ানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে আমাদের জন্য পাঁচটি কোচের টিকিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বুধবারের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে আমাদের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা টিকিট নেব কি না, শুক্রবার (আজ) দলীয় ফোরামে সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’ রেলওয়ে সূত্র জানায়, শনিবার রাতে মহানগর তূর্ণা এক্সপ্রেসের চারটি কোচ এবং পরদিন রোববার সুবর্ণ এক্সপ্রেসের একটি কোচ মহানগর ছাত্রলীগের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং তিনটি শোভন চেয়ারের কোচ রয়েছে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রতিটি কোচে ৫৫টি এবং শোভন কোচে ৬০টি করে আসন রয়েছে। রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের টিকিট দেওয়ায় শনিবার রাতে তূর্ণা এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত তিনটি কোচ ও একটি পাওয়ার কার সংযোজন করতে হচ্ছে। সাধারণত তূর্ণা এক্সপ্রেসে ১৮টি কোচ ও পাওয়ার কার নিয়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়। শনিবার সেই সংখ্যা হবে ২২। এর আগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ ঢাকায় সংগঠনের সমাবেশে যোগ দিতে শনিবার রাতের তূর্ণা এক্সপ্রেসের তিনটি কোচ ও উত্তর জেলা ছাত্রলীগ দুটি কোচের টিকিট কিনে নেয়। বুধবার মহানগর ছাত্রলীগ একই দিন একই ট্রেনের ছয়টি কোচের টিকিটের দাবি জানায়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতারা আমাদের কাছে ছয়টি কোচের টিকিটের জন্য আবেদন করেছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া একসঙ্গে এতগুলো কোচের টিকিট কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হয় না।’ বুধবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ভুল-বোঝাবুঝি থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা তাঁদের জন্য পাঁচটি কোচের টিকিট বরাদ্দ দিতে পেরেছি।’ এদিকে বুধবার রাতে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে পেটানোর অভিযোগে স্টেশন মাস্টার ও বুকিং ক্লার্কসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। কমিটির প্রধান ও রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. ফিরোজ ইফতেখার বলেন, ‘আমরা ১০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নিয়েছি। আরও কয়েকজনের সাক্ষ্য নেব। তাঁদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে আমরা তদন্ত শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।’
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Friday, August 29, 2014
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের জন্য ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন!:প্রথম অালো
ানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে আমাদের জন্য পাঁচটি কোচের টিকিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বুধবারের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে আমাদের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা টিকিট নেব কি না, শুক্রবার (আজ) দলীয় ফোরামে সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’ রেলওয়ে সূত্র জানায়, শনিবার রাতে মহানগর তূর্ণা এক্সপ্রেসের চারটি কোচ এবং পরদিন রোববার সুবর্ণ এক্সপ্রেসের একটি কোচ মহানগর ছাত্রলীগের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং তিনটি শোভন চেয়ারের কোচ রয়েছে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রতিটি কোচে ৫৫টি এবং শোভন কোচে ৬০টি করে আসন রয়েছে। রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের টিকিট দেওয়ায় শনিবার রাতে তূর্ণা এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত তিনটি কোচ ও একটি পাওয়ার কার সংযোজন করতে হচ্ছে। সাধারণত তূর্ণা এক্সপ্রেসে ১৮টি কোচ ও পাওয়ার কার নিয়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়। শনিবার সেই সংখ্যা হবে ২২। এর আগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ ঢাকায় সংগঠনের সমাবেশে যোগ দিতে শনিবার রাতের তূর্ণা এক্সপ্রেসের তিনটি কোচ ও উত্তর জেলা ছাত্রলীগ দুটি কোচের টিকিট কিনে নেয়। বুধবার মহানগর ছাত্রলীগ একই দিন একই ট্রেনের ছয়টি কোচের টিকিটের দাবি জানায়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতারা আমাদের কাছে ছয়টি কোচের টিকিটের জন্য আবেদন করেছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া একসঙ্গে এতগুলো কোচের টিকিট কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হয় না।’ বুধবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ভুল-বোঝাবুঝি থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা তাঁদের জন্য পাঁচটি কোচের টিকিট বরাদ্দ দিতে পেরেছি।’ এদিকে বুধবার রাতে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে পেটানোর অভিযোগে স্টেশন মাস্টার ও বুকিং ক্লার্কসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। কমিটির প্রধান ও রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. ফিরোজ ইফতেখার বলেন, ‘আমরা ১০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নিয়েছি। আরও কয়েকজনের সাক্ষ্য নেব। তাঁদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে আমরা তদন্ত শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।’
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment