিস, তার আয়ু কমে আসছে। আর মাল না দিলে কত বড় সে গুণ্ডা হয়েছে দেখে নিব, তখন বুঝবি।’ স্ত্রী ও মাকে আগেই জানায় সুজন : নিহত সুজন ওরফে বাংগু সুজনের স্ত্রী মমতা সুলতানা দাবি করেন, সুজন কয়েক দিন থেকে বলছে, ‘আমার পেছনে লোক লেগেছে। এ সময় সে মিথুনের নাম বলেছে। মিথুন নাকি বলেছে, ‘তোমাকে সাইজ করা হবে।’ অবশ্য পুলিশ এই মিথুনকেই গ্রেফতার করেছে ইয়াবাসহ। খবর নিয়ে জানা গেছে, মিরপুর এলাকায় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে মিথুন। পল্লবী ও শাহআলীসহ পুরো মিরপুর জোনের ইয়াবা ও মাদকের ব্যবসার পাশাপাশি কিছু বিপথগামী পুলিশের সঙ্গেও তার সখ্য রয়েছে। এসআই জাহিদের সঙ্গে পুরনো সখ্যের কারণে-নিজেরা ‘ইয়াবা উদ্ধার নাটক’ সাজাতে পারেন বলে মনে করেন নিহত সুজনের পরিবার। সুজনের মা শাহিদা আক্তার জানান, তার ছেলে কয়েক দিন আগে তাকে বলেছেন, মিথুন ও মোহন একই দলে। মিথুন পেছনে লেগে আছে। তিনি বলেন, ছেলের কথা ঠিক হল। এই সেই জাহিদ : মিরপুরের বাসায় নিহত সুজনের ভাই সুমন যুগান্তরের কাছে অভিযোগ করেন, এই মোহন এসআই জাহিদ ও এসআই আসাদকে দিয়ে তার ছোট ভাই সবুজকে অস্ত্র মামলা ফাঁসিয়েছেন। অথচ জংধরা অস্ত্র এনে সবুজকে কোনো মামলা ছাড়াই তারা গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। বলেন, গত বছর রমজান মাসে তিন লাখ টাকা দাবি করে। পরে দুই লাখ টাকা চান। এই টাকা না পেয়ে মোহনের হয়ে কাজ করতে থাকেন। পল্লবী থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এ বছর ৯ ফেব্র“য়ারি মিরপুরের ইরানি ক্যাম্প থেকে জনি ও রকি নামে দুই ভাইকে গ্রেফতার করে এসআই জাহিদ। একটি বিয়ের হলুদের অনুষ্ঠানে এসআই জাহিদ এসে পেটাতে থাকে জনি ও রকিকে। পরে পুলিশ হেফাজতে জনি মারা যায়। জনির পরিবারের অভিযোগ এসআই জাহিদ হোসেন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। এ সময় এসআই জাহিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তখন পুলিশের পল্লবী জোনের এসি কামাল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু পার পেয়ে যায় এসআই জাহিদ। এসআই জাহিদের নির্যাতন ভুলবো না : ভাই জনি নির্যাতনে মারা গেছেন বলে দাবি করেন তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘ফেব্র“য়ারি মাসে তারা দুই ভাই মিলে বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দ করছিলেন। এ সময় সুমন নামের এক যুবক মাদক সেবন করে মেয়েদের গায়ে ঢলে পড়ছিল। তখন আমার ভাই তাকে বলে, মাতলামি করে মেয়ের গায়ে পড়ছো কেন? একটা থাপ্পড় দেয় ওই যুবককে। কিছুক্ষণ চুপ থেকে যুবক সুমন আমার ভাইকে জানায়, সবার সামনে আমাকে মারলি তো, এবার দেখ তোর বারোটা বাজাচ্ছি। ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশের গাড়ি এলো। নেমপ্লেটে জাহিদ লেখা। তিনি পুলিশের এসআই। কোনো কিছু বলার আগে সুমনের তথ্য অনুযায়ী এসআই জাহিদ আমার ভাইকে পেটাতে থাকে। আমি বাধা দিলে আমাকেও পেটায়। পরে আমাদের দুই ভাইকে থানায় নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয়তলায় পিলারের সঙ্গে বেঁধে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থা পেটাতে থাকে। সারা রাত পেটানোর পর ভোরে আমাদের হসপিটালে নেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাই জনি মারা যায়। পরে জানতে পারি সুমন পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের সোর্স ছিলেন। রকি অভিযোগ করেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত এসআই জাহিদ বরখাস্ত ছিলেন। কিন্তু কিভাবে যে প্রতিবেদন উলট-পালট হল বুঝলাম না। কারণ, আমার সামনেই আমার ভাইকে মধ্যযুগীয় কায়দা নির্যাতন করা হয়েছে। অথচ ময়না প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। তিনি এসআই জাহিদের বিচার দাবি করেন। তদন্ত কমিটি গঠন : পুলিশ হেফাজতে পিটিয়ে হত্যায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) জসিম উদ্দিনকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মোঃ তোফাজ্জল হোসেন ও পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার (অপরাধ) সাখাওয়াত হোসেন। মিরপুরের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। বরখাস্তের আগেই থানা ত্যাগ : বিষয়টি জানাজানি হলে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন খান তাৎক্ষণিক ডিসিকে জানান। এ সময় তিনি এসআই জাহিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিখিত দেন। সকাল ৮টা বাজতে না বাজতে থানা ত্যাগ করেন এসআই জাহিদ। পরে তিনি তার যোগাযোগের মোবাইল নম্বর বন্ধ করেন। তার বিরুদ্ধে পল্লবীর এলাকার স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা অভিযোগ করেছিলেন। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদ্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা যুগান্তরকে বলেন, ‘নানা ধরনের অভিযোগ পেয়ে আমি এই এসআই জাহিদের বিরুদ্ধে ডিসির কাছে অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু মানুষ হত্যার অভিযোগ থাকলেও পার পেয়ে গেছে জাহিদ।’
No comments:
Post a Comment