ক্ষমতাসীন ছিল জাতীয় কংগ্রেস। কিন্তু এবার তারা হরিয়ানায় প্রধান বিরোধী দল হওয়ার মতো আসনও পায়নি। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে দলের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী ‘বিনম্রভাবে’ এই ফলাফল স্বীকার করে নিয়েছেন। আর বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর মন্তব্য, এই বিজয় ‘কংগ্রেসমুক্ত ভারত’ তৈরির প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত করবে। শিবসেনার এক সূত্র সন্ধ্যায় বলে, উদ্ধব ঠাকরেকে বিজেপি প্রধান অমিত শাহ সরকার গঠন নিয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দুটি রাজ্যে বিজেপির এই বিজয় গত মে মাসে ‘মোদি-হাওয়ায়’ জেতা লোকসভা নির্বাচনেরই রেশ। দুটি রাজ্যে স্বয়ং মোদির ব্যাপক প্রচারণা সেই রেশ জিইয়ে রাখতে সহায়তা করেছে। ১৫ অক্টোবর দুটি বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারতে মে মাসে অনুষ্ঠিত ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনের পর এটিই ছিল বড় আঞ্চলিক নির্বাচন। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় ১২২টি আসনে জিতেছে বিজেপি। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। অর্থাৎ সরকার গঠনের জন্য কারও না কারও সমর্থন দরকার হবে তাদের। বিজেপির পুরোনো ঘনিষ্ঠ সহযোগী শিবসেনা ৬৩টি আসন পেয়েছে। এনসিপির সঙ্গে ১৫ বছর ধরে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস পেয়েছে ৪২টি আসন। এনসিপির আসনসংখ্যা ৪১। আসন ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা ও কংগ্রেস-জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) দীর্ঘদিনের গাঁটছড়া ভেঙে যায় নির্বাচনের আগে আগে। একলা চলো নীতি নিয়েই নির্বাচনে জয়ী বিজেপির এ রাজ্যে সরকার গঠনের দুশ্চিন্তাকে হালকা করে দিয়েছে এনসিপি। দলের প্রধান প্রফুল্ল প্যাটেল গতকাল বিকেলে বিজেপি সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দেন। মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি ও রাজ্যের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানান, এনসিপির এ প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। হরিয়ানা বিধানসভার ৯০টি আসনের মধ্যে বিজেপি সর্বোচ্চ ৪৭টি আসন পেয়েছে। জাতীয় লোকদল (আইএনএলডি) পেয়েছে ১৯টি আসন। হরিয়ানায় দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১৫টি। এখানে জয়ের মাধ্যমে এক ইতিহাস সৃষ্টি করল বিজেপি। কেননা দলটি এর আগে কখনোই হরিয়ানায় ক্ষমতায় আসতে পারেনি। সর্বশেষ ২০০৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মাত্র চারটি আসন পেয়েছিল। মহারাষ্ট্র: মোট আসন ২৮৮ বিজেপি শিবসেনা কংগ্রেস ১২২ ৬৩ ৪২ হরিয়ানা: মোট আসন ৯০ বিজেপি আইএনএলডি কংগ্রেস ৪৭ ১৯ ১৫ মোদি হাওয়ার রেশ হরিয়ানায় প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে বিজেপি
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, October 20, 2014
দুই বিধানসভাই বিজেপির:প্রথম অালো
ক্ষমতাসীন ছিল জাতীয় কংগ্রেস। কিন্তু এবার তারা হরিয়ানায় প্রধান বিরোধী দল হওয়ার মতো আসনও পায়নি। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে দলের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী ‘বিনম্রভাবে’ এই ফলাফল স্বীকার করে নিয়েছেন। আর বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর মন্তব্য, এই বিজয় ‘কংগ্রেসমুক্ত ভারত’ তৈরির প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত করবে। শিবসেনার এক সূত্র সন্ধ্যায় বলে, উদ্ধব ঠাকরেকে বিজেপি প্রধান অমিত শাহ সরকার গঠন নিয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দুটি রাজ্যে বিজেপির এই বিজয় গত মে মাসে ‘মোদি-হাওয়ায়’ জেতা লোকসভা নির্বাচনেরই রেশ। দুটি রাজ্যে স্বয়ং মোদির ব্যাপক প্রচারণা সেই রেশ জিইয়ে রাখতে সহায়তা করেছে। ১৫ অক্টোবর দুটি বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারতে মে মাসে অনুষ্ঠিত ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনের পর এটিই ছিল বড় আঞ্চলিক নির্বাচন। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় ১২২টি আসনে জিতেছে বিজেপি। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। অর্থাৎ সরকার গঠনের জন্য কারও না কারও সমর্থন দরকার হবে তাদের। বিজেপির পুরোনো ঘনিষ্ঠ সহযোগী শিবসেনা ৬৩টি আসন পেয়েছে। এনসিপির সঙ্গে ১৫ বছর ধরে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস পেয়েছে ৪২টি আসন। এনসিপির আসনসংখ্যা ৪১। আসন ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা ও কংগ্রেস-জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) দীর্ঘদিনের গাঁটছড়া ভেঙে যায় নির্বাচনের আগে আগে। একলা চলো নীতি নিয়েই নির্বাচনে জয়ী বিজেপির এ রাজ্যে সরকার গঠনের দুশ্চিন্তাকে হালকা করে দিয়েছে এনসিপি। দলের প্রধান প্রফুল্ল প্যাটেল গতকাল বিকেলে বিজেপি সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দেন। মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি ও রাজ্যের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানান, এনসিপির এ প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। হরিয়ানা বিধানসভার ৯০টি আসনের মধ্যে বিজেপি সর্বোচ্চ ৪৭টি আসন পেয়েছে। জাতীয় লোকদল (আইএনএলডি) পেয়েছে ১৯টি আসন। হরিয়ানায় দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১৫টি। এখানে জয়ের মাধ্যমে এক ইতিহাস সৃষ্টি করল বিজেপি। কেননা দলটি এর আগে কখনোই হরিয়ানায় ক্ষমতায় আসতে পারেনি। সর্বশেষ ২০০৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মাত্র চারটি আসন পেয়েছিল। মহারাষ্ট্র: মোট আসন ২৮৮ বিজেপি শিবসেনা কংগ্রেস ১২২ ৬৩ ৪২ হরিয়ানা: মোট আসন ৯০ বিজেপি আইএনএলডি কংগ্রেস ৪৭ ১৯ ১৫ মোদি হাওয়ার রেশ হরিয়ানায় প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে বিজেপি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment