Sunday, October 19, 2014

লুটপাটের নতুন ব্রাঞ্চ:যুগান্তর

বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের পরিধি বাড়াতে এবার খোলা হচ্ছে একটি ‘নতুন ব্রাঞ্চ (শাখা)’- বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রিপাওয়ারিং বা পুনঃক্ষমতায়ন। বিদ্যুৎ কেন্দ্র ওভারহোলিং, মেরামত, ভাড়াভিত্তিক রেন্টাল-কুইক রেন্টালে ‘চলমান লুটপাট’র সঙ্গে এই নতুন শাখা যোগ হওয়ায় বিদ্যুৎ খাতে হরিলুটের আয়োজন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র রিপাওয়ারিং সংক্রান্ত একটি প্রকল্প বিদ্যুৎ খাতের পরিচিত সিন্ডিকেটে
র পছন্দের এক কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির আগ্রহে তাদেরই একটি শক্তিশালী চক্রের যোগসাজশে প্রকল্পের কার্যাদেশ দেয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। ১০ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের জন্য সুদে-আসলে পিডিবিকে পরিশোধ করতে হবে তিন হাজার ৪৯ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ- প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এই সিন্ডিকেট কমিশন হিসেবে কমপক্ষে ৫শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেবে। এতে সরকারকে গচ্চা দিতে হবে কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। শুধু তাই নয়, রিপাওয়ারিং না করে এ প্রকল্পের অর্থ দিয়ে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব বলেও অভিমত দিয়েছেন তারা। এছাড়া ঘোড়াশালের এ প্রকল্পের কার্যাদেশটি নীরবে সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে, আরও তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রিপাওয়ারিং করার কাজে হাত দেয়া হবে। এ ব্যাপারে গোপনে যাবতীয় প্রাথমিক প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিপি) এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে উল্লিখিত সব তথ্য। জানতে চাইলে, পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমত উল্লাহ বলেন, এক মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে সর্বোচ্চ খরচ পড়ে ছয় কোটি টাকা। এ হিসাবে ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্র স্থাপনে খরচ হয় ৬০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব। তার মতে, ১০০ মেগাওয়াটের একটি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে হলে জমি কেনা, সঞ্চালন লাইন স্থাপনসহ সর্বোচ্চ খরচ হবে ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু ঘোড়াশালে সবকিছুই আছে। সে ক্ষেত্রে ১০০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র নির্মাণে সর্বোচ্চ ৪০০ কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা। সেখানে ২১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের তিন হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ মানে সে ফ ডাকাতি। শুক্রবার পিডিবির চেয়ারম্যান মো. আব্দুহু রুহুল্লাহর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন রিসিভ করেননি। একই দিন পরিচালক (জনসংযোগ পরিদফতর) সাইফুল হাসান চৌধুরী যুগান্তরকে বলেছেন, চেয়ারম্যান অফিসের কাজে বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। মেম্বার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন জাফরউল্লাহও টেলিফোন ধরেননি। বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে গিয়েও মিটিং থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে পিডিবি সদস্য (উৎপাদন) তমাল চক্রবর্তী বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। শর্ত শিথিল করে পছন্দের কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। পিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৮০-এর দশকে ঘোড়াশালে ২১০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তিন নম্বর ইউনিটটি স্থাপন করা হয়। রিপাওয়ারিং পরিকল্পনায় এ কেন্দ্রের ক্ষমতা কমিয়ে ১৫৬ মেগাওয়াট করা হচ্ছে। নতুন দুই গ্যাস টারবাইন থেকে বিদ্যুৎ আসবে ২৬০ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট। আর পুরনো স্টিম টারবাইন থেকে আসবে ১৫৬ মেগাওয়াট। সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৪১৬ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে। পিডিবি বলছে, এটাই ৪১৬ মেগাওয়াট রিপাওয়ারিং প্রকল্প। