যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় নতুন আইনের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এতে বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন আইনে ইসলামি চরমপন্থীদের সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দিতে দেশটির যেসব নাগরিক দেশের বাইরে যাবেন, তাঁদের দেশে ফেরা ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গতকাল সোমবার পার্লামেন্টে এমপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্দেহভাজন চরমপন্থীদের পাসপোর্ট জব্দের জন্য পুলিশকে স
াময়িক ক্ষমতা দেওয়া হবে। বিমানে তল্লাশি আরও বাড়ানো হবে। সন্দেহভাজনদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। বিদেশে যাওয়া চরমপন্থীদের দেশে ফেরত আসা বন্ধ রাখা হবে। খবর বিবিসির। তবে নতুন এ আইনের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের দুই শরিক দল কনজারভেটিভ পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দল দুটির মধ্যে এখনো আলোচনা চলছে। রক্ষণশীলদের দাবি, চরমপন্থীদের পাসপোর্ট জব্দ করার ক্ষমতা রেখে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। আর লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা বলছে, এ ক্ষেত্রে চাই সতর্কতা। ইরাক ও সিরিয়ায় ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং সংঘাতপূর্ণ দেশগুলো থেকে ব্রিটিশ যোদ্ধাদের ফেরত আসার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। ইসলামি চরমপন্থীদের পাসপোর্ট জব্দ এবং সংঘাতপূর্ণ দেশগুলো থেকে যোদ্ধাদের যুক্তরাজ্যে ফেরত আসার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নতুন আইনটির প্রস্তাব করেছে রক্ষণশীলেরা। জোটের প্রধান শরিক দলটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্রিটিশ নাগরিকদের নাগরিকত্ব থাকবে ঠিকই, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাঁরা দেশে (যুক্তরাজ্য) ফিরতে পারবে না। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা প্রস্তাবটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দলটির সাবেক নেতা মেনজিস ক্যামবেল বলেছেন, নাগরিকদের রাষ্ট্রহীন করে রাখাটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা বলেছে, তারা প্রস্তাবটি তখনই মেনে নেবে, যখন এটি প্রমাণাদির ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হবে এবং ব্রিটিশ নাগরিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে। এদিকে বিরোধী দল লেবার পার্টি ও পুলিশের দাবি, চরমপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা হোক, যার আওতায় কর্তৃপক্ষ জিহাদিদের ওপর কড়া নজরদারি ও তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment