ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে বগুড়া শহরের ফুটপাথ থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতান। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে কেনাকাটায় কিছুটা ছন্দপতন হচ্ছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করতে ধনী-গরিব সবাই ছুটছেন নতুন জামাকাপড়, জুতা ও স্যান্ডেল কিনতে দোকানে। সামর্থ্য অনুযায়ী তারা নিজেদের পছন্দের দোকানে কেনাকাটা করছেন। শহরের অভিজাত এলাকা জলেশ্বরীতলার বাহারি শোরুমে ছুটছ
েন বিত্তবানেরা। এসব অভিজাত দোকানে সব ধরনের জামাকাপড় কেনা যাচ্ছে স্বাচ্ছন্দ্যে। তবে মার্কেটের দোকানের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি। গতকাল দুপুরে অভিজাত এলাকার ফড়িং, রহমানিয়াসহ কয়েকটি শোরুমে ঘুরে দেখা গেল কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় প্রচুর। ফড়িং শোরুমের সেলসম্যান কামরুল জানান, এবার পাঞ্জাবির মধ্যে শর্ট পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। প্রতিপিস পাঞ্জাবি সর্বনি¤œ ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে। মেয়েদের জন্য নতুন ডিজাইনের সালোয়ার-কামিজ ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে। অভিজাত শোরুম রহমানিয়া এক্সকুসিভের সেলসম্যান প্রদীপ কুমার জানান, সকাল থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বেচাকেনা চলছে। তবে দিনে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও রাতে প্রচণ্ড ভিড় থাকে। তিনি জানান, কম্বালিনে কাজ করা পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩২০০ টাকা। এ ছাড়া বোম্বে প্যান্ট পিস ২৭০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা এবং বোম্বে শার্ট ১৮০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দিকে অভিজাত শোরুমে কেনাকাটার সামর্থ্য যাদের নেই তারা নিউমার্কেট, আলআমিন মার্কেট, শরীফ উদ্দিন সুপার মার্কেট, হকার্স মার্কেটসহ ফুটপাথের দোকানে ছুটছেন। তারা সাধ্যমতো কেনাকাটা করছেন। তবে ফুটপাথের দোকানে পুরোপুরি কেনাকাটা জমে উঠতে আরো কয়েক দিন লাগবে। অপর দিকে বরাবরের মতো এবারো ভারতীয় কাপড় বাজার দখল করেছে। শহরের মার্কেটগুলোয় এসব কাপড় পাওয়া যাচ্ছে বেশি। শহরের টেইলারিং হাউজগুলো কাপড় তৈরির অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা যে পরিমাণ অর্ডার নিয়েছেন সেগুলো তৈরির কাজে দিনারাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। বগুড়া শহর উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে হওয়ার কারণে পাশের নাটের, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধাসহ আরো অনেক জেলার ক্রেতারা বগুড়ায় ঈদের কেনাকাটার জন্য আসছেন। এ জন্য বগুড়া শহরে কেনাকাটার প্রচণ্ড ভিড় জমেছে। ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন কৌশল নিয়েও তা অনেক সময় কাজে আসছে না।
No comments:
Post a Comment