আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে দলটি। নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য তাঁকে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রথম আলোকে বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সই করা নোটিশটি গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জিগাতলা ডাকঘর থেকে রেজিস্ট্রি ডাকে লতিফ
সিদ্দিকীর টাঙ্গাইলের কালিহাতীর গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। এই নোটিশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর পদ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে গতকাল আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ডাকা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অনুরোধ জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, দলে লতিফ সিদ্দিকী প্রাথমিক সদস্য থাকবেন কি না, এ সভায় তা নির্ধারণ করা হবে। কার্যনির্বাহী সংসদের আগামী বৈঠকের আগেই লতিফ সিদ্দিকীকে কারণ দর্শানোর জন্য দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। ওই দুই নেতার দাবি, লতিফ সিদ্দিকী নোটিশের জবাব যাই-ই দেন, তাঁর সদস্যপদ থাকবে না। জবাব না দিলেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সংসদের আগামী বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জেলাগুলোতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সফর এবং কয়েকটি জেলার কাউন্সিল সম্পন্ন করার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ, মহানবী (সা.), তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন লতিফ সিদ্দিকী। ইতিমধ্যে তাঁকে মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি এখনো দেশে ফেরেননি, কলকাতায় অবস্থান করছেন। এদিকে প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি জানান, লতিফ সিদ্দিকীর কলকাতায় অবস্থান করা নিয়ে গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিনকে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, যত দিন না বাংলাদেশে ফেরা সম্ভব হচ্ছে, তত দিন লতিফ সিদ্দিকী ভারতে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান কী—জানতে চাইলে আকবরউদ্দিন বলেন, ‘ভারতে কোনো শরণার্থী আইন নেই। ফলে আমি জানি না, আপনারা কী বলতে চাইছেন।’
No comments:
Post a Comment