Friday, August 29, 2014

স্থবিরতা কাটেনি আওয়ামী লীগে:নয়াদিগন্ত

টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেও স্থবিরতা কাটাতে পারেনি আওয়ামী লীগ। সংগঠন ঢেলে সাজানো তো দূরের কথা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ সাংগঠনিক জেলাগুলোতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন তৃণমূলপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। গত মে মাসের প্রথম দিকে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলীয় সভাপতি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দল গোছানোর তাগিদ দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। নামেমাত্র
মেয়াদোত্তীর্ণ পাঁচটি জেলার সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েও পিছু হটেছেন নেতারা। অক্টোবরের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ সব জেলার সম্মেলনের কথা থাকলেও দলের হাইকমান্ডে কোনো সাড়াশব্দ নেই। এ দিকে রাজধানীর আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের প্রাণ খোদ মহানগর আওয়ামী লীগও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত, নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের চাঙা করতে না পারাসহ অগোছালো দলকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের আবারো আন্দোলন মোকাবেলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের হাইকমান্ড। আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন নয়া দিগন্তকে বলেন, উপজেলা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই কেন্দ্রীয়ভাবে অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে প্রত্যেক জেলায় নির্দেশনা পাঠানো হয়। এটি কোনো জেলায় চিঠি দিয়ে আবার অনেক জেলায় আছে দফতর থেকে টেলিফোন করে নির্দেশনা দেয়া হয়। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে অনেক জেলায় নেতাকর্মীরা বৈঠক ডেকে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করেছেন। যে এলাকায় বেশি সমস্যা সেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।  সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট সমর্থিত প্রার্থীর কাছে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ভরাডুবির পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বেহাল অবস্থা ফুটে ওঠে। তৃতীয় দফা থেকে শেষ দফা পর্যন্ত পরাজয় এড়াতে অনেকটা প্রশাসনের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। গত মে মাসের প্রথম দিকে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকেরা তাদের প্রতিবেদন তুলে ধরেন। ওই প্রতিবেদনে সারা দেশের সাংগঠনিক বেহাল চিত্রই বেশি ফুটে উঠলে দলীয় সভাপতি সংগঠনকে

No comments:

Post a Comment