Sunday, October 12, 2014

বিচারক নিয়োগ ও অবসরের বয়স বাড়ানোর উদ্যোগ নেই:নয়াদিগন্ত

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ ও অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করতে আইন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেই সরকারের। গত ১৮ আগস্ট ‘রাষ্ট্র বনাম হেলেনা পাশা ও অন্যান্য’ মামলাটি নিষ্পত্তিতে অস্বাভাবিক বিলম্বের কারণ অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এই সুপারিশটি আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রায় দুই মাস হতে চললেও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ ও অবসরের সময়সী
মা বৃদ্ধির আইন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নয়া দিগন্তকে বলেছেন, এ ধরনের কোনো সুপারিশ এখনো পাইনি। অন্য দিকে আইন কমিশনের চিফ রিসার্চ অফিসার (অতিরিক্ত জেলা জজ) ফওজুল আজিম বলেন, গত ১৮ আগস্ট এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র বনাম হেলেনা পাশা ও অন্যান্য (ড্রাগ কেস নং ৪/১৯৯৩) মামলাটি নিষ্পত্তিতে অস্বাভাবিক বিলম্বের কারণ অনুসন্ধান প্রতিবেদনের একটি অংশে এই সুপারিশটি উল্লেখ রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো আইন কমিশনের সুপারিশে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটির মাধ্যমে দ ও যোগ্য ব্যক্তিদের বিচারপতি পদে নিয়োগ চায় আইন কমিশন। বিচারপতি পদে নিয়োগে কমপে ৫০ বছর বয়স এবং অবসর গ্রহণের বয়স ৭৫ বছর নির্ধারণ করলে অভিজ্ঞ বিচারক দতার সাথে অধিক সময় বিচারিক দায়িত্ব পালনে সম হবেন বলেও মনে করছে কমিশন। তবে এ বিধান কেবল নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের েেত্র প্রযোজ্য হবে বলেও সুপারিশে উল্লেখ করা হয়। সুপারিশে বলা হয়, বিচারকদের যোগ্যতা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে অন্যূন ২০ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে প্রকৃত কার্যকাল, অথবা বিচার বিভাগে অন্যূন ২০ বছর প্রকৃত বিচারিক দায়িত্ব পালন এবং তন্মধ্যে অন্তত তিন বছর জেলা জজের প্রকৃত দায়িত্ব পালন করতে হবে। আইন কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগে অধিকসংখ্যক বিচারপতি নিয়োগ প্রদানের পরও মামলার সংখ্যা কমছে না। গত ১৪ বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিচারপতিদের সংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও মামলার সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পরিবর্তে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ েেত্র প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন। আর এ জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটির মাধ্যমে দ ও যোগ্য ব্যক্তিদের বিচারপতি পদে নিয়োগ দেয়া। আইন কমিশন মনে করে মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং-ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। অভিজ্ঞ বিচারপতিদের দায়িত্ব দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ ও জেলা আদালতগুলোকে ক্রমাগত তদারকি করলে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সুফল আসতে পারে। সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে, বর্তমানে বিচারপতিদের বয়সসীমা ৬৭ বছর। ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর সংবিধানের সপ্তম সংশোধনীতে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করা হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ১৬ মে চতুর্দশ সংশোধনীতে বিচারপতিদের অবসরের বয়সীমা ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ করা হয়।

No comments:

Post a Comment