Wednesday, September 24, 2014

জলবায়ু পরিবর্তনে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রীর:নয়াদিগন্ত

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে কার্বন নিউট্রালিটি আনয়ন করা হবে। বিশ্বের ছয়টি বড় কোম্পানি এবং বিশ্ব ব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে কাজ করবে। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নিজেদের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি (জি
ডিপি) গড়ে ২ থেকে ৩ ভাগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যখন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘে আলোচনায় ব্যস্ত তখন জাতিসঙ্ঘ কার্যালয়ের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিক্ষোভকারীরা সমবেত হয়ে থেমে থেমে বিক্ষোভ করছেন। বিভিন্ন প্লাকার্ডে লেখা রয়েছে যে, বিশ্বের পরিবেশ ধ্বংশের আর বাকি নেই। অথচ বিশ্বনেতৃবৃন্দ এখানে সমবেত হয়েছেন বিশ্বের সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার জন্য।  মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জাতিসঙ্ঘে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেছেন, অনুন্নত দেশ হিসেবেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নিজস্ব খাত থেকে বাংলাদেশ সরকার ৩৮৫ মিলিয়ন (৩৮ কোটি ৫০ লাখ ) ডলার বরাদ্দ রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে সৃষ্ট অকাল বন্যা, জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততার বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, এর কারণে বাংলাদেশে খাদ্যশস্য বিশেষ করে ধান ও গম উৎপাদন হুমকির মুখে। অনেক মানুষ হারিয়েছে তার বসতি এবং পারিবারিক ঐতিহ্যবাহী পেশাও।  তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন প্রায় ৩২ লাখ পরিবার সৌরবিদ্যুৎ ও প্রায় ১৫ লাখ পরিবার উন্নত চুলা ব্যবহার করে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) গড়ে ২ থেকে ৩ ভাগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন বিশ্বনেতাদের প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তাদের দৃঢ় অবস্থান ঘোষণা করেন। বান কি মুন বলেন, এমন ঘোষণা আসতে হবে যা গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাবে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সমতা বাড়াবে। একই সাথে ২০১৫ সালের মধ্যে একটি অর্থবহ চুক্তি নিশ্চিত করার পে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটাবে। বৈঠকের পর বান কি মুন এবং বিশ্বের ৬টি বড় কোম্পানির সিওরা একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। সেখানে বান কি মুন বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পবির্তনের অবস্থা আমাদের ধারণার চেয়েও দ্রুততর হচ্ছে। আমরা পরিবেশের বিষয়ে কোনো আপস করব না। এটা মানবজাতির সমস্যা। আমাদের বসবাসের জন্য অন্য কোনো পৃথিবীও নেই। সেই সাথে হাতে কোনো সময়ও নেই। ওদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুবিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে বক্তব্য রাখার পর অধিবেশন কক্ষের বাইরে লবিতে বসে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গর সাথে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন।

No comments:

Post a Comment