, ‘আওয়ামী প্রজন্ম লীগ’, ‘আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম’ ইত্যাকার নামে আরও অন্তত ৫০টি কাগুজে সংগঠন রয়েছে। নামসর্বস্ব এসব সংগঠনকে আওয়ামী লীগের অনেকেই ‘রাজনৈতিক দোকান’ বলে মন্তব্য করেন। এসব ‘দোকানের’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঘুরেফিরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের অর্ধডজন নেতা ও মন্ত্রী৷ এঁদের মধ্যে যাঁরা মন্ত্রিপরিষদে ঠাঁই পাননি, তাঁরা সবচেয়ে বেশি সরব৷ আর এসব মন্ত্রী-নেতাকে নিয়ে অনুষ্ঠান করার সুবাধে এসব ‘দোকান’ মালিকদের অনেকে রমরমা ‘তদবির বাণিজ্য’ করেন বলেও অভিযোগ। অনুসন্ধানে জানা যায়, নামসর্বস্ব এসব সংগঠনের কার্যত কোনো কমিটি, কার্যালয় বা গঠনতন্ত্র নেই। কিছু সংগঠন ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে তাদের দলীয় কার্যালয় হিসেবে প্যাডে উল্লেখ করে থাকে। ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের’ চেতনায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে সুবিধা আদায় করার অভিযোগ আছে এসব কথিত সংগঠনের অনেকের বিরুদ্ধে। দিবসভিত্তিক অনুষ্ঠান বা চলমান রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনার নামে জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠান ও মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে সক্রিয় আছে এসব ‘দোকান’ সংগঠনগুলো। আর তাতে প্রধান অতিথি করা হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোনো নেতা বা মন্ত্রীকে। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারির আগের শেখ হাসিনা সরকারের সময় বঙ্গবন্ধু একাডেমি, নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ এ রকম কিছু সংগঠনের ব্যানারে প্রায় নিয়মিত ‘গরম’ বক্তব্য দিতেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মোহাম্মদ নাসিম, ওবায়দুল কাদের, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কামরুল ইসলাম। মন্ত্রী হওয়ার পর ওবায়দুল কাদেরকে এ ধরনের সংগঠনে আর দেখা যায় না। মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও মাঝেমধ্যে যান। আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে কামরুল ইসলাম প্রায় প্রতিদিন ভুঁইফোড় সংগঠনের অনুষ্ঠানে যেতেন। এখন তিনি খাদ্যমন্ত্রী। এখনো এ ধরনের অনুষ্ঠানে তাঁকে যেতে দেখা যায়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও হাছান মাহমুদ এখন প্রায় নিয়মিতই এ জাতীয় সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তৃতা করেন। মাহবুব উল আলম হানিফকে মাঝেমধ্যে এ ধরনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়। এমন একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব প্রোগ্রামে গিয়ে গরম বক্তৃতা দিয়ে অনেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। অনেকেই সাইড লাইনে আছেন। এ জন্যই আমিও যাওয়া শুরু করেছি। যদি ভাগ্য খোলে?’ নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করায় ভুঁইফোড় সংগঠনের নেতাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি অনেক। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘তদবির বাণিজ্যের’ অভিযোগ আছে। আবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কিছু নেতা বা প্রচারপ্রিয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁদের এসব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বা সভাপতি করানো হয় বলেও জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলাসহ কয়েকটি সংগঠন ছাড়া বেশির ভাগেরই অস্তিত্ব কেবল কাগজে-কলমে। একই ব্যক্তি একাধিক সংগঠনের মালিক। একেক দিন একেক সংগঠনের নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তাঁরা। প্রায় সব অনুষ্ঠানে ঘুরেফিরে একই ব্যক্তিদের দর্শক-শ্রোতার আসনে দেখা যায়। গত ফেব্রুয়ারিতে ‘দেশরত্ন সেবক সংঘ’ নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংগঠনটির প্রথম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এর দুই দিন পর ‘দেশরত্ন সেবক পরিষদ’ নামের আরেকটি সংগঠন আলোচনা সভার আয়োজন করে। তাতেও খাদ্যমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করা হয়। সংগঠন দুটিরই প্রতিষ্ঠাতা এম এ করিম ও চিত্তরঞ্জন দাস। কৃষক লীগের নেতা এম এ করিমকে ‘মন্ত্রী বানানোর কারিগর’ বলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হাসাহাসি করেন। তাঁর অনুষ্ঠানে নিয়মিত বক্তব্য দিয়ে বিভিন্ন সময়ে কয়েকজন নেতা মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন বলেও প্রচার আছে। এম এ করিমের ৩৪টি কাগুজে সংগঠন বা রাজনৈতিক ‘দোকান’ রয়েছে। অবশ্য এম এ করিম এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, তিনি এখন আর আগের মতো অনুষ্ঠান করেন না। এম এ করিমের মতো ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুল হক সবুজ ৩৭টি সংগঠনের নেতা। এই দুজনের ৭১টি সংগঠনের প্রায় সব কটির নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নাম ব্যবহার করে। এর বাইরে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করেও কিছু সংগঠন বানিয়েছেন তাঁরা। ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমি’ ও ‘নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী’র ব্যানারে ইদানীং প্রায় নিয়মিত আলোচনা বা মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠন দুটির সভাপতি ও মহাসচিব দুটি পদের দাবিদার হুমায়ুন কবির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেবল মনের খোরাক হিসেবে এসব অনুষ্ঠান করছি। নেত্রী নির্দেশ দিলে বন্ধ করে দেব।’ এসব অনুষ্ঠান করার খরচ কে দেয়, জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজি করি না। সংগঠনের নেতা ও ক্ষেত্রবিশেষে ব্যবসায়ীদের সহায়তা নেওয়া হয়।’ নিয়ম অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ নাম ব্যবহার করতে হলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল থেকে অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ (চারটি অংশ), আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (দুটি অংশ), মুক্তিযোদ্ধা লীগ (দুটি অংশ) মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগসহ আরও কিছু সংগঠন আছে, যেগুলো অনুমোদন ছাড়াই চলছে। নামসর্বস্ব এসব সংগঠন সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘এগুলো প্যাডসর্বস্ব দোকান। ওদের কাজ ধান্ধাবাজি। যেখানেই অভিযোগ পাচ্ছি, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, August 18, 2014
আ.লীগে রমরমা:প্রথম অালো
, ‘আওয়ামী প্রজন্ম লীগ’, ‘আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম’ ইত্যাকার নামে আরও অন্তত ৫০টি কাগুজে সংগঠন রয়েছে। নামসর্বস্ব এসব সংগঠনকে আওয়ামী লীগের অনেকেই ‘রাজনৈতিক দোকান’ বলে মন্তব্য করেন। এসব ‘দোকানের’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঘুরেফিরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের অর্ধডজন নেতা ও মন্ত্রী৷ এঁদের মধ্যে যাঁরা মন্ত্রিপরিষদে ঠাঁই পাননি, তাঁরা সবচেয়ে বেশি সরব৷ আর এসব মন্ত্রী-নেতাকে নিয়ে অনুষ্ঠান করার সুবাধে এসব ‘দোকান’ মালিকদের অনেকে রমরমা ‘তদবির বাণিজ্য’ করেন বলেও অভিযোগ। অনুসন্ধানে জানা যায়, নামসর্বস্ব এসব সংগঠনের কার্যত কোনো কমিটি, কার্যালয় বা গঠনতন্ত্র নেই। কিছু সংগঠন ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে তাদের দলীয় কার্যালয় হিসেবে প্যাডে উল্লেখ করে থাকে। ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের’ চেতনায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে সুবিধা আদায় করার অভিযোগ আছে এসব কথিত সংগঠনের অনেকের বিরুদ্ধে। দিবসভিত্তিক অনুষ্ঠান বা চলমান রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনার নামে জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠান ও মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে সক্রিয় আছে এসব ‘দোকান’ সংগঠনগুলো। আর তাতে প্রধান অতিথি করা হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোনো নেতা বা মন্ত্রীকে। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারির আগের শেখ হাসিনা সরকারের সময় বঙ্গবন্ধু একাডেমি, নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ এ রকম কিছু সংগঠনের ব্যানারে প্রায় নিয়মিত ‘গরম’ বক্তব্য দিতেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মোহাম্মদ নাসিম, ওবায়দুল কাদের, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কামরুল ইসলাম। মন্ত্রী হওয়ার পর ওবায়দুল কাদেরকে এ ধরনের সংগঠনে আর দেখা যায় না। মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও মাঝেমধ্যে যান। আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে কামরুল ইসলাম প্রায় প্রতিদিন ভুঁইফোড় সংগঠনের অনুষ্ঠানে যেতেন। এখন তিনি খাদ্যমন্ত্রী। এখনো এ ধরনের অনুষ্ঠানে তাঁকে যেতে দেখা যায়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও হাছান মাহমুদ এখন প্রায় নিয়মিতই এ জাতীয় সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তৃতা করেন। মাহবুব উল আলম হানিফকে মাঝেমধ্যে এ ধরনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়। এমন একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব প্রোগ্রামে গিয়ে গরম বক্তৃতা দিয়ে অনেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। অনেকেই সাইড লাইনে আছেন। এ জন্যই আমিও যাওয়া শুরু করেছি। যদি ভাগ্য খোলে?’ নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করায় ভুঁইফোড় সংগঠনের নেতাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি অনেক। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘তদবির বাণিজ্যের’ অভিযোগ আছে। আবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কিছু নেতা বা প্রচারপ্রিয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁদের এসব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বা সভাপতি করানো হয় বলেও জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলাসহ কয়েকটি সংগঠন ছাড়া বেশির ভাগেরই অস্তিত্ব কেবল কাগজে-কলমে। একই ব্যক্তি একাধিক সংগঠনের মালিক। একেক দিন একেক সংগঠনের নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তাঁরা। প্রায় সব অনুষ্ঠানে ঘুরেফিরে একই ব্যক্তিদের দর্শক-শ্রোতার আসনে দেখা যায়। গত ফেব্রুয়ারিতে ‘দেশরত্ন সেবক সংঘ’ নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংগঠনটির প্রথম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এর দুই দিন পর ‘দেশরত্ন সেবক পরিষদ’ নামের আরেকটি সংগঠন আলোচনা সভার আয়োজন করে। তাতেও খাদ্যমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করা হয়। সংগঠন দুটিরই প্রতিষ্ঠাতা এম এ করিম ও চিত্তরঞ্জন দাস। কৃষক লীগের নেতা এম এ করিমকে ‘মন্ত্রী বানানোর কারিগর’ বলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হাসাহাসি করেন। তাঁর অনুষ্ঠানে নিয়মিত বক্তব্য দিয়ে বিভিন্ন সময়ে কয়েকজন নেতা মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন বলেও প্রচার আছে। এম এ করিমের ৩৪টি কাগুজে সংগঠন বা রাজনৈতিক ‘দোকান’ রয়েছে। অবশ্য এম এ করিম এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, তিনি এখন আর আগের মতো অনুষ্ঠান করেন না। এম এ করিমের মতো ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুল হক সবুজ ৩৭টি সংগঠনের নেতা। এই দুজনের ৭১টি সংগঠনের প্রায় সব কটির নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নাম ব্যবহার করে। এর বাইরে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করেও কিছু সংগঠন বানিয়েছেন তাঁরা। ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমি’ ও ‘নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী’র ব্যানারে ইদানীং প্রায় নিয়মিত আলোচনা বা মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠন দুটির সভাপতি ও মহাসচিব দুটি পদের দাবিদার হুমায়ুন কবির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেবল মনের খোরাক হিসেবে এসব অনুষ্ঠান করছি। নেত্রী নির্দেশ দিলে বন্ধ করে দেব।’ এসব অনুষ্ঠান করার খরচ কে দেয়, জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজি করি না। সংগঠনের নেতা ও ক্ষেত্রবিশেষে ব্যবসায়ীদের সহায়তা নেওয়া হয়।’ নিয়ম অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ নাম ব্যবহার করতে হলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল থেকে অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ (চারটি অংশ), আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (দুটি অংশ), মুক্তিযোদ্ধা লীগ (দুটি অংশ) মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগসহ আরও কিছু সংগঠন আছে, যেগুলো অনুমোদন ছাড়াই চলছে। নামসর্বস্ব এসব সংগঠন সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘এগুলো প্যাডসর্বস্ব দোকান। ওদের কাজ ধান্ধাবাজি। যেখানেই অভিযোগ পাচ্ছি, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment