ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম শাহারিয়ার মাহমুদ আদনান এ আদেশ দেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও অবমাননার অভিযোগে ২ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেন আইনজীবী শাহ আলম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫ অক্টোবর (গতকাল) লতিফ সিদ্দিকীকে হাজির হ
তে সমন জারি করেন। গতকাল তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় বাদীপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আদালত আগামী ২৩ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন। লতিফ সিদ্দিকী গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পবিত্র হজ, তাবলিগ জামাত, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন। এ নিয়ে দেশে, বিদেশে এমনকি আওয়ামী লীগেও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, অবমাননা এবং মানহানির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে গতকাল পর্যন্ত ঢাকায় ছয়টি এবং ঢাকার বাইরে ১৬টির মতো মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রীর পদ থেকে গত রোববার অপসারিত হওয়া লতিফ সিদ্দিকী বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। তিনি পদত্যাগ না করায় সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রী হিসেবে তাঁর ‘নিয়োগের অবসান’ ঘটানো হয়। একই দিন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তাঁকে দলের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ ফোরাম প্রেসিডিয়াম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দলের প্রাথমিক সদস্যপদও সাময়িক স্থগিত করা হয়। লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ছয়টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় গতকাল আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। বাকি পাঁচ মামলায়ও তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছে। আরও একটি মামলা: নিজস্ব প্রতিবেদক, ভৈরব জানান, লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ আদালতে গতকাল আরও একটি মামলা হয়েছে। আইনজীবী আবুল কাউছার খান মানহানির অভিযোগে ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন। আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আলাউল আকবর মামলাটি গ্রহণ করে ১০ ডিসেম্বর লতিফ সিদ্দিকীকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
No comments:
Post a Comment