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, তাদের হিসাবে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। বাস্তবে উৎপাদন হবে মাত্র ২৬০ মেগাওয়াট। তার সঙ্গে যোগ হবে পুরনো ১৫৬ মেগাওয়াট। উল্টো রিপাওয়ারিংয়ের কারণে আগের কেন্দ্রের ৪৪ মেগাওয়াট উৎপাদন কমবে। সেক্ষেত্রে বাস্তবে উৎপাদন বাড়বে মাত্র ২১৪ মেগাওয়াট। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘোড়াশালের ৩ নম্বর ইউনিট যদি রিপাওয়ারিং না করে ওভারহোলিংও করা হয় তাহলে এ কেন্দ্র থেকে ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ আসবে। আর এটি বহুদিন ধরে উৎপাদন করা সম্ভব হবে। খরচও তুলনামূলক কম পড়বে। কিন্তু পিডিবি তা না করে অতি উৎসাহী হয়ে এ কেন্দ্রটির উৎপাদন কমিয়ে রিপাওয়ারিং করতে যাচ্ছে। এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। জানা গেছে, মূলত বেশি অংকের টাকা কমিশন বাণিজ্য করার জন্যই এই রিপাওয়ারিংয়ের কাজ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা। তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, রিপাওয়ারিং করতে গেলে দুই বছর কেন্দ্রটি বন্ধ রেখে কাজ করতে হবে। দেশের এই চরম বিদ্যুৎ ঘাটতির সময় এত বড় একটি কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলে বিদ্যুতের সংকট আরও ভয়াবহ হবে। যদি একান্তই রিপাওয়ারিং করতেই হয় তাহলে ঘোড়াশালের ছয় নম্বর ইউনিটের ওপর এ পরীক্ষা করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন। কারণ এ ইউনিটটি ২০১০ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াশালের তিন নম্বর ইউনিটের রিপাওয়ারিংয়ের জন্য ২০১২ সালে দরপত্র আহ্বান করে পিডিবি। প্রথম দফায় একটি মাত্র দরপত্র জমা পড়ে। এ কারণে সেটিকে অযোগ্য ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্র“য়ারি পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী, ৪১৬ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্রে কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বয়লার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে দুই বছরের। অথচ সিএমসি ও অ্যালোসথামের এ ধরনের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রিপাওয়ারিং দরপত্র আহ্বান করার আগে মন্ত্রণালয় জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য পিডিবিকে সতর্ক করে দিয়েছিল। পিডিবির দাবি, ঘোড়াশাল ৩ নম্বর ইউনিটের রিপাওয়ারিংয়ে গ্যাস সাশ্রয় হবে। কিন্তু পিডিবির দেয়া এই তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা। বর্তমানে কেন্দ্রটিতে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস লাগে ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট। বাড়তি ২১৬ মেগাওয়াট উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন হবে ৬৫ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা বলেন, রিপাওয়ারিংয়ে গ্যাস বেশি লাগবে। তিনি বলেন, দরপত্র সংক্রান্ত কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রিপাওয়ারিং প্রকল্পে তিন নম্বর ইউনিটে দুটি গ্যাস টারবাইনের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২৬০ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট। এই দুটি গ্যাস টারবাইনের তাপ থেকে বর্তমানে চালু থাকা টারবাইন চালানো হবে। ফলে ওই স্টিম টারবাইনটির কোনো গ্যাসের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু বর্তমানে যে টারবাইনটি আছে যা দিয়ে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের প্রয়োজন হয় ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট। আর ২৬০ মেগাওয়াটের দুটি গ্যাস টারবাইনের জন্য এ ব্যবহার গিয়ে দাঁড়াবে ৬৪ দশমিক ৫১ মিলিয়ন ঘনফুট। পুরনো গ্যাস টারবাইন দিয়ে বর্তমানে তিন নম্বর ইউনিটে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাসের প্রয়োজন হয় ২২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট। আর রিপাওয়ারিংয়ে প্রতি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের প্রয়োজন হবে ২৯ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ঘনফুট। এক্ষেত্রে দেশে গ্যাস সংকটসহ বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে পিডিবি। