Friday, August 8, 2014

দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির সুখবর নেই:প্রথম অালো

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। কিন্তু স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কোনো সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না। মিসরের রাজধানী কায়রোতে কূটনীতিকেরা দৌড়ঝাঁপ করলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তেমন কোনো সুখবর দিতে পারেননি। অবশ্য গতকাল ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বার্তা আসেনি। খব
র আল জাজিরা ও সিএনএনের। ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইসরায়েল চলমান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে রাজি আছে। মিসরের মধ্যস্থতায় গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ টেনে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েল বর্তমান শর্তের আওতায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’ তবে হামাসের উপনেতা মুসা মোহাম্মদ আবু মারজুক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সমঝোতা হওয়ার কথা অস্বীকার করেন। কায়রোতে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদলের সদস্য মারজুক গত বুধবার রাতে এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো সমঝোতা হয়নি। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোসংক্রান্ত যেকোনো ধরনের খবর ভিত্তিহীন।’ এর আগে গত বুধবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় চার সপ্তাহের বেপরোয়া আগ্রাসনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। গাজায় প্রাণহানির জন্য তিনি হামাসকেই দায়ী করেন। পশ্চিম জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘প্রতিটি বেসামরিক মৃত্যুর জন্য ইসরায়েল গভীরভাবে অনুতপ্ত। গাজার জনগণ আমাদের শত্রু নয়; আমাদের শত্রু হামাস। প্রতিটি বেসামরিক মৃত্যুই একেকটি ট্র্যাজেডি। এ ট্র্যাজেডি হামাসের সৃষ্টি।’ গাজায় প্রাণহানি বিশ্বকে ‘শোকাহত ও লজ্জিত’ করেছে, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এমন মন্তব্য করার পর নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য এল। গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়শিবিরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের ঘটনা তদন্ত করারও আহ্বান জানিয়েছেন বান কি মুন। এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, তাঁদের সেনাবাহিনীর ২৭ হাজার রিজার্ভ সেনাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাহিনীতে নিয়মিত ৫৫ হাজার সেনা সক্রিয় দায়িত্বে রয়েছে। গাজায় একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে এটিকে আশাব্যঞ্জক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদলের কর্মকর্তারা মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদলে রয়েছেন হামাসের পাশাপাশি ইসলামিক জিহাদ ও ফিলিস্তিন স্বাধীনতা সংস্থার (পিএলও) কর্মকর্তারাও। পিএলওর কর্মকর্তা ও মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার পরিচিত মুখ সায়েব এরাকাত বলেন, ‘আমরা এখনো কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমরা ৭২ ঘণ্টাকে টেকসই করার চেষ্টা করছি; আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা গতকাল জানান, আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাচ্ছেন না তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, ‘কখন কীভাবে এটা আসবে, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। তবে একটা যুগান্তকারী ঘোষণা আসবে বলে আমরা আশা করছি।’

No comments:

Post a Comment