Friday, September 19, 2014

সাঈদীর ফাঁসি বহাল থাকলে মানুষ খুশি হতো : প্রধানমন্ত্রী:নয়াদিগন্ত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করে আমরা বিচারকদের জন্য সুরক্ষিত অবস্থা নিশ্চিত করেছি। আগে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি বিচারকের ভাগ্য নির্ধারণ করত। এখন সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ দ্বারা ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এ নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু আমরা বিচারকদের অবস্থান ও স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করেছি। জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায়ের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে রায়
হয়েছে সেটা কাক্সিত ছিল না। এ রায়ের মাধ্যমে তিনি ধর্ষক, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। মুখে ভালো কথা বললেও এই ব্যক্তি কত জঘন্য তা মানুষ জেনেছে। তার ফাঁসি বহাল থাকলে মানুষ খুশি হতো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপরও বলব, বিচারকেরা স্বাধীন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, চলবে। জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে গত রাতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।  তিনি জামায়াতের হরতালের সমালোচনা করে বলেন, আমি জানি না, এখন তারা হরতাল কেন ডাকল। ফাঁসি হলে কি তারা খুশি হতো। যাবজ্জীবনে অখুশি তারা। যুদ্ধাপরাধীদের হরতাল মানুুষ মানবে কেন। হরতাল কি বিচারকের বিরুদ্ধে? বিচারকেরা দেখবেন। বিচারকেরা স্বাধীন। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব। জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করব।   আওয়ামী লীগ মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেÑ এ কথা উল্লেখ করে তিনি খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানান।  স্বাস্ব্যসেবার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে ভেজাল বহু দিন ধরে চলছে। অতীতে আরো বহু সরকার ছিল। সমাধানের পথ কেউ করতে পারেনি, একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া। ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাজেট তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। রিজার্ভ ২২ বিলিয়নের ওপরে। রফতানি ৩০ বিলিয়নের ওপরে। তিনি খাদ্য উৎপদানের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।  শেখ হাসিনা বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ রয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় অন্য কিছু দেখি না। আমাদের লক্ষ্য মানুষকে স্বস্তির মধ্যে রাখা, শান্তির মধ্যে রাখা। তিনি বলেন, শিক্ষার মান নিয়ে চিন্তা করতে হবে। শিক্ষা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। আমাদের দেশে ৪০-৫০ ভাগ পাস করত। ফেলের সংখ্যা বেশি ছিল। ফেল করবে কেন। আমরা বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা ৯২ ভাগ পাস করছে। এটা বড় পাওয়া।  বিশ্বকে গ্রামের মানুষের কাছে উন্নমত করার সুযোগ করে দিয়েছি। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ব্যবস্থা করছি।  বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ৬৪ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ পায়। আগে গ্রামে গেলে মানুষ বলত পেটে ভাত চাই, এখন বলে বিদ্যুৎ চাই। বিএনপি জোট যখন আন্দোলনে নামে যেভাবে নাশকতা চালাচ্ছিল এই অবস্থায় ১ জানুয়ারি বই বিতরণ করি।  তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের অনিয়ম ধরছে আওয়ামী লীগ। অনিয়মই আগে নিয়ম ছিল। আমরা অনিয়মকে নিয়মতান্ত্রিকতায় ফিরিয়ে আনছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি।

No comments:

Post a Comment