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ- বিদ্যুৎ কেন্দ্র ওভারহোলিং, মেরামত, ভাড়াভিত্তিক রেন্টাল-কুইক রেন্টালে বছরে হাজার কোটি টাকার বেশি লুটপাট হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ভাড়াভিত্তিক রেন্টাল-কুইক রেন্টালে। এরপরই রয়েছে পুরনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র ওভারহোলিংয়ের নামে বছরে শত শত কোটি টাকার বেশি লোপাট। এছাড়া নামে-বেনামে ভুয়া বিল ভাউচার, অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়, পুরনো যন্ত্রপাতিকে নতুন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎসহ পছন্দের কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দিয়ে বিপুল অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এসব অনিয়মের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছে- মন্ত্রণালয় ও পিডিপির কতিপয় কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর প্রভাবশালী নেতা, রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বেশ ক’জন ব্যবসায়ী, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী শীর্ষ নেতা ও একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সদস্যরা। বিদ্যুৎ কেন্দ্র ওভারহোলিংয়ে অর্থ লোপাট : বিদ্যুৎ কেন্দ্র ওভারহোলিং ও মেরামতের নামেও শত শত কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে। হচ্ছে কমিশন বাণিজ্য। এক্ষেত্রেও পছন্দের কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দিয়ে এই কমিশন বাণিজ্য করা হচ্ছে। জানা গেছে, চট্টগ্রামের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংস্কারে ব্যয় নিয়ে খোদ অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ওই প্রকল্পটি সংস্কারে ব্যয় দেখানো হয় ৯৯ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। এমন ভৌতিক ব্যয় নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে খোদ অর্থ মন্ত্রণালয়। তারপরও বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ওভারহোলিংয়ের (মেরামত) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২১০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রটি বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে মনে করে বিদ্যুৎ বিভাগ। সূত্র মতে, বুয়েট এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ৯৯ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য কেন্দ্রটির দ্রুত মেরামতের অনুমতি চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি ক্রয় প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রথমে অর্থমন্ত্রী এ ব্যয় কমানোর পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে এটি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেন। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানানো হয় শত কোটি টাকার নিচে কেন্দ্রটি মেরামত করা সম্ভব নয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। ফলে ২৮ আগস্ট ক্রয় কমিটির সভায় ওই ক্রয় প্রস্তাবটির অনুমোদন দেয়া হয়। বর্তমানে কেন্দ্রটির উৎপাদন বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে। এর বয়লারটি বহুদিনের পুরনো হওয়ায় ১৩০ মেগাওয়াটের বেশি লোড উঠানো যায় না। জানা গেছে চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্রটি মেরামতের জন্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেয়া হয়। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অর্থ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে ওভারহোলিং করা হলে এর অর্ধেক ব্যয় হতো। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০০৪ সালের এপ্রিলে কেন্দ্রটি ওভারহোলিং করা হয়। এরপর প্রায় ৪৬ হাজার ৮৯১ ঘণ্টা চলেছে। কারিগরি বিবেচনায় কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র ওভারহোলিংয়ের পর ২৫ হাজার ঘণ্টার বেশি চালানো যায় না। ফলে কেন্দ্রটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর আগে ২০১১ সালের ২৬ মার্চ এ ইউনিটটির বয়লারে বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় ঠিকাদার দিয়ে তা মেরামত করে আবার চালু করা হয়। বর্তমানে এটি বেশির ভাগই চালু রাখা সম্ভব হয় না। তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, নতুন এবং স্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ না করে সরকার কমিশন বাণিজ্য করার জন্য এসব পুরনো কেন্দ্র বিপুল ব্যয়ে সংস্কার করছে। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া ও সঠিক সময়ে মেরামত না করায় সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।  

No comments:

Post a Comment