Wednesday, September 10, 2014

‘বস্তুর’ আঘাতেই বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি:প্রথম অালো

ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ পূর্বাঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজটিতে দুর্ঘটনার সময় কোনো যান্ত্রিক গোলযোগ হয়নি। ‘উচ্চগতিসম্পন্ন’ অগণিত বস্তু আঘাত হানার পরই উড়োজাহাজটি খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে নেদারল্যান্ডস সরকার। গত ১৭ জুলাই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে ২৯৮ আরোহী মারা যায়। ১৯৩ জনই নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। খবর এএফপি, বিবিসি, এপির। উড়োজাহাজ বিধ্বস
্ত হওয়ার ঘটনা তদন্তকারী একটি দল প্রাথমিক এ প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে। নেতৃত্ব দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের তদন্তকারীরা। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘ফ্লাইট এমএইচ১৭ সম্ভবত অবকাঠামোগত ক্ষতির কারণেই আকাশে খণ্ড খণ্ড হয়ে ভেঙে পড়ে। ওই ক্ষতির কারণ ছিল অনেকগুলো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বস্তু বাইরে থেকে উড়োজাহাজটিতে বিদ্ধ হওয়া।’ পূর্ব ইউক্রেনের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় বলে এত দিন ধারণা করা হচ্ছিল। প্রতিবেদনটির ভাষ্য মোতাবেক, উড়োজাহাজটিতে অনেকগুলো ‘উচ্চগতিসম্পন্ন বস্তুর’ আঘাত হানার বিষয়টি বের হয়ে আসায় কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলেছে। উড়োজাহাজটির রেকর্ডারগুলোতে হঠাৎ করেই তথ্য ধারণ বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঘটনার পরপরই নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনার ব্যাখ্যা মিলেছে। ৩৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রকার যান্ত্রিক সমস্যা বা মনুষ্য-সৃষ্ট ভুল ছিল না।’ আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী উড়োজাহাজটি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এলাকাটি রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উড়োজাহাজটির ব্ল্যাক বক্স, ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবি ও ভিডিওচিত্র এবং ইউক্রেনের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেতে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

No comments:

Post a Comment