হরিয়ানায় বিজেপির জোট ভেঙে বেরিয়ে এল হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেস। তিন বছর ধরে জোটবদ্ধ থাকার পর এই বিচ্ছেদের ফলে রাজ্যটিতে বিজেপি এই মুহূর্তে একা। আগামী অক্টোবরে এই রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন। জোট ত্যাগের কথা ঘোষণা করে হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেসের নেতা কুলদীপ বিষ্ণোই গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘বিজেপি চিরকালের বিশ্বাসঘাতক। হরিয়ানায় তারা আমাকে গলা টিপে মারতে চাইছিল।’ বিজেপির জোট ত্যাগ করে কুলদীপ সম্ভবত কংগ্
রেস থেকে বিতাড়িত বিনোদ শর্মার সঙ্গে হাত মেলাবেন। বিনোদ নতুন দল গঠন করবেন বলে ঠিক করেছেন। কুলদীপের বাবা ভজনলাল ছিলেন রাজ্য কংগ্রেসের স্তম্ভ। একাধিকবার তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর কুলদীপ কংগ্রেস ছেড়ে নিজে দল গড়েন ও উপনির্বাচনে বিজেপির সহায়তায় সাংসদ হন। তিন বছর আগে বিজেপির সঙ্গে তিনি জোট বাঁধেন। কিন্তু লোকসভার গত নির্বাচনে বিজেপি যেখানে আটটি আসনে দাঁড়িয়ে সাতটিতে জেতে, কুলদীপের দল সেখানে দুটি আসনের একটিতেও জিততে পারেনি। এর পরই দলটি সম্পর্কে মোহভঙ্গ হয় বিজেপির। এরপর শুরু হয় বিধানসভা ভোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে দর-কষাকষি। ৯০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় কুলদীপ প্রথমে ৫০ আসনের দাবি জানান। পরে ২৬ আসনে রাজি হলেও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি থেকে পিছু হটতে নারাজ হন। বিজেপি তাতেও রাজি না হওয়ায় কুলদীপের জোটত্যাগ। এই বিচ্ছেদে বিজেপি কিছুটা হতাশ। কারণ, এতে শাসক দল কংগ্রেসের কিছুটা সুবিধা হতে পারে। অবশ্য দলের মুখপাত্র শাহনাওয়াজ হুসেন শুক্রবার বলেন, ‘বাস্তব অবস্থার ভিত্তিতেই আমরা আসন ভাগাভাগি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কংগ্রেসের বি টিম হিসেবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলেন।’ ঝাড়খন্ডেও এই বছরে বিধানসভার ভোট। বিহারের উপনির্বাচনে উৎফুল্ল লালু-িনতীশ ঝাড়খন্ডেও কংগ্রেস ও ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চাকে নিয়ে বিজেপিবিরোধী মহাজোট গঠনের চেষ্টা করছেন। কথা চলছে, ঝাড়খন্ড বিকাশ মোর্চার বাবুলাল মারান্ডির সঙ্গেও। লক্ষ্য মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে একঘরে করা।
No comments:
Post a Comment