আয়োজন করে থাকে। মূলত এক-এগারোর সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ার পর এ-জাতীয় সংগঠনের ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু হয়৷ তখন বিএনপি ও এর রাজনীতির প্রতি আনুগত্য আছে—নাগরিক সমাজের এমন অনেকে অংশ নিতেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ব্যক্তিকেন্দ্রিক এ-জাতীয় নামসর্বস্ব সংগঠন বেড়েছে৷ এ ধরনের অন্তত ৬১টি কাগুজে সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া পায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব সংগঠন আলোচনা সভা বা মানববন্ধনের আয়োজন করে প্রচারপ্রিয় বিভিন্ন নেতাকে বক্তৃতা করার সুযোগ করে দেয়। এর বিনিময়ে আয়োজকেরা আর্থিক সুবিধা পান। একপর্যায়ে মূল দলের আন্দোলন কর্মসূচিতে মাঠে না নেমে এ-জাতীয় ভুঁইফোড়দের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রচার পাওয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়েন বিএনপির অনেক নেতা৷ এ নিয়ে বিএনপির মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ২০১২ সালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অন্তত ৪০টি সংগঠনের নাম উল্লেখ করে সেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। জাতীয়তাবাদী তরুণ দল নামে একটি সংগঠনের ব্যাপারে সতর্ক করতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। তবে জি-নাইন (গ্রুপ-২০০৯) ও শত নাগরিক কমিটি নামে দুটি সংগঠনকে দলের ‘থিংকট্যাংক’ হিসেবে মর্যাদা দেয় বিএনপি। জি-নাইনের কয়েকটি অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও উপস্থিত ছিলেন। আর শত নাগরিকে আছেন এমাজউদ্দীন আহমদের মতো বুদ্ধিজীবীরা। ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে একসময় প্রায় নিয়মিত যেতেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আ স ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, এম কে আনোয়ার, খন্দকার মোশাররফ হোসেন৷ তবে কয়েক মাস ধরে মওদুদ কোথাও যাচ্ছেন না। আর খন্দকার মোশাররফ কারাগারে আছেন। মওদুদ আহমদকে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’, ‘নাগরিক ফোরাম’, ‘জিয়া ব্রিগেড’ এবং খন্দকার মোশাররফ ‘দেশপ্রেমিক মঞ্চ’, ‘দেশনেত্রী পরিষদ’সহ কয়েকটি সংগঠনের অনুষ্ঠানে বেশি যেতে দেখা গেছে৷ এখন রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর রায় ও হান্নান শাহকে ‘জিয়া ফোরাম’, ‘স্বদেশ জাগরণী ফোরাম’, ‘তারেক জিয়া ফোরাম’ প্রভৃতি সংগঠনের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে দেখা যায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলও অতীতে বিভিন্ন সময় এ-জাতীয় সংগঠনের দু-একটি অনুষ্ঠানে গেছেন৷ সংগঠনের নামের শুরুতে জাতীয়তাবাদী লাগিয়ে নামকরণ করা হয়েছে অন্তত ১৫টির। এর মধ্যে আছে জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল, মানবাধিকার ফোরাম, সেবাদল, বাস্তুহারা দল, প্রজন্ম দল, মঞ্চ, কর্মজীবী কল্যাণ পরিষদ, তৃণমূল দল, ভূমিহীন দল, বন্ধুদল, নতুন বাংলাদেশ প্রভৃতি। এ ছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে নামকরণ করা সংগঠনগুলো হলো: জিয়া নাগরিক ফোরাম, জিয়া সেনা, জিয়া ব্রিগেড। আরও আছে দেশনেত্রী পরিষদ, খালেদা জিয়া পরিষদ, তারেক জিয়া ফোরাম, তারেক পরিষদসহ এ-জাতীয় নানা নামের সংগঠন। এ রকম একাধিক সংগঠনের নেতাদের এ সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের ‘ব্যবসার’ মূল ভরসা হচ্ছে গণমাধ্যম। বিশেষ করে টেলিভিশন। যেসব নেতার গণমাধ্যমের কাছে চাহিদা আছে, এমন একজন নেতাকে নিয়ে তাঁরা সেমিনারের আয়োজন করেন। তিনিই হন প্রধান অতিথি। নিচের স্তরের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁদের প্রধান অতিথির পাশের চেয়ারে বসানো হয়। ফলে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় তাঁদের চেহারাও টেলিভিশনে দেখানো হয়। এর বিনিমিয়ে ওই ছোট পদের নেতাদের কাছ থেকে তাঁরা অর্থ নেন অনুষ্ঠান করার জন্য। আবার অনেক সময় শীর্ষস্থানীয় কোনো কোনো নেতা গণমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য প্রচার করতে চান৷ এ জন্য তাঁরাও অনুষ্ঠানের খরচের টাকা দেন৷ সে ক্ষেত্রে ওই নেতাকে একক বক্তা হিসেবে আনা হয়। খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে একটি সংগঠনের নেতা বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবে করলে একটু বেশি খরচ হয়। এখানে ভাড়া বেশি। এর বাইরে গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণপত্র পাঠাতে ফ্যাক্সের খরচ আছে৷ আবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম বিভাগের কোনো কোনো কর্মীকে কিছু টাকা দিলে তাঁরাও সাংবাদিকদের অনেক সময় মুঠোফোনের খুদে বার্তায় অনুষ্ঠানের খবর জানিয়ে দেন। ব্যানার করতে কিছু টাকা লাগে। এভাবে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় একটি কর্মসূচি শেষ করা যায়। কিন্তু সংগঠনগুলো এ রকম একটি সেমিনার বা আলোচনা সভার জন্য ৪০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হলে এ খরচ আরও কম হয়৷ এ ছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে খরচ অনেক কম লাগে৷ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিপন্থী এ-জাতীয় সংগঠনগুলোর সময় ভালো যাচ্ছে না। গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে অনেক নেতাই এখন আগের মতো বক্তৃতা করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে গণমাধ্যমে প্রচার পাওয়ার মতো নেতাদের অনেককে ভুঁইফোড়রা পাচ্ছে না। এমন তিনটি সংগঠনের নেতারা প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁরা আগের মতো বিএনপির কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকে এখন আর পাচ্ছেন না। ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোর মধ্যে ৩৮টি সংগঠন মিলে ‘বিএনপির সহযোগী সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ গঠন করেছে কিছুদিন আগে৷ সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি সবাইকে সঙ্গে নিচ্ছে, এমনটা ধরে নিয়েই সংগঠনগুলো আবারও বিএনপির সঙ্গে থেকে কাজ করার সুযোগ খুঁজছে। ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. হানিফ প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁদের এই সংগঠনগুলো বিএনপির রাজনীতির ধারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাঁরা মোটেই নামসর্বস্ব নন। কিছু সংগঠন হয়তো এমন আছে, তাদের পরিষদে রাখা হয়নি। তবে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কিছু সংগঠনের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের কর্মকাণ্ড জনগণের স্বার্থের চেয়ে বরং বিপক্ষেই যায়। বিএনপি এ ধরনের সংগঠনগুলোকে কখনো স্বীকার করে না।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, August 18, 2014
বিএনপিতে মন্দা:প্রথম অালো
আয়োজন করে থাকে। মূলত এক-এগারোর সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ার পর এ-জাতীয় সংগঠনের ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু হয়৷ তখন বিএনপি ও এর রাজনীতির প্রতি আনুগত্য আছে—নাগরিক সমাজের এমন অনেকে অংশ নিতেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ব্যক্তিকেন্দ্রিক এ-জাতীয় নামসর্বস্ব সংগঠন বেড়েছে৷ এ ধরনের অন্তত ৬১টি কাগুজে সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া পায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব সংগঠন আলোচনা সভা বা মানববন্ধনের আয়োজন করে প্রচারপ্রিয় বিভিন্ন নেতাকে বক্তৃতা করার সুযোগ করে দেয়। এর বিনিময়ে আয়োজকেরা আর্থিক সুবিধা পান। একপর্যায়ে মূল দলের আন্দোলন কর্মসূচিতে মাঠে না নেমে এ-জাতীয় ভুঁইফোড়দের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রচার পাওয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়েন বিএনপির অনেক নেতা৷ এ নিয়ে বিএনপির মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ২০১২ সালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অন্তত ৪০টি সংগঠনের নাম উল্লেখ করে সেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। জাতীয়তাবাদী তরুণ দল নামে একটি সংগঠনের ব্যাপারে সতর্ক করতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। তবে জি-নাইন (গ্রুপ-২০০৯) ও শত নাগরিক কমিটি নামে দুটি সংগঠনকে দলের ‘থিংকট্যাংক’ হিসেবে মর্যাদা দেয় বিএনপি। জি-নাইনের কয়েকটি অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও উপস্থিত ছিলেন। আর শত নাগরিকে আছেন এমাজউদ্দীন আহমদের মতো বুদ্ধিজীবীরা। ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে একসময় প্রায় নিয়মিত যেতেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আ স ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, এম কে আনোয়ার, খন্দকার মোশাররফ হোসেন৷ তবে কয়েক মাস ধরে মওদুদ কোথাও যাচ্ছেন না। আর খন্দকার মোশাররফ কারাগারে আছেন। মওদুদ আহমদকে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’, ‘নাগরিক ফোরাম’, ‘জিয়া ব্রিগেড’ এবং খন্দকার মোশাররফ ‘দেশপ্রেমিক মঞ্চ’, ‘দেশনেত্রী পরিষদ’সহ কয়েকটি সংগঠনের অনুষ্ঠানে বেশি যেতে দেখা গেছে৷ এখন রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর রায় ও হান্নান শাহকে ‘জিয়া ফোরাম’, ‘স্বদেশ জাগরণী ফোরাম’, ‘তারেক জিয়া ফোরাম’ প্রভৃতি সংগঠনের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে দেখা যায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলও অতীতে বিভিন্ন সময় এ-জাতীয় সংগঠনের দু-একটি অনুষ্ঠানে গেছেন৷ সংগঠনের নামের শুরুতে জাতীয়তাবাদী লাগিয়ে নামকরণ করা হয়েছে অন্তত ১৫টির। এর মধ্যে আছে জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল, মানবাধিকার ফোরাম, সেবাদল, বাস্তুহারা দল, প্রজন্ম দল, মঞ্চ, কর্মজীবী কল্যাণ পরিষদ, তৃণমূল দল, ভূমিহীন দল, বন্ধুদল, নতুন বাংলাদেশ প্রভৃতি। এ ছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে নামকরণ করা সংগঠনগুলো হলো: জিয়া নাগরিক ফোরাম, জিয়া সেনা, জিয়া ব্রিগেড। আরও আছে দেশনেত্রী পরিষদ, খালেদা জিয়া পরিষদ, তারেক জিয়া ফোরাম, তারেক পরিষদসহ এ-জাতীয় নানা নামের সংগঠন। এ রকম একাধিক সংগঠনের নেতাদের এ সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের ‘ব্যবসার’ মূল ভরসা হচ্ছে গণমাধ্যম। বিশেষ করে টেলিভিশন। যেসব নেতার গণমাধ্যমের কাছে চাহিদা আছে, এমন একজন নেতাকে নিয়ে তাঁরা সেমিনারের আয়োজন করেন। তিনিই হন প্রধান অতিথি। নিচের স্তরের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁদের প্রধান অতিথির পাশের চেয়ারে বসানো হয়। ফলে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় তাঁদের চেহারাও টেলিভিশনে দেখানো হয়। এর বিনিমিয়ে ওই ছোট পদের নেতাদের কাছ থেকে তাঁরা অর্থ নেন অনুষ্ঠান করার জন্য। আবার অনেক সময় শীর্ষস্থানীয় কোনো কোনো নেতা গণমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য প্রচার করতে চান৷ এ জন্য তাঁরাও অনুষ্ঠানের খরচের টাকা দেন৷ সে ক্ষেত্রে ওই নেতাকে একক বক্তা হিসেবে আনা হয়। খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে একটি সংগঠনের নেতা বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবে করলে একটু বেশি খরচ হয়। এখানে ভাড়া বেশি। এর বাইরে গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণপত্র পাঠাতে ফ্যাক্সের খরচ আছে৷ আবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম বিভাগের কোনো কোনো কর্মীকে কিছু টাকা দিলে তাঁরাও সাংবাদিকদের অনেক সময় মুঠোফোনের খুদে বার্তায় অনুষ্ঠানের খবর জানিয়ে দেন। ব্যানার করতে কিছু টাকা লাগে। এভাবে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় একটি কর্মসূচি শেষ করা যায়। কিন্তু সংগঠনগুলো এ রকম একটি সেমিনার বা আলোচনা সভার জন্য ৪০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হলে এ খরচ আরও কম হয়৷ এ ছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে খরচ অনেক কম লাগে৷ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিপন্থী এ-জাতীয় সংগঠনগুলোর সময় ভালো যাচ্ছে না। গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে অনেক নেতাই এখন আগের মতো বক্তৃতা করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে গণমাধ্যমে প্রচার পাওয়ার মতো নেতাদের অনেককে ভুঁইফোড়রা পাচ্ছে না। এমন তিনটি সংগঠনের নেতারা প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁরা আগের মতো বিএনপির কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকে এখন আর পাচ্ছেন না। ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোর মধ্যে ৩৮টি সংগঠন মিলে ‘বিএনপির সহযোগী সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ গঠন করেছে কিছুদিন আগে৷ সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি সবাইকে সঙ্গে নিচ্ছে, এমনটা ধরে নিয়েই সংগঠনগুলো আবারও বিএনপির সঙ্গে থেকে কাজ করার সুযোগ খুঁজছে। ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. হানিফ প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁদের এই সংগঠনগুলো বিএনপির রাজনীতির ধারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাঁরা মোটেই নামসর্বস্ব নন। কিছু সংগঠন হয়তো এমন আছে, তাদের পরিষদে রাখা হয়নি। তবে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কিছু সংগঠনের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের কর্মকাণ্ড জনগণের স্বার্থের চেয়ে বরং বিপক্ষেই যায়। বিএনপি এ ধরনের সংগঠনগুলোকে কখনো স্বীকার করে না।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment